আমার স্কুল জীবনটা এখানেই শুরু।ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত এখানেই পড়াশুনা করেছি।কেউ আবার জিজ্ঞেস
করবেন না এখানে কি বইয়ের পড়ার বাইরে অন্য কিছু শিক্ষা দেয়া হত কিনা। এই বিদ্যালয়ে রোজ
ছুটির ঘণ্টার পুর্বে আর একটি ঘণ্টা বাজানো হত।ঐ ঘণ্টা বাজার সাথে সাথে আমরা দাঁড়িয়ে টিচার সহ
গান গাইতাম ‘চুম্মা চুম্মা দেরেএএএএ………… অমিতাভের এই গানের ভিডিও প্রতি সপ্তাহে একবার
দেখানো হতো মাল্টিমিডিডিয়ায়।
শিক্ষা জীবনের পরেই একটি এনজিওতে জব পেয়ে যাই ঝিনাইদহ জেলায়।কর্ম ক্ষেত্রে গিয়ে তো অবাক।
সবার ইয়া বড় বড় নখ।কেউ নখ কাটে না।দিনের অধিকাংশ সময় নিজেদের মাথা,গাল,ঘাড়,হাত পা
চুলকায় সবাই।ধুমপায়ী ছিলনা কোন। কারন ধূমপান করার মত সময় তাঁদের ছিলনা।ঘুষ এর প্রচলনও
ছিলনা কোন। এর পরিবর্তে এক-দুই-তিন বা ততোধিক দিন চুলকিয়ে দিতো ঘুষ প্রাপ্য ব্যক্তিকে।
আমাকেও অনেক দিন চুলকিয়ে দিয়েছে কয়েকজন। এর মাঝে নারী ছিলো তিন জন :p
বিয়ের প্রথম মাসেই আমাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এমন কথোপকথন হতো।স্বপ্নের কথা বলে কয়েকবার
আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছিলো আমার স্ত্রী।কলিগদের কাছ হতে ধার করে তার আবদার মিটাতে হতো।
এরপর আমিও বুদ্ধিমান হই 🙂
আমাদের মাঝে ভালোবাসা ছিলোনা তেমন।তবে আমাদের বাসাটা ভালো ছিলো।ধীরে ধীরে আমরা
উভয়ের কাছে ভালোবাসাহীন এক অভ্যাসে পরিণত হচ্ছিলাম।দিন যত যায় বাসার জৌলুস বৃদ্ধি পায়
ভালোবাসা কমতে থাকে।
হঠাৎ করে সে ফেইসবুক এডিকটেড হয়ে পড়ে।রাত জেগে সে নাকি ফেইসবুকে গুরুত্বপূর্ণ দেশের কাজ
করে।আমি একা একা ঘুমাতাম আর সে রাত জেগে ফেইসবুক।ভোরের আলো দেখা গেলে সে এসে আমার
পাশে ঘুমাতো। আমার আদরের কন্যা (3 ভোরে উঠে আমার জন্য নাস্তা বানাতো।
এই দোকানের নুডুস আমার স্ত্রীর খুবই পছন্দের ছিল। প্রতি সপ্তাহে একবার সে এই নুডুস কেতই
কেত।প্রতিবার পাশের টেবিলে একজন সুদর্শন যুবকও নুডুস খেত।সে বয়েসে আমার স্ত্রীর ছোট ছিল।
প্রতি সপ্তাহে ঐ যুবক কেন আসতো আমি জানিনা।আমি দিন পাল্টিয়ে দেখেছি, ঐ যুবক ঠিকই
আসতো।এমনি এমনি মিলে যেতো হয়ত। তবে আমার ভালো লাগতো না।
হঠাৎই একদিন আমাকে আমার স্ত্রী বলে বসে,আমাদের আরো টাকা দরকার।তুমি বিদেশ গেলেও পারো।
অনেকদিন আগে দেখা সিএনজির এই লেখাটা আমার মনে পড়লো।আমার মন দুর্বল।আমার ভালোবাসার
তীব্রতা কম,তাই আমি বিদেশ যাবার সিদ্ধান্ত নেই নি। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
##
নেটে বিচরণ করতে করতে বিভিন্ন সময়ে মজার কিছু চোখে পড়ে।আমি একা মজা বা আনন্দ কেন নেব?
সোনেলায় আছে আমার অতি প্রিয় কিছু মানুষ।তাদের সাথে আমার আনন্দ ভাগ করে না নিলে আমার
আনন্দ যে পূর্ণতা পাবে না।
৫৫টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
যে বিদ্যালয়ে পড়েননি সেখানে অতি দ্রুত ভর্তি হয়ে যান।
শিক্ষাই জীবন!!!
ব্লগার সজীব
ভয় লাগে যে ভাইয়া।এই বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের সংখ্যা নাকি বেশি।চতুর্দিকে এদের বিচরণ নাকি আজকাল।
মেহেরী তাজ
হাহাহাহাহা শিষ্য দারুন শেয়ার। :D)
ব্লগার সজীব
আনন্দ দিতে পেরে ধন্য হলাম ওস্তাদ 🙂
আবু খায়ের আনিছ
চুলকানীর যে কি যন্ত্রণা যার চুলকায় সেই জানে। যখন চুলকানো শুরু হয় তখন মনে হয় কামলা রেখে চুলকায়। ( আমার নয় আমার বন্ধু মন্তব্য) সজিব ভাই ফ্রিতে পেয়েও ছেড়ে দিলেন??
ব্লগার সজীব
ধীরে চলতে বলেছে যে,ধীরে ধীরে চলছি ভাইয়া।ভাবছি আর ভাবছি 🙂
আবু খায়ের আনিছ
ফ্রিতে কিন্তু পাবেন, সুতরাং মিস করিয়েন না ভাই, ভালো করে ভেবে দেখুন। 😀 😀
ব্লগার সজীব
ফ্রির কথা লেখা নেই।আপনি জানলেন কিভাবে?অভিজ্ঞতা আছে নাকি ভাইয়া? :p
আবু খায়ের আনিছ
না অভিজ্ঞতা নাই, তাহলে কি বেচাকেনা চলে নাকি? :p
ব্লগার সজীব
:p :p
নীতেশ বড়ুয়া
পোড়ঠোম ঠেকে ষূড়ূ কোড়ে ণীণ, ডেখবেণ কূণ্ডীকে ঝেঠে হোভে টা বূঝে গেশেণ আড় শোব ষেষে ঠেমে ঝাবেণ ষীঊড় :D)
এতো মজা ক্যেরে!!! :D)
নীতেশ বড়ুয়া
আরো একটা ছবি দিলে পারফেক্ট হতোঃ
“এখানে DBBL করা হয়” মানে কি? এখানে Dutch Bangla Bank Limited করা হয়! :D)
ব্লগার সজীব
আপনাড় ভাংলা খুভ সুনদড় 🙂 লিমিটেড করা হয় :D)
নীতেশ বড়ুয়া
“একাণে হাশাণো হোয়”-ব্লোগাড় ষোজীব :D) :D) :D) :D)
ব্লগার সজীব
দন্যভাধ 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
ডোণয়ভাড আফণাখেও ভাঈ :D)
ব্লগার সজীব
আপণী বুল লেকেন। দন্যভাধ ভানান শীকে ণীণ
নীতেশ বড়ুয়া
খী খোড়ে শীখটে হোবে ঝাণীণা। ষেখাণ প্লীগ :D)
অরুনি মায়া
হাসি পেল ছোট ভাই,,,,,
পড়িয়া ও দেখিয়া মজা পাইলাম,,,,,, 🙂
ব্লগার সজীব
আপনাকে আনন্দ দিতে পেরে ধন্য হলাম আপু।
অরুনি মায়া
প্রথমবার হাসতে গিয়েই একটা দাঁত খুলে পড়েছে এখন এই এডিট করা লেখা পড়ে আমার পেট টাই না খুলে পড়ে,,,,,,, ;(
ব্লগার সজীব
হায় হায়,পেট হীন আপুটাকে কেমন দেখাবে ভাবছি।আপনার যখন মন খারাপ থাকবে,তখন এই সজীবের কথা ভাববেন।আমি এমন হতে চাই,আনন্দের এক নাম।
লীলাবতী
তুমি এসব ফটো পেলে কোথায়? :D) আমার তো মনে হচ্ছে আমাদের পিচ্চি ভাইয়া ঐ স্কুলেই পড়েছে।ঠাকুর ঘড়ে কে রে?আমি কলা খাইনা, :D) ভাইয়াদের জন্য টিপস মনে রাখলাম।বোকা বানাতে পারবেনা কেউ আমাকে।
ব্লগার সজীব
নেটেই পেয়েছি লিলাপু।আপনার মন্তব্য পড়ে পোষ্ট এডিট করে দিলাম।লুকিয়ে লাভ নেই :p
নীলাঞ্জনা নীলা
:D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D)
মন্তব্য নেই। পেটের ব্যথা শুরু হয়েছে। এভাবে হাসিয়ে অসুস্থ করিয়ে দেয়া কিন্তু ঠিক না ভাভু বাইয়া। :@ :@
জিসান শা ইকরাম
🙂 ভাভু ভাইয়াটা আবার কি?
ব্লগার সজীব
জিসান ভাইয়া দিদি সঠিক ভাবে বাংলা লিখেছেন, ওটা বাবু 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
ণাণা হাপনি এঢা ভুজভেণ ণা। ভয়ষ অউখ, থারফর। 😀 :D)
ব্লগার সজীব
আপনাড় ণাণা ইতো কম ভুজে কেণ ? :D)
ব্লগার সজীব
পেট ব্যাথার কি দেখলেন ধিধি,সবে তো ষুড়ূ :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া থাঈথো ধেকচি 😀 :D)
ব্লগার সজীব
আপণী বালো আচেণ ধিধি? 😀
সীমান্ত উন্মাদ
হা হা বেপক বিনোদন পাইলামরে ভাই। \|/ :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D)
ব্লগার সজীব
বিনোদন দিতে পেরে ধন্য হলাম 🙂
সিকদার
হা হা হা । দারুন ছবি ব্লগ ।
ব্লগার সজীব
ধন্যবাদ ভাইয়া -{@
জিসান শা ইকরাম
আরে খাইছে, পিচ্চি সজীব দেখি ছুড বেলায়ই চুম্মা চুম্মা গান শিখে ফেলছে
এখন দেখি তার পিচ্চি একটা মেয়েও আছে
সজীবের বড় হবার চেষ্টা সফল হোক -{@
ব্লগার সজীব
কোনই লাভ হবেনা এতে।এরপরেও আমাকে বলা হবে বাবু সোনা,পিচ্চি এসব 🙂 নীলদিদি তো ভাভু বলা আরম্ভ করেছেন 🙂
অরণ্য
:D)
এন্ড দিস ইস সজীব। (y) (y)
ফাঁকে একটা কথা কপি করে এনেছি…
“দিন যত যায় বাসার জৌলুস বৃদ্ধি পায়
ভালোবাসা কমতে থাকে।”
ঠিক ঠিক ঠিক। 😀
আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
ব্লগার সজীব
বেশী প্রশংসায় কিন্তু লজ্জা পেয়ে ভেগে যাবো ভাইয়া 🙂 কথাটি সত্যি ভাইয়া।যদিও কেউ আমরা স্বীকার করিনা এই কথা।আপনিও ভালো থাকুন।
স্বপ্ন
সজীব ভাইয়া আপনি রম্যতে সেরা সোনেলায় :D) কি সব ফটো সংগ্রহ করে কত মজার একটি পোষ্ট দিলেন।সোনেলায় যে সমস্ত ব্লগারের লেখা পড়তে আসি আমি,আপনি তার মাঝে একজন।
ব্লগার সজীব
অনেক দিন পরে দেখলাম আপনাকে।আপনার লেখার ভক্ত আমি জানেন আপনি?লেখা দিন।আপনাদের জন্য শুভেচ্ছা -{@ -{@
ইমন
\|/ 😀
ব্লগার সজীব
🙂
রিমি রুম্মান
আমি হাসতে হাসতে শেষ ! কত্তো আনকমন একটি বিষয় সামনে নিয়ে এলেন ! ফটোর সংগ্রহ চমৎকার। 🙂 -{@
ব্লগার সজীব
আপনাদের হাসাতে পেরে আনন্দ দিতে পেরে ধন্য আমি আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
শুন্য শুন্যালয়
আপনি বিবাহিত, একটা কন্যাও আছে! 😮 আর আমি কিনা আপনার জন্য পাত্রী দেখে বেড়াচ্ছি। আল্লাহ্ বাচাইছে, এরপরে আমারে ধইরেই পাত্রীরা চুলকানী বাজারে নিয়ে গিয়ে চোচড়া পাতা ছেড়ে দিত।
আপনারে এখন থেকে আর ভাভু বা বাবুসোনা ডাকুম না?
ছটু বেলা থেকেই বিদ্যালয় থেকে এইসব? তাইতো বলি জানটুসের সংখ্যা এত বেশি কেন!
সজু ভাই, পিলিজ লাগে আমারে কিছু আইডিয়া ধার দেন, মাথা পুরো বালুচরের নদী, আর আপনি কই থাইক্কা এইসব ছবি আর আইডিয়া পান?
পুরাই সজু পোস্ট, দাঁত না কেলিয়ে যামু কই 😀
নীতেশ বড়ুয়া
:D)
ব্লগার সজীব
নীতেশ দাদা কি হাসির বটিকা সেবন করিয়াছেন? 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
আপনার পোস্ট মানেই তো হাসির বটিকা :D)
ব্লগার সজীব
হাসির মহাকাব্য রচিত হবে কবে? 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
সোনেলা মিলনমেলাতে 😀 \|/
ব্লগার সজীব
জানটুসরা কেউ কথা রাখে না,সবাই ভুল বুঝে চলে যায় 🙁 আমাকে তো বড় কেউ ভাবেই না। নাতি নাতনী হলে কি বড় ভাববেন?আপনার মত লিখতে পারলে কি এমন পোষ্ট দেই?আমার উপর ওস্তাদের আশির্বাদ আছে 🙂
অলিভার
যদিও বেশিরভাগ ছবি ফেসবুকের কল্যাণে দেখা হয়ে গিয়েছিল তারপরও আপনার উপস্থাপনায় সেগুলির প্রতিটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। বেশ মজা পেলাম :D)
ব্লগার সজীব
ধন্যবাদ অলিভার ভাইয়া 🙂