পুরুষ কেমন জানো সখী ?
শুনো তবে…
দুষ্টুমী করতাম তাই মারত মা। প্রচন্ড।
কখনোবা সেই লাঠিও ভাঙত। মারের চোটে।
কীভাবে জানি জেনেছিলাম।
সেই শিশুকালেই-
‘আমি নাকি মরদ।
জেনানারাই কাঁদে।’
জানো সখী?
কখনো রক্তে ভিজত পিঠ।
নিতম্ব।
হাত।
পা।
কাঁদিনি তবুও। ঝরেনি অশ্রু।
‘যে কাঁদে সে মরদ না।’
জানো?
তারপরও কিন্তু অশ্রুতে ভিজত গা!
মায়ের অশ্রু।
তারও পরে আমার অশ্রুতে।
না কেঁদে পারি সখী, বল?
ঐ অশ্রুতে যে ভালবাসা মাখা !
জেনে রাখো সখী,
ব্যাথায় মরদ কাঁদেনা।
আবেগে মরদ কাঁদেনা।
ভালবাসা কাঁদায় তাকে।
কাঁদিয়ে ছাড়ে।
কাঁদিয়ে মারে।
আজন্ম কাঙ্গাল সে, প্রেম ভিখারী।
এখন মা মারে না আর, সখী।
এখন মনে মনে বলি,-
‘আবার মারো, মা।
আবার কাঁদো।
চল, আবার কাঁদি দুজনে।
ভালবেসে।’
১৮টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
আবেগী কবিতায় অনেক ভালোলাগা । বড় হয়ে গেলে মা আর মারেন না । মায়ের এই প্রহার কতই না মধুর।
পুরুষকে ভালবাসা কাঁদায় ।
লজিক্যাল সুমধু
পুরুষকে ভালবাসা কাঁদায়।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।
এই মেঘ এই রোদ্দুর
খুব সুন্দর । অনেক ভাল লাগল
লজিক্যাল সুমধু
অনেক ধন্যবাদ।
শ্যামা
চমৎকার কবিতা।
লজিক্যাল সুমধু
থ্যাঙ্ক ইউ শ্যামা।
শিশির কনা
সুন্দর কবিতা। ভালো ব্যাখ্যা দিয়েছেন কান্নার।
লজিক্যাল সুমধু
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আদিব আদ্নান
এত কেঁদেও সুখ হয়নি বুঝি ?
আপনার জন্য বাকি আছে অনেক তা বেশ বুঝতে পারছি ।
লজিক্যাল সুমধু
হা হা হা।
শেষ বলে কিছু নেই দাদা।
যাযাবর
এখন মা মারে না আর, সখী।
এখন মনে মনে বলি,-
‘আবার মারো, মা।
আবার কাঁদো।
চল, আবার কাঁদি দুজনে।
ভালবেসে।’…………… ভাই ,অসাধারন লিখেছেন।
লজিক্যাল সুমধু
অনেক ধন্যবাদ দাদা।
আপনার ভাল লাগা আমার অনুপ্রেরণা।
লীলাবতী
কবিতার আবেগ ছুঁয়ে গেল আমায়
লজিক্যাল সুমধু
তাই?
সেটাই যে কাম্য ছিল আপু।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে একাই কাঁদতে হবে ।
কাঁদার সময় দুজন পাবেন কোথায় ?
আহারে…………
লজিক্যাল সুমধু
হুম। তখন মা আমি দুজনেই কাঁদতাম তো ভাই।
এখন দূরে থাকি। মা পাশে নেই। মারে না। ভালবাসা পাই কম।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো কবিতা । ব্লগে লেখার উপরে র্যাকং টা থাকলে ভালো হতো।
জবরুল আলম সুমন
কান্না নিয়ে শুধু প্রবন্ধই নয় কবিতাও হয়, ভালো ভাবেই দেখিয়ে দিয়েছেন… চমৎকার।