বাল্য বিবাহ অনুচিত” না বুঝে, বে হিসেবী ভাবে সব মেয়ের ক্ষত্রে এ কথায় সায় দিয়ে লাফানো মানুস গুলো হলো বেকুবের প্রধান নিদর্শন!
রগরগে চোখ তুলে তাকিয়ে সেদিন আমার কথায় প্রতিবাদ করে বিশাল মাপের চেতনাধারী এবং আধুনিকতায় বিশ্বাসি উকিল ম্যাডাম বললো
কেনো? নারী এগিয়ে যাচ্ছে সেটা সৈর্য হচ্ছে না বুঝি?
কিছুক্ষণ স্তব্দ হয়ে রইলাম এই ভেবে যে অল্প বয়সে বিয়ে হলে কি নারী আর এগিয়ে যেতে পারে না। অল্প বয়সে বিয়ের সাথে নারী এগিয়ে যাওয়া আটকে থাকার সংযোগ পেলো কোথায় সে?
কোনো বিবাহিত নারী কি ভালো চাকরী করছে না?
বিবাহিত নারী কি আজো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই?
তরপর খেই ফিরিয়ে বললাম আপু এগিয়ে নারী কেথায় যাচ্ছে? লিটনের ফ্লাটে? একটি অষ্টম শ্রেণীর মেয়েকে বিয়ে দেওয়া পাপ আপনার মতে, কারণ তাকে আরো অনেক উপরে উঠতে হবে ভার্সিটি টপকে আরো অনেক উপরে!
অথচ তাকিয়ে দেখুন চারপাশে, ষষ্ট শ্রেনীর অনেক মেয়েই পার্কে, শুধু তাই নয় লিটনের ফ্লাটের রাস্তা সহো রুমের অভ্যান্তরীর সুখের পাঠ মুখস্ত!
এখন বলতে পারেন সব মেয়ে এক নয়!
আমিও বলতে পারি সব ছেলে এক নয়, সব ছেলের বউয়েরা অতিষ্ট হয় না, সব স্বামী ওয়ালা নারীর এগিয়ে যাওয়া বন্ধ হয় না!
কিছু ছেলেও আছে বেহায়া বারোচোদা
কিছু মেয়েও আছে বারো ভাতারী
চোখ পাকিয়ে আবার বললো, আজব চিন্তাভাবনা আপনার! বিবাহিত নারী কি যায় না পাপের কাজে আপনি কয়টা খেয়াল রেখেছন!
এবার না হেসে পারলাম না, তবে অট্টহাসিতে হালকা ব্রেককষিয়ে ঠোটের কোনে একটু ফিক করে হেসে নিয়ে বললাম
আপনি ঠিকি ধরছেন ম্যাম, বিবাহিত নারীই নয় অনেক বিবাহিত পুরুষও!
আমার হেয়ালিতে বিষ্ময় ভাসা চোখ তুলে বললো তবে”!
আমি বললাম
ম্যাম অভাবের চোর আর স্বভাবের চোর কথাটা শুনেছেন নিশ্চয়ই!
কিছু নারী স্বভাবই বারোঘাটে হাটা সে স্বামী থাকুক না থাকুক।
কিছু মেয়ে আছ যার অভাবে পরে থাকে,নিজ থেকে বাবা মাকে বলতেও পারে না, তখন নিজের চাহিদাটা মেটাতে তাদের কে জড়াতে হয় অপকর্মে!
বিবাহিত হলে সে হয়তো থাকতে পারতো পবিত্র। নষ্ট হতে চাইলেও আর কিছু বলার থাকতো না!
১১টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ ভাল এক বিষয়ে লেখেছেন অনেক শুভেচ্ছা রইল
মোহাম্মদ দিদার
কৃতজ্ঞতা রইলো সুপ্রিয়
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ , আপনার সঙ্গে সহমত। প্লিজ বানান কিছু এলোমেলো ঠিক করুন পড়তে ভালো লাগবে অনেক।
মোহাম্মদ দিদার
আমিও আপনার সাথে সহোমত ।আর তাই পোস্টে উল্লক্ষ করেছি
সব মেয়েকে না বুঝে” আমি বুঝাতে চেয়েছি অভিবাবকরা জাতে নিজের মেয়ে বা ছেলেকে বুঝতে চেষ্টা করে এবং তাদের গতিদারা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয় তাকে বিবাহ দেওয়া উচিৎ নাকি ভিন্ন কিছু।
দুঃখিত আমি বাংলা বানান নিয়ে দূর্বল, তাছাড়া কামলার কাজ করে সময়টা খুব সাস্রয়ি হয় না, বরং সংকির্ন হয়, তাই তারাহুরোয় যায় ভেস্তে!
আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
দুঃখিত আমি বাংলা বানান নিয়ে দূর্বল, তাছাড়া কামলার কাজ করে সময়টা খুব সাস্রয়ি হয় না, বরং সংকির্ন হয়, তাই তারাহুরোয় যায় ভেস্তে!
আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো। —-ভাই কাজ কাজই কি নই! যারা চাকুরি করে সবাই কোন না কোন কামলা। তাই কাজকে ভালবাসি কাজ করি জীবনকে সুস্থ ও সুন্দর রাখার চেষ্টা করি।
বানান ভুল আমারও হই অনেক। কিন্তু পোষ্ট আপনি একদিন পরে দেন তবুও বানান চেক করে দেবেন।
মোহাম্মদ দিদার
নিশ্চয়ই চেষ্টা করবো গুনিজন
নার্গিস রশিদ
বাল্য বিবাহ এই জন্য ঠিক নয় যে তারা নেজেই শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে তখনো গঠিত হয়নি।
মোহাম্মদ দিদার
আমিও আপনার সাথে সহোমত ।আর তাই পোস্টে উল্লক্ষ করেছি
সব মেয়েকে না বুঝে” আমি বুঝাতে চেয়েছি অভিবাবকরা জাতে নিজের মেয়ে বা ছেলেকে বুঝতে চেষ্টা করে এবং তাদের গতিদারা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয় তাকে বিবাহ দেওয়া উচিৎ নাকি ভিন্ন কিছু।
আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো।
মনির হোসেন মমি
বাল্য বিবাহ সব সময় নিন্দনীয় কাজ।এটা রোধ করা জরুরী।একজন ছেলে বা মেয়ে তার জীবনবোধ সম্পর্কে বুঝতে বা বুঝে কাজ করতে মিনিমাম গ্রাজুয়েট কমপ্লিটের সময় অতিবাহিত করতে হয়।এর আগে যা হয় তা সবটাই আবেগ বা আনম্যাচিউর থিংকিং।
সুন্দর উপস্থাপনা।
হালিমা আক্তার
বাল্যবিবাহ অনুচিত। আর বিয়ের পর খুব কম সংখ্যক মেয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। শুভ কামনা।
মোহাম্মদ দিদার
এতোটা এগুনোকে অনুচিত মনে করছি , যতটা এগিয়ে গেলে বালিশ চাপাদিয়ে কাদতে হয়, আত্নহত্যা করতে হয়, বিবাহের পূর্বেই অন্তসত্তা হতে হয়, নিজের নামের সাথে মানুস নামটা বেমানান হয়!
আর হ্যা, আমি প্রত্যেক নয় বরং অধিকাংশের কথা বলেছি, বাবামায়ের বুঝেশুনে তার সন্তানকে এগুতে দেওয়া বা স্বামীর ঘরে দেওয়ার সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচি!