একদিন সন্ধ্যায়….
তা একদিন সন্ধ্যায় বার বার তাকাচ্ছিলে কেন?
: শুকতারা উঁকি দিতে কত দেরি! তাই ভেবে পড়ছিলো চোখ বাঁকা পথের কিনারে
ও পথের ধারে ফুটেছিল যে, আকাশের বাঁয়ে ছুটেছিল যে
চিন কি তাহারে?
: পথের বাঁকে ঝোপের পাশে থেকেছিলো বুনোফুল, তাহারে চিনিতে হয়নি তো মোটে ভুল!
আকাশের সিঁড়ি নেমে আসেনি বলে, থেকেছি চেয়ে নিমিষের আঁখি মেলে।যদি আসে ভুলে, পথের ঠিকানা ভুলে, উঠে যাব দ্বিধা না রেখে…..
কী ভাবছো?/
জানলায় চোখ রেখেছো?
কি দেখছো?
মনখারাপের প্রজাপতি উড়ছে বুঝি ডানায় নিয়ে রঙ!
তুমি নাহয় চেয়েই নিতে এক চুটকি নীলের আচড়!
ভাবছো বসে কী?
চোখের কাজল ধুয়েই গেলো লবনজলের স্রোতে?
কষ্ট গুলো খামচে আছে বাঁ পাশের ওই ছায়ে?
আঙুল গুলো অসাঢ় হলে চুলের প্রলেপ রেখো সাদা কাগজের বুকে!
খুব বুঝি আজ কষ্টে থাকো ?
কেমন করে ঘিরছে আজ ঠান্ডা রাতের দৈর্ঘ!
ওঠো ; এবার তবে গুটিয়ে নিও, উষ্ণতারই আগুন.।।।
শুকনো দিনের ক্যালেন্ডারে তারিখগুলো দাগ কেটে রেখো,
নুড়ি না’হয় ভরবে এবার শুন্য ঝোলার ভেতর……
৮টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
প্রাপ্তি অ-প্রাপ্তির ভীড়ে নুড়িও কম-দামি না।
বন্যা লিপি
পড়েছেন…..ধন্যবাদ জানাই আন্তরিক।
সুরাইয়া নার্গিস
অসাধারন লিখছেন বড় আপু।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।
বন্যা লিপি
শুভ কামনা আপনার জন্যেও নার্গিস।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
প্রতিটি লাইন যেন ভাবনার খোরাক দেয়, অসম্ভব সুন্দর, মনোমুগ্ধকর শব্দের মাহাত্ম্য। চাওয়া পাওয়া গুলো এমন করেই গেঁথে আছে জীবনের পরতে পরতে, কিন্তু প্রকাশ সবাই করতে পারে না। শেষপর্যন্ত কিছু মিছু নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। একরাশ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। শুভ সকাল
আরজু মুক্তা
নুড়ি জমতে জমতে প্রাপ্তির খাতাও পূর্ণ হবে।
দারুণ একটা কথোপকথন পড়লাম।
শুভকামনা
তৌহিদ
আগুনের দিন শেষ হবে একদিন, ঝড়নার সাথে ভাব হবে একদিন….
গানটি শুনেছেন? শুনুন, সব ঠান্ডা হয়ে যাবে। যাতনার যাঁতাকলে পিষে অপেক্ষার পালা শেষে সামান্য এক আঁজলা ভরা পানিও কিন্তু পরম শান্তির।
শুভকামনা রইলো আপামনি।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমি বলি কি যা পাওয়া যায় আজলা ভরে নিয়ে নিই। অতশত হিসাব বাদ দিয়ে। এছাড়া যে আর উপায় নেই। অসাধারণ কথপোকথন।
শুভ কামনা রইলো বড় আপু॥😍😍