আমরা সকলে মিলে একটু চেষ্টা করলেই যে পারি, এবারকার রাজশাহীর আম পাড়ার সময়সূচী নির্ধারণ এবং সবাই তা মেনে চলাই তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ। অনেক দিনের পুরোনো সমস্যার সমাধান করা গেছে। আমরা সচেতনতা তৈরী করে বিষমুক্ত আম সারা দেশে সরবরাহ করতে পারছি। এইধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
Md Shahriar Alam MP
===========================================================
ধন্যবাদ সরকারের ভুমিকাকে। গত বছর একেবারেই আম কেনা হয়নি। এ বছরও কিনবো কিনা বুঝতে পারছিলাম না। সাধারনত গত কয়েক বছর যাবত নির্দিষ্ট এক ব্যাক্তির মাধ্যমে সরাসরি রাজশাহীর বাগান থেকে আম আনিয়ে নিজেরাও খাই, আত্মীয়-পরিজনকেও দেই।
এবার তাঁর কাছে জানতে চাইলাম আমের খবর কি? উত্তরে বললো ”ম্যাডাম, আম তো এবার বাগান থেকেই নামেনি। সরকারীভাবে টাইম বেধেঁ দেয়া আছে, সময় হলে নামানো হবে। আর ঢাকার বাজারেও কড়া নজরধারী। “
আশ্বস্ত হলাম যে, এবার তাহলে একটু নিশ্চিন্তমনেই আম খাওয়া যাবে।
কাজেই, ভোক্তা (পাবলিক) সজাগ থাকলে, সরকার সচেতন থাকবে আর সরকার কঠোর থাকলে যে কেউ নিয়ম মেনে চলতেবাধ্য থাকবে।
অতএব আমরাই পারি, আমাদের অধিকার নিশ্চিত করতে।
সুতরাং, সচেতন হোন, সচেতন থাকুন।
২১টি মন্তব্য
হিলিয়াম এইচ ই
তারমানে আমার জন্য সামনে আরোও আম অপেক্ষা করতেছে!!!!!! 😀
মারজানা ফেরদৌস রুবা
https://sonelablog.com/wp-content/plugins/smilies-themer/MDC/1.gif
আশা জাগানিয়া
কোন লাভ নেই। সরকারী লোকেরা ফরমালিন পাবে না,নিশ্চিন্ত থাকুন।এরা ম্যাগি ন্যুডলসে কিছু খুঁজে পায়নি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ, ম্যাগি নুডুলসের ব্যাপারটা জানি। ওরা নাকি কিছুই পায় নি!
আবার আমাকে একজন যুক্তি দেখিয়েছে নেসলের প্রোডাক্ট হলে কি হবে? ওটা তৈরী হয় ইন্ডিয়ায় আর আমাদেরটা তৈরী হয় বাংলাদেশে। কি খোঁড়া যুক্তি!! একই ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট নিয়ে আমার দেশের মানুষের যুক্তি উপস্থাপন।
হ্যাঁ, সরকারী লোকেরা পাবে না, তাঁরা কখনো পায় না। তাঁদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হয়। আমরা যখন কেনা বন্ধ করে দেবো কেবল তখনই তাঁরা অসঙ্গতি খুঁজে পাবে।
খেয়ালী মেয়ে
সবকিছু ভালো হোক, সুন্দর হোক, বিষমুক্ত হোক এটাই চাই…
আশার বাণীও স্বপ্ন দেখায়, তাই আমরাও স্বপ্ন দেখতেই পারি যে একদিন সব খাবার বিষমুক্ত হবে…
মারজানা ফেরদৌস রুবা
জনসচেতনতা থাকলে ধীরে ধীরে সব না হলেও মাত্রাতিরিক্ত বিষপ্রয়োগ কমবে আশাকরি।
ব্লগার সজীব
‘ রাজশাহীর আম পাড়ার সময়সূচী নির্ধারণ এবং সবাই তা মেনে চলাই তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ।’ ,আপু বুঝিনি এখানে।কি সিদ্ধান্ত হয়েছিলো? এর সাথে বিষ মেশানোর সম্পর্ক কি?
মারজানা ফেরদৌস রুবা
কথাটি এমপি শাহরিয়ার আলমের। তাঁর বক্তব্যটি তুলে ধরার পর নীচে আমি আমার কথাগুলো বলেছি। বলেছি এজন্য, ১০/১৫ দিন আগে আমি ফোন দিয়েছিলাম আম ব্যাপারীর কাছে। সেখান থেকেই জানলাম সরকারীভাবে নির্দিষ্ট সময়ের আগে আম পারা নিষেধ।
আমি যতোদুর জানি, অতি মুনাফা লাভের আশায় বাজারে আম আগাম নিয়ে আসার জন্য ব্যাপারীরা যেসকল আমবাগান খরিদ করেন, সেগুলো থেকে আম পরিপূর্ন পাঁকার আগেই গাছ থেকে নামিয়ে বাজারে চালান করেন, পার্সেল করেন। আর পার্সেল করাগুলোতে কারবাইড নামক একপ্রকার রাসায়নিক উপাদান প্রয়োগ করেন যাতে দ্রুত সে আম পেঁকে যায়। এবার সে সিদ্ধান্তই হয়েছিলো যে, পরিপূর্ন পাঁকার আগে আম গাছ থেকে নামানো যাবে না আর সেটাতে সরকারের কঠোর নজরদারীও ছিলো।
আর গাছপাঁকা কোন ফল ফরমালিন প্রয়োগ করে খুব বেশিসময় ধরে রাখা সম্ভব নয়। কাঁচাআমগুলোকেই ব্যবসায়ীরা ফরমালিন দিয়ে প্রয়োজমেতো ধরে রাখে।
ব্লগার সজীব
বুঝেছি আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, এবারের সবার ঐকান্তিক চেষ্টায় বিষ বিহীন আম খেতে পারছি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমরা যেমন চাই তেমনই হতে হবে।
শুধু চাইতে হবে। আঙ্গুল দিয়ে অসঙ্গতিগুলো দেখিয়ে দিতে হবে।
মুন্নি রুনা
কিছুটা নিশ্চিন্ত হলাম।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
নিশ্চিন্ত হয়েছেন ভালো কথা কিন্তু সতর্ক দৃষ্টি রাখুন সবসময়।
অলিভার
আমের পচন রোধ করার জন্যে গাছ থেকে নামানোর পরপরই এরা তাতে পচন রোধক দ্রব্যাদি ব্যবহার করে, এমনটাই জানতাম। নির্দিষ্ট সময় পর গাছ হতে আম নামানোর পরও কি এই কাজ করবে না তার নিশ্চয়তা এখনো পাইনি। তবে উদ্যোগতে স্বাগতম, এটা সফল হলে হয়তো ভবিষ্যতে বাকি সমস্যা গুলিও কাটিয়ে উঠা যাবে ধীরে ধীরে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
গাছপাঁকা আমকে বোধ হয় পচনরোধক দিয়ে খুব বেশি সময় ধরে রাখা যায় না। আর এ ব্যাপারেও সরকারী নজরদারী রয়েছে এবার। গতবারের ধাক্কাটা আম ব্যবসায়ীদের যথেষ্ট লেগেছে, তাই এবার তারা নিজেরাও হিসাব করেই চলছে।
মেহেরী তাজ
ঠিক বলেছেন আপু। সচেতন হোন, সচেতন থাকুন। আপনারা ভালো আম, বিষমুক্ত আম পাচ্ছেন এটাও একটা ভালো খবর। তার জন্য সরকার কে ধন্যবাদ।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হুম, সচেতন হোন, সচেতন থাকুন।
লীলাবতী
সরকারকে এ বিষয়ে ধন্যবাদ দিতেই হয়।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমরা সচেতন থাকলে সরকারও সজাগ থাকে। তবে হ্যাঁ, সরকার নজর দেয়াতেই সীজনাল আমটা এবার একটু চিন্তামুক্ত হয়ে খেতে পারছি।
সীমান্ত উন্মাদ
ঠিকই বলেছেন সবাই খালি সরকারের দোষ দেয় অথচ ভোক্তাদের জন্য করা ভোক্তা অধিকার আইন নামের কঠিন একটা আইন আছে এটাই আমরা কজন জানি। নিজেরা সচেতন হলে, সরকার বাধ্য তার প্রয়োগ করতে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হুম, যেকোন বিষয়ে আওয়াজ জোরালো থাকা জরুরী। আওয়াজ জোরালো থাকলে সরকারও সচেতন থাকে। মুলতঃ জনমতের উপরই নির্ভর করে সরকারের গতি প্রকৃতি।