এক দিন স্বপ্নের দিন………………

স্বপ্ন!স্বপ্ন দেখতে কে না ভালবাসে।কেউ স্বপ্ন দেখেন ঘুমিয়ে কেউ বা জেগে।ঘুমিয়ে দেখা স্বপ্নের মাঝে প্রহরের ভাল মন্দ যোগ থাকে সে সব জ্যোতিষীদের কথা আমার দিক দিয়ে স্বপ্নের কোন ভাল মন্দ নেই যা নিমিষেই বিলীন হয়ে যায় তার আবার ভাল মন্দ কি।তবুও জীবন বার বার স্বপ্ন দেখে স্বপ্নই জীবনকে বাচিয়ে রাখে।তবে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখার চেয়ে জেগে স্বপ্ন দেখার গভীরতা অনেক।বলতে পারেন জেগে আবার স্বপ্ন দেখেন কেমন করে,শুনুন তাহলে…

শুরু করলাম নচিকেতার একটি যুগান্তকারী গান দিয়ে “আমি এক ফেরিওলা ভাই স্বপ্ন ফেরি করে বেড়াই…

(3 মুসলমানরা মসজিদে নামাজ পড়েন অনেক মুসল্লী আছেন যারা নামাজে দাড়িয়ে স্বপ্ন দেখে দুনিয়াবী লাভ লোকসানের হিসাব।

(3 প্রেমিক প্রেমিকাগণ স্বপ্ন দেখেন প্রথম সাক্ষাতের প্রস্তুতিতে, কেমন জানি সে দেখতে,শেষ মেশ পরিস্হিতি কি হলে কি করব, সাক্ষাতে যেতে যেতে স্বপ্নের ভাবনায় হারিয়ে চলন্ত গাড়ী প্রচন্ড শব্দের হর্ণ যেন ম্লান শব্দহীন সতর্কহীন।

(3  স্বপ্ন দেখেন একজন দরিদ্র আরেক সম্পদশালীর সম্পদ দেখে…আহা!আমার যদি ওর মত সম্পদ থাকত।

(3 আমাদের দিশাহারা লেখুয়োদের দিশা খুজেঁ পাওয়া এই সোনেলায় বসবাস করেন এক জন স্বপ্ন নামক ব্লগার,অসীম স্বপ্নের মাঝে তার বসবাস।আসলে সত্যি বলতে কি স্বপ্ন সবাই দেখতে পারেন না, স্বপ্ন দেখতে সাহস থাকা চাই আর সব স্বপ্ন জীবনের কাছে ধরাও দেয় না, তাই বলে স্বপ্ন দেখা ভূলে যেতে হবে?মোটেই না,তাহলেতো জীবনের চাকায় পড়বে ব্রেক।আরেক ব্লগার স্বপ্ন নীল ….যার স্বপ্নে নীলাভা বিদ্যমান,একটি অজানা কষ্ট একটি না পাবার হা হা কার…মন ছুটে যায় সীমাহীন নীলাকাশেঁ যেথায় মাটির মমতার ছুয়ে ছুয়ে বেড়ায়।

(3 ব্যাবসায়িক কিংবা চাকুরী জীবি স্বপ্ন দেখেন এই ঐ কাজটি সুন্দর ভাবে সমাধান হলেই আমি হবো সম্পদের মালিক।

(3 কেউ এলেই ঘোষ খোর দূর্নিতীবাজরা স্বপ্ন দেখেন টেবিলের তলদেশ দিয়ে কোন কিছুর উৎপত্তি ঘটে কি না।

(3 রাজনিতীবিদরা স্বপ্ন দেখেন কাকে ঘায়েল করে নিজেকে জাহির করা যায়।রাজনিতীবিদদের মাঝে পৃথিবীর সকল মকলোকাত থেকে স্বপ্ন দেখার ভিন্নতা দেখতে পাওয়া যায় তারা এক দিকে মানুষকে স্বপ্ন দেখায় কিংবা ভাষন ভোষনে নিজেও স্বপ্নচারী হন।যার অধিকাংশই অবাস্তবায়িত ভাবে পড়ে থাকে বোকা মানুষের হৃদয়ে।তাইতো শিল্পীর মত বলতে হয় কি হবে কি আর হবে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।

(3 বয়স যখন অল্প স্বপ্নও থাকে স্বপ্ল স্বপ্ল…এই বড় হয়ে কেউ হবেন ডাক্তার কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার কেউ বা হবেন নচিকেতার ভব ঘূড়ে আমার মতন সস্তা দামের লেখক হয়ে।তখন মনকে বুঝাবেন নচিকেতার গান দিয়ে এই বেশ ভাল আছি…………..।

(y) কেউ আবার এমনো হন (9)

নিষিদ্ধ গদ্য:

জীবন এক বিচিত্র সিনেমার শেষ দৃশ্য যখন সময় থমকে ধারাবে তখন ফিরে আসার আর কোন পথ খোলা থাকবে না।তা আমরা প্রত্যকেই জানি তবুও মানুষ জীবনকে করে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য…যে কোন কারনেই হউক অনেকে আবার জীবন নিয়ে যান শেষ দৃশ্যপট আত্ত্ব হত্যার দিকে।মানুষকে খুন করা আর নিজেকে আত্ত্ব হত্যার ধাপিত করা কোন সহজ কাজ নয়….এক জন সুস্হ ব্রেন তা করতে সময় নেন কিন্তু অসুস্হ ব্রেন মানে নেশা গ্রহস্ত জীবন,সহজেই জীবন দৃশ্যের সমাপ্তি ঘটাতে পারেন।

ইয়াবা টেবলেটটি সাধারণতঃ মেথঅ্যাম্ফিটামিন ও ক্যাফেইন এর মিশ্রন।হেরোইন মিশানো মাঝে মাঝে দেখতে পাওয়া যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি খাওয়ার বড়ি হিসাবে সেবন করা হয়, তবে নেশা খোর ব্যাক্তিরা এটাকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধাতব ফয়েলে পুড়িয়ে ধোঁয়া হিসাবেও এটিকে সেবন করা হয়ে থাকে। থাইল্যান্ডে বেশ জনপ্রিয়, এবং পার্শ্ববর্তী দেশ বার্মা থেকে এটি চোরাচালান করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পৃথিবীর অনেক দেশেই এই মাদকের বিস্তার ঘটেছে।১৯৭০ সালে থাই সরকার এর ব্যাবহারের কুফলের জন্য নিষিদ্ধ করেন।

বাংলাদেশে ইয়াবার আবির্ভাব ঘটে ১৯৯৭ সালে  পরে ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে ইয়াবা আসতে শুরু করে। এই ট্যাবলেটের দাম তুলনা মূলক ভাবে বেশি হবার কারণে উচ্চ বিত্তদের মাঝেই এটি মূলত: বিস্তার লাভ করে।পরবর্তীতে এর মান অনুযায়ী পঞ্চাশ টাকায় নেমে আসে।

আমাদের দেশে এটা সাধারণতঃ তিন রকমের পাওয়া যায়।সবুজ বা গোলাপি রংয়ের এর ঘ্রান অনেকটা সু-স্বাধু বিস্কুটের মতো।চিতা ও গোলাপজল নামক ইয়াবা নেশা খোরদের জন্য ভাল।পিলের গায়ে ইংরেজি ডাব্লিউ ওয়াই (WY) লেখা থাকে। ওয়াই (Y) লেখার ধরণ দীর্ঘ হলে এবং ইয়াবার রঙ পুরোপুরি গোলাপি হলে ধারণা করা হয় সেটি ইয়াবা হিসেবে ভাল মানের।

এটি আবিষ্কার হয় তখন এটি ছিল প্রথমে অনিদ্রা,ক্ষুধা মজ্জা,এবং যৌন উত্তেজক ঔষধ হিসাবে কোন যুদ্ধ ক্ষেত্র কিংবা রাত বিরাতে জেগে থাকার জন্য তা এখন বিশ্বে এক নম্বর নেশার টেবলেটে রূপ নিয়েছে।

প্রামান্য চিত্র সমাজের তরুনরা কোন দিকে যাচ্ছে এক বার চিন্তা করুন সমাজের বিজ্ঞরা।এখানে আপনার সন্তান যে নেই তার নিশ্চয়তা কি?

জম জমাট ব্যাবসা প্রশাসনের নাকের ঢগায় ওরা চালিয়ে যাচ্ছে ।খবরে প্রকাশ খোদ প্রশাসনও আটককৃত নেশাজাত দ্রব্য পরবর্তীতে বিক্রয় করে থাকেন তাহলে আমরা কার কাছে যাবো এ সব অপরাধ নির্মুলে।

এর সেবনের দৃশ্য দেখলে আরো বিষ্মিত হবেন এ সব সেবনে মিনিমাম দু’জন লাগে।এক জন এক হাতে ধাতব ফয়েল পেপারের মতো পদার্থের চিকন লম্বা ট্রেটির উপর ইয়াবা টেবলেট রেখে অন্য হাতে ট্রে টির নীচে বানানো লাইটারের সরু আগুন ধরেন তাতে যে ধোয়ার উৎপত্তি হয় তা নেশা গ্রহন কারী টাকা/ডলারের নোট পেচিয়ে বানানো বাশির মত নল দিয়ে নাকে ধোয়াগুলো প্রবেশ করান।নেশা গ্রহনে এত সরঞ্জাম আর গ্রহনে এত ঝামেলা তাতে এক জন ফ্রেস লোকেরও বিরক্তি এসে যাবে আর নেশা খোরদের কোন বিরক্তি বোধই নেই।

ইয়াবা সেবনে এক বাঙ্গালীর প্রতিক্রিয়া

টপ টেন নেশা এবং ক্ষতিকর দিক

উপকরণ: কিছু টেবলেট,

একটি ধাতব মিশ্রিত ফয়েল পেপার,

একটি বিশেষ ম্যাচ লাইট যার অগ্নি নির্বাপণ মুখে সিরিজের সরু সুই বিশেষ কায়দায় লাগানো যাতে জ্বলন্ত আগুনটি সরু হয়ে এর ভিতর দিয়ে তীব্র উত্ত্বাপে বের হয়,

আর কিছু টাকার নোট যা পেচিয়ে সরু পাইপের মতো তৈরী করে তার ভিতর দিয়ে জ্বলন্ত ইয়াবার সমস্ত ধূয়া নসিকায় প্রবেশ করান এর চুল পরিমান ধোয়াও অন্য দিকে যায় না।

(y) সবচেয়ে অবাক বিষয় যে টাকার নোটগুলো ব্যাবহার হয় তা অবস্হা বেদে এক হাজার টাকার নোট কিংবা ডলারে ডলার নোটও তাপে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।

(y) কথিত আছে যে, কোন কোন ধনীর ছেলে মেয়েরা এক বৈঠকেই হাজার লক্ষ টাকা এ ভাবেই নষ্ট করে দেন।

ক্ষতিকর দিক:

(y) ইয়াবা গ্রহণের ফলে ফুসফুস, বৃক্ক সমস্যা ছাড়াও অনিয়মিত এবং দ্রুতগতির হৃদ স্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত হারে ইয়াবা গ্রহণ হাইপারথার্মিয়া বা উচ্চ শারীরিক তাপ মাত্রার কারণ হতে পারে। অভ্যস্ততার পর হঠাৎ ইয়াবার অভাবে সৃষ্টি হয় আত্মহত্যা প্রবণতা এবং হতাশা।যা তরুন সমাজ ধংস স্বরূপ।লং টাইম সেবনে স্মরণ শক্তি কমে যায়, সিদ্ধান্তহীনতা শুরু হয় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। অনেকে আবার পাগল হয়ে যায়।

(y) ডিপ্রেশন বা হতাশাজনিত নানা রকম অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়,

(y) এমনকি অনেকে আত্মহত্যাও করে থাকে।

(y) এছাড়া হার্টের ভেতরে ইনফেকশন হয়ে বা মস্তিষ্কের রক্তনালী ছিঁড়েও অনেকে মারা যান।

(y) অনেকে রাস্তায় দুর্ঘটনায় পতিত হন।

(y) কেউ কেউ টানা সাত থেকে ১০ দিন জেগে থাকেন।

(y) ইয়াবার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিশিষ্ট মনো চিকিৎসক ডা. মোহিত কামাল বলেন, নিয়মিত ইয়াবা সেবনে মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণ, নিদ্রা হীনতা, খিঁচুনি, মস্তিষ্ক বিকৃতি, রক্তচাপ বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক হৃদ স্পন্দন, হার্ট অ্যাটাক, ঘুমের ব্যাঘাত, শরীরে কিছু চলা ফেরার অস্তিত্ব টের পাওয়া, অ-স্বস্তিকর মানসিক অবস্থা, কিডনি বিকল, চিরস্থায়ী যৌন-অক্ষমতা, ফুস ফুসের প্রদাহ সহ ফুস ফুসে টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে। এ ছাড়া ইয়াবায় অভ্যস্ততার পর…

(y) হঠাৎ এর অভাবে সৃষ্টি হয় হতাশা ও আত্মহত্যার প্রবণতা।

তিনি বলেন আরো বলেন, এ মাদক সাধারণ শান্ত ব্যক্তিটিকেও হিংস্র ও আক্রমণাত্মক করে তুলতে পারে। ইয়াবা গ্রহণে হ্যালুসিনেশন ও সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়াটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। হ্যালুসিনেশন  হলে রোগী উল্টোপাল্টা দেখে, গায়েবি আওয়াজ শোনে। আর প্যারানয়াতে  ভুগলে রোগী ভাবে অনেকেই তার সঙ্গে শত্রুতা করছে। তারা মারামারি ও সন্ত্রাস করতেও পছন্দ করে।

-{@ ” ক্ষণ স্হায়ী এ পৃথিবীতে

-{@ ক্ষণ  স্হায়ী জীবনে

-{@ পৃথিবীকে কবর বাসযোগ্য

-{@ জীবনকে করব নির্মল আনন্দময়

-{@ এই হোক অঙ্গীকার আজকের তরুন সমাজ”

সেই একদিন স্বপ্নের দিন।

কৃতজ্ঞতায়:উইকিপিয়া এবং অনলাইন

#NB:লেখাটি ভাল লাগলে এ রূপ বিষয়াদি নিয়ে লিখে যেতে চাই নিয়মিত পর্বাকারে নতুবা …..এখানেই সমাপ্তি।

৫২৪জন ৫১৯জন
0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ