
সমাজ একটি প্রাগৈতিহাসিক সংগঠন। পৃথিবীর শুরু অদ্যাবধি এই সংগঠনটি আমাদের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত।
মানুষ পশুপাখি সহ অন্যান্য জীবজন্তুর মাঝেও এই সংগঠনটির আবশ্যিকতা দেখা যায়। অর্থাৎ এই সংগঠনটি পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন।
যে যেকোনো সময় যে কারো উপর তার নীতি নিয়ম প্রবর্তিত করতে পারেন। যেকোনো সমাজে বসবাস করি ব্যাক্তি গোষ্ঠীর প্রতিবিম্ব দেখা যায়। তাই সমাজকে অনেকেই আয়নাও বলে থাকে।
এর প্রভাব অনেকটা সূর্যের আলোকরশ্মির মতো সূর্য সকালে যেমন নরম আলো দেয়, দুপুরে দেয় তপ্ত রোদ এ রোদে পোড়ে অনেকের চোখ মুখ ঝলসে যায়।
তেমনই সমাজের নিয়মগুলো অনুরূপভাবে আমাদের জীবনের অপরিহার্য আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা মানসিক ক্ষতি ও কষ্টের উদ্রেক করে।
আসলে সমাজ ছাড়া বসবাস করা হয় তো আমাদের জন্য হানিকর অবস্থা হতো। তবুও সমাজের বাধ্যবাধকতা এবং কিছু অদ্ভুত নিয়মনীতি আজও মানুষের বিড়ম্বনার বীজ রোপণ করে।
কিন্তু পৃথিবীর সমবয়সী এই সংগঠনটি আজও পুরোপুরি সুষ্ঠ ও পরিশুদ্ধ নয়। সমাজের আবেগের মূল্য নেই।
সমাজ বিচার করে তার নির্ধারিত নিয়ম নীতি দিয়ে। যেমন শ্বাস রোগে মৃত পথযাত্রীর বৃদ্ধের ভেন্টিলেটরটি খুলে যুবকের মুখে লাগানো হয় সামাজিক কারণেই।
কিন্তু অসহায় বৃদ্ধের চোখের জলের যে ওজন তা সমাজ ধারণ করে না। শুধু করুণাটুকু দু-হাত দিয়ে মুছে জানালা দিয়ে ফেলে দেয়। সমাজ ঠিক এভাবেই চিরকাল ধরে আমাদের শাসন ও শোষণ করে আসছে।
অনেক অপরাধ সৃষ্টির জন্য সমাজ পুরোপুরি দায়ী। অপরাধের জন্য অপরাধীর বিচার হচ্ছে কিন্তু সমাজের বিচার হচ্ছে না। সমাজ থেকে যাচ্ছে বিচারের বাইরে।
এই প্রভাবমূলক সংগঠনটির শক্তি এতোই বেশি যে, সে আজও সবকিছু নির্বিঘ্নে করে যাচ্ছে।
তবে সেদিন হয় তো বেশি দূরে নয়, যেদিন সমাজকেও জবাবদিহিতার জন্য যেতে হবে কাঠগড়ায়।
দালান জাহান
০৬.১২.২০
৪টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
সমাজকে মানুষ সৃষ্টি করেছে। সুতরাং দায়ভার তার। তবে, আমরা খুব স্বার্থপর। নিজের দিকটা বেশি দেখি। পরিবর্তন আসবেই।
শুভ কামনা।
হালিমা আক্তার
সমাজ মানুষের সৃষ্টি। সমাজের নিয়ম কানুন ও মানুষ তৈরি করেছে। প্রভাবশালী মহল নিজেদের প্রয়োজনে নিয়ম নীতি ব্যাবহার করে থাকেন। একদিন হয়তো এর পরিবর্তন ঘটবে। শুভ কামনা রইলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অবশ্যই পৃথিবীর সকল প্রাণীর মধ্যে নিয়ম শৃঙ্খলা আছে যা সমাজেরই নামান্তর । তবে মানুষ নামের প্রাণী নিজেরাই নিজেদের স্বার্থানুযায়ী সমাজের নিয়ম তৈরি করে, ভাঙ্গে। হয়তো পরিবর্তন ঘটবে, কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে সমাজকে! অফুরন্ত শুভকামনা রইলো
রিতু জাহান
সমাজ কখনো কাঠগড়ায় দাঁড়ায় না আবার নিত্য দাঁড়ায় এমন। এক সমাজপতি পাল্টে দাঁড়ায় আর এক সমাজপতি৷
সিভিলাইজেশ্যন এর উপর আমি যতো বই পড়েছি,, একটাই দেখেছি আর তা বর্বরতা,,
সকল স্থাপনা ঘিরে বর্বরতা,,,
সামাজিক রীতিনীতি মূল্যবোধ এর জন্য একজনের মুখের অক্সিজেন আর একজনের মুখে লাগানো দুটোই নির্মম।