
প্লাষ্টিক দিয়ে বানানো ছইয়ের মত ছোট ছোট টুকরি ঘর। প্রতিটি ঘরেই অনেকগুলো করে মানুষ। শীত, গ্রীষ্ম সব উপেক্ষা করেই তারা বসবাস করে। একটা বড় পাতিলে দিনে একবারই রান্না হয়। কখনো কাজ পায়, কখনো পায় না। কাজের উপর খাবার-দাবার ডিপেন্ড করে।গোল হয়ে নারী- পুরুষের গল্প আর ঠোঁট লাল করে পান খাবার দৃশ্য দেখে তাদের পরিপুর্ন সুখী বলেই মনে হয়।এ দৃশ্য নবনির্মিত একটি পার্কের। অনেকগুলো ছোট ছোট টুকরি ঘরে বসবাস অসংখ্য মানুষ; যাদের আমরা যাযাবর বলি।তাদের খাবারের অভাব, বাসস্থানের অভাব শুধু বোধহয় ভালোবাসার অভাব নেই!
আজ সন্ধ্যায় ফারহান চলে গেল! বড় কোন বিষয় ছিলনা তার চলে যাবার মত! আমি মাত্র বাইরে থেকে ফিরেছি। সে বাসাতেই ছিল। দরজা খুলে হাল্কা কাশি দিল; আমি হাত দিয়ে জ্বর দেখলাম। কিছুটা গা গরম। বললাম, কফি খাবে কিনা! খাবে এবং একটু বাদে রাতের খাবারও খাবে। মুড অফ বলে মনে হল! ফারহানই কফি বানায়, আজ উঠছেই না। আমি অবাক হলাম না, কফি বানালাম। ধোয়া তোলা কফি হাতে সে জানাল, কিছুদিনের জন্য নিজের ফ্ল্যাটে ফিরে যেতে চায়। জানি প্রশ্ন করে লাভ হবে না, তাই চুপ থাকলাম। বুঝতেও পারলাম, এ যাওয়া কদিনের জন্য নয়! এর আগেও সে গিয়েছিল, এত বড় লাগেজ নিয়ে যায়নি।কিন্তু আমাদের মাঝে সমস্যা তো কিছু হয়নি। সংসার ও সম্পর্ক যেমন চলার ;তেমনি চলছিল। আমার চেয়ে সেই বরং বেশি খুশি ছিল।
আমাদের পরিচয় দু’বছর হবে। বুদ্ধিদীপ্ত লম্বা,পাতলা দোহারা গড়নের মানুষটার মাঝে পাগল হয়ে যাবার মত বিশেষ কিছু ছিল না; কিন্তু আমি পাগল হয়ে গেলাম।এরপর সে মাঝে মাঝেই আমার বাসায় বেড়াতে আসতে লাগল। একদিন সন্ধ্যার পরেও চলে যাবার নাম নিচ্ছে না। সেদিন সে থেকেই গেল এবং পরের দিন বিকেলে বিরাট বড় লাগেজ নিয়ে হাজির।ঠিক আজকের মতই!
আমাদের একসাথে কাটানো সময় গুলো স্বপ্নের মত যেতে লাগল। এ এক অন্যরকম স্বপ্নময় জীবন যেখানে কোন কমতি বলে কিছু নেই। দুজনের অফিস সেরে একসাথে বাড়ি ফেরা, মাঝেমাঝে বেশরাত পর্যন্ত বাইরে ঘুরে বেড়ানো। হলিডে-অকেশনে বেড়াতে যাওয়া সব এত মধুময় ছিল যে, কখোনো মনেই হয়নি আমাদের শেষটা এমন হবে!
আমি একা থাকতাম আর একটু অগোছালো বলে সংসারের দুরঅবস্থা ছিল। ফারহান আসার দু- দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসের লিষ্ট করে ফেলল। অফিসের পরে দুজনে গেলাম ‘বেষ্ট বাই’ এ। এতটা কেয়ারিং কি করে হয়! আমি একটু অবাকই হলাম। একটা একটা করে প্রয়োজনীয় সকল জিনিস কিনে ফেলল, যাতে আমি দর্শকমাত্র। ভাবলাম আমি শুধু রান্নাটাই যা টুকটাক পারি! চমৎকার করে সব গুছিয়ে ঝকঝকে বসবাসযোগ্য করে গড়ে তুলল ছোট্ট বাসাটি। দেখে মনে হল যেন স্বপ্নের সংসার!
সে যাবার পর আমিও মায়ের কাছে চলে এলাম। কারণ অনেকদিনের অভ্যাস, হঠাৎ তার অনুপস্থিতি মেনে নেয়া আমার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব ছিল। দুদিন পর এক বিকেলে সে বারবার ফোন দিচ্ছিল, আমার সাথে জরুরী কথা আছে। আমি ভাবলাম ক্ষমা চাইবে হয়ত। দেখা হবার পর সে প্রশ্ন করল,” আমি বাসায় নেই কেন? লোকদেখানো যাচ্ছেতাই ব্যাপার করার বয়স নয় এটা। আর আমাদের সম্পর্ক তো শেষ হয়নি। বিকেলে চা হবে, কফি হবে, বেড়াতে যাব, আড্ডাও দেব, শুধু রাতে ঘুমাবো আলাদা। আমি কেন যেন রাজী হয়ে গেলাম।
দুজনে রিকসায় যাচ্ছি নদীর পাড়ের দিকে, কিন্তু আগের মত আর কাছাকাছি নেই। হাত ধরে ছাড়া আমরা কখোনোই বসতাম না, তাও নেই। আমি অনেক কথা বলি, সে চুপচাপ শোনে। আজ আমরা কেউ কোন কথা বলছি না। নদীর পাড়ের চায়ের সেই অমৃত স্বাদ যেন বিস্বাদ হয়ে গেছে।
সন্ধ্যায় দুজনে কফি হাতে চুপচাপ, শুধু টিভিটাই বকর বকর করে যাচ্ছে। রাতের খাবারেও চুপচাপ, তাকে এটা ওটা তুলে দিতাম, আজ দিতে ইচ্ছে হল না। বেশিদিন এভাবে চলল না। কারন কথা ফুরিয়ে গেলে জীবন চলে না। দুজন একসময় এমনিতেই আলাদা হয়ে গেলাম। এখন ফোনেও তেমন কথা হয় না।
এতকিছুর পরও আমি খুব মিস করছিলাম তার সাথে কাটানো সময়; গুড মর্নিং কফি আর বিদায়ের চুমুটা। কফিটা বেশ ভালোই বানাতে শিখে গিয়েছিল। খুব চেষ্টা করলাম অবশেষে না পেরে কফি বাদ দিতেই হল।তার পছন্দের খাবারগুলোও বাদ দিলাম। অবশ্য এর ভীষণ ভালো একটা দিকও আছে। প্রেমের সময়গুলোতে সুখের ঠেলায় শরীরে বেশ তেল- চর্বি জমে যায়। পরে যেগুলো কমানো খুবই জরুরী ও কষ্টকর! ব্রেকআপের সুফলে চা,কফি, খাবার কোনটিতেই টেষ্ট যেহেতু নেই। সেহেতু
ভাবছি এই ফাঁকেই তেল-চর্বি কমেটমে শরীরটা অন্তত ঝরঝরে হয়ে উঠুক!
তার স্মৃতিগুলোকে কিছুতেই পিছু ছাড়াতে পারছিলাম না। সত্যিকারের ভালোবাসার স্মৃতি সহজে মোছাযায় না। বরং দিনে দিনে বাড়তেই থাকে ও ভারী হয়! ফারহান সংসার সাজাতে তার কেনা জিনিস সবই রেখে গেল। আমি সেগুলোর কিছুই ব্যবহার করতে পারছিলাম না।দেখলেই বুকের ভেতর অসহ্য যন্তনারা শুধু মোচড় দেয়। অবশেষে প্যাক করে একজায়গায় গুছিয়ে রাখলাম। মাঝে মাঝে বের করে পরিস্কার করি অবশ্য তা চোখের পানি দিয়ে।
কারও বুকে লাথি মারা মানুষরা ভীষনরকম ফরমাল হয়। কঠিন কোনকিছু করে ফেলার পরও ঠান্ডা মাথায় চলে। লোকজন বুঝতেও পারেনা তিনি এই মাত্র কারও মন ভেঙ্গে তছনছ করে এলেন। প্রেমের বাজার এজন্যই এদের ভীষন চড়া। কিছুদিন যাবে এরপর আবার বডশি ফেলবে এবং বোকা কোন জন টপ করে গিলবে। এরা মোটামুটি জান দিয়ে ফেলার মত একটা আচরন করে। এবং সে আচরন সবার সাথেই করে। মুচকি হাসি মাখা সমাজের অতি ভদ্র মানুষ। যাকে কোনভাবেই ব্লেইম করার মত কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না। ব্রেকআপের বেলায় তাদের কোন দোষ থাকে না। নির্দোষ পক্ষই দোষী হয়ে সারাজীবন কাটায়। এখানেও পরচিতজনরা আমাকেই দোষী ভাবল এবং আমিও সেভাবেই কাটাতে লাগলাম।
সেদিন বিকেলে অফিস থেকে ফিরছিলাম হঠাৎ চোখে পড়ল ফারহান। সে রিকশায় হুড ফেলে যাচ্ছে। অবশ্য একা নয়, অন্যকেউ সাথে আছে। তার বয়স আমার থেকেও অনেক কম হবে। হাতে হাত রেখে,মনোযোগ দিয়ে হাসিমাখা মুখে শুনে যাচ্ছে মেয়েটির বকর বকর। কৌতূহলবশত পিছু নিলাম। হ্যাঁ, রিক্সা থেমে গেল ‘বেষ্ট বাই’এর সামনে।পথ দেখিয়ে ভেতরে নিয়ে গেল মেয়েটিকে। হয়ত কেনাকাটা করবে নতুন সংসারের!!!!
ছবি- নেট থেকে।
২২টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
“কথা ফুরিয়ে গেলে জীবন চলে না”
অথবা,
❝কারও বুকে লাথি মারা মানুষরা ভীষনরকম ফরমাল হয়। কঠিন কোনকিছু করে ফেলার পরও ঠান্ডা মাথায় চলে। লোকজন বুঝতেও পারেনা তিনি এই মাত্র কারও মন ভেঙ্গে তছনছ করে এলেন। প্রেমের বাজার এজন্যই এদের ভীষন চড়া। কিছুদিন যাবে এরপর আবার বডশি ফেলবে এবং বোকা কোন জন টপ করে গিলবে। এরা মোটামুটি জান দিয়ে ফেলার মত একটা আচরন করে। এবং সে আচরন সবার সাথেই করে। মুচকি হাসি মাখা সমাজের অতি ভদ্র মানুষ। যাকে কোনভাবেই ব্লেইম করার মত কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না। ব্রেকআপের বেলায় তাদের কোন দোষ থাকে না। নির্দোষ পক্ষই দোষী হয়ে সারাজীবন কাটায়❞
গল্পের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত করতে এই লাইন গুলো অনেক শক্তিশালী ভুমিকা রেখেছে। একটি গল্প মানেই কিছু ঘটনা নয়, এর সাথে আরও অনেক কিছু মিলিয়ে মিশিয়েই একটি পরিপূর্ণ গল্প তৈরি হয়।
অনেক অনেক ভালো হয়েছে।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
রোকসানা খন্দকার রুকু
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আপ্লুত হলাম। কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা দুটোই রেখে গেলাম। এরকম পরামর্শ দিলে লিখতে মন চায়। অবশ্য কলম আবার ধরেছি আপনার জন্যই!
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইল!
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনি অনুপ্রেরণা পান জেনে ভালো লাগলো। একজন সুলেখকের কাছ থেকে এমন জবাব পেলে কমেন্ট দেয়ার আগ্রহ বেড়ে যায়। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
ফয়জুল মহী
মধ্যপাচ্যে ইরাক যুদ্ধের কারণে লাখো মানুষ সৌদি আরবে মরুভূমিতে তাবু টানিয়ে আছে তবে সেখানে প্রম নেই আছে বেঁচে থাকার সংগ্রাম । তেমনি সিরীয়া ও ইয়েমেন যুদ্ধের কারণেও আছে । বছরকে বছর তারা রৌদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে। আমাদের দেশের যাযাবর জীর্ণ শীর্ণ তারাও, পার্থক্য তারা ধনী দেশের মানুষ আজ যাযাবর । আমার নিজের চোখে দেখা তাদের কষ্ট আর কষ্ট। হয়তো গল্পের সাথে মিল নাই।
রোকসানা খন্দকার রুকু
বেঁচে থাকার সংগ্রাম মানুষ কখন করে জানেন যখন ভালোবাসা, প্রেম জীবনে থাকে। ভালোবাসাহীন জীবনে প্রাচুয্য কোন কাজে আসে না আমি সেটাই বোঝাতে চেয়ছি। ঝুপসি ঘরেও তারা ভালোব্সেই ঘর করছে আর কেউ প্রয়োজনে সময় পার করে বিনা নোটিশে চলে যাচ্ছে!
আমরা চাই বিশ্বময় শান্তি- স্বস্তি ফিরে আসুক। সবখানেশুদ্ধাচার হোক!
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
তৌহিদ
ভালোবাসা যাযাবর হলে সেটা বিশুদ্ধ নয় অবশ্যই। ফারহানের মত বারবার মানুষ বদল করা চরিত্রগুলি সমাজে ভালোবাসার ঘুনেধরা ঘৃণিত পোকা। এরা নিপাত যাক।
গল্পের কিছু কিছু শব্দ লেখাটিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছে। মুগ্ধ হলাম।
শুভকামনা রইলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এমন প্রেমঅবশ্যই শুদ্ধ নয়! আপনার মন্তব্যে সবসময় অনুপ্রেরণা পাই। ভালো থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
সম্পর্কের ক্ষণস্থায়ীত্ব সাথে টানাপোড়েন সুন্দর ভাবেই উপস্থাপিত হয়েছে।
শেষের টুইস্ট চমৎকার, আবার বেস্ট বাই, অনুসরণ করে করে দেখা।
ভালোবাসার জিপ্সিকরন, শুধুই এখান থেকে অন্যখানে স্থান বদল।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আজকাল ভালোবাসার জিপ্সিকরনই চলছে। ভালোবাসা ফিরে আসুক। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রেখে গেলাম ভাইয়া।
পপি তালুকদার
হাওয়া বদলের মতো চরিত্র বদলের মানুষগুলো প্রথম প্রথম একটু বেশি দেখায়। তাই তো তাদের চেনা যায় না।এদের ভালোবাসায় একজন ক্ষত বিক্ষত হলেও এরা কিন্তু দিব্যি ভালো থাকে। অতীত বলে তাদের কিছুই থাকেনা।
গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আপনার মন্তব্য লেখা দুটোই চমৎকার! আমরা গর্বিত আপনাকে পেয়ে। অনেক অনেক ভালোবাসা রইল আপু।
পপি তালুকদার
অশেষ ধন্যবাদ আপু।মন্তব্যে দেখে দারুণ উৎসাহিত হলাম।আমিও কৃতজ্ঞ যে আপনার আমার লেখা পড়ে আমাকে উৎসাহিত করেন।
আশরাফুল হক মহিন
অনেক ভালো হয়ছে প্রিয় কবি
রোকসানা খন্দকার রুকু
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
“কারও বুকে লাথি মারা মানুষরা ভীষনরকম ফরমাল হয়। কঠিন কোনকিছু করে ফেলার পরও ঠান্ডা মাথায় চলে। লোকজন বুঝতেও পারেনা তিনি এই মাত্র কারও মন ভেঙ্গে তছনছ করে এলেন। প্রেমের বাজার এজন্যই এদের ভীষন চড়া। কিছুদিন যাবে এরপর আবার বডশি ফেলবে এবং বোকা কোন জন টপ করে গিলবে। এরা মোটামুটি জান দিয়ে ফেলার মত একটা আচরন করে। এবং সে আচরন সবার সাথেই করে। মুচকি হাসি মাখা সমাজের অতি ভদ্র মানুষ। যাকে কোনভাবেই ব্লেইম করার মত কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না। ব্রেকআপের বেলায় তাদের কোন দোষ থাকে না। নির্দোষ পক্ষই দোষী হয়ে সারাজীবন কাটায়। ” এই কথাগুলো লেখাটার গুরুত্ব , মাধুর্য বহুলাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। শেষে নতুন কাউকে নিয়ে পুনরাবৃত্তি করা ঘটনার মধ্য দিয়ে চমৎকার হয়েছে গল্প। ঋতু বদলের মত যারা সম্পর্ক বদলে যায় তাদের প্রতি ঘৃণা ছাড়া কিছুই দেবার নেই।
অসম্ভব সুন্দর একটা গল্প উপহার দেবার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
রোকসানা খন্দকার রুকু
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দিদিভাই।আপনার মন্তব্যে সবসময় অনুপ্রানিত হই। আপনিও সুস্হ থাকুন ভালো থাকুন। ভালোবাসা রইল।
রেজওয়ানা কবির
সেইসব মানুষের প্রতি আমার একটাই প্রশ্ন আরে বাবা যদি নাই থাকবি তবে কেন জীবনে এলি?আর কেনই বা এভাবে আমার অভ্যেস হয়ে আমাকে ফেলে চলে গেলি,তুই হয়ত পারিস, আমিতো তুই না।আমি আমিইইই।তাই আমি পারি না, তোর ভালো খারাপ সব স্মৃতি নিয়েই আমার বাকিটা পথ,আর তোর কথা বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু জীবন নতুনভাবে চলছে। হায়রে মানুষ! আপু গল্পটা কেমন লেগেছে তা আমার মন্তব্য শুনেই আসা করি বুঝতে পারলে?আবেগে তুই বলে এত্তগুলা কমেন্ট করলাম। মানুষ বাংলা সিনেমা দেখে ভিলেনকে যেমন বকা দেয় ব্যাপারটি সেরকম। ভালো লেগেছে। শুভকামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
হা হা হা। ভালোই রাগ হয়েছে মনে হচ্ছে। এখানে দুটো ম্যাসেজ আছে একটা যাযাবর সম্পর্ক তৈরি না করা আর জেনে বুঝে কারও সাথে চলা। হুট করে এলেই তার সাথে বসবাস করা যাবে না যেটা আমাদের বড় শহরগুলোতে চুপিসারে হলেও বেশ চলছে। অনেক ভালোবাসা নিও।
আরজু মুক্তা
আমি হলে রিকশা থেকে নামিয়ে জিজ্ঞেস করতাম, আর কতো মেয়ের জীবন নিয়ে মিছামিছি খেলবে? তারপর দুজনকে নিয়ে যেতাম সেই বাড়িতে যেখানে মিথ্যা ভালোবসার বেসাতি।
টাইম পাসিং লাভ। দরকার নাই।
বিশুদ্ধ ভালোবাসায় জীবন গড়ো। এই হোক আজকের অঙ্গীকার
রোকসানা খন্দকার রুকু
একদম ঠিক বলেছেন। বিশুদ্ধ ভালোবাসায় জীবন গডতে হবে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য একরাশভালোবাসা।
আশরাফুল হক মহিন
চমৎকার সুন্দর ভাবনার একটি লেখা লিখেছেন প্রিয় কবি এগিয়ে যান নিজের মতো করে ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
আপনার জন্যও ভালোবাসা রইল। পাশে থাকবেন।
নিয়মিত লিখবেন।