যদি আগামীতে এই নিয়মের পরিবর্তন হয় তবে অতিরিক্ত ভাড়া পরিশোধকারীরা কোন ভাবেই মেনে নিবেন না। তাতে গনপরিবহনের ভিততেরই শ্রমিকদের সাথে যাত্রীদের বাক-বিতন্ডা থেকে শুরু করে হাতা-হাতি পর্যন্ত গড়াবে। যাহা উভয় পক্ষের জন্য অমঙ্গল হবে। প্রশ্নবিদ্ধ করবে তাদের Commitment বা প্রতিশ্রুতির জায়গায়। এমনিতেই গনপরিবহন মালিকদের উপর সাধারন যাত্রীদের কোন আস্থা নেই। মূল কারন তারা অতি লোভী প্রকৃতির মানুষ। সাধারন যাত্রীদের পকেটের টাকা হাতিয়ে নেওয়াটা তাদের অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে।
বিগত ৬৮ দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকট ও খাদ্যাভাবে সবচেয়ে বেশী মুখোমুখি হয়েছে এই ব্যবসায় জড়িত চালক ও শ্রমিকরা। দীর্ঘদিন অভাবে থাকা এই শ্রমিকদের খাদ্য বা আর্থিক সহযোগিতার কোন উদ্দ্যোগ মালিকপক্ষ বা শ্রমিকদের নামে গড়া শ্রমিক ফেডারেশন নেয় নাই। আর শ্রমিকরা বাস স্ট্যান্ডগুলিতে জটলা বেঁধে অপেক্ষা করেছে নেতাদের আগমনের আশায়। অথচ কোন শ্র্রমিক নেতা তাদের সাহায্য করতে আসেনি। শুধু তাই নয় খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি কে বা কারা নেতা, শ্রমিকরাই চেনে না বা জানে না। তবুও তারা শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বা সমিতিতে প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট অংকের চাঁদা দিয়ে গেছে। অথচ তাদের জমা টাকা থেকে বঞ্চিত হয়ে অর্ধাহারে অনাহারে পেটে পাথর বেঁধে পরিবার সন্তানদের নিয়ে শ্রমিকদের দিনগুলি কেটেছে। আমার দেখা একজন শ্রমিক নেতা অভিজাত এলাকায় বিলাস বহুল বাড়িতে ৮০ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় কারু-কার্যখচিত আসবাবাপত্র সহ পরিবার নিয়ে বাস করছে। দুই ছেলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। কিন্তু নেতার এক টাকাও আয় নেই। শুধুমাত্র শ্রমিকনেতা সেজে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করছে।
আজ খবরে দেখলাম, গণপরিবহন থেকে শ্রমিক সংগঠনের নামে নেতাদের নিয়োজিত পেটুয়া বাহিনীরা প্রতিটি বাস থেকে বিভিন্ন হারে গাবতলী,নবীনগর ও পাটুরিয়া স্পট থেকে চাঁদা তুলছে। বাসের শ্রমিকরাও দাবীকৃত চাঁদার টাকা পরিশোধ করছে।
আমার প্রশ্নঃ
এরা কারা? এরা কোন নেতার লোক? গত দুই মাস কে বা কাহারা এদেরে আর্থিক সাহায্য করেছে?
শ্রমিকদের এখনই সময় এই চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করা। তারা বুঝেছে সম্পূর্ন সংগঠনটি ভুয়া ও ঠকবাজি। শ্রমিকদের উচিত চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে বাস চালানো বন্ধ রাখা। যাতে ভবিষ্যতে এই কালো পথ বন্ধ হয়। আর শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজটি করতে পারলে চিরতরে দেশ থেকে এই খাতে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে।
নেতাদের বলছিঃ
দেশে যতজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেছে তাদের সবাই বিলাস-বহুল জীবন-যাপনকারী এলিট বা অভিজাত ব্যাক্তি। নাম লিখে শেষ করতে পারবো না। অন্তত এলিটদের মৃত্যুর পরিনতি দেখে উচিত হবে আপনাদের সংশোধন হওয়া। নইলে মৃত্যুর পর আপনাদের জানাজা ও দাফনে নিজ সন্তানরাও উপস্থিত থাকবে না।
২৪টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দারুন লিখেছেন ভাইয়া। আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। বিষয়টি অবশ্যই দেখা উচিত আর প্রতিবাদ করা উচিত। এদেশে এভাবেই অরাজকতা সৃষ্টি করে চলছে সবাই মানিয়ে নিয়ে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো অবিরাম
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ দিদিভাই।
প্রদীপ চক্রবর্তী
যথার্থ উপস্থাপন দাদা।
হ্যাঁ আর এটাই সত্য…
দেশে যতজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেছে তাদের সবাই বিলাস-বহুল জীবন-যাপনকারী এলিট বা অভিজাত ব্যাক্তি। নাম লিখে শেষ করতে পারবো না। অন্তত এলিটদের মৃত্যুর পরিনতি দেখে উচিত হবে আপনাদের সংশোধন হওয়া। নইলে মৃত্যুর পর আপনাদের জানাজা ও দাফনে নিজ সন্তানরাও উপস্থিত থাকবে না।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ দাদা ভাই।
ফয়জুল মহী
দিন দিন মরণে পাল্লা ভারী হচ্ছে। দেখে শুনে চুপ থাকি। না হয় আছে ডিজিটাল আইন
শামীম চৌধুরী
হুম। হিসেব করে লেখাই ভাল। ভাল থাকবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
সময়োপযোগী পোস্ট দিয়েছেন। আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সাহস যদিও সবার থাকে না, তবে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য নিজেদেরকেই সোচ্চার হতে হয়।
শুভ কামনা রইলো শামীম ভাই 🌹🌹
শামীম চৌধুরী
অনেক ধন্যবাদ আপু। আবারো কৃতার্থ। ভাল থাকুন। পরিবারের সাথে থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি আপনার সচেতনতা থেকে লিখে ফেলেছেন, আমরা সাধারণরা খুবই নিরুপায়।
দেখে যাওয়া ছাড়া কিছুই বলার নেই।
শামীম চৌধুরী
ভাইজান, যার যার অবস্থান থেকে তার তার প্রতিবাদটা সঠিক করে হলে বাকীরা সমর্থন দিবে। শ্রমিকদের প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত হওয়া শ্রমিকদেরই প্রতিবাদী হতে হবে।
অনেক ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
বাসের এই বর্ধিত ভাড়া পরে আর কমলে হয়! যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেলে একসিট পর পর একজনে বসা, এটা বজায় রাখা কঠিন হয়ে যাবে।
শ্রমিকদের কল্যানে নিয়োজিত সংগঠনের সমস্ত টাকাই নেতা মেরে দেয়, এটি অনেক বছর থেকেই জানি। এই নেতারা সব সময়ই সরকারী দলের হয়। শ্রমিকরা টাকা জমা করবে, নেতারা তা খাবে এমনই নিয়ম। এই চাঁদাবাজি বন্ধ হবেনা। কারন সরকারী দল নেতাদের পক্ষে থাকে, শ্রমিকদের নয়।
অত্যন্ত ভালো একটি লেখা দিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
এমন লেখা আরো চাই।
শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
শ্রমিকদের প্রতিবাদী হওয়ার এখনই সময়।
ইঞ্জা
ভাই আমি ব্যক্তি জীবনে গাড়ি ব্যবসায় জড়িত বলেই পরিবহন নেতাদের হাড়ে হাড়ে চিনি, এগুলো মানুষের বাচ্চা না, সবই জানোয়ারের দল, সব গুলোই এক একটা মহা শয়তান।
চমৎকার পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ ভাই।
শামীম চৌধুরী
আপনাকেও ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
শুভকামনা ভাই
সুপায়ন বড়ুয়া
লোভ যখন সীমা ছেড়ে যায়
অনিয়মটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়ায়
আজ সবাই অভুক্ত পশুর মতো হামলে করে পড়ে
করোনা চলা কালীন ও শিক্ষা হচ্ছে না।
শুভ কামনা।
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ দাদা
তৌহিদ
কি যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে চিন্তা করলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। নীতিনির্ধারকদের মগজ মাথায় নাকি পায়ে কে জানে! আমরা অসহায়ের মত দেখে যাচ্ছি।
শামীম চৌধুরী
হুম। ভাল থেকো।
আরজু মুক্তা
ভজঘট অবস্থা। এরা তো সবসময় টাকাওয়ালা। একবার ছাড় দিলে কি হয়!
ভাইয়া আপনি যথার্থ বলেছেন
শামীম চৌধুরী
ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন পরিবারের সাথে।
রুমন আশরাফ
সময়োপযোগী লেখা। ভালো লিখেছেন।
নিতাই বাবু
এটাই হোক শেষ কথা।
আপনার প্রতিবাদী লেখায় সহমত পোষণ করছি।
শামীম চৌধুরী
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ দাদাভাই।