বিমূর্তায়নের সন্ধিক্ষণে-
আত্মগ্লানির বিদগ্ধতায় নিমজ্জিত বেদুঈন,
ভারাক্রান্ত হৃদয়ের যাঁতাকলে পিষে
আজ হয়েছে শ্রান্ত-ক্লান্ত; নিষ্পেষিত।
মরুর বেদুঈনের চোখের গহীন অন্ধকারে খেলাকরে,
কৈশরের চোখে ভাসা একরাশ গোধূলি দুঃস্বপ্ন।
বিস্বাদের তেঁতো প্রাপ্তি নিয়ে-
পশ্চিমাকাশের রক্তিম ভেলায় লুকোচুরিতে ব্যস্ত পানকৌড়ি,
বারংবার উড়ে যায় দিগন্তবৃত্তের অসীমপাণে।
ঈশানী নক্ষত্রের মৃদুমধুর আলোতে,
বেদুঈনের টোলপড়া গালের স্ফীত হাসি বলে দেয়-
বিক্ষিপ্ত মনের অনেক অজানা অতৃপ্তির গল্প।
মনেরেখ হে পথিকবর,
আমিও ছিলাম আছি থাকবো-
আক্ষেপতায় নির্লিপ্ত ব্যস্ততার ছায়াসঙ্গী হয়ে,
নীলাভ মরুপ্রান্তরের এককোণে; বিস্তৃত রক্তিম সীমারেখায়।
৩৪টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাপরে!!! কি কঠিন কঠিন শব্দ । আমার মাথার উপর দিয়ে উইড়্যা গেলো। শুভ কামনা রইল
তৌহিদ
এই মন্তব্যতো আমার!! আপনি আমাকেই ফেরত দিলেন আপামনি? কবিরা এরকম বললে লজ্জা লাগে ☺
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার নাকি কবিতা মাথায় ঢুকতে চায় না । না ঢুকলে এগুলো কোথা থেকে বের হলো? 🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄
তৌহিদ
মনমেজাজ খুব বিক্ষিপ্ত থাকলে এইসব মাঝেমধ্যে মাথায় আসে, সবসময় না তো ☺
মোঃ মজিবর রহমান
কেনরে ভাই সহজ শব্দে কি মন ভরেনা। অতি কঠিন শব্দে দারুন প্রতিফলন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ঠিক বলেছেন ভাইয়া। সহজ কথা যায় না বলা সহজে। তাইতো কঠিনেরে নিলাম আপন করে
তৌহিদ
এইযে ফাল্গুনী আপু, আর আপনি যে এত সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখেন সে কথা কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখে না। ভালো থাকবেন আপু।
মোঃ মজিবর রহমান
তা ঠিক আপু। ভাল থাকুন।
তৌহিদ
এ আর এমন কি কঠিন! লিখতে লিখতেই হয়ে গেল। তবে কবিতা আমার মাথায় ঢোকে না। তাই কবিতাকে এড়িয়ে যাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
তৌহিদ
এইযে ফাল্গুনী আপু, আর আপনি যে এত সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখেন সে কথা কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখে না। ভালো থাকবেন আপু।
ছাইরাছ হেলাল
ছায়াসঙ্গী হতে পারলে আর কী চাই! হাতে-পায়ে ধরে থাকতে হবে বৈকি!
মরুপ্রান্তর আবার নীলাভ হয় কেমনে!
তৌহিদ
যারা চলে যায় তারা তো চলে যায়, এই নশ্বর পৃথিবীতে নির্লিপ্ততায় থেকে যাই আমরা। তারা থেকে যায় আমাদের মনের অন্তরালে স্মৃতি হয়ে কখনো কাদায় কখনো হাসায়।
নীল হচ্ছে কষ্টের রঙ বেদনার রঙ। ব্যথাতুর বেদুঈনের মনে যে কষ্ট যন্ত্রণা, গোটা মরুভূমি তার চোখে নীলাভ হয়ে ধরা দিয়েছে।
নুরহোসেন
মনেরেখ হে পথিকবর,
আমিও ছিলাম আছি থাকবো-
আক্ষেপতায় নির্লিপ্ত ব্যস্ততার ছায়াসঙ্গী হয়ে,
নীলাভ মরুপ্রান্তরের এককোণে; বিস্তৃত রক্তিম সীমারেখায়।
-এক কথায় অসাধারণ, চমৎকার শব্দে সাঁজিয়েছেন;
ভাল লাগলো।
তৌহিদ
আপনি আমার প্রতিটি পোস্টে নিজের গঠনমূলক মন্তব্যে আমাকে অনুপ্রেরণা যোগান। ধন্যবাদ ভাই। পাশে থাকবেন।
নুরহোসেন
ভাই বন্ধু আছি থাকবো।
সুরাইয়া পারভিন
বিমূর্তায়নের সন্ধিক্ষণে-
আত্মগ্লানির বিদগ্ধতায় নিমজ্জিত বেদুঈন,
ভারাক্রান্ত হৃদয়ের যাঁতাকলে পিষে
আজ হয়েছে শ্রান্ত-ক্লান্ত; নিষ্পেষিত।
চমৎকার শব্দ চয়ন।
তৌহিদ
লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
কামাল উদ্দিন
বেদুঈনকে বলে দেবেন পেছনের খারাপ সময় নিয়ে না ভেবে সামনের দিকে যেন দৃঢ় পায়ে পথ চলে………শুভ কামনা সব সময়।
তৌহিদ
বেদুঈনের এখন অনেক অনেক ভালোবাসা আর সঙ্গীর প্রয়োজন, তার দরকার একটি সুখী পরিবার। তাই যেন সে পায়। এটাই কাম্য।
কামাল উদ্দিন
মনোকামনা পূর্ণ হবে ইনশাআল্লাহ্
কামাল উদ্দিন
আর হ্যাঁ ছবিটা কিন্তু সত্যিই চমৎকার
তৌহিদ
ছবিটি আমার খুব পছন্দের ভাই। নেট থেকে পেয়েছি, ধন্যবাদ।
নিতাই বাবু
এভাবে আপনার কবিতার মতো করে থাকতে চাই হে কবি।
তৌহিদ
আমাদের এখনো সামনাসামনি দেখা হয়নি। অনলাইনে পরিচয় সীমাবদ্ধ। তবে এতোটুকু পরিচয় একজন লেখক হিসেবে আপনাকে আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি। সেই শ্রদ্ধা থেকে বলছি, আপনি আমার বুকের এক কোণে স্থান করে নিয়েছেন ভাই।
প্রদীপ চক্রবর্তী
প্রতি শব্দের যোজনা বেশ মারাত্মক দাদা।
দুবার পড়লাম।
অসাধারণ শব্দচয়ন দাদা।
তৌহিদ
আমার প্রতিটি লেখায় আপনার উপস্থিতি আমাকে অনুপ্রেরণা দেয় দাদা। এভাবেই পাশে থাকবেন সবসময়। ভালোবাসা রইলো।
জিসান শা ইকরাম
কবি হলে নিজের মাঝেই থাকা যায়,
নির্লিপ্ত থাকা যায় অন্য কিছু থেকে।
কবিতা ভালো হয়েছে।
সোনেলা কবিরা দখল করে নিবে নাকি? 🙂
তৌহিদ
ইদানিং দেখতে পাচ্ছি আমাদের ব্লগারগণ অনেকেই বড় লেখা পড়তে চান না। এমনকি গঠনমূলক মন্তব্য করে অনুপ্রাণিত করেন না। হাতে দুই একজন ছাড়া কেউই পড়তে আগ্রহী নয়। সবাই নিজের লেখা দিয়েই চলে যায় যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমার মনে এসব দেখে কষ্ট পাচ্ছি কিন্তু বলতে পারছিনা কাউকে।
ব্লগে সুন্দর সুন্দর লেখায় পাঠক সংখ্যা এবং প্রকৃত সংখ্যা কমে গিয়েছে লক্ষ্য করেছেন? যাদের মন্তব্য করার কথা তারা ব্লগে নেই, আছে ফেসবুক নিয়ে। কি আর বলবো?
এসব দেখে ঠিক করেছি এখন থেকে ছোট ছোট লেখা দেবো। পাঠক পড়বে, নিজের কষ্ট কম হবে।
ইসিয়াক
খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।
শুভকামনা রইলো্।
তৌহিদ
লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই 😚
সাবিনা ইয়াসমিন
দুপুরে একবার পড়েছি।
তখন ভেবেছি শীতের ঠ্যালায় কবিতাটা মাথায় ঢুকছে না।
বিকেলে আরেকবার পড়লাম, অন্যদের ( মহারাজের) কমেন্ট দেখে অর্ধেক বুঝেছি। কারন সে বিস্তারিত কমেন্ট দেননি। 😥😥
এখন আমি হতাস। কারন,
★ মনেরেখ হে পথিকবর,
আমিও ছিলাম আছি থাকবো-
আক্ষেপতায় নির্লিপ্ত ব্যস্ততার ছায়াসঙ্গী হয়ে,
নীলাভ মরুপ্রান্তরের এককোণে; বিস্তৃত রক্তিম সীমারেখায় “….. এই লাইন গুলো বাদে অন্যকিছুই ভালো মত বুঝিনি।
আমাকে কি কবিতাটা বুঝিয়ে দেয়া যায় কবি ভাই?
তৌহিদ
কবিরা যদি জানতে চায় কবিতার ব্যাখ্যা তখন লজ্জা লাগে কিন্তু। কি সব আবোলতাবোল লিখছি তার আবার ব্যাখ্যা করতে হলে দাঁত ভেঙে যাবে আমার নিজেরই। এই শাস্তি আমাকে দিলেন বড় আফা?
মানুষের জীবনে এমন কিছু সময় আসে যখন সে হয়ে যায় নিঃস্ব একাকী। জীবনে যাদের জন্য সবকিছু উজার করেছে এই সন্ধিক্ষণে এসে তার কাছে সবকিছুই অর্থহীন মনে হচ্ছে। তার মনে হচ্ছে জীবন সায়াহ্ন এসে উপস্থিত বুঝি!
ভারাক্রান্ত ক্লান্ত হৃদয়ে সে তাকিয়ে আছে দূরপানে। তার কাছে মনে হচ্ছে কৈশোর বেলাই কত না ভালো ছিলো। নিজের পরিবারের বাবা মা সকলের আদরে কত সুখী ছিলো সে। অথচ আজ কেউ নেই পাশে। তারকাছে এই হাড়ানোর বেদনা গোধূলি আলোর মত দুঃস্বপ্ন হয়ে ধরা দিয়েছে। সূর্যটা যেমন ডুবে গেলেই টুক করে নামবে অন্ধকার, তার জীবন বুঝি এরকমই। পাখিরা যেমন নীড়ে ফিরে যাচ্ছে আহা তারও যদি এখন নীড় থাকতো! জীবনের যাঁতাকলে তাকে দৌড়াতে হচ্ছে।
এই বিষণ্ণ মন নিয়ে সে স্ফীত হেসে আপন মনে বলে উঠছে এই পৃথিবীর মানুষদের কাছে, তার আপনজনদের কাছে- সে চলে গেলেও তাকে যেন কেউ ভুলে না যায়।
এই আর কি!
আরজু মুক্তা
আসলেই আমরা বেদুঈন এর মতো একা। ভালো সঙ্গি দরকার।
তৌহিদ
একদম ঠিক আপু। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।