কেনো যে তার উপর রাগ করে থাকা যায় না? আর কথা বলবো না বলে অভিমান করেও দুমিনিটের বেশি দূরে সরে থাকা যায় না। রাগী জেদি অহংকারী দুরন্তপনায় মত্ত আমি এখন শান্ত স্নিগ্ধ শুদ্ধ পেয়ে তার সংস্পর্শ। প্রচণ্ড অহংকারী আমি কখনোই কাউকে বলিনি সরি অথচ সেই আমি সেকেন্ডে চৌষট্টি বার বলি তারে সরি। কেনো যে তারে ছাড়া কিছু ভাবা যায় না, চলা যায় না , থাকা যায় না। কি করে যে সে আমাকে এতো বোঝে?
আমি রেগে গেলে ঠোঁট বাঁকাবো এটা বুঝতে পেরে নিজেই নিজের ঠোঁট বাঁকিয়ে নেয় । আমি নিজের রাগ ভুলে হো হো করে হেসে উঠি। অদ্ভুত আর বড্ড ছেলেমানুষ আমরা। কতো গুলো দিন হয়ে গেলো
এভাবেই চলছে আমাদের সংসার। ভালোবাসার সংসার।

পরিচিত আমি’র অন্তরালে অপরিচিত আমিকে কেউ কোনোদিন খুঁজলো না।  তবুও ওরা মানবে না আমিও ভালোবাসতে জানি।

সবাই বলে আমার মন নেই
কারো জন্য মায়া নেই
কারো জন্য ভালোবাসা নেই
আমার মতো কঠিন মানুষ নেই

আমিও তাদের সাথে সাথ দিই
আমিও বলি আমার মন নেই
কারো জন্য মায়া নেই
কারো জন্য ভালোবাসা নেই
আমার মতো কঠিন মানুষও আর নেই

কখনো কাউকে বুঝাতে যাইনি
আমারও একটা মন আছে
কারো জন্য অপার মায়া আছে
আছে গভীর ভালোবাসা

অথচ আমার নির্ঘুম প্রত্যেকটি রাত জানে কারো প্রতি তীব্র মায়ার যাতনায় আমি কতোটা ধুঁকে ধুঁকে পুড়ি। কাউকে গভীর ভালোবাসার দায়ে
সাইক্লোন জলোচ্ছ্বাসের ঢেউ ওঠে এ মনের গহীনে।
কাল বৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙ্গে চুরে চুরমার হয় হৃদয় নামক বস্তুটি । কারো শূন্যতায় রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত হয় এ হৃদয়। গোপনে নির্জনে অশ্রু ঝরে অবিরাম অবিরত

তবুও মুখে চওড়া হাসি রেখে দুর্দান্ত দাপটে বেঁচে আছি, বেঁচে থাকি প্রতিদিন প্রতিমুহূর্ত। তীব্র সুখের ভেলায় ভেসে বেড়ায় রোজ, নিত্য করে যাই ভালো থাকার সুনিপুণ অভিনয়।

কথায় কথায় সেদিন যখন মধ্যরাতে আমার মা, কাজিন দীপ্ত কন্ঠে কথা গুলো বললো আমাকে। তখন একবার মনে হলো চিৎকার করে বলি মা আমিও কাউকে ভালোবাসি,খুব ভালোবাসি। আমিও কারো জন্য কষ্ট পাই, খুব কষ্ট পাই। আমিও কারো জন্য কাঁদি,খুব কাঁদি। কথা গুলো কেউ বিশ্বাস করতো কি না জানি না? হয়তো হাস্যকরও শুনাতো তাদের কাছে। তাই আর বলিনি কিছুই। কঠিন পাথরের আবরণে মুড়িয়ে রেখেছি যে মনটাকে চাইনি কেউ তার হদিস পাক। চাইনি তাদের দেওয়া কঠিন মানুষের উপাধিটা বৃথা হয়ে যাক। একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে হা হা করে হেসে উঠে আমিও তাদের সাথে সঙ্গ দিলাম।

৭৪৫জন ৬১১জন
0 Shares

২৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ