বাম ইনু বিনুদের বক্তব্য ও এদের আসল রুপ
১।আগের দিন(১২-৪-১৪) তথ্য মন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর একটি বক্তব্য আমার খুব চোখে পড়েছে । তিনি বলেছেন— মুক্তিযুদ্ধের ইমাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক হাজার মুকাব্বেরের মধ্যে জিয়াউর রহমান একজন মুকাব্বের মাত্র।
২।জিয়া ৪ নম্বর মীরজাফর :এপ্রিল ১৩, ২০১৪ কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন চার নম্বর মীরজাফর। বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংবিধানের সঙ্গে মীরজাফরী করেছেন তিনি। ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রপতিত্বে যে সরকার গঠন হয়েছিল সেই সরকারের অধীনে একজন সেক্টর কমান্ডার হিসেবে জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছিলেন।বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংবিধানের সঙ্গে মীরজাফরী করেছেন।
৩।জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে খালেদা জিয়াকে ‘রাজনীতির শয়তান ও ধ্বংসের রানী’ এবং জিয়াউর রহমানকে ‘চার নম্বর মীরজাফর’ বলে অভিহিত করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ইনু বলেন, পলাশীর মীরজাফর প্রথম, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকাররা দ্বিতীয় মীরজাফর, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারিরা তৃতীয় মীরজাফর এবং সংবিধান সংশোধন ও রাজাকারদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসনকারী জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের চার নম্বর মীরজাফর।
অথচ এই ইনু তার আত্মজীবনীতে বলেছেন—
জীবন বৃত্তান্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সরকার ‘স্বৈরশাসন’ চালিয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে। বাংলা জীবন বৃত্তান্তে বঙ্গবন্ধু সরকারের ব্যাপারে কোনো বিরূপ মন্তব্য নেই। কিন্তু ইংরেজি জীবন বৃত্তান্তে বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে ‘স্বৈরশাসন’ ও ‘হত্যা’র মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ইনুর জীবন বৃত্তান্তে পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার সব বিরোধী রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ও জনগণের অধিকার হরণ করার পর জাসদের গণ আন্দোলন স্বশস্ত্র সংগ্রামে পরিণত হয়। এ জন্য জাসদ জনগণের সেনাবাহিনী হিসেবে ‘গণবাহিনী’ গঠন করলে এর উপনেতা হিসেবে ইনু ১৯৭৪-‘৭৫ সালে জাসদের নেতাকর্মীদের উপর স্বশস্ত্র হামলা এবং তাদের হত্যা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
>>(বহুরুপী রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরি: পল্টন ময়দানে উন্মুক্ত সমাবেশে ঘোষণা দিয়েছিলেন `শেখ মুজিবের চামড়া দিয়া ঢোল আর হাড্ডি দিয়া ডুগডুগি` বানানোর।)
শেখ মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানানো মতিয়া–ইনু গংরা এখন শেখ মুজিবের পক্ষে সাফাই গায় এবং ৭৫ সালে শেখমুজিবের হত্যার পর উল্লাসে ফেটে পড়া ইনুরা এখন রক্ষীবাহিনীর প্রধান তোফায়েল আহমেদের চেয়ে শেখ মুজিবের বড় ভক্ত।
এই অতি ভক্তি কি চোরের লক্ষণ???????
একটি মন্তব্য
প্রহেলিকা
ভাইজান নিজের চরকায় তেল দিন। তার আসল রূপতো জানলাম সাথে আপনারটাও। যত্তসব বাইক্কা কথা। কপি পেস্ট কইরা আর কতদিন চলবা???