নষ্টের নষ্টা ও তাঁর গাঁদা ফুল

ভোরের শিশির ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪, বুধবার, ০৩:১৪:৩০পূর্বাহ্ন বিবিধ ৬ মন্তব্য

প্রতিটি বিদ্রোহী মনের এক কোণায় আঁকা থাকে প্রেয়সীর দু’চোখ কিংবা কোন প্রিয় স্পর্শ। প্রতিবার বিদ্রোহের স্লোগানের ঠিক ঊষা লগ্নেই মনে মনে ভেবে নেয় প্রেয়সী কিংবা অন্য কাউকে। বিদ্রোহী সে, তবুও মানুষ
প্রতিটি বিদ্রোহই ছিনিয়ে নেয় কোন প্রেয়সী কিংবা প্রিয় কারো প্রিয়কেই। বিদ্রোহের রণাঙ্গণে কিংবা দূর প্রবাসে দু’চোখ অথবা সেই স্পর্শ আজো খুঁজে ফিরে বিদ্রোহীকে। বিদ্রোহী যে সেও তো মানুষ।

রণাঙ্গণ তার প্রেয়সীর বিকল্প ছিল। সেই রণাঙ্গণ দিয়েছে তার প্রেয়সীর গর্ভে অনাকাংখিত সন্তান-লোকে যা বলে জারজ! এ সেই সন্তান যার জন্মে লেগে আছে রণাঙ্গণের ফসল।
জারজ! ‘জন্মই যার আজন্ম পাপ’ কবি লিখেছিলেন। আর গর্ভধারিনী? তিনি বুকে এঁকেছিলেন বিদ্রোহীর আত্মত্যাগের লালিমা, বিদ্রোহের একান্তই ও অবধারিত ক্ষণের স্মৃতি। এরাও মানুষ। বিদ্রোহীর প্রেয়সী ও সেই অনাকাংখিত জন্মও মানুষ

যার পদচারণা রাজপথে, মাঠে কিংবা ঘাটে ও ন্যাড়া ক্ষেতে তার অস্তিত্বে সে নিজেই লাগিয়েছে ভবিষ্যতের লালিমা। অদ্ভূত তাই না! সে কি জানতো না কী বুঝেনি? প্রেয়সীও কি জানতো না?

অথচ সেই অদ্ভূত ক্ষণের মাহাত্ম্য দেখো! বিদ্রোহীর প্রেয়সীকে সেই ক্ষণ বলে নষ্টা আর সন্তানকে দিয়েছে বঞ্চনা। সেই অদ্ভূত ক্ষণের মাহাত্ম্য বোঝো যখন বিদ্রোহের বিরোধীরা জন্ম দেয় ফুটফুটে সন্তান আর জারজের বুকে পা রেখে আজো নষ্টা মেয়ের নষ্ট ফসল বলে ফুলের মালা গলায় ঝোলায়। সেই অদ্ভূত ক্ষণকে বোঝো তবে!

নষ্টের কষ্টকে দেখো একবার! নষ্টার নষ্টামিকে ভাবো দু’বার। ‘এ কি তবে নষ্ট  জন্ম’ লিখেছিলেন আরো এক কবি। বলো তবে কে সেই নষ্ট প্রজন্ম! নষ্টার জারজ সন্তান নাকি বিদ্রোহীর বিরোধীদের ফুটফুটে সন্তান যার গলায় ঝুলে আছে নষ্টাদের রক্তে রাঙানো গাঁদা ফুলের মালা যার প্রতিটি বোঁটায় গাঁথা আছে সেই জারজের নাম।

নষ্টের নষ্টা ও তাঁর গাঁদা ফুল।

১জন ১জন
0 Shares

৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ