কিছু অমীমাংসিত শব্দের সন্ধিবিচ্ছেদে,
প্রাচীনতা ভুগছে ভালোবাসাহীন শুষ্ক বিরহে।
কাক ডাকা ভোরের আবছায়া অলিগলি পথে,
ভুল ছন্দে শব্দরা গুমোট বাঁধে।
ভরদুপুরে শহর জুড়ে বৃষ্টি নামে,
তোমার প্রাচীনতার সুধাহীন প্রেমে।
বৃষ্টি ভেজা প্রাচীনতার খামখেয়ালি গায়ে,
শরীর কাঁপে আমার ভীষণ জ্বরে।
শতাব্দীর প্রাচীর ঘিরে,
অতন্দ্র প্রহরীরা অভিসারে রয় ঘুমঘোরে।
আলতো মাখা চিলতে রোদে,
প্রতিটি নক্ষত্রকণা প্রাচীনতা খোঁজে।
বিবর্ণ শহরের নিস্তব্ধ অমানিশা রাতে,
করুণ স্মৃতি অশ্রুজলে ভাসে ঘুমঘোরের পাশবালিশে।
সমস্ত প্রাচীনতা ভেঙ্গে দিয়ে,
আমি ক্লান্ত হয়ে হাঁটি পথের দ্বারে দ্বারে।
নির্যাস স্বপ্ন ছোঁয়াতে,
প্রাচীনতা মিশে যায় পোড়ামাটির ছিন্নভেদে।
প্রাচীরের প্রাচীনতা হারিয়েছে নাব্যতা,
দিবস রজনীর শেষে ভুল বোঝাবুঝির নিমগ্নতা।
১২টি মন্তব্য
রোবায়দা নাসরীন
পড়লাম মন দিয়ে ।
প্রদীপ চক্রবর্তী
প্রাপ্তি,
অজস্র ধন্যবাদ দিদি।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অজস্র ধন্যবাদ দিদি।
শাহরিন
আলতো মাখা চিলতে রোদে, প্রতিটি নক্ষত্রক্ণা প্রাচীনতা খোজে।
শব্দ গুলো ভালো লেগেছে খুব। আমি কবিতা বুঝি না বা আবৃত্তি ও পারিনা। কিন্তু শব্দ গুলো সুন্দর লেগেছে। ধন্যবাদ।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অজস্র ধন্যবাদ দিদি।
মনির হোসেন মমি
ভাই এতো সুন্দর করে কবিতা লিখেন কেমনে?আমি কেন পারি না!!!
খুব ভাল লাগল।
প্রদীপ চক্রবর্তী
কার ভাই বুঝতে হবে না?
এত ভালো লিখতে পারি না দাদা।
আপনার লেখা আমি পড়ি বেশ ভালো লাগে।
শুভকামনা দাদা।
মনির হোসেন মমি
ঠিক ভাইয়া।লিখুন মন খুলে। অল দা বেষ্ট।
জিসান শা ইকরাম
শব্দের চমৎকার বুননে মুগ্ধ৷
শুভ কামনা৷
প্রদীপ চক্রবর্তী
অজস্র ধন্যবাদ দাদা।
সাবিনা ইয়াসমিন
চিলতে রোদে নক্ষত্র কণা কেমন করে ভাসে?
প্রদীপ চক্রবর্তী
মৃত্তিকাভেদ করে যেমন জলের বসতি তেমনি করে চিলতে রোদে জলের উপর নক্ষত্রকণা প্রতিচ্ছবি হয়ে ভাসে..!