মন খারাপ হলেই ভাবি তুমি আসবে
এসে পাশে বসবে,গালে হাত রাখবে
জানতে চাইবে আমার কেন এই ভাংচুর চেহারা??
কেনো আমি কথা খুজে পাই না মাঝ রাতে?
কেনো তোমার সামনে অপরিচিতদের মত বসে থাকি।
মন খারাপ হলেই ভাবি তুমি ফোন দিবে
বুঝবে এই ছেলেটার মনটা ভাল নেই
বুঝবে তোমাকে ভিষন দরকার পাগলটার
মন খারাপ হলেই ভাবি তুমি…
না কিচ্ছু ভাবি না।আকাশ দেখি।
এই মধ্য দুপুরে বৃষ্টি দেখি
রোমান্টিক হই না,বিরহ জাগে
বিরহি হলে ভাবি তুমি আসবে
কই তুমি??আসবে না????
৪৮টি মন্তব্য
খসড়া
🙂
নীল রঙ
🙂
মশাই
এটা কি আপনার প্রথম কবিতা? যদি প্রথম হয় তাহলে কিছু বলবো।
নীল রঙ
আমি আসলে কবিতা লিখতে পারি না।কবিতা লেখার অনেক চেষ্টা করেছি তবে সেটা স্রেফ কিছু লাইন ই হয়ে যায়।এটাও তেমন কিছু একটা।যা বলতে চান,বলে ফেলুন।খুশি হবো।হয়ত আপনার কাছ থেকে কিছু শিখে নিতে পারবো। 🙂
মশাই
আছেন আপনি?
নীল রঙ
হুম
মশাই
কিছু মনে করতে পারবেন না আগেই বলে দিচ্ছি কিন্তু। কারণ একবার আমি কি যেন বলেছিলাম বলে আপনি আপনার পোষ্ট মুছে দিয়েছিলেন। কথা দিতে হবে এবার এমন করা যাবে না।
নীল রঙ
আচ্ছা কিছু মনে করবো না।সেবার লেখাটা আমার ও অতটা পছন্দ হয়নি।আপনার মন্তব্য পড়ে তাই মুছে দিয়েছি।বলে ফেলুন 🙂
মশাই
আমিও কবিতা সম্পর্কে কিছুই জানি না। মনের ভিতর এলোমেলো শব্দগুলোকে সাজিয়ে লেখার চেষ্টা করি মাত্র। তবে এই কবিতা, গল্প অথবা সাহিত্য নিয়ে আলোচনা/ সমালোচনা আমাদের মস্তিষ্ককে আরও শান দিবে বলেই আমি মনে করি। একটি লেখা নিয়ে যখন আলোচনা অথবা সমালোচনা হয় তখন লেখাটির কিছু ভুল দিক শুধরে নিয়ে পূর্ণ করে তোলা যায়। আজকাল কিন্তু এমন আলোচনা আসলে লক্ষ্য করা যায় না। অনেকে পোষ্টে মন্তব্য করে সুন্দর হয়েছে, আমি এমন মন্তব্যের নিকুচি করি। প্রত্যেক লিখার একটি আলোচনা দরকার রয়েছে যার মাধ্যমে একটি লেখক সমালোচনার মাঝে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
নীল রঙ
হ্যা এটা ঠিক বলেছেন।আলোচনা সমালোচনা না হলে কে কি করে বুঝবে লেখাটা কতটা সঠিক??
মশাই
আপনি কি লক্ষ্য করেছেন এই কবিতাটিতে যতি চিহ্নের কিছুটা অভাব রয়েছে?
নীল রঙ
যতিচিহ্ন ব্যাবহারে আসলে আমি পারর্শি না।আর গুরু গম্ভির শব্দচায়ন করতে পারি না।মাথায় যে শব্দ আসে তাই লিকেহ ফেলি। 🙁
মশাই
আপনার কবিতায় আমি আপনাকে কয়েকটি শব্দ নিয়ে ভাবতে বলবো। ভাংচুর,ফোন দিবে,রোমান্টিক এই শব্দগুলোর বিকল্প কিছু ভাবা যায়।
মশাই
আপনার সরল বক্তব্যকে আমি শ্রদ্ধ্যা জানাই। তবে আমি আলোচনা চাই কারণ আমিও যে আপনারই মত কিছু শিখতে চাই।
নীল রঙ
কঠিন ব্যাপার সামনে আসলে কপাল ঘামায় আমার।এখন ঠিক তাই হচ্ছে।ভাবনারা ছুটিতে গেছে।আসলে মস্তিস্ক সদ্য কিনে আনা ফ্রিজ এর মত।একদম ফাকা।বিকল্প কিছু ভাবতে পারছি।ক্যান ইউ হেল্প মি???
মশাই
দুখিত দশটি মিনিট সময় দিন আমি আসতেছি।
মশাই
লজ্জা দিবেন না ভাইয়া আমি নিজেও কিছু জানি না। আপনি আবার ভুল বুঝবেন না যে আপনার কবিতা হয়নি। আপনার লিখা কিন্তু ভাল হয়েছে শুধু কিছু উপমার লঘুতা ছিলো আর কিছু না তবে অনেক ভাল কবিতা একদিন লিখতে পারবেন তা আমার বিশ্বাস।
মশাই
বুদ্ধদেব বসু বলেছেন- কবিতা সম্বন্ধে ‘বোঝা’ কথাটাই অপ্রাসঙ্গিক। কবিতা আমরা বুঝিনা, কবিতা আমরা অনুভব করি। কবিতা আমাদের ‘বোঝায়’ না; স্পর্শ করে, স্থাপন করে একটা সংযোগ। ভালো কবিতার প্রধান লক্ষণই এই যে তা ‘বোঝা’ যাবে না, ‘বোঝানো‘ যাবে না ।
মশাই
এই কবিতা নিয়ে আসলেই অনেক বিপদ। মালার্মে বলেছে শব্দই কবিতা আবার জীবনানন্দ দাশ বলেন উপমাই কবিতা, আবার দান্তে বলেছেন সুরে বিদ্ধ কথাই হল কবিতা। কোথায় যাবো বলেন?
নীল রঙ
কোথাও যাবো না তাইলে।কবিতাও লিখবো না।মহামানবদের কথা শুনেই আমার হাওয়া টাইট হয়ে গেছে 🙂
মশাই
না না এতো সহজে হল ছেড়ে দিলে কি হবে বলেন? আমি কিন্তু আশা ছাড়ব না।
প্রয়োজনীয় শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে যে অপরূপ শব্দ চিত্র বা দৃশ্য আঁকা হয় তার মধ্যে অরূপের সন্ধান অর্থাৎ অন্তর্গত অনুভূতির রসে ভিন্ন কোন অর্থের আবহ তৈরি করাকে কবিতা বলা যায়। কিন্তু আমাদের অর্থময় চেনা জগতের বাস্তব শব্দ দিয়ে তো আসলে অবাস্তব কিছু নয় বরং আমাদের চেনা দৃশ্য বা বাস্তব আদলই তৈরি করা যায়। তাই এ বাস্তবতাকে তীর্যকভাবে দেখার প্রয়োজনেই চলে এলো প্রতীক উপমা রূপক ইত্যাদির আলংকারিক ব্যবহারের মাধ্যমে চিত্রকল্প সৃষ্টির এক শিল্পীত প্রবণতা। যথাযোগ্য শ্রেষ্ঠ শব্দগুলোকে শ্রেষ্ঠ বিন্যাসের মাধ্যমে যে অপরূপ শব্দ শরীরী চিত্রটা তৈরি হয়ে যায় তাও যখন প্রকাশের বর্ণনাময় আতিশয্যে রহস্য বিহীন, নিরাভরণ ও দৃশ্যমান হয়ে ওঠে তখন রূপকল্পের দ্যোতনাময় মায়াবী চাদরে জড়িয়ে তাকে করে তোলা হয় চেনা অচেনার মিশেলে গড়া আধা-বাস্তব আধা-কল্পনার এক স্পন্দনশীল মূর্তি। এটাই কবিতা। আক্ষরিক ব্যাখ্যা যোগ্যতার গভীরে ক্রিয়াশীল অন্য এক উপলব্ধির অর্থময় অনুভব। পাঠক মনের সৃজনশীল কল্পনাও এখানে ক্রিয়াশীল হবার বিষয় নিষ্ঠ সুযোগ পেয়ে যায়। সে রচনা তখন আর স্রষ্টা বা কবির একার থাকে না, পাঠকের স্বতস্ফূর্ত অন্তর্ভূক্তি একে নিয়ে যায় রসঘন এক ব্যাখ্যাহীন পরিতৃপ্তির অন্তর্গত জগতে। এবং তখনই একটি সার্থক কবিতা প্রকৃতই কবিতা হয়ে ওঠে। ]
– ব্রাকেট বন্দী অংশ টুকু রণদীপম বসু’র একটি প্রবন্ধ থেকে আংশিক নেয়া।
(সংগৃহিত )
মশাই
আচ্ছা বাদ দেন এসব। শেষ কথা বলি আপনাকে যদি বলা হয় আপনি আপনার লেখাটিকে ৫ এর মধ্যে রেটিং করতে হবে, তাহলে আপনি কত করবেন। \|/
ছাইরাছ হেলাল
আহারে, না বলে কয়ে পালিয়েছে শিওর ?
মাথায় ভারী বোঝা চাপালে কতক্ষণ আর চলা যায় ?
মশাই
আমি কিন্তু ৫ এ ৫ই দিবো আর দিতে আমি বাধ্য কারণ কবি যে তার অনুভূতি প্রকাশে সার্থক হয়েছেন। আমি নিজের সাথে গল্প করার মানুষ খুজতে এসে শুধু শুধু তার মাথাটাই নষ্ট করে দিলাম।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ১০০ দিন সমস্যা নেই ।
সে পালিয়েছে এটি কিন্তু সত্য ।
হায়রে।
মশাই
না না সে পালাবে না,তার অনেক কাজ বাকি এখনো, তার সাথে আমার লেনদেন এখনো বাকী পালাতে দিবো না। আমাকে উনি গল্প লিখে দিবে বলেছিলো কিন্তু দেয়নি। না দিয়ে পালাতে পারবে না।
নীল রঙ
মশাই আপনি ই কি প্রহেলিকা???
-যদি বলেন ৫ এ কত দিবো তবে বলতে হচ্ছে ৫এ ৫ই দিবো।কারন নিজের লেখা ছাইপাশও এক একটা সন্তানের মত।সবাই যে ব্রিলিয়ান্ট হবে তা মানছি না।কিছু তো উলটো হতেই পারে।
-ভাগিনি।কাল রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম সকালে তাড়া ছিলো।
-হ্যা একটা গল্প লিখছি।একটু ব্যাস্ত নিজের কাজ কর্ম নিয়ে,সেটার জন্যই ব্লগে আসা হচ্ছে কম।লিখতে গিয়ে আটকাচ্ছি।তাই একটু সময় লাগছে।লিখতে গিয়ে টের পেলেম অল্প লাইলে লেখা শেষ করা যাবে না।বাড়ছে।একণ আপাতত বন্ধ।একটু গুছিয়ে উঠলেই বাকিটা লিখে ফেলবো।এত বড় গল্প লেখার অভ্যেস নেই।তাই লিখতে গিয়ে সময় লাগছে।হ্যা একদিন লেখাটা শেষ করে ফেলবো নিশ্চই।
ছাইরাছ হেলাল
সুন্দর হয়েছে লেখা ।
আপনি আপনার মতই লিখুন ,যা মনে আসে ।
মনের এই আকুতি আপনাকে আরও ভাল লিখতে সাহায্য করবে ।
নিয়মিত লিখুন । ভাল বা মনের চিন্তা না করে ।
মশাই
নীল রঙ ভাই কিন্তু অনেক ভাল লিখেন। তার প্রকাশ ভঙ্গি খুব ভাল। তার কিন্তু তুই থেকে তুমি বানানোর ক্ষমতাও রয়েছে।
ছাইরাছ হেলাল
হ্যাঁ, অবশ্যই ভাল লেখেন ,এবং আরও ভাল লিখবেন ।
তার অবশ্যই ক্ষমতা আছে কান্না করার ও ।
নীল রঙ
ছাইরাছ হেলাল এই অধমের লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আর একটি কথা , একটু কষ্ট করে অন্যের লেখা (আমি বাদে) মন দিয়ে পড়তে হবে নিয়মিত ।
মশাই
কেন (ব্রাকেট বন্দী অংশটুকুর জন্য) ? নিল রঙ-এর ভাইয়ের পক্ষ থেকে আমার প্রশ্ন।
ছাইরাছ হেলাল
প্রশ্ন প্রশ্ন ই , তা যেই করুক ।
আমি লেখক নই , এজন্য তা না পড়াই ভাল ।তাছাড়া আমার লেখায় অনেক ভুল থাকে ।
যারা নিয়মিত লেখে , সুন্দর লেখে (এই যেমন আপনি ) তাদের গুলো পড়া উচিৎ ।
নীল রঙ
আমি কিন্তু সব লেখাই পড়ি যখনি সময় পাই।তবে মন্তব্য করতে গেলে শব্দ হারায়ে যায়।তাই বেশির ভাবেই মন্তব্য না করে পালিয়ে আসি।এটা হয়ত আমার দূর্বলতা হতে পারে।
শুন্য শুন্যালয়
হা হা হা, আমি দারুন মজা পেয়েছি আজ।। কেনো সেটা বলবো না :p
ও মশাই, আমাকেও যতি বিদ্যা শিখিয়ে দিন না…
ছাইরাছ হেলাল
একা মজা নিলে হবে না । ভাগ চাই আমরাও ।
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা আপনাকে বলছি, খবরদার মশাইকে বলবেন না যেনো… এই পোস্টে ৩২ মন্তব্য দেখে আমি ভেবে নিয়েছিলাম, এইখানে ঠিক মশাই ঢুকেছে 😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনি দেখছি জহুরী ।
নীল রঙ
😀
শুন্য শুন্যালয়
নীল রঙ, লেখাটি সুন্দর হয়েছে…
মনে হয়না সে আসবে, এভাবে সময় নস্ট না করে ভিন্ন পথ ধরুন…
আমার কল্পনায় তুমি আস্ত একটা সত্য, আর তো কিছু চাইনা…
নীল রঙ
সে আসবে না জেনেও অপেক্ষা করার মধ্যে একটা সূক্ষ প্রশান্তি আছে।আমি সেই প্রশান্তিটা আপাতত উপভোগ করতে চাই।
“আমার কল্পনায় তুমি আস্ত একটা সত্য, আর তো কিছু চাইনা”-এই লাইনটার জন্য ধন্যবাদ।ছুয়ে গেছে।
আগুন রঙের শিমুল
পড়লাম
মন্তব্যগুলোও 🙂
নীল শুন্যতার ক্যানভাসে মায়াদিয়ে আকা শব্দের ছবি হচ্ছে কবিতা। চালিয়ে যান
নীল রঙ
আগুন রঙের শিমুল- আপনি আমার লেখা পড়েছেন জেনে সুখানুভূতি হচ্ছে।
“নীল শুন্যতার ক্যানভাসে মায়া দিয়ে আকা শব্দের ছবি হচ্ছে কবিতা”- আমি ঠিক এটা মনে করেই কিছু লাইন লিখি।সেখানে প্রতিটা অর্থহীন শব্দই আমার মায়া থেকে উৎপন্ন।ভাল লাগা নিবেন।ধন্যবাদ। 🙂
মিথুন
হ্যাঁ আসবো, একটু অপেক্ষা করুন।
নীল রঙ
হুম তাকে আসতেই হবে।অথবা না আসলেই কি???আসা না আসার মাঝখানের অপেক্ষা করার সময়টা সুন্দর।আপাতত উপভোগ করতে চাই। 🙂
আদিব আদ্নান
ভাল লেখা ।
নীল রঙ
ধন্যবাদ।