এই গ্রামের মেঠোপথ ধরে সকাল বিকাল আমার হেঁটে চলা। মাঝখানে পিঁচঢালা পথ,পথের দু ধারে সবুজ আর সবুজ। এই নির্মল বাতাসে আমার সব ক্লান্তির অবসান। থাবা দিয়ে এই বাতাস আমার কাছ থেকে মাথার ঝিমঝিমানি নিয়ে যায়।
কখনও কখনও অবশ্য আমার মনটা খুবই খারাপ হয়ে যায়, যখন দেখি অনেক জমি জুড়ে তামাকের পাতা হা মেলে অট্রহাসি দিচ্ছে। আমি মুখ ফিরিয়ে নেই। আশেপাশে খোঁজ নেই কে এই জমির মালিক, দেখাও পাই। কিছু সময় বসে কথাও বলি তাদের সাথেো। কেউ অবশ্য কথা না বলার জন্য মুখটা ফিরায় না। যে এক খানা চেহারা লইয়া আইছি, কে আর মুখ ফিরায় :p
চাচামিয়ার পাশেই বসে গল্পে মাতি।
-ও চাচা কেন এই তামাক চাষ করেন? হুক্কা খান?
-না রে মা,হুক্কা কি আর চলে? বিড়ি একটু খাই।
-তামাক অনেক খারাপ জিনিস, আপনি জানেন?
-জানি তো মা,কিন্তু কি করুম, এ্যালাই ধান চাষে খরচ ম্যালা। পানি নাই নদিতে, সেচ দিমু, পানি কৈ? কামলার খরচও ম্যালারে মা। ঘরে দুখান জোয়ান মাইয়া আছে। একখান মাইয়া শশুর বাড়ি, তারেও দেহন লাগে। খরচ ম্যালারে মা। ধান বেইচা দামও যে পাইনা। এই পাতাতে খরচ কম, পানি লাগে না, দামও বেশি। সিগারেট কোম্পানির লোকেরা বাড়ি এসে নিয়ে যায় এই পাতা। হাঁটেও যাওয়া লাগে না।
এখন আমার প্রশ্ন কৃষক কেন ভাবছে ধানে লাভ নেই? কারা এই লোভ দেখানো কোম্পানিগুলো? কেন সাধারণ কৃষক আজ অবহেলার শিকার হয়ে এমন চিন্তা করছেন?
আমি যতদূর জানি ধানের কোনো জিনিসই ফেলনা নয়। তবে কেন কৃষক ভাবছে ধান চাষে লাভ নেই? আসলে যতো লাভ হচ্ছে ঐ মিল মালিকের। তারা বর্তমান প্রযুক্তির কল্যানে চালের গুঁড়ো দিয়ে প্রসাধনী, ভোজ্যতেল, বিভিন্ন ভিটামিন তৈরি করছে। তুষ থেকে পৃথকীকরণ করে সিলিকা তৈরী করছে,যে সিলিকা দিয়ে ইলেকট্রনিকসের মাইক্রোচিপস্ তৈরি হচ্ছে। পুর্বে ধান হতে একমাত্র চাল হতো তাই একটি দাম ছিল। এখন তো ধান হতেই বহুবিধ প্রডাক্ট আসছে, শুধু মাত্র চালের মূল্যমান কেন হবে ধানের?
এখন যেটা করতে হবে কৃষককে লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে,পাটের মতো এই খাতে ও ভর্তুকি দিতে হবে। ফ্রান্সে প্রতিবছর খাদ্যপণ্যে ভর্তুকি দেয় সেই দেশের সরকার।
আমাদের দেশে অর্থাৎ এ মহাদেশে যতো নষ্টের জিনিস বৃটিশরাই এনে ফেলে গেছে। আমরা তা আজও বয়ে বেড়াচ্ছি। আগে পপি চাষ হতো মহা ধুমধামে। বৃটিষরা আফিম সেবন করতো ফ্যাশন হিসেবে। মুঘল বাদশাগনের বিবিরাও তাদের সন্তানকে শান্ত করতে নিজ হাতে আফিম দিত সন্তানের মুখে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, এই জাত শয়তানটা যতো ময়লা ফেলে দিয়ে গেলো এই এশিয়াতে।
যাই হোক এখনও লোক চক্ষুর আড়ালে পপি চাষ হচ্ছে বাংলাদেশে। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এই পপি চাষ করছে অনেক অতি লোভি শয়তান। ভারতে পাচার করে পরে ভারত থেকেই প্রোসেস করে চোরাচালানে সস্তা ও নিম্ন মানের আফিম আনছে চোরাকারবারিরা,মাফিয়া চক্ররা। এই দলে যোগ আছে অনেক নামিদামি প্রশাসনের লোক।
তবুও আমার দেশ অনেক সুন্দর। গ্রামে ঘুরতে ঘুরতে যখন গ্রামের সাধারন মহিলাদের দেখি অবাক হই। কি যে তাদের ধৈর্য্য ! সারাদিন সংসারের কাজ, গবাদিপশুপাখি পালন, সন্তান পালন যা অসাধারন। কোনো ক্ষোভ নেই জীবনের জন্য। তারপরও বসে নেই, সূক্ষ্ম হাতে নানান রঙ্গের সূতায় কাপড়ে এঁকে চলেছে বিভিন্ন নকশি।
এ আমার অপরূপ বাংলা।
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি………
৩৮টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি লেখা দিয়েছেন,
এমন ভাবে হয়ত একদিন দখল হয়ে যাবে আমাদের ফসলের জমি।
অধিক লাভের আশায় কৃষক ঝুঁকবেন তামাক আর পপি চাষে।
কৃষকদের আরো অধিক ভর্তুকি দিলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
” বর্তমান প্রযুক্তির কল্যানে চালের গুঁড়ো দিয়ে প্রসাধনী, ভোজ্যতেল, বিভিন্ন ভিটামিন তৈরি করছে। তুষ থেকে পৃথকীকরণ করে সিলিকা তৈরী করছে,যে সিলিকা দিয়ে ইলেকট্রনিকসের মাইক্রোচিপস্ তৈরি হচ্ছে। পুর্বে ধান হতে একমাত্র চাল হতো তাই একটি দাম ছিল। এখন তো ধান হতেই বহুবিধ প্রডাক্ট আসছে, শুধু মাত্র চালের মূল্যমান কেন হবে ধানের? ” —- এই বিষয়টি আপনি এই প্রথম আমার মাথায় প্রবেশ করালেন। ধানের বহুবিধ ব্যবহারে কৃষক কেন কেবল মাত্র চালের হিসেবে ধানের মূল্য পাবেন?
এমন লেখা আরো লেখুন।
শুভকামনা।
মৌনতা রিতু
খুবই খারাপ অবস্থা।এখন এই দেশে সাধারন সবজি বাদে আমাদের জন্য ফুল চাষও হবে।মাথায় দিয়ে ঘুরব পেটে কিছু থাক না থাক :p
ধন্যবাদ ভাইয়া।এতো উৎসাহ দেবার জন্য।
জিসান শা ইকরাম
খারাপ না, ফুল থাকবে মাথায়, পেটে থাকবেনা কিছুই 🙂
মৌনতা রিতু
না আর সং সাঁঝবো না।হয়ত এই লেখাটা দিব বলেই ওটা করেছিলাম।
নাসির সারওয়ার
উন্নত দেশে কৃষকদের সরকার ভর্তুকি দিয়ে উৎসাহ দেয়। আর আমার দেশে নিজর চাল রাখার জায়গা না থাকলেও বিদেশ থেকে আমদানি করছি।
হিসেবতো অনেক সহজ।
তথ্যপূর্ন লেখার জন্য বড় একটা ধন্যবাদ।
মৌনতা রিতু
গম চাষ না করে স্ট্রবেরি চাষ করছি।পরে বিদেশ থেকে পঁচা গম আনছি।খাবি কি বাঙ্গালি খা,মাথায় আমার মতো ফুল দিয়ে পোঁচ মার।
তিনগুন চারগুন দাম দিয়ে সবজি কিনে খা।দোকানদার বোলবে ও আফা,সবজি সরবরাহ কম।
মুই না দেই আর ফুল মাথায়।
অপার্থিব
কৃষকরা ধান চাষ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে কারণ তারা তাদের ধানের ন্যায্য মুল্য পাচ্ছে না । সার, বিদ্যুৎতের দাম বাড়ায় তাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। বিশ্ব বাজারে জ্বালানী তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশে কমে নি । বিকল্প পথে লাভের আশায় তারা পপি চাষে ঝুঁকছে।
মৌনতা রিতু
শুনেছি এক বিঘা পপি চাষে লাভ হয় এক কোটি টাকা।তামাকে লাভ হয় ধানের থেকে দুই গুন।
এটা আইন করে বন্ধ করতে হবে।
খসড়া
এদায় কার বুঝতে পারছি না। কৃষক না বুঝে চাষ করেছে বলে আমি মনে করি না।
এর বীজ কোত্থেকে সংগ্রহ করেছে তা প্রশাসনের অবশ্যই খুঁজে দেখতে হবে।
মৌনতা রিতু
প্রশাষন নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়।
সময় কোথায় দেখার।
এখন ফুলও খাব,আমি।জুলফিকার বলেছে আমায় ফুল খাওয়াবে,সবজির বদলে।
;(
মৌনতা রিতু
ভাবি পহেলা ফাল্গুনে আমার মাথায় ফুল দেখে তুমি হেসেছিলে?সত্যি বোলবে।
আমার নাকি তাই তাজা তাজা সবজি খাওয়ার অধিকার নেই।আমাকে মনে রাখতে হবে আমি বাঙ্গালি।দুদিন ধরে আমায় যে বাঁশডলা দিচ্ছে না!
খসড়া
যোটে যদি মোটে একটি পয়সা খাদ্য কিনিও খুধার লাগি
যোটে যদি দুটি পয়সা ফুল কিনে নিও হে অনুরাগি।
মৌনতা রিতু
ফুল কিনব তবু আর পোজ দিব না।আমি ফুটাবো সেই ফুল বাড়ির বারান্দায়।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি একটি দারুণ বিষয় তুলে এনেছেন,
দেখুন কৃষক তামাক সহ অন্য চাষে ঝুঁকছে এটি কিন্তু প্রকাশ্যে হচ্ছে।
তামাক চাষ তো গোপনে হচ্ছে না,
কাজেই ভুতের উৎস আগে খুঁজতে হবে।
মৌনতা রিতু
ভুতের দল আমরাই।আমরা স্ট্রবেরি খাই।কিন্তু গম চাষ করি না।ঐ গম আনি বিদেশ থেকে,তাও পঁচা।এখন কৃষককে ফুল চাষে উৎসাহি করছি।যাতে আমি পহেলা ফাল্গুনে এক গাদা বিদেশি ফুল মাথায় দিয়ে ঢ্যাংঢ্যাং করে ঘুরে বেড়াতে পারি,মোপাইলে পোঁচ দিতে পারি,সেলফি তুলতে পারি।
আহা!আমি বাঙ্গালি।
ধন্যবাদ হেলাল ভাইয়া।এই ভুতকে উৎসাহ দেবার জন্য।
আবু খায়ের আনিছ
উৎপাদন থেকে শুরু করে একজন ভোক্তা পর্যন্ত পৌছাতে কোন পণ্যের মূল্য দিগুন থেকে তিনগুন পর্যন্ত হয়ে যায়। কৃষক এক মণ ধান ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি করে আর আমরা এক মণ চাল কিনি ১৯০০-২০০০ টাকায়। কৃষক আর ভোক্তার মধ্যে অবস্থানকারী সবাই চাই কম দামে ক্রয় করে বেশি দামে বিক্রি করতে।
অপার্থিব ভাই এর মন্তব্য এর সাথেও সহমত আমি।
তামাক চাষ বন্ধ না হওয়ার পিছনে আরেকটা কারণ আছে। সরকার প্রতিবছর তামাকজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে সুতরাং তামাক চাষেও লাভ বেড়ে যায়। যদিও সরকারের সিদ্ধান্ত ঠিক আছে, সাথে যদি তামাক চাষের উপর নিষেধাজ্ঞা করে তাহলে হয়ত অনেকাংশে কমে আসবে তামাক চাষ।
মৌনতা রিতু
একদম ঠিক।আইন করলেই হবে না।মাঠপর্যবেক্ষনও জরুরি।
ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
আবু খায়ের আনিছ
ধন্যবাদ দিয়েই পার পাওয়া যাবে না। আরো লেখা চাই, বেশি বেশি লেখা চাই।
মৌনতা রিতু
এমন উৎসাহ পেলে লিখতে ইচ্ছে তো করেই।কলম তো দৌড়ায় না।
অরুনি মায়া
চমৎকার একটি পোস্ট দিয়েছেন খুবি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে | নিষিদ্ধ জিনিসের চাহিদা বেশি আর মূল্যও অধিক | তাই হয়ত কৃষকরা তামাক আর পপি চাষের দিকে ঝুঁকছেন |
এ দায় আমাদের সবার | কৃষকরাও শুধু নিজের কল্যানের কথাই ভাবছেন ,দেশের কল্যানে কারো কোন মাথা ব্যথা নেই |
মৌনতা রিতু
আসলেও নেই।ওই ধরেন এখন বিঘা বিঘা জমিতে স্ট্রবেরি চাষ হয়।আমার তো এই ফলটি খেতে মোটেও ভালো লাগে না।রান্না করেও খাওয়া যায়না।
অথচ গম চাষের জন্য বাংলাদেশের মাটি খুবই উপযোগি।অথচ এই গমই বিদেশ থেকে এনে খাচ্ছি,তাও পঁচা।
হাহিহা হা।এখন আবার ফুল দিব মাথায়।কতো উৎসব এখন।পেটে বাঙ্গালির থাক না থাক।
মৌনতা রিতু
আর একটা মজার কথা,আমার উনি এখন আমায় সবজির সাথে ফুলও খাওয়াবে।
এ এক শাস্তি।
আর আমাকে সব সময় উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ।
ইলিয়াস মাসুদ
কৃষক সহায়তা না পেলে মুখ ফিরিয়ে নেবেই
এ ব্যাপারে সরকার কে সজাগ হওয়ার এখুনি সময়
মৌনতা রিতু
একদম,এখনি সময়।
দিনে দিনে বাড়িছে দেনা শুধিতে হইবে ঋণ
সরকারকেই পদক্ষেপ গ্রহন করতে হব।
অনিকেত নন্দিনী
স্ট্রবেরি আর ড্রাগন ফ্রুট এই দুইটা আমার সবচেয়ে অপছন্দের ফল। এইগুলি দেখলেই রাগ লাগে। :@
কৃষকেরা কেনো পপি চাষ করে তা তো নিজেই বললেন। এক বিঘা জমিতে পপি চাষ করলে লাভের পরিমাণ যদি এক কোটি টাকা হয় তাহলে মানুষ আগ্রহী হবেনা কেনো? পেটের দায় বড় দায় আপু। উপরন্তু সংসারের দায়, কন্যাদায়, যৌতুকের দায়ে তো আমাদের দেশের কৃষকেরা চিঁড়ে চ্যাপ্টা হয়ে আছে। 🙁
তামাক চাষে সুবিধা অনেক। নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি অন্যসব ক্ষেতের মতো তামাক ক্ষেতে নিড়ানি দিতে হয়না, কীটনাশক বা সারও দিতে হয়না। নামকরা সিগারেট কোম্পানিগুলি তামাকপাতা কিনে না নিলেও লোকসান হয়না। খোদ তামাকপাতাই শুকিয়ে ‘সাদা’ নামক উপকরণ হয় যা পান খেতে ব্যবহার করা হয়। জর্দা কোম্পানিগুলি তামাকপাতা কিনে নেয়।
ধান উৎপাদনে খরচ অনেক। ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে কেবল পানিসেচেই যে টাকা ব্যয় হয়, সেই টাকায় বিশাল এলাকাজুড়ে তামাক চাষ করা যায়। যেদিকে মুনাফা বেশি অভাবী কৃষকেরা সেদিকেই তো ঝুঁকবে আপু।
সরকার যদি এসব বন্ধে দৃঢ়চেতা হয়ে কঠিন ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলেই এই বিষের চাষাবাদ বন্ধ করা সম্ভব।
মৌনতা রিতু
সব বিষয়ে পরিকল্পনা দরকার।সবাইকেই চিন্তা করতে হবে।অনেক কিছু নিজেরাও বর্জন করতে হবে।যদিও আমার মুখে মানায় না,কারণ আমিও বিদেশি ফুলের মালা মাথায় দিয়ে সুলফি তুলি।(আর করব না)।বাজারে বা শপিং মল গুলোতে কাগজের ব্যাগ প্লাস্টিকের ব্যাগ পরিহার করতে হবে।পাটের ব্যাগ ব্যাবহার করতে হবে।
যে দোকান পাটের ব্যাগ দিবে না আমরা সেই দোকান থেকে কিছু কিনবোই না।তাইলে কিছুটা হয়ত হবে।
অনিকেত নন্দিনী
আরো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে আপু। এখনকার অধিকাংশ দোকানই কাগজের ব্যাগ দেয়।
মৌনতা রিতু
এই কাগজের ব্যাগ,পলিথিনের ব্যাগ ব্যাবহার নিজেদেরই কমাতে হবে।
এবং মুখেই বলে আসতে হবে পাটের ব্যাগ চাই।তাইলে দশজনে একজন তো করবে।এবং ইনশাল্লাহ্ তখন আমাদের কাছ থেকে ভারত কাঁচা পাট কিনে আর এতো লাভবান হবে না।অবাক না ওদের কাছ থেকেই আমরা পাটের বস্তা কিনি!
নাজমুস সাকিব রহমান
একটা নদীমাতৃক ও কৃষিভিত্তিক দেশে সবচে আকর্ষণীয় পেশার নাম হওয়া উচিত ছিল ‘কৃষক।’ আমাদের সরকার সেটা পারে নি। পারবে বলেও মনে হয় না।
মৌনতা রিতু
নদীমাতৃক দেশ কিন্তু নদী কোথায়?তাও তো ভূমি দখলদারদের কবলে।নদী শাষন চলছে।নদী বাঁধ দিয়ে পাথর চাষও নাকি করছে।ওই এলাকার মানুষের ভরসা তিস্তা,সেই তিস্তাতেও পানি নেই।সেঁচ দিবে কীভাবে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অনেক গুরুত্বপূর্ন এবং তথ্যপূর্ণ একটি লিখা আমাদের সামনে তুলে ধরায় ধন্যবাদ প্রকাশ করছি। খাদ্যশস্য উৎপাদন বাদ দিয়ে পপি চাষ কি ভীষণরকম অনুচিত। প্রশাসনের কারো নজরে আসেনি এটা মানা যায় না। হয়তো গা লাগায় নি অথবা ফাও আয়ের সুযোগ পেয়ে এড়িয়ে গেছে। তাছাড়া খুব সুক্ষ্ণভাবে একটি চক্র দেশকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে কাজ করছে।
আমাদের উচিৎ এরকম অসঙ্গতিগুলো সরকারের নজরে আনা।
আমি ফেসবুকেও তা শেয়ার দিচ্ছি।
মৌনতা রিতু
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ।এমনই মনোভাব সবার থাকলে কে আর ঠকাবে আমাদের।
পাটের কথাটাও লিখেন।পাটের ব্যাগ ব্যাবহারে উৎসাহি করতে হবে।প্রযুক্তি ব্যকবহার করে পাটের পাতলা শপিং ব্যাগ তৈরি করতে হবে,শপিং মল গুলোতে এর ব্যাবহার বাড়াতে হবে।লাইটিং ডেকোরেশনে যতো খরচ করে এটাতেও কেন পারবে না?এটাও তুলে ধরুন।ধন্যবাদ আবারও।
নীলাঞ্জনা নীলা
একটি হিন্দী মুভি দেখেছিলাম। ধান চাষে অনেক খরচ, তাই ওই গ্রামের বাসিন্দারা তামাক-গাঁজা চাষ করে। প্রশাসন থামাতে চায় সেই চাষ, কিন্তু কৃষকদের প্রশ্ন ওরা খাবে কি? কে দেবে খরচ ধান ফলনে। অনেক পুরোনো ছবি। নাম ভুলে গেছি। দূরদর্শন যখন ছিলো একমাত্র বিদেশী চ্যানেল সেই সময়কার কথা।
গরীব মানুষ যাবে কোথায়?
“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
পূর্ণিমার চাঁদ যেনো ঝলসানো রুটি।”
মৌনতা রিতু
সত্যি কথাটা।কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন।এখন এতো অভাব কিন্তু নেই।ওখন গ্রামে মানুষ যে ভাবে টাকা খরচ করে,কে বোলবে অভাব আছে।
তাই ব্যাক্তি পর্যায়ে বুঝাতে হবে।লোভ কমাতে হবে।মিল মালিকদের নাকে কান্না বন্ধ করতে হবে।মজার কথা আমার হাঁটে যাবার অভ্যাস আছে।আমকর খুব মজা লাগে,তখন দেখেছি,মিল মালিকরা কীভাবে কৃষকদের ঠকায়।
আপু অনেক ধন্যবাদ সব সময় আমাকে এতো উৎসাহ দেবার জন্য।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক তথ্যের ভিড়ে সুন্দর চেহারাটা কিন্তু নজরে এড়ায় নি। 🙂
চমৎকার একটি পোস্ট নিঃসন্দেহে। কৃষকের দেশ নিয়ে ভাবার কথা নয়, যাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে হয় একা একাই। সরকারকেই এই পদক্ষেপ নিতে হবে। ধানে এত কিছুর ব্যবহার যখন তখন ধানেই ভোগ্যদের উৎসাহ দেয়া উচিৎ কৃষকদের, এতে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
গ্রামের নারীদের মতো পরিশ্রমী ক’জন আছে?
এরকম পোস্ট চাই আরো আরো।
মৌনতা রিতু
তাই না!ধন্যবাদ।আসলেও সত্যি।এযেন বাংলার প্রাণ।
কৃষক,যাদের বদৌলতে আমরা বেঁচে আছি।
পাশে থাকলে যা পাই তাই লিখব।
মোঃ মজিবর রহমান
সাফ কথা খাদ্য শস্য ফসল গুলতে কৃষকের লস বা দায়ভার মুক্ত করতে পারলে
দেশে ৫০ থেকে ৭০ ভাগ কৃষক খাদ্য ও মানুসের প্রয়োজনীয় ফসল করতে পিছপা হবে না।
ের জন্য দরকার সরকারীয় পদক্ষেপ।
মৌনতা রিতু
একদম একমত।এই জন্য সরকারকেও আমাদের সাহায্য করতে হবে।