দিন তিন আগে মায়ানমার সীমান্ত রক্ষীর গুলিতে বাংলাদেশী জেলে নিহত।ব্যাপারটা কারো কাছে ইম্পোর্টেন্ট নয়।তাই বিশ্লেষন করে সময় নষ্ট করবো না।
..
রোহিঙ্গা হত্যায় মেতে উঠা মায়ানমার আমাদের মনে ক্ষত সৃষ্টি করে রেখেছে।আমাদের সাথে সীমান্তে কিছু ঘটনা আমাদের মনে ক্ষত সৃষ্টি করেছে যুগ যুগ ধরে।তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ড আমাদের সাথে যুদ্ধের ইঙ্গিত প্রকাশ করছে বলে মন্তব্য সুশিল সমাজের।
..
সোসাল মিডিয়ায় অনেক মন্তব্য দেখেছি যে “কেন আমরা মায়ানমারের সাথে যুদ্ধ করছি না???”তাদের উদ্দেশ্যে বলছি পিলখানা হত্যাকান্ডের পর আমরা বিজিবির চরম অবনতি এবং সেনাবাহিনীর মেরুদন্ড হারানো লক্ষ করেছি।
..
১৭জুন ২০১৫ বিজিবি সেনা আব্দুর রাজ্জাককে মায়ানমার কর্তৃক অপহরনের ঘটনা সবাই জানেন।আব্দুর রাজ্জাকের প্যান্ট খুলে লুঙ্গি পরিয়ে ছবি তুলে তারা।সরকার বলেছিল এটা ভুল বুঝাবুঝি। সেদিন সবাই হ্যাস ট্যাগ দিয়ে লিখেছিল “বিজিবি এখন সীমান্তে বিড়াল আর বাজপথে বাঘ”।(২০০৯ এর পরের একটি উদাহরন)
..
এবার ২০০৯ এর আগের সীমান্তের বাঘদের একটি থাবা জানুন।
..
১৯৬৬সালে নাফ চুক্তি হয় পূর্ব পাকিস্তান -মায়ানমারের মধ্যে।সেই চুক্তি ভেঙ্গে মায়ানমার বাংলাদেশের মূল ভূখন্ডের ২৮০০একর জায়গায় অবৈধ দখল করে।নাফ নদীর সাধারন প্রবাহে বিঘ্ন সৃষ্টি করে বাঁধ নির্মান করে।নাফ নদীর ১২টি শাখার মধ্যে সর্বশেষ শাখায় তাঁরা বাঁধ নির্মান শুরু করলো।তারা যদি এই কাজটিতে সফল হতো তবে পুরো টেকনাফ বঙ্গোপসাগরে বিলীন হয়ে যেত।বাংলাদেশের প্রতিবাদ গ্রাহ্য না করে কাজ চালিয়ে গেল এবং নৌ ও সেনাবাহিনী হতে দুই ডিভিশনে সৈন্য মোতায়েন করলো।বিডিয়ারের ২৫০০সৈন্য নিয়ে ২০০০ সালের ১লা জানুয়ারী ২:৩০ মিনিটে আক্রমন করা হলো।৩দিন ব্যাপি যুদ্ধে ৬০০মায়ানমার সেনা নিহত হয়।
..
এবার আপনাদের মনে একটি প্রশ্ন হয়তো মায়ানমার কিভাবে আমাদের যুদ্ধের ইঙ্গিত দিল??
বেশ কয়েক মাস আগে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর পেজ হতে ঢাকাকে চিহ্নিত করে বলেছিল এটা তাদের নেক্সড রাজ্য। বাদ দেন সোসাল মিডিয়ায় কথা।
..
সীমান্তে তাদের ব্যাপক হারে সৈন্য নিযুক্ত নিশ্চয় ভালো কিছু ইঙ্গীত করে না।এইটা তাদের রাষ্ট্রিয় ব্যাপার তবে একটু নলেজে রাখা ভালো।
..
২০১৪সালের ২৯জুন লাইক্ষংছড়ি সীমান্তে বিজিবির টহল বাহিনীর উপর হামলা।নিহত হন নায়েক মিজান।৩০জুন লাশ ফিরত দেবে বলে বিজিবিকে ৫২নং সীমান্ত পিলারে ডেকে আবার হামলা।
৫টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আমরা আশা করব সকল সমস্যার সমাধান খুব দ্রুতই যেন হয়।কথা হলো এর সমাধানে বিশ্বকে এগিয়ে বা তাদের মনোযোগে আনতে হবে।সুন্দর উপস্থাপনা -{@
নিহারীকা জান্নাত
চোখ কান খোলা রাখা উচিত।
নীলাঞ্জনা নীলা
তার মানে আবার কোনো কূটকচাল শুরু করতে যাচ্ছে তারা।
বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ সতর্ক দৃষ্টি রাখা।
আবু খায়ের আনিছ
মূল বক্তব্যটা কি? মিয়ানমারের সাথে যুদ্ধ? আপনার মুল বক্তব্যটা পরিস্কার নয়। সুশিল কি বলল, ফেইজবুকে পাবলিক কি বলল সেটা অনেক পরের কথা।
চায়ের দোকানদার বিরাট কোলির ব্যাটিং ভুল ধরতে পারে, শুধু নিজের দোকানের চা টাই ঠিক মত বানাতে পারে না।
ইঞ্জা
সরকার অবশ্যই সতর্ক আছে আশা করি।