
রোদ্দুর ছুঁতে চেয়ে/
একটা অনাড়ম্বর দিন জেগে উঠেছিলো দোয়েলের ঠোঁটে শিষ দিয়ে।
জানালার কার্নিশে ভর করা রোদ্দুর ছুঁয়ে নেমে এসে বলে গিয়েছিলো….গতকাল বিদায় নিয়ে চলে গ্যাছে……
আজকের আলোটুকু ধার করে নিয়ে এসে বলে যাই…. আগামীকাল ও এমনি করে আসব কিনা জানি না;
আজ তুমি ধার করা আলোয় হয়ে ওঠো ঋনী….
এটুকুই তোমার জন্য দামী।
আমি তাই রোদের ছায়া মাখি ধার করা একজীবন ব্যাপী……।
সঞ্চয়ী জল/
চোরা স্রোতে যে নিজেকে ডোবায় / ভাসায় সেই জানে কে কতটা অপরাধী!
আমি দুঃখ বিলাসী নই,
লালন করি যত্ন কিংবা অযত্ন
অবহেলা গুলো ভুলে থাকিনা,
থাকি দূর্মূল্য খরার পূর্বাভাসে।
আমার মরুভূমি নয়….
মেঘের নীচে বৃষ্টিও খরায় ডোবে।
হলুদ হলে পাতারাও আঁকড়ে ধরে বৃক্ষের শাখা….
আমি টেনে ছিঁড়ে সরিয়ে দিই বাদামী পাতার শরীর।
যাযাবর বলে যায়, তার কোনো ঘর নাই…. পরের শুন্য কেড়ে নিয়ে সংখ্যা বাড়াতেই তাঁর বিলাসী দুঃখের অহং।
আমি চোখ পেতে দিই বিনা মূল্যের জল সঞ্চয়ে…..
ভোরের জানলা/
আমার কপাল ছুঁয়েছিলো আধখানা চাঁদের রোশনাই….
আধেক জোছনার সনাতনী আলোয় বিন্যস্ত পথের রেখা ধরে হেঁটে গেছি আলো আঁধারির আবছায়া / গন্তব্যের দিকে;
তিন পহরের নিদান কালে জেঁকে বসা শীত এসে পায়ের তলায় ঠাঁই নিতে চাইলো!
আরো দূর রয়ে গেছে যে নদী! তার কিনারে পৌঁছতে এখনো অনেক পথ হাঁটা বাকি।
আলোর লন্ঠন ঝুলে আছে পোড়ো দালানের কড়িবর্গায়….
আধেক চাঁদ নেমে যাচ্ছে আরেক ভোরের জানালায়……
ছবিঃসংগ্রহ।
১৪টি মন্তব্য
বোরহানুল ইসলাম লিটন
সুন্দর শব্দ চয়ণ ও উপমার সমাহার!
জীবনের ইতিকথা
কোথাও সুখ কোথাও ব্যথা।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
বন্যা লিপি
আপনাকেও শুভেচ্ছা নিরন্তর।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
পাতারা যখন হলুদে গা ডোবায়
বৃক্ষেরা তখন ও আগলে রাখতে চায়।
পাতারা তো বৃক্ষের ও।
ভয়ে কম্পমান হলুদ পাতারা খসে পড়া
নিয়ে ভাবতে বসে,
তাও বৃক্ষেরা আগলে রাখে গাছেদের কোটরে…………
আবার জন্মাবে বলে!!
বন্যা লিপি
সেই অনেক অনেক দিন আগের কথা…
নিরবে রাস্তার মোড়ে বেশ শব্দ করে ঝরে যেত কৃষ্ণচূড়ার ফুল/পাতা! বৃক্ষ তারে ঠাঁই দেবার তরে শির নুয়ে চায়নি বারেক ফিরে!
ঋতু বদল হলেই ন্যড়া ডালে কালো কাকেদের বসে যেত জটলা,,,,শুকিয়ে যাওয়া বীজগুলো ঠোঁকরাতো বড্ড আয়েশে!
মরা ডাল ঠুকরে নিয়ে অন্যগাছে বাঁধত বাসা।
পরের বছর ফাগুন কালে!
কোকিল এসে ডিম দিয়ে যেত খুব চুপটি করে।
কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষের শোক ছিলো কী কোনো?
হলুদে পাতা রেখেছে কি কখনো আগলে ধরে!
সমূলে যখন নিপাত হলো!
খুঁজেছি কত!
ঝরা পাতা/ ফুলেদের হদিশ পাইনি কোনো…..
কি জানি কি লিখলাম!!
এই রকম মন্তব্য পেলে আমি আবারো দৌড়তে সাহস জুগিয়েই ফেলব খোড়া/ল্যাংড়া পায়ে।
(হাঁটু ব্যামো নিয়ে ভূগছি ভীষণ)
ছাইরাছ হেলাল
অনেকদিন পর এমন খাটুনি দিলেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, কিন্তু কথা হলো লেখা-ক্লান্তি আবার যেন বাসা না বাঁধে!!
বন্যা লিপি
😓😓😓😓ক্লান্তিতে ডুবে আছি আমূল। সাহায্য তো লাগবই লাগব….
হালিমা আক্তার
সময় নেচে নেচে যায়, সময়ের পথ ধরে। কখনো আলোর মাঝে আঁধার, কখনো বা আঁধারে আলো খুঁজে পেয়ে পথের সীমান্তে ছুটে চলা। অসাধারণ শব্দ শৈলী।বার কয়েক পড়লাম। শুভ কামনা রইলো।
বন্যা লিপি
বিস্মরণের তিনখন্ডে জীবনের তিনরকম ছায়াচিত্র আপা। তত কঠিন কিন্ত নয়!
আপনি তো এবার সোনেলা পুরস্কার বগলদাবা করেই ছাড়বেন দেখছি। বিজয়ী হইলে ট্রিট চাই কিন্তু!!!
অগ্রীম শুভ কামনা রইলো।
হালিমা আক্তার
এখনো অনেক সময় বাকি। তারপর ও দৌড়াচ্ছি। দেখি পারি কিনা। ইন শাহ আল্লাহ ট্রিট হবে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এই এখানে যতো হাটু ভাঙ্গা, কোমর ভাঙা শব্দ সম্ভার। যাহা অনেকবার পড়লে কেবল কিছু-মিছু বোঝা যায়। আর কিছুর সাধ্য থাকে না।।।
বন্যা লিপি
আলহামদুলিল্লাহ্…. হাঁটু ভাঙা, কোমড় ভাঙা শব্দজট থেকে নিরাপদে থাকুন। ভালো থাকুন। শুভ কামনা।
রিতু জাহান
কি দারুন লিখলেন!
যাস্ট অঅসাধারণ।
ধার করা রোদ্দুর মেখে আমি কোনোকালেই ঋণি হব না,,
তাই বরং ছায়াই মাখি,,
কি হবে এতোটুকু ভগ্নাংশ জীবন মেখে!
আাবারও আসব এ লেখায়।
খুবই ভালো লাগলো,,
বন্যা লিপি
রোদের ভগ্নাংশেই বেড়ে উঠে ধীরে অস্তাচলে ডুবে যাওয়া দেখেছেন কখনো? দেখেননিতো! পাঁচ আঙুলের কড়ায় কড়ায় যে নিঃশ্বাসগুলো রোজ ঘুরে বেড়ায়! ওই সেখানেই ঋণখেলাপী চোখের জলে অন্নাভাবে বাঁচতে ভুলে যায়……
আসুন আবার,,, জমুক আমাদের প্রিয়প্রাঙ্গন সেই আগের পরিচিত আঙিনায়….
রিতু জাহান
চমৎকার লেখেন আপনি