‘প্রেম যৌনতা ও আমরা’

জি.মাওলা ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩, বৃহস্পতিবার, ১২:১৪:২৬অপরাহ্ন রম্য ১ মন্তব্য

‘‘প্রেম যৌনতা ও আমরা’’
বর্তমানে হাল ফ্যাশনে প্রেম করা বা প্রেমে পড়া একটি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রেম না করাটাই যেন বিস্ময়কর একটা ঘটনা। আর এই প্রেমের সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে মোবাইল ফোন। কি যুবক কি যুবতি, বা স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়ে সকলে নিমজ্জিত এই সুধা পানে।
রাত দিন ভর মোবাইলে গুজুর-গুজুর,ফুসুর-ফুসুর । আল্লাহ ভাল জানেন এরা এত কি বিষয় নিয়ে কথা বলে। সারা দিন ডেট মেরে আর কি কথা থাকতে পারে, সারা রাত জেগে আবার কথা। আর এই মোবাইল বিল এর দায় পড়ে ছেলের বাবার ঘাড়ে। কারণ বেশির ভাগ ( প্রায় ৯০%-৯৫%) কল গুলি করে ছেলেরা। ভাই গুলি একবারও কি মনে হয়না , পিতৃদেব কত কষ্ট করে টাকা উপার্জন করে। বিবেকের কাছে কি একবারও প্রশ্ন জাগে না, কাজটা কি ঠিক করছি ?
আর যারা বাড়ি ছেড়ে শহরে থাকো তাদের বলব , তোমরা যেমন সেকেন্ডে সেকেন্ডে প্রেমিকা কে কল কর, বল জানু খাইছ, ঠিকমত ঘুমাইছ। এত খোঁজ নাও। প্রিয় মা বাবা কে কি ঐ রকম কল কর, বা একটিবারও বাবা মা কে ফোন করে বল – বাবা বা মা-মাগো তুমি দুপুরে খাইছ। তা হলে কি, তোমার ঐ প্রেমিকা তোমার মা বাবার চেয়ে তোমার কাছে প্রিয় ?
এই তো গেল কল করা নিয়ে বাদানুবাদ। এবার আসি ডেটে যাবার ঘটনায়………।।
ডেটিং এ যেতে হলে যেতে হবে নির্জন কোন এলাকায়। যেন পরিচিত কেও দেখে না ফেলে। আর এই নির্জনতার চাওয়ার কিছু গোপন অভিসন্ধি রয়েছে আমাদের ছেলেদের( মেয়েরা নির্জনতা চায় কি না আমি জানিনা, চায়লে কেন চায়, একজন মেয়েই ভাল বলতে পারবে)। নির্জনে খুব সহজে হাতের ব্যায়াম করা যায়। হায়রে বনটি একটু ভাল খাবার আর মিষ্টি কথায় তুমি তোমার সবচেয়ে সেরা বস্তুটি তুলে দিচ্ছ একটা লম্পট এর হাতে। তুমি কি যান সে তোমাকে বিয়ে করবে । ১০০% শিয়র থাক করবেনা। প্রবাদে আছে……………
>যে মেয়ে বিয়ের আগে তার রান্নাঘর কোন ছেলের হাতে তুলে দেয়, সে ছেলে জীবনে আর ঐ মেয়েকে বিয়ে করবেন

এবার আসি রুম ডেটিং এর কথায়। ছেলেরা খুব সহজে মেয়েদের ফাঁদে ফেলে রুম ডেটিং এ বাধ্য করে। বেশির ভাগ ছেলে সম্পর্ক কাট বা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দিয়ে মেয়েটিকে বাধ্য করে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে ফেলতে। শুধু তা হলে না মানা যেত, অনেকে আবার গোপনে সেই দৃশ্য রেকর্ড করে। পরে তা দেখিয়ে মেয়েটিকে তার সেক্স দাসীতে পরিণত করে। অনেক মেয়ে আবার তা নেটে ছড়িয়ে দিচ্ছে। কত বড় কুত্তার বাচ্চা এরা। অনেক সময় মেয়ে গুলিও এই ভেবে এর কিছু বলেনা ভিডিও করতে দিতে যে, ওকে তো সব দিয়েছি ভিডিও করলে এমন কি হবে।

বোন গুলি এমন কাজ করবেন না, যখনই আপনার প্রিয় প্রেমিক টি , আকার ইঙ্গিতে বা সরাসরি এমন রুম ডেটিং এর প্রস্তাব দেই, তখনি ঐ হারামির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করুন। কারণ জীবনেও তারা তোমাকে ভাল বসেনি, তারা শুধু তোমাকে বিছানায় নেবার জন্য এত দিন এত ইনভেষ্ট করেছে। আর যদি চরম কাজটি করেই ফেলেন তবে রুমটি একটু ভাল করে দেখে নিন হারামিটি গোপন কোন ভিডিও যন্ত্র লুকিয়ে রেখেছে কি না। আর খুব অন্তরঙ্গ ছবি বা ভিডিও কখনও করতে দিবেন না। কারণ সম্পর্ক পরে নষ্ট হলে ঐটি তারা নেটে ছড়িয়ে দিতে পারে বা তোমাকে ব্লাক মেইল করতে কাজে লাগাতে পারে।

 

এবার আসি বিবেকের প্রশ্নে। এই যুবক বা যুবতী বয়সে রক্তের গরমে এমন চরম একটি অনৈতিক কাজ কি পরবর্তী জীবনে আমাদের মনে ছায়া ফেলবে না। ১০০% ফেলবে। তখন বা একটু বয়স হলে বা পড়ন্ত বয়সে কি ঐ সব ঘটনা মনে আসবে না ? তখন কি ভাবে নিজের বিবেক কে বুজ দেবেন। তখন কি একটুকু খারাপ লাগা তৈরি হবে না ? আর আমরা মুসলিম হলে ইসলাম ধর্মে এই সব ব্যাভিচার হিসেবে গণ্য। আর এর জন্য রয়েছে কঠিন ও কঠোর শাস্তির বিধান।

 

> এখন আপনারাই ভাবুন কি করবেন। অবৈধ কাজ না বৈধ কাজ।
গোলাম মাওলা, বাসাবো, ঢাকা

https://www.facebook.com/golammaula.akas/posts/556895414378388

৬১৫জন ৬১৫জন
0 Shares

একটি মন্তব্য

  • খসড়া

    আপনার এ লেখাটি চমতকার, অবশ্যই এটা খুব বাস্তবচিত্র। মেয়েগুলি খুব বোকা। খুব সহজেই প্রেমের ফাদে পা দিয়ে বড় বড় ভুল করে মারাত্বক জরিমানা দেয়। যার ফলে সে শুধু নয় তার পরিবার সহ সবাই জীবনমৃত্য হয়ে বেচে থাকে। ছেলের প্রিবার বুক ফুলিয়ে চলে একবারও ভাবে না এই ছোবলটি তার মেয়ের ঘাড়ে এসে পরতে পারে। ছেলেকে না শুধরালে তার মেয়েটিও যে নিরাপদ নয়। তাই শিক্ষার শুরুটা পরিবার থেকেই হওয়া উচিৎ।

মন্তব্য করুন

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ