রাতজাগা চোখ নিয়ে দৌঁড়াই আমি সীমাহীন রেললাইন অতিক্রম করে যাব ভেবে;
তুষার পরতে একটু বাকি, এমন শীত গায়ে জড়িয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের চরে, কঠিন বালুর ওপর ঘাস খুঁজতে হাত বোলাই।
ল্যাম্পপোষ্টের নীচে দাঁড়াই গিয়ে,, কতগুলো নিঃসঙ্গ কুকুরের মুখে সততার গল্প শুনতে।
নিয়নের মরা আলোয় খুঁজি – এখানে একদা শৈশবের হুটোপুটি ছিলো হয়ত!সোজা সরল রাস্তা ধরে খালি পায়ে হাঁটতে থাকি নিষ্পাপ মাটির খোঁজে।চোখ আমার ঠাণ্ডা সাপের মত ভেদ করতে থাকে বরফের মত কঠিন অন্ধকার।
আঁকাবাঁকা সর্পিল গতি ভাগ হতে হতে সিঁড়ি হয়ে যায়।
তারপর সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার আকাঙ্খা বাড়ে, বাড়তে বাড়তে….. পা বাড়াই মোহহীন এক শুন্যতার দিকে।আঁধার গুলো বিভক্ত হতে হতে ফিকে হয়ে আসতে থাকে ; ফসফরাসের মত কিছু আলোর দেখা মেলে উচ্চে, একটা কন্ঠের আওয়াজে সম্বিৎ ফেরে….. একটা চেনা ছায়া- ভেসে আসে শাসনের কড়া ধমক….. আর ভুল করবে? খুব রাগ হয়েছিলো”
পরিচিত একটা কন্ঠ! দুচোখ শীতাশ্রুতে ভরে ওঠে, বোবা ভাষা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভেঙে পড়ে ছায়ার বুকে। হাতে হাত রাখে নির্ভয়তার টানে। কেউ একজন এসেই ছায়াকে জিজ্ঞেস করে-“এ কে? “ছায়া বলে ওঠে- ‘ ও আমার গার্লফ্রেন্ড’
– বাহ্, তোমাদের তো বেশ মানিয়েছে! একটুও ভয় করবে না তোমরা। দরকারে আমিই তোমাদের বিয়ে দিয়ে দেব শীত শেষে’…….
সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আমি খুশি হয়ে উঠি নিয়ন্ত্রনের বাইরে। নিয়ম এসে চোখ রাঙায়। ছায়া ধরে রাখে শক্ত করে হাত। আমি নিয়মের ঘরে ফিরতে আরেকটা সিঁড়ি ভাঙতে অপেক্ষায় আছি, সিঁড়ি এসে গেছে…
আমি ছিটকে পড়ি সিঁড়ি থেকে…..
আকন্ঠ পিপাসায় গলা শুকিয়ে গেছে হাত বাড়াই পানি খুঁজতে- ছায়া পেছনে এসে দাঁড়ায়,আমি তাকিয়ে আছি বন্ধ লিফটের দরজার দিকে…..ছায়া আমার গাঘেঁসে দাঁড়িয়ে বলে– এত কী ভাবছ বলোতো?
আমি হাত বাড়াই ছায়াকে ছোঁব বলে……..
যাচ্চলে….!!!!
এতক্ষন স্বপ্ন দেখছিলাম?
১১টি মন্তব্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
মন তো মনই কতকিছু চায়। হয়ত পায়না, তারপরও স্বপ্ন দেখে, লালন করে আজন্ম। হাতরাতে থাকে কঠিন বালুর উপর ঘাস পাওয়ার আশায়।
একসময় খুঁজে খুঁজে ফিরে আসে। তখন মনকে প্রবোধ দেয়, যা চেয়েছিলাম তা বাস্তব নয় স্বপ্ন।
শুভ কামনা রইলো আপু। ভালো থাকবেন🥰🥰🌹🌹
বন্যা লিপি
হা হা হা হা…….মজা পেলাম আপনার মন্তব্যে😀😀😀ভালো থাকবেন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
হাসেন, হাসেন। কি করব বলেন এ ছাড়া আর পারিনা। এজন্য লেখা শেষে গাধাদের জন্য সারমর্ম লিখে দিলে ভালো হয়। মনপুত বিশ্লেষণ সত্যি কঠিন হয়ে পরে।
বন্যা লিপি
ছিহ্, এভাবে বলতে নেই, ডেপথ্ বুঝুন প্রতিটি শব্দের।মূল লেখার শব্দের গঠনে অনেক কিছু রেখে গেছি, আপনার মন্তব্য অনুসারে ব্যাপারটা কিছু মাত্র কাছাকাছি, কিন্তু সে তো অবশ্যই সঠিক যে, একজনার লেখার মর্ম পাঠক একেকরকম করে বুঝবে, সে দায় তো লেখকের না। লেখক আশা করে পাঠ পরবর্তি অনুধাবনে পাঠক কতটুটু কি বুঝলো তার প্রতিফলন তাঁর মন্তব্যে প্রকাশ করবে। লেখক হতাস হলেও পাঠককে অপমানিত করার অধিকার বা হীনমন্যতা প্রকাশ করার নেই অথবা থাকা উচিৎ ও নয়। মনপুতঃ বিশ্লেষন সম্ভব নয় পাঠকের কাছে, এটা আমি ভালোই বুঝি। লেখার সারমর্মই যদি লিখে দেব তাহলে আর লিখব কেন সৃজনশীল লেখা? আপনি যা বুঝে মন্তব্য করবেন সেটাই আপনার সৃজনশীল ভাবনা।
তৌহিদ
বাস্তব রেললাইনের মত সমান্তরাল নয় বড্ড আঁকাবাঁকা। জীবনবোধের কঙ্করী ভাবনার বিচিত্রতায় স্বপ্নগুলো মাঝেমধ্যেই গোলাপের সৌন্দর্যরুপে ধরা দেয় তবে ছুঁতে গেলেই কাঁটার আঘাত পেতেই হয় আমাদের। হতাশ হলেও আমরা চেষ্টা করি তার সুবাস নেয়ার। যেদিন স্বপ্ন থাকবেনা সেদিন যাত্রা হবে মর্তলোকের পানে।
বড্ড কঠিন লেখা লিখেছেন কিন্তু। শুভকামনা আপু।
বন্যা লিপি
শিরোনাম একেকটা লেখার সাইনবোর্ড।আমি কারো লেখা পড়ে ভাবার আগে শিরোনামটা নিয়ে ভাবি আগে। কারন, শিরোনামটা মূল লেখা বুঝতে কিছুটা হলে ভাব উদ্ধারে সেতুর কাজ করে।
আমাদের স্বপ্ন কখনো গোছানো হয়না, এটা কিন্তু মানতেই হবে। তারপর দেখুন, ল্যাম্পপোষ্টের নিচে কতগুলো কুকুর, কি বোঝালাম এখানে,নিয়নোর আলো*? সততার গল্প শুনতে চাওয়া? খালি পায়ে শুদ্ধ মাটি খুঁজতে সোজা পথ ধরে হেঁটে যাওয়া? তারপর কখন যেন সে পথ সর্পিল গতিতে একেকটা সিঁড়ি!! উঠে যাই সিঁড়ি বেয়ে? নিয়ন্ত্রন বাইরে খুশি হয়ে ওঠা? নিয়মের সিঁড়ি? তারপর একটা পরিচিত ছায়া,চেনা কন্ঠ, হাত বাড়িয়ে দেয়া নিয়মের ঘর থেকে টেনে বের করতে চাওয়া……….
আর পারমুনা ক্লু দিতে। এবার জোড়াতালি দিয়ে নিজের মতো করে একটা ভাবার্থ বুঝে নিয়ে খুশি থাকেন😊😊 নিরন্তর শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
স্বপ্ন কখনো সখনো মধুর হয়। কাশবন দূর থেকে যেমন ঘন মনে হয় কাছে গেলেই ঘনত্ব কমে যায় তেমনি আমাদের চাওয়া পাওয়া গুলো। পাওয়ার আগে খুব ভালোলাগে, তীব্র আকর্ষণ অনুভব হয় কিন্তু পাওয়া হয়ে গেলে সেই ভালো লাগাটা সমানভাবে কাজ করে না। তবুও আমরা স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন আকড়ে বাঁচার চেষ্টা করি। মোহহীন আকাঙ্ক্ষা আমার কাছে চিনিবিহীন শরবত মনে হয়। অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। শুভ রাত্রি
বন্যা লিপি
মোহহীন আকাঙ্ক্ষা আমার কাছে চিনিবিহীন শরবত মনে হয়। ” চিনি খাওয়া ছাইড়া দিছি ছোটদিভাই😊
তবে আকাঙ্খা একটা রেখেছি গোপনে, কাউরে কমুনা😀 আশির্বাদ কইরেন মহান স্রষ্টা যেন আমার এ আকাঙ্খা কবুল করেন।
শুভেচ্ছা ভালবাসা দি।
মনির হোসেন মমি
এতো কঠিন লিখলে কেমনে মন্তব্য করি বইন।যদি সত্যিই স্বপ্ন হয়ে থাকে তবে বিপদ আছে ।। আমরা একটা সময়ে শৈশব খুজিঁ যা কখনো বাস্তবতায় আনা সম্ভব নয়।ভাবতে বসি সুদুর ভবিষৎ যা ইচ্ছে করলেও কাছে আনা যায়না চেষ্টায় ফসকে যায়।
বন্যা লিপি
কেমনে মন্তব্য করবেন শিখাই দিমু? আচ্ছা পোষ্টে শিখাই দিমুনে। তবুও তো কি সুন্দর মন্তব্য করেই ফোললেন ভাই!
ভালো থাকবেন সবসময়।
বন্যা লিপি
*পরের পোষ্টে-