ঈদের দিনের কিছু ঘটনা মেয়ে সম্পৃক্ত সব গুলিই কিন্তু অস্বাভাবিক, আপনি বর্তমান উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের মন মানসিকতা বিচার করতে পারবেন এই ঘটনার প্রেক্ষিতে । এমন ও হতে পারে আমার চেয়ে আপনার অভিজ্ঞটা বেশী ।
ঘটনা- ১ ঃ দুপুরে অটো গাড়িতে যাচ্ছিলাম ছেলে গুলোর বয়স ১২-১৭ হবে , রাস্তার পাশে বা পাশে অতিক্রম কারি কোন মোটর সাইকেল, অটো বা ভেনে কোন মেয়ে পার হতে লাগলে কাছে আশা মাত্র এমন কিছু সব্দ করতে ছিল বা আওয়াজ দিচ্ছিল যা পাসে থেকে সহ্য করাটা দুর্বহ ।
ঘটনা ২ঃ বিল হালতি রাস্ত্রার অপরে মোটামুটি ভালই পানি, সবাই একটু বিনোদনের আশায় হাটছিলেন , মাঝে মাঝে দু একটা মেয়ে ছাড়া সবই ছেলে , মেয়েরা যখন তাদের পাশ দিয়ে যায় তখন তাঁরা জোরে হাঁটে যেন মেয়েটি ভিজে যায়, বাঁকা করে ক্যামেরা ধরে ছবি তোলে । আর অনেক কিছু ।
ঘটনা ৩ ঃ আমরা ফেরার সময় ব্রিজের ওপর আমাদের গাড়িতে একটি মেয়ে উঠে । মেয়েটির সাথে এর কেউ ছিল না । রাস্তায় আসার সময় কয়েক বার জ্যাম এ আটকা পড়ি । ঐ সময় পাশের গাড়িতে থাকা পলাপাইন মেয়েটিকে নিয়ে যেসব আপত্তিকর মন্তব্য করতেছিল , কোন সুস্থ সমাজের মানুষ তা করে না
ঘটনা ৪ঃ আপন কফি হাউস রাত ৯ টা ২ টা মেয়ে বয়স ১৪-১৫ এর বেশী হবে না । কফি হাউজ এ আসছে সাথে কোন ছেলে মানুষ নাই । জেলা শহরের জন্য রাত ৯ টা অনেক কিছু । এদের সাহস তারিফের দাবিদার । এই খানে ভাববেন যে কিছু হয়নাই ।
ঘটনা ৫ ঃ সাহারা প্লাজা , লিফট এ উঠার সিরিয়াল এ ঠেলাঠেলি মেয়ে বা মহিলারা যে লাইন এ পলাপাইন সেই লাইনে । কোন সুন্দর মেয়ে যদি আসছে তাইলে এদের চাপে মেয়ের অভিভাবকরাও পাশে থাকার সুযোগ পায় না ।
আমি এখানে যা লিখলাম এরচেয়ে অনেক বেশী খারাপ কিছু হচ্ছে , যা লিখা সম্ভব হচ্ছে না । এই যে কিছু ঘটনা , বা এই ধরনের ছেলেরা যা করছে অনেক সময় দেখা যায় তাদের চেয়ে ঢের বেশী বয়সী মেয়েদের সাথেও এই আচরণ । এদের দৃষ্টি তে মেয়ে বা মহিলা না তাঁরা “…” ।
কথা হচ্ছে এরা আসলে কি চায় ? এসবের মানে কি ?। আজ থেকে ৫ বছর আগেও এমন খারাপ অবস্থা ছিল না, আজকের অবস্থা বিবেচনায় আগামী ৫ বছর পরে আমার আপনার অধিনস্ত বা কন্যারা রাস্তায়, ওয়ার্কপ্লেচে কতটা নিরাপদ থাকবে আমাদের অবর্তমানে? বিষয়টা এখানেই বিবেচ্য ।
তবে পরিত্রাণের উপায় যে সহজ তা সকল কেউ স্বীকার করতে হবে । আমি যদি এইখানে সেসব কথা বলি তাহলে আমাকে সুচিল সমাজের কিছু আঁতেল এই ঈদের দিনেও গালি দিতে দ্বিধা করবে না । এত সব কিছুর মাঝেও সবাই ভাল থাক । কুলাঙ্গার নিপাত যাক। আমার বোন নিরাপত্তা পাক । প্রত্যাশা এতুকুই ।
পোস্টটি রোজার ঈদের দিন অনেক আক্ষেপ নিয়ে লিখেছিলাম, ফেচবুক নোট এ সেভ করা ছিল । আজকে এতক্ষণ কাজ করলাম বের হবার পরে ঘুরে এসে জানাব আজ কি দেখালাম আশা করি গত ঈদের দিনের মত কিছু দেখব না)
২০টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
এ অবনমন সহসা শেষ হবে এটি ভাবছি না।
ভালো লেখেন আপনি।
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
সামাজিক অবক্ষয় আর কত ? ধন্যবাদ
কৃষ্ণমানব
হুম ।
অপ্রিয় হলেও সত্য ।
বর্তমান সময়ে অহরহ ঘটে চলছে ।
ভালোভাবেই উপস্থাপন করেছেন ।
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
চেষ্টা করেছি মাত্র । ধন্যবাদ
প্রজন্ম ৭১
পরিবার থেকে শিক্ষা দিতে হয় আসলে। আমাদের এ সমাজে এই শিক্ষাটি আসলে নেই।
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
ঠিক বলেছেন । ধন্যবাদ
মিজভী বাপ্পা
অসাধারণ লেখনি।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
আপনাকে ধন্যবাদ ভা
নুসরাত মৌরিন
অনেক বাস্তব একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন।ইদানীং জানি না কেন মানুষের মুখের ভাষার অবস্থা নিদারুন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।আগে জানতাম শিক্ষা মানুষ কে ভদ্র করে,বিনীত করে।কিন্তু আজকাল সবখানে পথে ঘাটে বলুন,সোশাল মিডিয়ায় বলুন মানুষের মুখে খুব সহজে দেখি খিস্তি-খেউড়,অশ্লীল কথা বার্তা। যেন বাজে ভাষা ব্যবহারই এখনকার ফ্যাশন।এসবের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ এবং প্রতিবাদ প্রয়োজন।
আপনার লেখায় এই বিষয়টার উপর আলোকপাত তাই খুব ভাল লাগলো।
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
মানবিক মূল্যবোধ , সামাজিক অবক্ষয় । পারিবারিক শিক্ষার চরম অভাব । ধন্যবাদ আপনাকে
লীলাবতী
এসব করে এই সব ছেলেরা যে কি মজা পায় বুঝিনা। মানসিক বিকৃতি এরা পরিবার থেকেই পায়। খুব শক্ত আইন ব্যতীত এ থেকে মুক্ত হওয়া যাবেনা। ভালো পোষ্ট ।
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
ঠিক বলেছেন । আসলে অনেক কিছুর অভাব আছে । আইন করে আর কি হয় । কত আইন এই তো আছে বাস্তবায়ন কত টুকু । আর আপিন করে কিন্তু কাউকে মূল্যবোধ, নৈতিকতা এসবের শিক্ষা তো দেয়া সম্ভব না । ধন্যবাদ আপনাকে
সাইদ মিলটন
আমাদের মানসিক গঠনই এমন হয়ে গেছে যে , আমরা মেয়ে দেখলে মানুষ দেখিনা কেবল জামাকাপড় পরা গোস্ত দেখি । খাদ্য আর খাদকের অবস্থান হয়ে গেছে। এটার জন্য মুলত আমাদের কুপমুন্ডুক মানসিকতা আর অশিক্ষা দায়ি , মাঝেমধ্যে পুরুষ বইলা লজ্জা পাই 🙁
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
না ভাই পুরুষ বলে লজ্জা পাওয়ার কিছু নাই । এই সমাজ পরিবর্তনে অনেক বড় ভুমিকা আপনার রয়েছে । গুটি কয়েক খারাপের জন্য নিজেকে ছোট করবে না । হ্যাঁ আমাদের মানসিকতাই পারে এসব অন্যায় গুলি দূর করে দিতে ।
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
এই সব ইতর শেনীর ছেলেদের আমরা মানুষ ভাবিনা।
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
আত্মসম্মানবোধ জিনিসটা এদের নাই
খেয়ালী মেয়ে
কথা সত্য-
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
🙁
ব্লগার সজীব
ভালো লিখেছেন ভাই। কিভাবে এ সমস্যার সমাধান হবে ? মানসিকতার পরিবর্তন সম্ভব হবে কিভাবে ?
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
ধর্মীয় মূল্যবোধ সে যে ধরমের এই হোক না কেন কোন ধর্মই এই অন্যায় সমর্থন করবে না , পারিবারিক ও নৈতিক শিক্ষা । আমাদের নিজস্ত সংস্কৃতির ব্যাপক চর্চা । তবে সত্যি বলতে আমি আসু এর সমাধান দেখছি না