আজ সুপর্ণা’দি কে দেখলাম,

তার মুখ উদাসিনীর মতন মনে হলো,

যেন সে আজ দেরি করে ঘুম থেকে উঠেছে।

পিঠের ওপর চুল খোলা, অবিন্যস্ত।

সে পরে আছে একটা উজ্জ্বল হলুদ শাড়ি, লাল পাড়, কালো ব্রা৷

তার ফর্সা শরীর, হলুদ শাড়ি এবং সকালের রোদ,

সব মিলিয়ে একটা ম্যাজিকের সৃষ্টি।

বলতে ইচ্ছে হয়, রৌদ্রে এসে যেন দাঁড়িয়েছে রৌদ্রের প্রতিমা।

 

তিনতলার বারান্দার রেলিং ধরে ঈষৎ ঝুঁকে সুপর্ণা’দির এই যে দাঁড়িয়ে থাকা, আপাতত পৃথিবীতে এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কিছু নেই।

রাস্তা দিয়ে দ্রুত হেঁটে আসতে আসতে সেই দিকে চোখ পড়তেই আমার বুকটা আকস্মিক মোচড় খেলো।

দু’এক পলক আমি চোখ ফেরাতে পারি নি। নিজেকে আমার মহান ও গ্লানিহীন মনে হলো৷

সেই মুহুর্তে আমি পৃথিবীর সমস্ত অপরাধীকে ক্ষমা করে দিতে পারি।

 

সুপর্ণা’দির হাত দু’টি নিরাভরণ। লাল ব্লাউজের হাতা ওর দুই বাহু যেনো কামড়ে আছে। মুখের ওপর পড়েছে চূর্ণ চুল।  আজ সুপর্ণা’দি যেন সুপর্ণা’র চেয়েও বেশী সুন্দর।

 

আজ সকালে এই যে, সুপর্ণা’দি কে দেখা!

মুনঋষিরা যে সুন্দরকে দ্যাখতে বলেছেন, এই ত সেই।

সুপর্ণা’দির টসটসে রুপ যৌবনের প্রভা আমাকে যেনো এক মুহুর্তে কাঞ্চনজঙ্ঘা শিখরের কাছে নিয়ে গ্যালো।

 

জানি,

নারীর রুপ নিয়ে এতটা বাড়াবাড়ি করা অতি কুলক্ষণ।

কেউ কেউ বলেন,

এটা আমার রোগ।

হতে পারে।

৬৫০জন ৫৫১জন
0 Shares

১৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ