“দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা
দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু
দেখা হয় নাইকো চক্ষু মেলিয়া
একটি ধানের উপর একটু শিশির বিন্দু!”
তাই বন্ধুরা মিলে জনা ৫ ঠিক হলো সাজেক যাব। এটা রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচ্চতায় এই সাজেক। আমরা চট্টগ্রাম থেকে সকাল ৬টায় রওনা হলাম। সেদিন আবার বৃষ্টিও শুরু। আমার সাহেব ক্ষ্যাপা। মরার জন্য নাকি যাচ্ছি! কিন্তু বরাবরই দুংসাহসিক অভিযান আমার পছন্দ। রওনা হলাম- গান বাজছে আজ মন চেয়েছে আমি হারিয়ে যাব!
বি,জি.বি আর আর্মিদের নিরাপত্তা ও তাদের এসকোর্ট পৌঁছে দিলো স্বপ্নের স্থানে। সুন্দর কটেজ চয়েস করা হলো। ওখানকার স্থানীয় মুরগি,কচি বাঁশের সবজি খেয়ে বেড়িয়ে পরলাম। এতো মেঘ!! অপরূপ,অপূর্ব ! দেখলাম কখনো নীলে নীল ,কখনো ছাই রঙা মেঘ,সাদা মেঘ। আর পাহাড় গুলো মেঘকে তাদের কোলে স্থান দিয়েছে পরম মায়ায়।
হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো। দেখলাম পাহাড়ের নিচে ঝুপঝাপ বৃষ্টির শব্দ। কিন্তু আমাদের মাথায় বৃষ্টি পরছেনা। কিছুটা কুয়াশার মতো। আমি তো অবাক। আমরা তো মেঘের রাজ্যে। ওখানে বড় বড় পাথর দিয়ে তৈরী হয়েছে স্টোন পাহাড়। এতো বড় পাথর কেমনে এখানে এলো,ওটাও ভাবাচ্ছে আমায়। আমি কয়েকজন আদিবাসীর সাথে কথা বললাম। এতো সাধারণ,অমায়িক আর সাধারণ জীবনযাপন। ওরা সূর্য ওঠার আগে ঘুম থেকে উঠে,নীচের ঝর্ণা থেকে পানি সংগ্রহ করে। গোসল করে জারে পানি নিয়ে আবার পাহাড়ের উপরে ওঠে। সকালবেলা তাদের সব কাজ শেষ করে,বাচ্চারা যে যার মতো খেলাধূলা করে,পাশেই স্কুল,যা জুনিয়র সেকশন পর্যন্ত।
ওখানকার বিকেল সূর্যাস্ত,আর চাঁদের আলোয় পথচলা আরও মজা।
রাতে চমকপ্রদ বার বি কিউ পার্টি আর গান দিয়ে ভ্রমণ শেষ হয়। কিন্তু তার সুর,লয় রয়ে যায় না শোনা সংগীতের মতো, না শোনা গল্পের মতো। হৃদয়ে থাক ছবির মতো।
২৭টি মন্তব্য
নাজমুল হুদা
বার বি কিউ আদিম মানুষদের মনে করিয়ে দেয় ।
আর ভ্রমণ তো আরো ভালো লাগা এবং সাহেবরা ক্ষ্যাপা মানে সর্তক থাকার সিগন্যাল দিয়ে দেওয়া।
আরজু মুক্তা
না,সাহেব ভাবছেন পাহাড়ি রাস্তা বৃষ্টিতে পিচ্ছিল। আমরা যদি পরে যাই।।অথচ না গেলে এতো মেঘ পেতাম।।
রেহানা বীথি
বাহ্, দারুণ!
পাহাড় দেখেছি একবারই। ভালোলাগায় চোখ ভিজে গেছিলো, আর আক্ষেপ হচ্ছিলো মনে মনে, আমার কেন পাহাড়ে একটি বাড়ি নেই? আপনার লেখা ও ছবিতে সেই আক্ষেপ জেগে উঠলো আবার।
ভালো থাকবেন, শুভকামনা সবসময়
আরজু মুক্তা
আপি,বাড়ি বানিয়ে আমাদের দাওয়াত দিয়েন।।আমরা মজা করবো।।
প্রদীপ চক্রবর্তী
বাহ্!
বেশ দারুণ লেখনী আপু।
শুভকামনা।
আরজু মুক্তা
ঘুরে আসেন সাজেক।
সাবিনা ইয়াসমিন
সাজেক যাওয়ার প্লান ছিলো বেশকিছু দিন থেকেই। ছবি দেখে আর পোষ্ট পড়ে ইচ্ছেটা আরও বেড়ে গেলো। সুন্দর উপস্থাপনা।
শুভ কামনা 🌹🌹
আরজু মুক্তা
জুলাই আগস্ট ভালো সময়।।আপি ঘুরে আসেন।।
তৌহিদ
ছবিগুলি দারুন!! আর লেখা পড়ে মনে হলো আমি সাজেকেই আছি। উপভোগ্য ভ্রমণ কাহিনী!!
সুন্দর লিখেছেন আপু।
আরজু মুক্তা
ভাইয়া,ঘুরে আসেন।।আর এদিকে আসলে নক দিয়েন।।
তৌহিদ
হ্যা অবশ্যই আপু। ঐ দিকে যাব আর বোনকে নক করবোনা তা কি হয়?
জিসান শা ইকরাম
সাজেক এখনো যাওয়া হয়নি আমার,
দেশের মধ্যে এত সুন্দর একটি ভ্রমন স্পট আছে, ভাবাই যায় না।
যেতে হবে একবার পরিবারের সবাইকে নিয়ে।
ভ্রমন পোস্ট ভালো হয়েছে, ছবিগুলোও খুব সুন্দর।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
জি ভাইয়া ঘুরে আসেন।।ভালো লাগবে।আপনার জন্য শুভকামনা।।
সঞ্জয় মালাকার
বাহ্ দারুণ লিখেছেন আপু.
আমি পাহাগ দেশের মানুষ কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি।
বেশ ভালোই লাগলো ছবি দেখে
শুভ কামনা।
সঞ্জয় মালাকার
দুঃখিত আপু, আমিও পাহাড় দেশের মানুষ ।
আরজু মুক্তা
ঘুরে এসে আপনিও এমন একটা পোস্ট দেন।।আবার নতুন করে পড়বো।।
সঞ্জয় মালাকার
সেই ভাগ্য কবে হবে ঠিক জানিনা
ধন্যবাদ আপু।
মোঃ মজিবর রহমান
অনেক নাম শুনেছি পড়েছি সাজেক নিয়ে যাওয়া হয়ে উঠে নাই। মন ছুয়ে যায় মেঘে
আরজু মুক্তা
মন ছুঁয়ে যায়
মনির হোসেন মমি
মনে হল খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে ভ্রমণ কাহিনী লিখলেন।এ লেখাটায় আরো কিছু বর্ননায় আনতে পারতেন।মনে হচ্ছিল কত ক্ষণে আপনার এ প্রিয় সোনেলা পরিবারকে এ লেখাটি উপহার দিবেন।আর এটাও মনে হচ্ছিল ছবি দেখতে আর পড়তে পড়তে আমরাও যেন ভ্রমণ করে এলাম।তবে অতো উচুতে উঠতে আমার ভয় হয়।
আরজু মুক্তা
ঠিক তাই।।তবে আমার সাথে ভ্রমণ করলেন।এটা তো ভালো লাগলো।
শাহরিন
সাজেকের গল্প সবার মুখে মুখে। যখন যাব তখন আপনার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।
আরজু মুক্তা
হা হা হা।।সেজন্যই এ পোস্ট
জাহিদ হাসান শিশির
সাজেকের কোন তুলনা হয়না।
আকবর হোসেন রবিন
ছবি গুলো অনেক সুন্দর!
কামাল উদ্দিন
একবার সাজেক যাওয়ার সোয়ভাগ্য হয়েছিল আপু, সত্যিই অনিন্দ্য সুন্দর এলাকা।
কামাল উদ্দিন
সোয়ভাগ্য = সৌভাগ্য