
নিঠুর নিয়তি
শহর থেকে গ্রামে ফেরা। ঈদ উৎসব ছাড়া। শীতের সময় অনেকে গ্রামে যেতে পছন্দ করে। এসময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকে। পরিবারের সকলকে নিয়ে বেড়ানোর উত্তম সময়। তেমনি ভাবে সেদিনও গ্রামের বাড়িতে ফিরতে ছিল কয়েক শত লোক। তাদের কেউ ছিল পুরো পরিবার নিয়ে। কেউ বা নিজেই ফিরছিল প্রিয়জনের কাছে। প্রিয় মুখ গুলো দেখার অপেক্ষায় ছিল তাদের প্রিয়জনরা। কেউ বা শীতের পিঠা বানিয়ে রেখেছিল, প্রভাতের আলোয় ফিরবে স্বজন। নিষ্ঠুর নিয়তিও সাথে করে চলছিল তাদের সাথে। কেউ কি ভেবেছিল কোনোকালে।
নাহ, আলো ঝলমলে প্রভাত সাথে করে তাদের বাড়ি ফেরা হয়নি। তার আগেই আগুনে ঝলসে গেছে অনেক স্বপ্ন আশা ভালোবাসা। রাতের আঁধার ভেদ করে সেদিন অনেক আলো জ্বলছিল। তবে সে আলোয় কেউ পথ দেখেনি। চারপাশে পানি। আগুন নেভানোর ব্যবস্থা কই। একেই কি বলে নিষ্ঠুর নিয়তি। পানির এত কাছে থেকেও বাঁচানো গেল না আদম সন্তানদের। পুড়ে ছাই হলো তাদের দেহ। নিয়তির কাছে মানুষ কি সত্যি খুব অসহায়?
“অভিযান-১০” দুর্ঘটনার জন্য তদন্ত কমিটি হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান হবে। তদন্ত রিপোর্ট একসময় বের হবে। প্রিয়জন হারানোর যে অনল জ্বলছে বুকে, তা শেষ হবে কিভাবে? মনে পড়ে শিল্পী আব্দুল জব্বারের গাওয়া সেই গানের কথা–” নিঠুর পৃথিবী দিয়েছো আমায় আখি জল উপহার”।
ছবি: নেট থেকে সংগৃহীত।
১০টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
দেশে এটাই মনে হয় প্রথম নদীপথে লঞ্চে আগুনলাগা। দায়ী্ত্বে যারা ছিলেন এবং মালিক সহ সরকারী মনিটরিং কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
হালিমা আক্তার
কত দূর্ঘটনা হচ্ছে, কটার বিচার হয়। যদি শাস্তির আওতায় আনা যেত। তাহলে দায়বদ্ধতা থাকতো। অশেষ ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ভোরেই খবরটা পেলাম ফেসবুকের মাধ্যমে। চোখের সামনে দাউ দাউ করে জ্বলছে-একটি বিশাল আকৃতির লঞ্চ।কি বিভৎস দৃশ্য! এতো এতো দূর্ঘটনা তবুও কারো কোনো দায় নেই, সচেতনতা নেই। চারদিকে অথৈ জল তবুও আগুনে পুড়ে মরলো এতগুলো জীবন, পোড়ার যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে আরো অনেকে। তদন্ত করে একটা দায়সারা রিপোর্ট দিবে তারপর সব নিশ্চুপ হয়ে যাবে। আর যার গেল সে-ই জ্বলবে আমৃত্যু
হালিমা আক্তার
এমন ঘটনার কথা ভাবতে পারিনা, তবু ঘটনা ঘটে যায়। তদন্ত কমিটি, তদন্ত রিপোর্ট এরপর আবার সব স্বাভাবিক। চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
দুঃখজনক ঘটনা!
শুভ কামনা জানবেন।
হালিমা আক্তার
আপনার প্রতিও শুভকামনা রইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
এইসব ভন্ড কমিটি রিপোর্ট হবে ইচ্ছে মতো, লঞ্চ মালিক কইছে ভন্ড কথা যাত্রীর থেকে আগুন লেগেছে। এর কোন প্রতিবাদ করে নাই কেহ। সরকার তাই ই করবে।
হালিমা আক্তার
ওদের ভন্ডামিতে প্রাণ হারায় সাধারণ মানুষ। চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আলমগীর সরকার লিটন
সত্যই খুবি দুঃখজনক শুনেছি পানিতে ডুবে যায় কিন্তু এখন দেখলাম আগুন লাগে আমরা কথাই বাস করছি জানি না
হালিমা আক্তার
আসলেই দুঃখ জনক। এতো দিন লঞ্চ দুর্ঘটনায় পানিতে ডুবে মানুষ মারা যেত। এখন সেই পানিতে ভাসমান লঞ্চে আগুনে দগ্ধ হয়ে মানুষ মারা গেল।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।