
এলো এলো করে সত্যি চলে এলো করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, এ ঢেউ মহামারী আকারের ঢেউ হতে পারে বাংলাদেশের জন্য তা ভেবে দেখেছেন কি?
এখন সময় হয়েছে ভেবে দেখার।
এর আগে শীতের শুরুতেই প্রেডিকশন ছিলো দ্বিতীয় ঢেউ আসবে বলে এবং তা শীতেই কিন্তু সব প্রেডিকশনকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে শীত চলে গেলো কিন্তু গরম শুরু হতেই বাড়তে লাগলো আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা।
আগের তুলনায় এখন নবীনরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, গতবার ৫০ উর্দ্ধ মানুষরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছিলো, এখন নতুন জিনোমের কারণে অল্প বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
মহামারি করোনা ভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ১৬ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৬২৪ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১৮৭ জনের শরীরে। যা গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে আজ পর্যন্ত দেশে মোট করোনা শনাক্ত দাঁড়াল ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৯ জন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কেন বাড়ছে এই করোনা তা কি জানেন?
সত্যি কথা হলো এ দেশে করোনা বা কোভিড-১৯ এর দুটো ভিন্ন ধারার জিনোম পাওয়া গেছে যা অন্যান্য জিনোমের থেকে বহু গুণে ভিন্ন এবং আগ্রাসী।
এছাড়া করোনা বাড়ার অন্যতম কারণ হলাম আমাদের নির্লিপ্ততা, করোনাকে ভয় না পাওয়া, যথাযথ সোস্যাল ডিস্টেন্স না মানা, করোনা আক্রান্ত না হওয়ার জন্য করণীয় কর্মকান্ড না করা, যেমন মাস্ক পরিধান, ঘন ঘন হাত মুখ ধৌত করণ না করা, যেখানে সেখানে খাদ্য গ্রহণ, বিয়ে, জন্মদিন সহ না না প্রোগ্রামে যাওয়া, মানুষের সাথে মেলামেশা করাই এখন আমাদের জন্য বুমেরাং হয়ে উঠেছে।
নীচের লেখাটি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ প্রধান ডা. Shahjad Hossain Masum স্যারের.. সময় থাকতে সতর্ক হোন, দয়া করে সতর্ক হোন…
“কোভিড পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। মাস দুয়েক একটু শ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। কখনো একটা বেডও খালি রাখতে না পারলেও রোগিদের ওয়ার্ডে শিফট করা যাচ্ছিল। মৃত্যুহার অনেক কম ছিল। এক সপ্তাহের মাঝে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। আক্ষরিকভাবে রোগিদের বাঁচিয়ে রাখতে আমরা এখন যুদ্ধ করছি এবং হেরে যাচ্ছি। বারবার। এই পরিবর্তন আমরা আমাদের চোখের সামনে ঘটতে দেখছি।
আমাদের কথায় আপনারা বিরক্ত হন জানি, কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই, আমরা বারবার বলে যাই। কেউ না শুনলেও, সবাই মুচকি হাসলেও আমাদের বলে যেতে হবে। একটুখানি শ্বাস বুকের ভিতরে নেওয়ার জন্য মানুষের তীব্র কষ্টটা আপনারা কেউ পাশে দাঁড়িয়ে দেখেন না, শেষ সময়ের কষ্টটা কি তীব্র! আমার তেমন কোন শত্রু নেই, থাকলেও আমি তার এমন মৃত্যু চাইতাম না।
এর বিস্তার বাইরে থেকে তেমন বোঝা যায়না। যেই পরিবারের কেউ এর মাঝ দিয়ে যায় শুধু তারা জানেন। হয়তো আমরা আরেকটি ওয়েভের শুরুর পথে । এই সময়ে রোগিরা দ্রুত খারাপ হচ্ছেন। মনে রাখবেন, এখনো কোভিডের কোন চিকিৎসা পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের হাতে নেই। তাই এর প্রতিরোধই একমাত্র পথ।
আমাদের ফোন আবার ব্যাস্ত হয়ে গেছে চেনা অচেনা মানুষের কলে। খুব কষ্ট হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের কিছু করার থাকেনা।
বিশ্বাস করুন, আমাদের একমাত্র চাওয়া সবাই ভালো থাকুন। কার্ভের শুরুতে যদি এই অবস্থা থাকে তবে এর পিকে আমরাই বা কেমন থাকবো।
অনুরোধ জানাই বিনয়ের সাথে:
১. সকল সামাজিক জমায়েত থেকে অসামাজিকভাবে দূরে থাকুন।
২. পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের নিরাপদ রাখুন। (তবে এটাও মনে রাখবেন এবার আমরা প্রচুর তরুন রোগিও পাচ্ছি।)
৩. গত বছর মার্চ মাসে যে সকল সাবধানতা পালন করেছিলেন সেগুলোই একইভাবে পালন করুন, রিলিজিয়াসলী।
৪. মাস্ক নিজে পড়ুন, অন্যকে পড়তে বাধ্য করুন। প্রয়োজনে সীন ক্রিয়েট করুন।
৫. হাত সাবান দিয়ে বারবার ধুয়ে নিন। না পারলে স্যানিটাইজ করুন।
৬. অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হওয়া একদম বন্ধ করে দিন, এই মুহুর্ত থেকে।
৭. বিপদে মাথা ঠান্ডা রাখতে হয় আর হৃদয় প্রসারিত করতে হয়।
পরম করুনাময় সবাইকে নিরাপদ রাখুন।”
এখন ভেবে দেখুন অবস্থা কি হতে পারে, হয়ত এই দ্বিতীয় ঢেউ সর্বকালের সেরা আঘাত হতে যাচ্ছে এই দেশের জন্য, সুতরাং এখনই সময় সাবধান হওয়ার, আসুন আগে নিজে বাঁচি এবং অন্যকে বাঁচানোর চেষ্টা করি।
আমাদের সেই ২০২০ সালের মার্চে যেভাবে নিজেদেরকে রক্ষার জন্য যা যা ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, তার তিন চারগুণ সাবধানতা অবলম্বন করুন, অযথা বাইরে বেরুবেন না, যারা দরকারে বেরুবেন তারা মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করুন, বারবার হাত, মুখ, নাক ধোয়ার ব্যবস্থা রাখুন, সাথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থা রাখুন।
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে নিজেকে দূরে রাখুন, কোথাও বা যত্রতত্র থুথু ফেলবেন না।
জ্বর, সর্দি, কাশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন অনলাইনে, দরকার হলে নিকটস্থ কোভিড সেন্টারে গিয়ে টেস্ট করুন।
যাদের সময় হয়েছে টিকা নেওয়ার, তারা দ্রুত টিকা নিন।
আমাদের সরকারের করণীয়ঃ
১) সকল পর্যটন স্পট আগামী ৬ মাসের জন্য জন সমাগম স্থগিত রাখা, অবস্থার উন্নতি হলে স্বল্প সংখ্যক পর্যটক সীমিত সময় পর্যন্ত পর্যটন এলাকাতে যেতে পারবে তাও আগেই লিখিত পারমিশন নিতে হবে বাধ্যতামূলক।
বর্তমানে যেভাবে লক্ষ লক্ষ পর্যটকরা পর্যটন এড়িয়া গুলোতে ভিড় করছে, তা বন্ধ করতে হবে।
২) সকল গার্মেন্টস সহ অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সোস্যাল ডিস্টেন্স পালন করতে হবে, সবাইকে মাস্ক পরিধান সহ সকল ধরণের পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩) সরকারের উচিত এই মুহূর্ত থেকেই সকল বিয়ে শাদী, কাবিন, জন্মদিন, মেজবান বা যেসব অনুষ্ঠানে জন সমাগম হয় তাহা রোহিত বা বন্ধ ঘোষণা করা।
৪) সকল হাসপাতাল, যথা সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল গুলোকে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য উম্মুক্ত করা এবং তা যথাযথ সরকারের তত্তাবধানে আনা।
৫) টিকার কর্মকাণ্ড আরও জরুরী ভাবে বৃদ্ধি করে ঘরে ঘরে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
৬) সকল স্বাস্থ্যকর্মির ছুটি বাতিল করত, সকলকে কর্মস্থলে যোগদান করতে বাধ্য করতে হবে, স্বাস্থ্যকর্মিদের জন্য ভালোমানের হোটেল গুলোতে বিনা খরচে থাকার এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করা একান্ত জরুরী।
৭) সরকারি হাসপাতাল গুলোতে রুগীর খাদ্য সরবরাহ খুবই অস্বাস্থ্যকর, ইহার পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর খাদ্য সামগ্রী এবং জরুরী ফলমূল যোগানের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
৮) সকল রুগীদের পথ্য, তথা ঔষধ কম মূল্যে সরবরাহ করা জরুরী।
৯) করোনা যেন আর বাড়তে না পারে, তার জন্য দরকার কঠিন লকডাউন, সম্ভব হলে কারফিউ দিতে যেন সরকার কার্পণ্য না করে।
সাধারণ মানুষের উচিত নিজেকে রক্ষার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা, নতুবা সমূহ বিপদ।
আবার বলছি, সাবধান হোন, নিজে বাঁচুন, অন্যকেও বাঁচতে দিন।
ছবিঃ গুগল।
জনস্বার্থেঃ
২৩টি মন্তব্য
পপি তালুকদার
সকলকে সচেতন হতে হবে সাথে সাথে সতর্ক ও হতে হবে এছাড়া পরিত্রান নেই।আল্লাহ সবাই কে হেফাজতে রাখুক এই দোয়া করি।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ অনিঃশেষ সুপ্রিয় ব্লগার, এখন কোনো ভাবেই অসতর্ক হওয়া চলবেনা, নতুবা সাক্ষাৎ জমের দেখা পাবে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমি টিকা নেবার পরও মাস্ক পডি এটা নিয়ে বেশ মজা করে অনেকেই। মাস্ক এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ছাড়া এর বিকল্প কোন উপায় নেই এটা মানুষ কেন বোঝে না। করোনা যতই টিকা বের হোক শেষ হবে না সুতরাং আমাদের নিয়ম মাফিক চলতে হবে।
জনগন ও সরকার সবার সচেতনতা জরুরী।
ইঞ্জা
আপু শুধু এই নয়, এই লেখাটি এক বিখ্যাত গ্রুপে শেয়ার করার পর একজন মন্তব্য দিয়েছে আমি গুজব ছড়াচ্ছি, বুঝেন অবস্থা।
মোঃ মজিবর রহমান
আমিও পরি মাস্ক টিকা নেওয়ার পরও কারণ ধুলাবালি খুব ক্ষতিকর।
শামীম চৌধুরী
সময়োপযোগী লেখা।
সবচেয়ে বড় কথা নিজেরা যদি নিজেদের ক্ষতি কিসে সেটা বুঝেও অবুঝের মতন চলি তাহলে ক্ষতিটা আমরাই টেনে আনবো। সচেতনতার জন্য সরকার তার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অথচ আমরা সেদিকে কোন কর্ণপাত না করে যার যার মতন সে সে চলছি। রোগ পৃথিবীতে যেমন আসবে তেমন তা প্রতিরোধও করা হবে। তার মানে এই নয় যে অসেচনতায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নিজের পরিবার সহ গোটা জাতিকে আতংক্গ্রস্থ করে তুলবো। এখনও সময় আছে এই দ্বিতীয় ঢেউ থেকে ত্রান পাবার। আর হচ্ছে-
সচেতনতা
সচেতনতা
সচেতনা।
শুভ কামনা রইলো ভাইজান।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত ভাই, নিজেরা সতর্ক হলে এই বিপদও আমরা ইনশা আল্লাহ পার হয়ে যাবো, নতুবা এই বিপদ সামলাতে আমরা অনেক মূল্য দেবো।
দোয়া রাখবেন ভাই।
জিসান শা ইকরাম
নিজে এবং অন্যদের বাঁচাতে হলে শতর্ক হতেই হবে, এর বিকল্প নেই।
সময়যোগী পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ কামনা,
শুভ ব্লগিং।
ইঞ্জা
প্রথমেই আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইজান মন্তব্যের জন্য, এখন সতর্ক না হলে সমূহ বিপদ ভাইজান।
নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
শুভকামনা।
বন্যা লিপি
ভয়াবহ পরিস্থিতী ধেয়ে আসছে। প্রথম দিকের সকলের শুভ বুদ্ধির জাগরন হোক। সময়োপযোগী পোষ্ট ভাইজান। ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য।
ইঞ্জা
আপু আমি সত্যি ভয় পাচ্ছি, আল্লাহই জানেন পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সবার সাবধানতা অবলম্বন আবশ্যক।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আশা করি সবাই সাবধানতা অবলম্বন করে নিজে ভালো থাকবে, অন্যকেও ভালো রাখতে সাহায্য করবে। জানিনা এবার যে কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে, আগেরটাই এখনো সামলাতে পারিনি নতুন রূপ, আগ্রাসন নিয়ে করোনার এই তান্ডব ভয়াবহ হবে বলে মনে হচ্ছে । তারপর ও বিধিনিষেধ মানার বেলায় সবাই ঢিলামি দিচ্ছে এটাই আতঙ্কের বিষয় আমাদের জন্য। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু, কথা দিয়েছিলাম বোনকে আসবো বলে, তাই চলে এলাম।
আপু সত্যি আমাদের ঢিলেমি, অবহেলায় আমাদের বিপদে ফেলছে, এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সাবধানতা খুবই জরুরি, এখনই সিরিয়াস নাহলে বিপদ আসন্ন।
মোঃ মজিবর রহমান
আল্লাহর মার বুঝা খুব কঠিন। আমাদের দেশে সবাই রাজা, সবাই ক্ষমতাবান। সরকারই করোনা জয় করেছে বলে উস্ফালন করেছে। কিন্তু স্রষ্টার বা আল্লাহর রহমত স্বীকার করেনা। বলেনা আল্লাহর রহমতে আমরা বিপদ মুক্ত হতে পেরেছি।
সে যাইহোক। আল্লাহর সবাইওকে সতর্ক থেকে সবার সুস্থতা কামনা করতে যেন আল্লাহপাক সাহয্য ক্রে সেই প্রার্থনা করি। ইনশাল্লাহ আল্লাহ সে সুজোগ আমাদের দেবেন।।
ইঞ্জা
সত্যি দুঃখজনক, আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন, ভাই সাবধানে থাকবেন সবসময়।
মোঃ মজিবর রহমান
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা করি। উনি যখন বলেছে, ” গ্যাস, পানির ট্যপ বন্ধ রেখে চলবেন আমি পালন করি। কিন্তু কষ্ট পাই যখন উচু মানের মন্ত্রি নেতা ঘুষ খেয়ে দেশের ক্ষতি করে, যখন প্রধান্মন্ত্রি বলে, ” আপনাদের কাফনের কাপড় দিলেও পাঞ্জাবী বানাবেন।” খুব কষেত্র উক্তি।
কোন দাবি দাওয়ার ব্যপারে কমেন্ট করবনা।
ইঞ্জা
কথাটি খুবই সত্য বলেছেন ভাই।
তৌহিদ
করোনার নতুন জেনোম দুটি মারাত্মক হতে পারে। আবারো প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে, সাবধান না হলে সামনে বিপর্যয় আসতে পারে।
সরকারকে দোষ দিয়ে লাভ নাই। সরকার উদ্যোগ নিলে আমরাই চিল্লাফাল্লা করি। আমরা নিজেরা সচেতন না হলে এই প্রকোপ কমবেনা।
প্রোপার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত প্রত্যেকের। সমসাময়িক চমৎকার বিশ্লেষনধর্মী পোষ্ট লিখেছেন দাদা। ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য।
ইঞ্জা
আমি জনগণ এবং সরকারকে বলছি, সবার সাবধানতা জরুরী, সাথে বাংগালী হিসাবে এটাও বুঝি সরকার কঠোর নাহলে, এই বাংগালী জীবনেও ঠিক থাকবেনা ভাই।
যথার্থ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মনির হোসেন মমি
সমপযোগী লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাইজান এ দেশের মানুষ করোনাকে আর ভয় পায়না তাইতো সর্বোত্র উৎসব মুখর চলাচল।তসতর্কতামুলক পোষ্টের জন্য আবারো ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
সত্যি তাই ভাই, এই বাংগালী এখনো বর্বর রয়ে গেছে, এ জন্যই সরকারকে কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
ডা. Shahjad Hossain Masum স্যারের স্টাটাসটি আমি পড়েছি। একজন ডাক্তার যখন এধরণের বিবৃতি দেন তখন বুঝতে কষ্ট হয় না পরিস্থিতি আসলে কোনদিকে যাচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশেই করোনার ভয়াবহতা এখনো বিদ্যমান, আমাদের দেশে আক্রান্তের সংখ্যাও কম নয়, অথচ আমরা নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছি, পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে, পার্ক শপিংমল, রাস্তাঘাট, বাজার সব জায়গায় মানুষ গায়ে গা ঘেসে চলছে! সুযোগ বুঝে ব্যবসায়ীরা ওষুধের দাম সহ নিত্ত প্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, যেন করোনা একটা মহামারী নয়, ব্যবসা করার অন্যতম উৎসব! হয়তো কিছুদিনের মধ্যে স্কুলও খুলে যেতো। আমরা যেন ভুলেই গেছি করোনা চলে যায়নি, এটা নির্মুল করে ফেলার জিনিস নয়। যথাযথ সতর্কতা এবং সচেতনতা তৈরি করতে না পারলে আমরা কেউই এর থেকে নিস্তার পাবো না। তাই অবশ্যই আমাদের নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিজের জন্য না হোক পরিবারের সদস্যদের ভালো রাখার জন্য নিজেকে নিরাপদে রাখা আবশ্যক।
সময়োপযোগী পোস্ট দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইজান। ভালো থাকুন, সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন।
শুভ কামনা 🌹🌹
ইঞ্জা
এ এক বর্বর জাতি, বাংগালী নিজেদের কখনো শোধরাবেনা আপু, আমরা এতো অসভ্য যে করোনার মতো মৃত্যুও আমাদের কাছে নচ্ছার।
যথার্থ মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপু।