ডিরেক্টর অপু তার অ্যাসিস্ট্যান্ট শাওনকে বলল, “আজ তোমাকে প্লট বলব। তোমার স্ক্রিপ্ট লেখা কমপ্লিট হলেই কাজ শুরু করব। কলকাতার শিবকুমার অনেকদিন ধরেই চাচ্ছিলেন আমার সাথে কাজ করতে। এবারের ফিল্মটা কলকাতার শিল্পীদের নিয়েই করব।”
“হুম, এটা ইন্দো-বাংলাদেশি ফিল্ম হবে?”
“হুম” মাথা নাড়ল অপু। বলল, “Rebirthএর উপর।”
“পুনর্জন্ম?”
“হুম, ঐখানকার লোকজন এসব মাল ভালো খায়।”
“বাণিজ্যিক ছবি?”
“হুম, কলকাতার producerএর সাথে যখন কাজ করছি, বাণিজ্যিক ফিল্মই করে দেখি আগে। কি বল?”
“কাহিনী একটা মাথায় ঘুরছে অনেকদিন ধরেই। সাজাতে পারিনি পুরোপুরি। পুনর্জন্ম নিয়ে স্টাডি করেছি বেশকিছুদিন। একটা মজার ব্যাপার কি জানো? পুনর্জন্মের উপর যতো ফিল্ম হয়েছে, সব ফিল্মগুলোতেই বিশাল ভুল রয়েছে। পুনর্জন্মের কনসেপ্ট অনুসারে, কর্মফল ভোগের জন্য বারবার জন্ম হয় মানুষের। মৃত্যু হল আত্মার দেহবদল। অর্থাৎ আত্মা এক দেহ ছেড়ে অন্য দেহ গ্রহণ করে। রাজা ভরত নামে এক রাজা একটি হরিণশিশুকে ভীষণ আদর করতেন, পরের জন্মে তিনি হরিণ হয়ে পৃথিবীতে আসেন। ফিল্মগুলোতে নতুন জন্মে দেহবদল অর্থাৎ চেহারাবদল দেখায় না।”
“জ্বি, স্যার। তাই তো… Om Shanti Om, Magadheera…”
“এখন গল্পের প্লট শোনো। গল্পে ২টা যুগ। একটা বর্তমান যুগ, আরেকটা হল ১৫শ’ শতাব্দী। সমান্তরালে ২টা যুগকে দেখাবো আমরা। ২০১৪এর অরণ্য একটা প্রাইভেট ফার্মের owner। সে প্রায়ই যুদ্ধের স্বপ্ন দেখে। যুদ্ধের স্বপ্নে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়, প্রায়ই সে দেখে অনেকটা মুঘলশাসকের মতো পোশাকপরা একসেনার সামনে হাঁটু মুড়ে পড়ে থাকে। আর সেই সৈনিক তরবারি উঁচু করে গলায় আঘাত করে, তখনি ঘুম ভেঙ্গে যায়। নয় বছর বয়স থেকে এই স্বপ্ন দেখছে সে। ইদানিং তার স্বপ্নে ক্রন্দনরতা এক রাজবধূকে দেখতে পায়, যে তাকে বারবার অনুরোধ করে না যাওয়ার জন্য। রাজবধূকে বীণা বাজাতেও দেখেছে সে। অরণ্য এক সাইকোলজিস্টের কাছে যায়। সাইকোলজিস্ট বলেন, তার বেশি বেশি মুভি দেখার ফল এটা। অরণ্যর বন্ধুদের ধারণা, অরণ্য জাতিস্মর।”
“জাতিস্মর?”
“যারা আগের জন্মের কথা মনে করতে পারে, তারা জাতিস্মর।”
“অরণ্যর বন্ধু অরণ্যকে বেদেদের পল্লীতে নিয়ে যায়। জটাধারী এক জ্যোতিষী বাবা অরণ্যর হাত দেখে ও কথা শুনে তাকে ধ্যান করার পরামর্শ দেন। এতে হয়ত অরণ্যর আগের জন্মের কথা পুরোপুরি মনে পড়ে যাবে। আটমাস meditation করে অরণ্য হাল্কা হাল্কা আঁচ করতে শুরু করল। প্রায় এগার মাস পড়ে সে তার স্বপ্নগুলোর ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে সমর্থ হল। ১৫২৭সালের দিককার কথা, ও ছিল রাজপুত, নাম ছিল মহারানা সংগ্রাম সিংহ। তাঁর বড় ভাই জয়মল। জয়মল অম্বা এক অপরূপ সুন্দর নর্তকীর অনুরক্ত ছিলেন। জয়মল অম্বাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়েও বিয়ে করছিলেন না। অম্বার পরিবার বিষপ্রয়োগে জয়মলকে মেরে ফেলল। তখন সিংহাসনে বসেন মহারানা সিংহ। ইতিহাসের বই ঘেঁটে অনেক তথ্য বের করতে সক্ষম হয় অরণ্য। মেডিটেশনের জন্য নতুন ভিশন দেখে স্বপ্নে। জয়মলের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে যায় মহারানা সিংহ। কিন্তু অম্বার সামনে গিয়ে হতবিহ্বল হয়ে যান মহারানা সিংহ। ধরণীর সব রূপ যেন অম্বায় এসে মিলিত হয়েছে। তরবারির বাট থেকে হাত খসে পড়ে। নিয়মিত যাওয়া আসা শুরু করেন রানা সিংহ। রানী কর্ণবতী জানতে পারার পর অনেক চেষ্টা করেন রানা সিংহকে আটকাতে, রানা সিংহের পা জড়িয়ে ধরেন, প্রার্থনা করেন, কাঁদেন। কর্ণবতীর কোন কথাতেই কর্ণপাত করলেন না রানা সিংহ। অম্বার রূপের মোহে মত্ত তিনি। ঐদিকে সম্রাট বাবরের নজর পড়ে চিতোর ও মেওয়াতে। টনক নড়তে দেরী হয় রানা সিংহের। যুদ্ধে যাওয়ার আগে শেষ বারের মত দেখা করতে যান অম্বার সাথে, কর্ণবতী আবারো বাধা দেন। তখন রানা সিংহ জানালেন যে, যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে তিনি অম্বাকে বিবাহ করবেন। অম্বার সাথে দেখা করতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন, বেশি করেই মদ্যপান করেন ঐদিন। ভোর রাত্রে প্রাসাদে গিয়ে যুদ্ধের পোশাক পড়ে যুদ্ধক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে সৈন্য নিয়ে বের হলেন। রাজপ্রাসাদ থেকে কর্ণবতী দেখতে লাগলেন, প্রার্থনা করতে লাগলেন ঈশ্বরের কাছে। যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুপক্ষের আক্রমণ থেকে বুঝতে পারলেন, রানা সিংহের যুদ্ধ পরিকল্পনা সম্পর্কে জেনে গেছে শত্রুপক্ষ। মনে মনে বললেন, “কেন? অম্বা কেন? আমি তো তোমাকে জ্যাষ্ঠ ভ্রাতার মত প্রতারণা করতাম না।” নেশার ঘোরে থাকাকালীন সময়ে যুদ্ধের পরিকল্পনা বারবার জানতে চাইছিল অম্বা। কর্ণবতীর নিষ্পাপ চেহারাটা ভেসে উঠলো চোখের সামনে। ইতিহাস অনুসারে, যুদ্ধে মারা যান রানা সিংহ। রানা সিংহের মৃত্যু সংবাদ শুনে রানী কান্নায় ফেটে পড়েন। কিন্তু শিশু রাজপুত্রকে সামনে রেখে রাজ্য পরিচালনা করতে থাকেন। আবার আক্রান্ত হয় চিতোর, এবার আক্রমণ করেন গুজরাটের বাহাদুর শাহ্। রানী বাবরপুত্র হুমায়ুনকে ‘ভাই’ সম্বোধন করে ‘রাখী’ পাঠান সাহায্যের আবেদন করে। কিন্তু হুমায়ুন দেরী করে ফেলেন। পরাজয় নিশ্চিত। রাজপ্রাসাদে শত্রুপক্ষ ঢুকে পড়বে। রাজপুত রমণীদের কাছে সম্ভ্রমহানি থেকে মৃত্যু শ্রেয়। রানা সিংহকে স্মরণ করে অন্তরপুরের সকল রমণীদের নিয়ে ‘জোহর’ করলেন, ঝাঁপ দিলেন আগুন। ৮ মার্চ, ১৫৩৫সাল, উপমহাদেশের ইতিহাসে, পৃথিবীর ইতিহাসে ২য় জোহর। অরণ্যর পুনর্জন্মের সবকথা মনে পড়ে গেল। কর্ণবতীর সাথে অন্যায় করেছে সে। এই জন্মে সে কর্ণবতীকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেবে সে। কিন্তু কর্ণবতীকে কিভাবে খুঁজে বের করবে ও? জন্মান্তরে দেহ বদল হয়। কিভাবে চিনবে ওর কর্ণবতীকে? রূপের মোহে অন্ধ রানা সিংহ ভালবাসার অনুভুতিকে অবজ্ঞা করেছিল। জ্যোতিষীর কাছে গেল অরণ্য। জ্যোতিষী বললেন, অপেক্ষা ছাড়া কিছুই করার নেই।
দু’বছর পর। অরণ্য একটা কাজে দূরে যাচ্ছিলো। রাস্তায় এক ভয়াবহ সুন্দরী মেয়ে লিফট চাইল। মেয়েটির কথা কোনমতেই ভুলতে পারছিল না। চেনা চেনা লাগছিল খুব। পুরাতন নায়িকাদের মত করে টেনে কাজল দেয়া চোখে। অরণ্যর মনে হল- এই মেয়েটি কি অম্বা? হয়ত এই জন্মেও অম্বার মত কেউ ওকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। সেই ‘কেউ’ই এই মেয়েটি। মেয়েটির নাম মন্ময়ী। কেন জানি অরণ্যর মনে হতে লাগলো, ওর মন জুড়ে মেয়েটি অবস্থান করছে। অরণ্য আবার রাজপুতদের ইতিহাস নিয়ে ঘাটতে লাগলো। অনেকগুলো বই কিনল, ঘাটতে ঘাটতেই ঘুমিয়ে পড়ল বইএর উপরে। রানী কর্ণবতীর পিছনে ছুটছে অরণ্য মরুভুমির উপর দিয়ে, চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলছে, ‘প্লিজ, থামো’। রানী দৌড়াচ্ছে না , হাঁটছে, আর অরণ্য দৌড়াচ্ছে, তাও ধরতে পারছে না। ভীষণ তেষ্টা পেয়েছে ওর, বালুর উপর উপর হয়ে বসে পড়ল। কর্ণবতী ঘুরে দাঁড়ালো, জলের ঘটি এগিয়ে ধরল। হাত দিয়ে জল খেতে খেতে তাকিয়ে দেখতে লাগলো কর্ণবতীকে। কর্ণবতীর চোখের দিকে তাকিয়ে ভীষণ অবাক হল, কিছু একটা খুবই পরিচিত লাগলো। অরণ্যর ঘুম ভেঙ্গে গেল। মন্ময়ীর কাজল দেয়ার ধরনটা একদম কর্ণবতীর মত। পুনর্জন্মের থিওরি অনুসারে, আগের জন্মের কিছু ছাপ নিয়ে আসে মানুষ। মন্ময়ী কি তাহলে কর্ণবতী? হয়ত অম্বার থেকে রূপসী হবার আকাঙ্ক্ষা জন্মছিল কর্ণবতীর, সেজন্যই হয়ত এতো সুন্দর মন্ময়ী। মন্ময়ীকে খুঁজে পেতে অসুবিধে হল না অরণ্যর। কিন্তু মন্ময়ী কি বিশ্বাস করবে? আজগুবি বলে উড়িয়ে দেবে না তো? মন্ময়ীর সাথে দেখা করল, বন্ধুত্ব করল। একদিন জানতে চাইল, মন্ময়ী পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে কিনা। মন্ময়ী বলল যে সে করে। সে নাকি প্রায়ই স্বপ্ন দেখে, সে আগুনে ঝাঁপ দিচ্ছে। মন্ময়ীর স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে থাকে অরণ্য। মন্ময়ী বিকট শব্দে হেসে উঠে। বলে, “আমি যে সুন্দর সেটা জানি। আপনি যে আমার প্রেমে আমার প্রেমে পড়বেন সেটাও জানতাম প্রথম দিন থেকেই। কিন্তু এমন অবাস্তব গল্প ফাঁদবেন- ভাবতেই পারছি না। আপনি ফার্মের কাজ ছেড়ে রূপকথার গল্প লিখুন। অনেক টাকা কামাবেন, বিশ্বাস করুন, নিজের প্রতিভাকে এভাবে নষ্ট করবেন না।”
“আপনি যে জোহরের স্বপ্ন দেখেন- সেটা তাহলে কি?”
গল্পের বাকী অংশ পড়তে চলে আসুন বইমেলায়, সংগ্রহ করুন “অনুভূতি গেছে অভিসারে”।
৫২টি মন্তব্য
শিশির কনা
কাকে দেখছি আজ সোনেলায় ? আমিও তেমন আসতে পারিনা , পড়াশুনায় বিজি খুব । তবে মিস করি সোনেলার প্রথম সেই দিনগুলোকে । আপনাকেও মিস করি ।
কৃন্তনিকা
আমিও পড়াশুনার চাপে পিষ্ট প্রায় ;( ;( ;( গল্প লেখার সময়ও হয়ে ওঠে না। লিখেই ফিরে এলাম… আমি কিন্তু মাঝে মধ্যেই উঁকি দেই সোনেলাতে। আমিও ভীষণ মিস করি ঐদিনগুলো, কিন্তু এখনি চলছে সোনেলার সোনালী দিন 🙂
শিশির কনা
হ্যা , এখন সোনেলার সোনালী দিন । প্রথম থেকে ছিলাম আমরা কয়েকজন । আমিও আসি সোনেলায় সময় পেলেই । নিজের মনে হয় এই সাইটকে । পড়াশুনার চাপে মরে গেলাম আপু। কেন যে মেডিকেলে পড়তে গেলাম 🙁
কৃন্তনিকা
এই সাইট এখনো আমাদের, আজীবনই আমাদের… মেডিকেলের জ্বালা নিয়ে কিছু বলার নাই… ^:^
ব্লগার সজীব
শুভ প্রত্যাবর্তন কৃন্তনিকা আপু -{@ 🙂 , এতদিন পরে এলেন , কত খুশী হয়েছি বুঝাতে পারবো না । মাঝে মাঝে তো ভাবি সোনেলা পরিবারের ভাই বোনদের ভুলে গেলেন কিনা ।
কৃন্তনিকা
ধন্যবাদ। ভুলিনি সোনেলাকে, ভুলিনি কাউকেই। সময়ের দোষেই উধাও হয়ে গেছিলাম, আবার সময়ের গুনেই ফিরে এলাম :p । অনেকদিন কোন গল্প লেখার সময় হয়ে উঠেনি, লিখে ফেললাম, তাই দেখতে পাচ্ছো ভাইয়া। কিন্তু মাঝেই মাঝেই আমি উঁকি দেই সুযোগ পেলেই 🙂 সোনেলাকে ঘিরে অনেক স্মৃতি আমার…
ব্লগার সজীব
প্লট পড়লাম । পড়লাম বলা ভুল হবে , একটি মুভি দেখলাম মনে হয় । এতটাই মগ্ন হয়ে গিয়েছি যে মনে হলো আমিই রানা সিংহ । অবশ্য ব্যর্থ একজন মানুষ 🙁 এমন লেখা দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
সোনেলাকে ঘিরে অনেক স্মৃতি আমাদের । কিছু লেখাটা এখানেই শুরু করেছিলাম। নিজের মনে হয় এই সোনেলাকে । ভালো থাকুন ।
কৃন্তনিকা
আমার গল্প পড়ে কেউ চোখের সামনে কল্পনা করবে- ভাবতেই ভালো লাগছে। অবাক লাগছে। মানে আমি বেশ ভালোই লিখি… :p তুমিও বেশ সুন্দর করে প্রশংসা করলে। প্রশংসা করতে ওস্তাদ হয়ে গেছো ;?
সোনেলাকে ঘিরে আমাদের আসলেই অনেক স্মৃতি। নিজের ‘মনে হওয়া’ তো ঠিক না… :@ বলো, “আমাদের সোনেলা”।
শুভকামনা রইল তোমার জন্যও… -{@
শিশির কনা
পড়লাম আপনার প্লট । এমন ভাবে লিখেছেন যেন সব চরিত্র এবং ঘটনা বাস্তব । চোখের সামনেই যেন দেখছি ঘটনা গুলো । মুভি বানাবেন নাকি আপনি ?
কৃন্তনিকা
পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো। এটা লিখে চিন্তায় ছিলাম আগের লেখাগুলোর মত প্রাঞ্জল হয়েছে কিনা। কয়েকটি চরিত্র বাদে আর সব চরিত্রই ঐতিহাসিক। মুভি বানানোর স্বপ্ন আমার অনেকদিনের, কিছু স্বপ্ন শুধুই স্বপ্ন… 🙁 বইই বের করতে পারলাম না… ;( দেখি , আরেকটু বড় হই, তারপর …
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
আপনি আর কোথায় লিখেন বলুনতো । আপনার লেখার হাত তো অসাধারন । কাহিনীকে টেনে নিতে পারেন আকর্শনীয় ভাবে । অসাধারন লিখেছেন আপনি ।
টুইস্ট টা কল্পনাতেই আসেনি আমার । লিখতে থাকুন আপনি । আমি নিশ্চিত লেখায় আপনি ভালো করবেন ।
কৃন্তনিকা
আমি সোনেলাতেই লিখি। আমার আগের লেখাগুলো আমার প্রোফাইলেই পাবেন।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। মন্তব্য দেখে খুশি হয়ে গেলাম। 😀 😀 😀
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
লিখুন আপনি । থামবেন না । লেখার জন্য ভালোই একটা সাইট খুঁজে নিয়েছেন । সোনেলাকে পুর্ন করুন লেখা দিয়ে । আপনি তো বেশ আকাংখিত সোনেলায় 🙂 মন্তব্য দেখে বুঝলাম -{@
কৃন্তনিকা
থামার ইচ্ছে আমারো নেই 🙂
সোনেলাকে পূর্ণ করার জন্য এখন আপনার মত অনেক লেখক-লেখিকা আছেন। তবুও আমাকে পাবেন সোনেলাতে যদি লিখি।
আমাদের সোনেলায় সবাই আকাঙ্ক্ষিত, সোনেলা কাউকেই ভুলে যায় না, কাউকে ভুলতে দেয়ও না। 🙂
মশাই
গল্পটি বেশ সুন্দর। তবে আকারে বড়। এমন বড় গল্প লেখা কঠিন। আপনি সেই কঠিন কাজটি সুন্দরভাবে করেছেন। আপনাকে অভিনন্দন।
কৃন্তনিকা
ধন্যবাদ পড়ার জন্য 🙂 । সুন্দর লেগেছে জেনে ভাল লাগলো। এই গল্পটি লেখার আগে আমাকে প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়েছে ঐতিহাসিক চরিত্রগুলো নিয়ে। এরপরেও চিন্তায় ছিলাম গল্পটি বড় হওয়ায় পাঠকের ভাল লাগবে কিনা…
শুন্য শুন্যালয়
আমার কাছে তো একদমই বড় হলোনা। শেষ করার পর মনে হলো এ গল্প শেষ হলো কেনো? চুম্বক টান যাকে বলে। আপনার লেখা আগেও পড়েছি, ভালো লেখেন এটা আর বলবোনা। গল্প টা দিয়ে বাণিজ্যিক মুভি হবেনা তবে অসাধারণ একটা মুভি নিশ্চয়ই করা যাবে। কেউ যদি করতো!!!! প্লিজ মাঝে মাঝে আসুন এখানে নইলে আপনার বাড়ির ঠিকানা দিন আমি যাবো।
কৃন্তনিকা
বেশ ভাল লাগছে আপনার মন্তব্য দেখে। আমার লেখা গল্পটি আপনাকে ধরে রাখতে পেরেছে জেনে ভীষণ পুলক অনুভব করছি। 😀 😀 😀 মুভি হলে তো ভালোই হয় :p কিন্তু প্রযোজক পাবো কোথায়? ;? আমি মাঝে মাঝেই আসি, অল্প সল্প লেখাও পড়ি, মন্তব্য করি। অনেকদিন লেখা হয় না, তাই আমাকে দেখতে পাননি। নতুন কোন লেখা লিখলে এখানেই আমাকে পাবেন 🙂 🙂 🙂
আজিম
গল্পটা খুব ভাল হয়েছে। কল্পনাশক্তিও আপনার অনেক বেশী।
ধন্যবাদ।
কৃন্তনিকা
আমার কল্পনা আপনার ভাল লাগাতেই আমার আনন্দ। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। 🙂 🙂 🙂
মিথুন
প্রথমে পড়তে ভয় পাচ্ছিলাম বড় বলে, তবে না পড়লে সত্যিই মিস করতাম। চমৎকার গল্প।
কৃন্তনিকা
লেখাটি বড় দেখে নিজেরও সংকোচ ছিল প্রকাশ করব কিনা… ভাবলাম… হয়েই যাক এক্সপেরিমেন্ট…
চমৎকার লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
অনেকদিন অনেক কাল পরে লিখলেও লেখার হাতটি বেশ তরতাজাই রেখেছেন দেখে ভালো লাগল ।
তা আগে বলুন সময় দিচ্ছেন কী দিচ্ছেন না ? পড়াশোনা আছে এবং থাকবে এবং প্রাধান্য নিয়েই ।
এমন লেখা এই প্রথম পড়লাম ।
কৃন্তনিকা
হুম। অনেকদিন পরেই লিখলাম। আসলে এক একটা গল্প লিখতে অনেক সময় লাগে… হুট করে কিছু লিখতে পারি না…আমার ব্যর্থতা 🙁
সময় দেওয়ার সময় থাকলে দেই…নয়ত দিই না 🙁 🙁 🙁
নতুন ধরনের আইডিয়া মাথায় এলেই লিখে ফেলি 🙂
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার মত একজন পাঠক পেয়ে ধন্য, এতদিন পরেও আমাকে মনে রেখেছেন, তাই অনেক ভাল লাগলো। \|/
বনলতা সেন
লেখার বিষয়ে বলছি না ।
আমাদের ভুলে যাননি তা দেখেই ভালো লাগে ।
কৃন্তনিকা
আপনাদের কি ভোলা সম্ভব? 😮
আদিব আদ্নান
কুল কিনারা করা কঠিন ।
কৃন্তনিকা
কিসের কুল কিনারা? বুঝলাম না…
আদিব আদ্নান
কঠিন মনে হয়েছে সেটি বলতে চেয়েছি ।
কৃন্তনিকা
গল্পটি একটু কঠিন, কিন্তু এর থেকে সহজ করে লেখা আমার পক্ষে সম্ভব হয় নি। 🙁
জিসান শা ইকরাম
আপনি কম লেখেন ,
যেটি লেখেন তা সব সময়ই ব্যাতিক্রমী , আলাদা এবং অত্যন্ত শুপাঠ্য হয় ।
কোন বিরতি ছারাই একবারে লেখাটি পড়ে ফেললাম ।
এত পড়াশুনার চাপে যে আপনি এমন ভাবে আবার লিখতে পারবেন , তা ভাবিনি ।
গল্পটি মানের বিচারে আপনার আগের গল্পকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বলে মনে হয় আমার।
অনেক দিন পরে আপনাকে গ্লপ নিয়ে হাজির হতে দেখে ভালোই লাগলো।
শুভ কামনা ।
কৃন্তনিকা
হুম, বেশি লেখা আসে না, কি করবো বলুন? যখন মাথায় কিছু আসেম লিখে ফেলি। অনেকদিন ধরে এডিট করি। নিজে পড়ে দেখি আদৌ পড়ার যোগ্য কিনা :p … তারপর প্রকাশ করি। পড়াশুনার জন্য গল্প লেখায় বেশ ব্যাঘাত হচ্ছে- সত্য 🙁 তাই বলে হারিয়ে যাবো না।
জেনে ভাল লাগলো যে আমার আগের গল্পগুলোর থেকে এটি ভাল হয়েছে 😀 😀 😀
চিন্তায় ছিলাম আগের গল্পগুলোর মত ধরে রাখতে পারবে কিনা…
গল্প লিখলে তো হাজির হবো। এটাই তো ঠিকানা আমার… (3
আপনার জন্যও রইল শুভকামনা।
আগুন রঙের শিমুল
হুম জিসানদা বেশ পরিশীলিত একজন লেখক পাইছেন দেখা যায় 🙂
জিসান শা ইকরাম
হ্যা , শিমুল ভাই , আমার দেখা নতুন গল্প লেখকদের মাঝে সেরা এই লেখক । পাঠকদের চুম্বকের মত আটকে রাখেন লেখায় ।
কৃন্তনিকা
ভীষণ লজ্জা পেলাম… 🙂
খসড়া
বাহ চমতকার।
কৃন্তনিকা
ধন্যবাদ।
আপনাকে চমৎকৃত করতে পেরে ধন্য হলাম। 🙂 🙂 🙂
আগুন রঙের শিমুল
ওয়াও
এরকম টানটান লেখা বহুদিন পড়িনি
অসম্ভব ভালোলাগা জানবেন 🙂
কৃন্তনিকা
😀 😀 😀
পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার ভালোলাগা জেনে আমারো ভীষণ ভাল লাগলো। 🙂 🙂 🙂
লীলাবতী
আপু আমার মনে হয় আপনার এটি সেরা লেখা । ইশ একটি সিনেমা যদি হতো এই প্লটের মত ।
কৃন্তনিকা
ধন্যবাদ পড়ার জন্য, লীলাবতী। 🙂
সেরা লেখা কিনা জানি না, তবে লেখার সময় চোখের সামনে সিনেমা হিসেবে কল্পনা করেই লিখেছি।
নীতেশ বড়ুয়া
এই প্লটের সিক্যুয়াল+প্রিক্যুয়াল সবই সেরা লীলাপু 😀
কৃন্তনিকা
🙂
ব্লগার সজীব
অনেক দিন হয়ে গেলো কিন্তু আপু। নতুন পোষ্টের জন্য আর কতো অপেক্ষা করবো ?
কৃন্তনিকা
গল্প তো লেখা হচ্ছে না। তবে একটা সিরিয়ালের উপর রিভিঊ লিখেছি। ওটা পড়ে দেখতে পারো … 🙂
https://sonelablog.com/archives/18517#comments
নুসরাত মৌরিন
গল্পটী পড়ছি…পড়ছি…পড়ছি।হঠাৎ দেখি শেষ। মনে হলো যেন খুব অল্প সময় একটা অসাধারন ফিল্ম দেখে ফেললাম।
এক টানে ১৫শ শতক থেকে ২০১৪ এ পরিভ্রমন করিয়ে আনলেন এক নিমিষে… ।আমি মুগ্ধ।ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুন সিরিজ।
কৃন্তনিকা
গল্পটি লেখার সময় আমি নিজেও ফিল্মের মত কল্পনা করেছিলাম… 😛
গল্পটি লেখার জন্য ইতিহাস নিয়ে ঘাটতে হয়েছে বেশ 🙁 । যেহেতু দারুণ লেগেছে, তার মানে আমার খাটুনি বৃথা যায় নি। 🙂
🙂 🙂
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বোকা মানুষ
এ যে দেখছি ছুপা রুস্তমনি! এতদিন কেন পড়লাম না এনার লেখা! দারুন! প্রচলিত ভাবনার বাইরে গিয়ে লেখা! লেখা নিয়মিত হোক, এই প্রত্যাশা!
কৃন্তনিকা
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
হুম… প্রচলিত ভাবনার মধ্যে লিখলে কি মনে রাখতেন? বা ভালো লাগত? ;?
আমি হুটহাট করে লিখতে পারি না, এটা আমার ব্যর্থতা। কোন কিছু মাথায় এলে লিখতে পারি।
লেখা যতদিন নিয়মিত হতে পারছে না, কষ্ট করে আগের লেখাগুলোতেই প্রত্যাশা পূরণ করুন।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
আমার একটা বদ অভ্যেস আছে-কিছু পড়তে শুরু করলে প্রতি শব্দে তা নিজের অজান্তেই ভিজ্যুয়ালাইজ করে পড়তে থাকি। ভিজ্যুয়ালাইজ করতে না পারলে জেনে নেই যে – হয় আমার পড়ার ভুল হচ্ছে বা আমি লেখককে ধরতে পারছি না। আবার এও প্রচন্ডভাবে বিশ্বাস করি যে লেখকের সেই লেখাই সব চাইতে ভাল হয় যে লেখায় সে পাঠককে প্রতি শব্দে ভিজ্যুয়ালাইজ করাতে পারে।
এই লেখাটি পড়ে আমি আপনাকে এইটুক বলতে পারি যে আমি ১৫০০ শতাব্দীর কিছু ইতিহাস কল্পনামিশ্রিত হয়ে ভ্রমণ করে ফেললাম…
বিশেষ করে শেষাংশের পরিণতিটা গল্পকে বা প্লটটাকে পুরোই ভিন্নধারায় নিয়ে গেলো… -{@ (y)
কৃন্তনিকা
লেখাটা লেখার সময় আমি নিজেও কল্পনা করেই লিখেছি… (লেখাটি লিখতে আমাকে অনেক পড়াশুনা করতে হয়েছে ১৫০০ শতাব্দীর উপরে… :p )
আমার কল্পনাকে কারো নিউরোনে অনুপ্রবেশ করাতে পারছি জেনে আমিও উল্লসিত। আমার পড়াশুনা ও গবেষণা তাহলে সার্থক হয়েছে। 😀 😀 😀
নীতেশ বড়ুয়া
জেনে শুনে গবেষণা করে লিখেছেন সে তো পরিষ্কার 🙂 সার্থক হলাম আমিও 🙂