আয়’রে খ্যাপা
_________________________________
_________________________________
খ্যাপার ঘাটে নাইকো ভিড়
খ্যাপার তরী শুন্য লো,
খ্যাপার গাঁয়ে বৌ ছেলেরা
নবীন ঘাটে চলল লো।
আয়রে খ্যাপা আয় খ্যাপে
খ্যাপার তরী যায় ভেসে,
খ্যাপার গানে খ্যাপার নায়ে
সব খ্যাপারা আয় হেসে।
আয়’রে হেথায় পাগলা মন
আয় যেখানে মাতাল মন,
আয়’রে হেথায় ভোলার দ’লে
আলা-ভোলা সাজবো ক্ষণ।
আয়’রে ভেসে নবীন দেশে
বেজায় বাজে ঊর্মিসুর,
মন ভোলানো চোখ পাকানো
সিন্ধু-গিরি কোন সে দূর!
আয়’রে তবে খেয়াল ভবে
আয় নেচে মন ছন্দেতে,
আয়’রে ছুটে আজ নীশিথে
আয় খ্যাপা মন রঙ্গেতে।
_________________________________
_________________________________
পাগলা দাশুর বিয়ে
_________________________________
_________________________________
বিয়েটা কার?পাগলা দাশুর,
আবোল-তাবোল মেয়ের ভাসুর।
ঘটক কে ভাই?শ্বশুর-মশাই,
ঘটক তো নয়,যেন আস্ত কসাই!
কোন সে মাসে?আষাঢ় মাসে,
কুমড়ো-পটাশ গুমরে হাসে।
নাম কি মেয়ের? দিল্লি কাবিন,
মেয়ের বাপের তিনটা যে শিং!
দেনা-পাওনা? ছেলে চায় না,
মোটেও তা নয় -মিহিদানা!
_________________________________
_________________________________
ঘুমপাড়ানি মাসি
_________________________________
_________________________________
দাশুর চোখে নাইকো ঘুম
ঘুম-পা-ড়া-নি মাসি,
দাশুর চোখে ঘুম দিয়ে যাও
উধাও হাওয়ায় আসি।
রাত ফুরাতে ঘুম কুড়াতে
কোন বিদেশে যাও?
কি গো মাসি,কোথায় আসি
কি —বা তুমি খাও?
চাঁদের আলো?রোদের আলো?
ওসব ভস্ম ছাই!
মা দিয়েছে দুধ-কলা-ভাত
এসো মাসি খাই।
_________________________________
_________________________________
আলা-ভোলা
_________________________________
_________________________________
আয়’রে আলা আয়’রে ভোলা
আয়’রে হেসে দুয়ার খোলা,
আয়’রে নেচে আয়’রে গেয়ে
আয়’রে দেখি সকাল বেলা।
আয়’রে খোকন মায়ের কোলে
চাঁদমুখো খানিক বদন তুলে,
আয়’রে ছুটে আয়’রে ফেলে
আয়’রে ছেড়ে পুতুল খেলা।
আয় দেখি তোর বপুতে মাখি
সকাল বেলার রোদটা খানিক,
আয়’রে তোরে চুমোয় ভালে
আয়’রে সোনা আয়’রে মানিক।
আয় যাদু ধন ঘুচুক বাঁধন–
আয়’রে কাজল পরায় চোখে,
যাস’নেকো বাপ্ কোন সে দূরে
আয়’রে আলা-ভোলা ওরে।
_________________________________
_________________________________
দাশুর সুনাম
_________________________________
_________________________________
বুদ্ধি-খোরের খুড়োমশাই
অঙ্কে দেখি সবাই পাকা,
আলা-ভোলা-ট্যাপা-হাবা
দাশুরটা যা মাথা ‘খাসা!
পন্ডিতেরি নাইকো জুড়ি
যোগ বিয়োগে হুলোস্থুল,
ভাগের বেলায় হ্যাংলাবুড়া
কারোর মাথায় নাইরে চুল।
যেইনা বাজে সাড়ে তিনটে
অমনি ছুটে পাঠশালে,
নাইকো কারোর দুষ্টমিভাব
নাইকো হেলা পাঠদানে।
তবুও বলি খুরো-মশাই
একটু ট্যাপা বদমেজি,
কথায় কথায় অমনি হাবা-
আলা-ভোলার খ্যাঁচখ্যাচি।
দাশুটা বেশ ধন্যি ছেলে
অকাজে তার গুমরো মুখ,
বলি-হারি খুড়োমশাই
অঙ্কে দাশুর সুনাম খুব।
________________________________
________________________________
বদ্যিনাথের তিন ছেলে
_______________________________
_______________________________
বদ্যিনাথের তিনটি ছেলে
আলা-ভালো-ট্যাপা,
আলা-ভোলা রসিক ভারি
ট্যাপাটা খুব খ্যাপা।
মেলায় গিয়ে তিন জনাতে
কিনলো রঙিন হাঁড়ি,
কথায় কথায় ঝগড়া লেগে
মারলো ট্যাপা লাঁথি!
বদ্যিনাথের তিনটি ছেলে
আলা-ট্যাপা-ভোলা,
আলা-ট্যাপা চতুর ভারি
ভোলাটা বেশ ভোলা।
মেলায় তাকে দিদি-মণি
কিনতে দিল চুরি,
ভোলাটা বেশ ভুলে গিয়ে
আনলো কিনে মুড়ি!
বদ্যিনাথের তিনটি ছেলে
ভোলা-ট্যাপা-আলা,
ভোলা-ট্যাপা নাদুস নুদুস
আলাটা খুব রোগা।
তিনজনাতে মেলা শেষে
আসছে ফিরে বাড়ি,
আলাটাকে কামড়ে দিল
পাগলা দাশুর ছাগি!
________________________________
________________________________
চোরে চোরে মাসতুতো ভাই
________________________________
________________________________
চোরে চোরে মাসতুতো ভাই
চোখ পাকিয়ো না,
জটিল কাজে হাত দিয়েছি
জ্যাঠামি করো না।
যেই ঘরেতে অঘোর ঘুমে
ডাকছে সবার নাক,
সেই উঠোনের বাটনা বাটায়
নড়া রাখার কাজ।
এসো এসো মাসতুতো ভাই
পালিয়ে যেয়ো না,
চুরির কাজে খ্যাপলে দাদা
সামাল পাবে না।
অয় যে শোনো বামন ব্যাটার
ডাকছে বেজায় নাক,
এইতো সুযোগ খিড়কি দিয়ে
টবগে যাবার ফাঁক।
_______________________________
_______________________________
কতমাসে একদিন!
_______________________________
ধুপ ধাপ কিল -মহা মুশকিল
গগনে উড়িল চিল,
চুপি চুপি তেতো-মিঠা হাসি
পেটেতে ধরিল খিল।
পন্ডিতে ডাকি কহিল, “দাশু
কহ কত মাসে একদিন?”
ঘুমো ঘুমো পন্ডিতো আঁখি
অঘোরে ডাকিল নাক,
যেন কহিছে সাবধান দাশু
পুঁথি দেখিবার নাহি ফাঁক।
_______________________________
______________________________
২৪টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
এত গুলো কবিতা এক সাথে? সিরিজ কাব্য বানালেন নাকি!! প্রত্যেকটা কবিতাই বেশ মজার, আর শেখারও আছে অনেক কিছু।
স্বাগতম আপনাকে সোনেলা ব্লগ পরিবারে।
নিয়মিত লিখুন, আমাদের গুলো পড়ুন।
অবারিত শুভ কামনা আপনাকে 🌹🌹
★ প্রোফাইলে একটি ছবি এ্যাড করুন প্লিজ 🙂
হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
ধন্যবাদ৷
জিসান শা ইকরাম
সোনেলার উঠোনে স্বাগতম আপনাকে।
নিয়মিত লেখুন, অন্যদের লেখা পড়ুন।
শুভ ব্লগিং
হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
ধন্যবাদ৷
মনির হোসেন মমি
সবগুলো কবিতাই ভাল লাগল তারমধ্যে পাগলা দাশুর বিয়ে বেশ লিখেছেন। অভিনন্দন সোনেলায়।
হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
প্রিয় ব্লগার, সোনেলার নীতিমালা একবার পড়ুন। আপনি যেহেতু এখানে নতুন তাই নীতিমালা জানা একান্ত দরকার আপনার।
লেখা প্রকাশ বিষয়ে সোনেলার নীতিমালায় বলা আছে ” ৫/ সোনেলা পোস্ট ফ্লাডিং নিরুৎসাহিত করে। একজন ব্লগার দিনে একের অধিক পোস্ট না দেন , সোনেলা এটি প্রত্যাশা করে। ২৪ ঘন্টায় কোন ব্লগারের একাধিক পোস্ট হলে , একটি রেখে অন্য সব পোস্ট খসড়ায় রেখে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে ব্লগার ইচ্ছে করলে পরেরদিন খসড়ায় জমাকৃত পোস্ট পুনঃ পোস্ট দিতে পারবেন। ”
অর্থাৎ আপনি চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে দুটো লেখা দিতে পারবেন না। এই নীতিমালা আমার জন্যও একই। .
শুভ ব্লগিং।
হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
ধন্যবাদ
ফয়জুল মহী
সাবলীল, সুন্দর উপস্থাপন ।
হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
জাগিয়ে তুললেন৷
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সোনেলায় স্বাগতম। খুব ভালো লেগেছে পড়তে। সাবলীল ও চমৎকার উপস্থাপন। শুভ কামনা রইলো
হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
ধন্যবাদ।অচ্ছুৎ থাকবো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অচ্ছুৎ থাকবেন কেন?
হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
অরুণিমা তব আজি হতেছ রাগীনি
দয়ার’দুয়ারে দাড়ায়েছ দে’শালাই জ্বালি।
সায়াহ্নের মুখখানি ম্লান হয়ে র’বে
নীল কস্তুরী চাঁদের আভা -যখন ফুরবে;
সেইদিন দিকে দিকে নক্ষত্রের আহবান
গাঙচিল র’বে চেয়ে বিশাখার ডালে -তারপরে
ধুপে ধুপে নিভে যাবে পৃথীবির সব আলো।
ধূসর জগতের নীলিমায় তুমি আর আমি
বহু দিন প’রে -যুগের বারতা লয়ে;
এক – দুই – তিন তুমি খেলিতেছ কড়ি,
পৃথীবির বয়সি এক বিশাল বৃক্ষ যেন-
ছড়াতেছ ফুল বসে স্নিগ্ধ বাতায়নে;
শীতল হাওয়া বয়ে যাবে -ধানসিড়িঁ নদী।
আমাদের দেখা হবে?হয়তো হবে না আর-
কাব্য জুরে গহন স্বাক্ষর হয়ে র’বে অরুণিমা তুমি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ওয়াও, অসাধারণ। ধন্যবাদ ভাইয়া
কামাল উদ্দিন
ব্লগার হিসাবে আনি আার থেকে পুরোনো, আমার বয়স তিন মাস আপার চার। কিন্তু এটাই যেহেতু আপনার প্রথম পোষ্ট আপনাকে স্বাগতম জানচ্ছি ভাই।
আপনার ছন্দগুলো বেশ চমৎকার, তবে আমার মনে হয় একটা একটা করে পোষ্ট দিলে ভালো হতো, ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন সব সময়।
হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
অনবদ্য লিখেছি তোমাকে
– হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
অনবদ্য লিখেছি তোমাকে
হাজারখানা চিঠি -হয়তো আরো বেশি
কালের ছুঁয়ায় দৃষ্টিসীমা গেছে ক্ষয়ে!
আকালের দিন ফুরোবে,
জানি হয়তো ফুরোবে না কোনোদিন
বার্ধক্যের বেড়া টেনে নেবে টাঙনের জলে ।
অনবদ্য তবু লিখেছি তোমাকে,
তোমাকে লিখার নামে অন্য বাহানা
তোমাকে লিখলে আয়ু দ্বিগুন বাড়ে
হঠাৎ খুলে-প্রকৃতির দ্বার
আমি দু’হাত পাতি
দু’হাতে মুষ্টিভিক্ষা আছে ভরে
অনবদ্য তবু লিখেছি তোমাকে…
কামাল উদ্দিন
লিখতে থাকুন অনবদ্য
হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
ধন্যবাদ৷
আরজু মুক্তা
সবগুলোই অসাধারণ। ভালো লাগলো।
হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
কবিতা কিছু বোঝায় না৷কবিতা ভাবায়৷ ধন্যবাদ৷
জাকিয়া জেসমিন যূথী
মাশা আল্লাহ। কী সুন্দর সব কবিতা। সবগুলোই খুব সুন্দর।
হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
আমারে নিশি রাইতে -জাগায়া তুমি
ক্যান ফাঁকা চান্দের মতো আছো চুপ,
শেঁয়ালের বিরাম গর্জন -শুনায়া বুঝি;
আমারে তুমি – করতে আছো বেহুশ।
আমার চোক্ষে নাই ঘুম।তুমি শুনছিলা;
সন্ধ্যাই-বাঁশঝাড়ে মরা সেঁজুতির ঝাঁঝ,
রাখালের বাঁশি কি-রাইতে শোনা যায়?
তুমি আমারে -মরা গাঙে নিবা আইজ
(ধন্যবাদ ৷ পাতায় আসবেন)
হিমেল কবি(সাহিত্য সন্তান)
মিরার আলেয়া
মিরা তোমার হাসি উজ্জল আদিত্যের আলেয়া,
অসুখের দিনে তোমার প্রথম আলেয়া
পেয়েছি;
সেই থেকে দুই’যুগ আমি আলেয়ার ভিখারি।
রাস্তার মোড়ে, হাঁটুগেরে -কিংবা অন্যরকম,
এই ধর তোমার রোয়াকে দাড়িয়ে বলছি,
“মিরা তুমি একবার বেরিয়ে এসে দেখো সহস্র মূমুর্ষূ রোগীরা তোমার আলেয়ার ভিখারি।
আমি মানুষের দ্বারস্ত হয়,দিনে দু’মুঠো আলেয়া ভিক্ষা পেয়ে ফের থাকি প্রাতের প্রতীক্ষায়।
-“মিরা,আমি বেঁচে থাকি তোমার আলেয়ায়”।