আজ আমাদের পক্ষপাতদুষ্ট স্বভাব নিয়ে একটু বলি। যদিও এইসব বলায় কিংবা লেখায় প্রকৃতপক্ষে কোন লাভ হয়না। তবুও, বলার জন্যেই বলা।
পক্ষপাত দুষ্টামিটা কিন্তু আমরা ছোট থেকেই বড়দের দেখে দেখে শিখি। প্রথমে শিখি একেবারেই ছোট বয়সে। ব্যাপারটা যদিও গুরুতর কিছু না, কিন্তু শুরুটা ওখানেই।
ধরুন পাশাপাশি বাসায় দুই বাচ্চার বসবাস, নিজেদের মাঝে বন্ধুত্বও আছে অল্পবিস্তর। তাদের অভিভাবক একজনের অবস্থা তুলনামূলক ভাবে অন্যজন থেকে ভালো। ফলাফল স্বরূপ ভালো অবস্থানে থাকা অভিভাবক তার বাচ্চাকে সাধ্যের মাঝে একটু দামী খেলনা উপহার দেয়। অপর দিকে অন্য বাচ্চাটির অভিভাবকের সাধ্যের সীমানা ততদূর পর্যন্ত বিস্তৃত নয়, যদিও ইচ্ছের কোন কমতি নেই তাদের মাঝে। কিন্তু বাস্তবতা মেনে যতটুকু সম্ভব তা মেনেই তারা বাচ্চার জন্যে খেলনা নিয়ে আসে। এরপর যখন দুই বাচ্চা নিজ নিজ খেলনা নিয়ে একসাথে খেলতে শুরু করে তখন সঙ্গত কারণেই দামী খেলনাটার ফিচার বাচ্চা দুটিকে বেশি আকৃষ্ট করে। আর সেই নিয়ে কম দামী খেলনাটা নিয়ে বাচ্চাটা তখন তার অভিভাবকের কাছে অভিযোগ করে, বায়না ধরে ঐ রকম দামী খেলনার জন্যে। তখন অভিভাবক বাচ্চাটাকে বোঝাতে শুরু করে যে ঐ দামী খেলনাটা তেমন টেকসই নয়, দেখতে অনেক সুন্দর আর অনেক ফিচার সমৃদ্ধ হলেও আসলে সেটা ততটা ভালোও নয়। বাচ্চাটা যদিও সেটা মেনে নিতে নারাজ তবুও যখন কোন কারণে দুই বাচ্চার মাঝে খেলনা নিয়ে কথা হয় তখন কিন্তু তারা নিজেদের খেলনাটাকে ভালো দেখানোর জন্যে ঐ অভিভাবকের কথা গুলি বলতে থাকে, বলে তোমার খেলনা অমন হলেও তেমন ভালো নয়। অপর দিকে দামী খেলনার মালিক ছেলেটাও বলে ফেলে যে তার খেলনাটাই দামী, আর সে একাই সেটা দিয়েই খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, তার কমদামী খেলনা নিয়ে খেলাতে আসার প্রয়োজন নেই।
খুবই সাধারণ ঘটনা, বাচ্চারা প্রায়ই এমন করে। কিন্তু পক্ষপাত দুষ্টামির ঘটনাটা এর মাঝেই ঘটে গেছে।
আচ্ছা, বাদ দিন। আরও একটু সামনের দিকে যাই। এবার বাচ্চা দুটি মোটামুটি বেশ বড়, মানে স্কুলে পড়ালেখা করছে। সে ক্ষেত্রেও দেখা যায় একজনের অভিভাবক তাকে একটু খরচে স্কুলে ভর্তি করিয়েছে। অন্যদিকে অপর বাচ্চাটিকে তার অভিভাবক ভালো কিন্তু একটু কম খরচে স্কুলে দিয়েছে।
একটা সময় এসে বন্ধুর কাছে তার দামী স্কুলের কথা শুনতে শুনতে অপর ছেলেটি তার অভিভাবকের কাছে আবার নিজের স্কুল নিয়ে অভিযোগ তুলে, বায়না ধরে বন্ধুটির মত দামী কোন স্কুলে নিজেকে ভর্তি করিয়ে দেবার জন্যে। অভিভাবককে বোঝাতে চেষ্টা করে যে তার বন্ধুটি ঐরকম করে বেড়ায় ঐ দামী স্কুলে, কিন্তু সে তা করতে পারে না, কারণ সেই সুবিধাটি তার স্কুলে নেই। এবারেও অভিভাবক তার সন্তানকে বোঝায় সে যে স্কুলটিতে আছে তা ঐ সকল সুবিধা ছাড়াও বেশ ভালো স্কুল। অন্য স্কুলটি খরচে স্কুল হলেও তার তুলনায় এই স্কুলের পড়ালেখার মান অনেক ভালো, শিক্ষকেরা ভালো, স্কুলের বাকি সব বন্ধুরা ভালো, এমন অনেক কিছুই ভালোর লিস্টে ফেলতে শুরু করে। ফলাফল, এবারেও যখন সেই দুই বাচ্চা নিজেদের স্কুল নিয়ে আলোচনা করে তখন নিজেদের স্কুলের সাপোর্টে সেই অভিভাবকের কথা গুলিই একে অপরকে বলে। একজন একটু কম খরচে স্কুলে পড়েও কি কি সুবিধা পাচ্ছে আর দামী স্কুলে পড়েও সে ঐসব পারছে না তার ফিরিস্তি দিতে থাকে। অপরজনও তার সাপোর্টে নিজের স্কুলের সুবিধা গুলি বলে নিজেকে উঁচু কিংবা আলাদা প্রমাণ করতে থাকে।
এটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। বাচ্চাদের মাঝে এমন দুই একবার হয়েই থাকে। কিন্তু এর মাঝেও পক্ষপাত দুষ্টামি ঘটে গেছে।
এবারে পক্ষপাত দুষ্টামির সাথে আরও কিছু বিষয় জুড়ে দেয়া যাক। ধরুন দুই বাচ্চা আরও বড় হয়েছে। প্রয়োজনের খাতিরে এখন তারা দুটো আলাদা আলাদা কোচিং এ যায়। দুটো আলাদা কোচিং এ যাবার কারণও অভিভাবকের আর্থিক অবস্থাকে ধরে নেই। কিন্তু এবারে শুধুমাত্র এই ব্যাপারটা ছাড়াও আরও একটা ঘটনা রয়েছে। এখানে একটা কোচিং সাজেশনের নাম করে পরীক্ষার পূর্ববর্তী সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্ন হাতে তুলে দেয়। আর অন্যটির তেমন সাধ্য না থাকায় কিংবা নিজেদের অল্প কিছু নীতিকে বিসর্জন দিতে না পেরে সাজেশনের নামে প্রশ্ন দেবার কাজে নিজেদের জড়ায় না।
ফলাফল এবারে প্রশ্ন কিংবা বিশেষ সাজেশন পাওয়া কোচিং এ পড়া ছাত্রটি সাজেশনের নাম প্রশ্ন না পাওয়া বন্ধুটির তুলনায় বেশি মার্কস পায়। এবারেও যখন এইসব অভিযোগ তারা নিজেদের অভিভাবকের কাছে জানায় তখন সাজেশন না পাওয়া ছাত্রটির পরিবার তাকে বোঝায় যে, সে নিজের চেষ্টাতে যে নাম্বার পেয়েছে তাতেই তারা খুশি, আর নিজে আরও ভালো করে চেষ্টা করলে সাজেশন ছাড়াই অনেক ভালো করতে পারবে। অপরদিকে যে ছাত্রটি সাজেশন পেয়ে ভালো নাম্বার পেয়েছে তার অভিভাবক তাকে বোঝায় যে, টিকে থাকাটাই আসল, এগিয়ে যাবার জন্যে এমন দুই একটা জিনিষের সহায়তা নিয়েই এগুতে হয়। এরপর যখন কোন কারণে এই দুই ছাত্র নিজেদের মাঝে তাদের কোচিং নিয়ে তুলনায় যায় তখনও ফলাফল উপরের ঘটনা থেকে অভিন্ন থেকে যায়। সাজেশন পাওয়া ছাত্রটি নিজের অবস্থান জেনেও নিজেকে আর তার কোচিং কে ভালো, উন্নত বলে প্রমাণের চেষ্টা করে। আর সাজেশন না পাওয়া ছেলেটি তার কোচিং এর নীতি আর তার নিজের পরিশ্রমকে তুলে ধরে নিজেকে এবং তার কোচিং কে উপরে দেখাতে চায়।
এটাও এখনকার সময়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নয়। আশে পাশে চোখ বুলালেই এমন দুই একটা উদাহরণ পাওয়া যাবে। সাথে ঘটনায় এদের মাঝে পক্ষপাত দুষ্টামি এখানেও লক্ষণীয়।
এবারে কয়েক ধাপ এগিয়ে চিন্তা করি। এবারে ঐ বাচ্চা দুটির অবস্থানে আপনাকে আমাকে নিয়ে আসি। এখন আপনার আমার মাঝে অনেক কমন ব্যাপার থাকলেও কিছু ক্ষেত্রে আমাদের স্ব-স্ব-চিন্তা ভাবনা, আদর্শ, দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আর নিজেদের এই দৃষ্টিভঙ্গি আর আদর্শকে আলাদা ভাবে উপস্থাপন করতে আমরা নিজেদের কাজগুলিকে কিংবা ঐ আদর্শ আর দৃষ্টিভঙ্গির হিসেবে ঘটনাকে পর্যালোচনা করি। সেই ধারাবাহিকতায় কোথাও কোন একটি দুর্ঘটনা ঘটলো কিংবা কোন অন্যায় হল। কিছু মানুষ যাদের দৃষ্টিভঙ্গি আর আদর্শ কাছাকাছি ধরণের তারা সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একরকম আচরণ করবে, আর কিছু লোকের আচরণ হবে তাদের উল্টো। একদল অন্যায় কে অন্যায় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তার বিরুদ্ধে নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করবে। আর অন্যজন অন্যায়টাকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি আর আদর্শকে ভালো অবস্থানে দেখাতে মরিয়া হয়ে উঠবে।
আগের ঘটনা গুলি তেমন বড় কোন সমস্যা না হলেও এবারে কিন্তু বড় ধরণের সমস্যার সৃষ্টি করবে। কারণ আদর্শ আর দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতার কারণে আমরা মূল সমস্যাটাকে এক সময় বাদ দিয়ে নিজেদের আন্তঃ সমস্যাগুলিকে সামনে নিয়ে আসবো। আর নিজেদের এইসব কর্মকাণ্ডে মূল যে সমস্যা কিংবা অন্যায়টা ছিল তা ধামা চাপা পড়ে যাবে ক’দিন বাদেই। আর সেই সমস্যাটা পরবর্তী সময় আরও বড় আকরে সামনে আসবে, অপরাধটা আরও বৃহৎ আকারে ঘটতেই থাকবে বারংবার। কিন্তু আমরা আমাদের এই পক্ষপাত দুষ্টামি ত্যাগ করতে না পারায় তাকে বরাবরই পাশ কাটিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি, দৃষ্টিভঙ্গি আর আদর্শকে বড় করে দেখানোতেই ব্যস্ত থাকব।
এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার উপায় আমরা সবাই কম বেশি জানি, বুঝি। কিন্তু কেউই আপন অবস্থান থেকে নিজেকে একটু ঢিল দিয়ে অপরকে সম্মান জানাতে প্রস্তুত নই। প্রস্তুত নই নিজের দৃষ্টিভঙ্গির ভুল গুলিকে স্বীকার করে নিতে। প্রস্তুত নই অপরের ভালো কাজের সমর্থন জানাতে। কারণ পক্ষপাত দুষ্টামিতে আমরা বেশ ভালো ভাবেই ডুবে গেছি। কেউ চাইছি না নিজে থেকে সেই ডুবন্ত অবস্থা থেকে উঠে আসতে, কেউ চাইছি না অন্যের সহায়তা নিয়ে তা থেকে মুক্তি পেতে। আর তাই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে আমাদের ঘিরে। কখনো এই পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গির পাশ মিলিয়ে তো কখনো অপর পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গির।
১৮টি মন্তব্য
মারজানা ফেরদৌস রুবা
বেশিরভাগ মানুষই আমরা এখন পক্ষপাত দোষে দুষ্ট।
অলিভার
হ্যাঁ, কোন না কোন ভাবে আমরা পক্ষপাত দুষ্টে দোষী।
ধন্যবাদ, মূল্যবান সময় নষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্যে 🙂
খেয়ালী মেয়ে
এটা ঠিক যে আমরা সবাই কম বেশি পক্ষপাত দোষে দুষ্ট—
তবে উপরে উল্লেখিত উদাহরনস্বরূপ দুই বাচ্চার বিভিন্ন সময়ে যে পার্থক্যটা তুলে ধরেছেন, অভিভাবকের যে ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন সেটাকে আমার কাছে পক্ষপাত দুষ্ট মনে হয়নি—আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, তাই আমাকে আমার সাধ্যের মধ্যে থেকেই এগিয়ে যেতে হবে সামনে…….নিজের অবস্থানে থেকেই অপরকে সম্মান দিতে শিখতে হবে–নিজের ভুল দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে–অপরের ভালো কাজের সমর্থন জানাতে হবে–পক্ষপাত দুষ্টের জাল ছিন্ন করে বেরিয়ে আসতে হবে–নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে….
অলিভার
অভিভাবকের ভূমিকাকে আমি পক্ষপাত দুষ্টামি হিসেবে উপস্থাপন করি নি। বরং সেটা আমাদের বর্তমান অবস্থা সেটাই বোঝাতে চেষ্টা করেছি। পক্ষপাত দুষ্ট অবস্থাটাকে বুঝিয়েছি অভিভাবকের ‘বাচ্চাদের’ বোঝানোর পর সেটার ‘প্রয়োগ’ অংশটাকে। তারা যখন অভিভাবকের দেয়া যুক্তি কিংবা বুঝ দেয়াকে জানছে তখন সেই একই যুক্তি উপস্থাপন করতে পরছে তাদের নিজ নিজ অবস্থানে নিজেকে আলাদা কিংবা উঁচু দেখানোর জন্যে। আর আমার পয়েন্ট ছিল সেই স্থানেই।
হয়তো ব্যাপারটাকে ঐরকম করে উপস্থাপন করতে পারি নি। আমার ভাব প্রকাশ করার জ্ঞান এখনো সীমাবদ্ধ, তাই ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান করছি।
লেখাটি পড়ে এমন গঠনমূলক মন্তব্য করর জন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ 🙂
খেয়ালী মেয়ে
আপনি অনেক সুন্দরভাবেই লিখেছেন…
আমি প্রয়োগটা বুঝতে পারিনি, এটা আমার ভুল…..এজন্য আমি দুঃখিত………..
অলিভার
হা হা হা
সুন্দর ভাবে বোঝাতে পারলে তো হতোই। সেই অবস্থা এখনো আমার তৈরি হয়নি। এখনো শিখছি, চেষ্টা করছি গুছিয়ে মূল ব্যাপার গুলিকে উপস্থাপন করার কৌশল। আপনারা এমন করে ভুল গুলি ধরিয়ে দিলেই বরং সেই প্রচেষ্টা তরান্বিত হবে।
শুন্য শুন্যালয়
নিজের অবস্থান থেকে আসলে কেউ আমরা সরতে চাইনা, ঠিকই বলেছেন। একজন খুনীরও খুন করার পেছনে যুক্তি থাকে, তার কাছে সেটাই সঠিক কাজ। আদতে ভুল শুদ্ধ বলে কিছুই নেই মনে হচ্ছে।
ভালো বিশ্লেষণ।
অলিভার
নিজের অবস্থানে আমরা সবাই সঠিক, ভুল মেনে নেবার মন-মানসিকতা নেই, আর সেখানেই বিপত্তির শুরু।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্যে 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
পক্ষপাততো আমাদের থাকবেই তারপরও প্রতিবেশী হিসাব অন্য প্রতিবেশীর দিকে নজর রেখে কেনাকাটা করা উচিত।
অলিভার
ঐ বিষয়টাকে আসলে উদাহরণ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছি। মূলত আমরা ছোট থেকেই বিভিন্ন কৌশলে এই পক্ষপাত স্বভাব আয়ত্ত করি, আর সেটা একটা সময় আমাদের ব্যক্তিত্বের মাঝে এমন প্রভাব ফেলে যে অন্যের কোন যুক্তি আমরা মেনে নিতে পারি না স্বাভাবিক ভাবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সময় নিয়ে পোষ্টটি পড়ার জন্যে 🙂
আশা জাগানিয়া
একটি ভালো বিশ্লেষন মুলক পোষ্ট।ধন্যবাদ পেতেই পারেন আপনি।
অলিভার
আপনাকেও ধন্যবাদ সময় নিয়ে লেখাটি পড়ার জন্যে।
শুভ কামনা জানবেন -{@
জিসান শা ইকরাম
পক্ষপাত দোষে দুষ্ট আমরা সবাই।
আল্লাহ্ সবাইকে সমান অবস্থ্যা দিলে এমন আর হতো না 🙂
লেখা ভালো হয়েছে।
অলিভার
হ্যাঁ ভাইয়া, আমরা সবাই কোন না কোন দিক থেকে পক্ষপাত দুষ্ট। আর কখনোই একই সমতলে এসে চিন্তা করতে পারবো না। কিন্তু আমাদের এই পক্ষপাত দুষ্ট স্বভাবই আমাদের এখন পিছু টেনে ধরছে। এগিয়ে যাওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
সময় নিয়ে লেখাটি পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂
কৃন্তনিকা
খুব দারুণভাবে তুলে ধরেছেন।
ভালো লাগলো…
অলিভার
মন্তব্যের জন্যে কৃতজ্ঞতা 🙂
মেহেরী তাজ
এটা যে শেষ পর্যন্ত দৃষ্টিভঙ্গি এবং আদর্শে এসে ধাক্কা দিবে তা কিন্তু ভাবিনি একবারও।
আপনার উদাহরণ প্রয়োগ টা আমার কাছে নতুন লেগেছে এবং ভালো লেগেছে।
অলিভার
কৃতজ্ঞতা সময় নিয়ে লেখাটি পড়ার জন্যে 🙂