যোগেন ঠাকুরের সেই দিন নেই আর
নেই সেই পূজার আয়োজন দেবালয়ে,
নেই ঘন্টা কিংবা শঙ্খ ধ্বনি,
নিজ ভূমে যোগেন ঠাকুর আজ পরবাসী।।
গেলো বছর কার্তিক মাসে
হুমকি দিলো মোল্লার ছেলে,
“বাংলা ছেড়ে হিন্দুস্থান যা, যা চলে যা
নেংটি ইঁদুর,মালুর ছা।
এই বাংলায় নেই অধিকার,
ছেড়ে দে ঐ মুর্তি পূজা।
কালেমা পড়িলে,ধর্ম ছাড়িলে
মাথা গুজিবার পাবি জায়গা।”
অগ্রাহায়ণ গেলো, পৌষও গেলো
মাঘের শীতে উত্তাপ ছড়ালো,
দাও দাও করে দেবালয় জ্বলে,
দেবতারাও আজ ধুলায় লুটে।
চোখের জলে বুক ভাসিয়ে
যোগেন ঠাকুর গুমরে মরে,
ছুটে ছুটে যায় তুলসী তলায়,
ছাই হয়ে গেছে পূণ্য দেবালয়।।
যোগেন ঠাকুরের সেই দিন নেই আর
স্মিত হাসিমাখা সেই মুখ দেখিনা আর,
বাংলাদেশকে ভালোবেসে
থেকে যাওয়াটাই কাল হলো যে তার।
(উৎসর্গঃখাতাকলমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে!!!)
১৪টি মন্তব্য
ব্লগার সজীব
সামনে মহা দুর্দিন , এবার চলে যেতেই হবে । অসাম্প্রদায়িক বাংলা আর থাকবে না ।
নীলকন্ঠ জয়
আদৌ আছে কি? সামান্য কিছু ভালো মানুষের কল্যাণে এদেশে এখনও সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির চর্চা হয়।
ছাইরাছ হেলাল
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের ঐতিহ্য , এটি হারিয়ে যাবে তা মনে করি না ।
নীলকন্ঠ জয়
অবস্থা দৃষ্টিতে তা মনে হয় না।
তন্দ্রা
অসাম্প্রদায়ীক দেশ থাক্তেই হবে, আমরা ধর্ম উপর মানবতা অ মানুসের জয়গান নিয়ে থাকতে চাই।
নীলকন্ঠ জয়
তাই যেন হয়।
স্বপ্ন নীলা
যোগেন ঠাকুরের সেই দিন নেই আর
স্মিত হাসিমাখা সেই মুখ দেখিনা আর,
বাংলাদেশকে ভালোবেসে
থেকে যাওয়াটাই কাল হলো যে তার। ,,,,,,,,,,,,,,,,,ভাল লাগলো খুব
নীলকন্ঠ জয়
ধন্যবাদ জানবেন।
তার ছেঁড়া
আন্দুলুন ছাড়া গতি নাই রে ভাই , গতি নাই ।
নীলকন্ঠ জয়
আন্দোলনটা করবে কে? দেশে দুই পক্ষ ক্ষমতার আন্দোলনেই অস্থির, পাশে দাঁড়ানোর জন্য কেইবা আছে বলুন? এদেশে সাধারণ জনগণ বলতে কিছু নেই। সরকারী-বিরোধী, স্বাধীনতাপন্থী-রাজাকার, সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু। জনগণ কিন্তু নেই।
শুন্য শুন্যালয়
আমাদের ধর্ম বীর রা শুধু অপেক্ষায় থাকে ..
হতাশ হওয়া ছাড়া আমিও কোন আশা দেখিনা. 🙁
নীলকন্ঠ জয়
ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ শুন্য আপনাকে।
খসড়া
কি আর কইব!
নীলকন্ঠ জয়
🙁