
প্রিয় আরজু মুক্তা আপুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী।
দেখা হলোনা চোখ মেলে।
এতটুকু ভালোবাসা দিতে চেয়েছিলাম দু’ হাত ভরে,
অপরাজিতা হয়েই রইলে সবার মনে উজার করে।
শরৎ সঞ্চারণে এখনো রয়েছে লগন,
তোমার সুদীপ্ত বিচরণে মধুময় ছিল সারাক্ষণ ।
ফুটেছে কত শিউলি, দোলনচাপা, চামেলি
ঘন কাশবনে এখনো আছে সাদা কাশফুল,
নিত্যদিনের আসা- যাওয়ায় সবাই ছিল মশগুল।
ভালোবাসা দিতে চেয়েছিলাম পরিপূর্ণতায়,
পুড়ে যাওয়া হৃদয় রয়ে গেল অপূর্ণতায়।
শিউলি কিংবা বেলীর সমারোহে,
খোঁপাতে গুজে দেয়া হলো না কোনো ফুল,
হয়তো আমার অপরাগতাই ছিল ভুল।
তুমি কত সুন্দর আর আত্মবিশ্বাসী,
যেন কাব্য উঠোনের প্রহরী সাহসী।
লেখার জোয়ার এসেছিল সোনেলার বাঁকে,
তোমায় নিয়ে পানসী সাজিয়েছিল জলসিঁড়ির শাখে।
সুখ সাগরে ভাসা হলোনা শারদ পূর্নিমার রাতে,
অজানা পথে চলে গেলে এখন নেই মোদের সাথে।
নিজস্ব জোয়ারে ভেসে গেলে নিজেরই এক তটে,
বাঁধন হারা স্বপ্নগুলো তোমায় নিয়ে আলিংগনে এই পাটে।
তোমার স্পর্শ পেতে চেয়েছিলাম হৃদয়ের ব্যাকুলতায় উজার করে,
বোবা কান্না সহসা অনুভবে রয় সারাক্ষণ কষ্টের প্রহুরে।
এই অবেলায় নীরব আঁধারে এক অচেনা পাখি,
তুমি ছিলে সীমাহীন সবুজ আঙিনায় চঞ্চলা প্রজাপতি।
ক্ষীন জোনাকীর আলো কিংবা সন্ধ্যার সুখতারা,
শত বর্ন,শত শব্দমালায় ভাষ্কর্য শিল্পে তোমায় গড়া,
আজীবন রবে স্বচ্ছ জলের ফুটে থাকা পদ্মের তোড়া,
প্রকৃতির চিরন্তনী মেনে নেয়ায় অজস্র চোখের অশ্রু ঝরা ।
তবু তুমি আছো, তুমি রবে, ভোরের শিশিরভেজা শিউলির শুভ্রতায়,
বিষন্ন মনের ফেলে আসা নিস্পাপ স্বপ্নের ভাবনায়।
সময় থাকতে গাঁথতে পারিনি তোমার মায়াবী নকশিকাঁথা,
এখন শত ফোঁড়ে গাঁথতে হচ্ছে তোমার বিরহগাঁথা কথা।
বর্ন, শব্দের ভাঁজে ভাঁজে ভাবনার করিডোরে ,
অবেলায় চলে যাওয়ায় খুঁজে মন অসময়ে তোমারে,
ভালোবেসেছিল সবাই সোনেলার হৃদয়পাড়া জুড়ে।
অভিমান, অভিযোগ নেই এই পোড়া মনে,
খুঁজবো মেঠোপথের বাঁকে ঘন কাশবনে।
দোয়েল,শ্যামা,ঘুঘুদের ডাকেও তোমায় খুঁজে নিব,
গ্রাম্য সরুপথে, আলপথে, কিংবা কৃষক পল্লীতে,
চিরায়ত নবান্নের উৎসবে ঘেরা স্মৃতিতে।
নিস্পাপ মুখের কচি ফুল মেয়েটি চোখে দিশেহারা চাহনি,
নাবা ফুল ভালোবাসার কুড়ি ফুল হয়েও ওঠেনি।
খুঁজবে সবাই নানান পার্বনে সোনেলার এই উঠোনে,
কাব্য উঠোন খুঁজবে তোমায় আমৃত্যু সব সত্তা জুড়ে,
হয়তো তখন থাকবে তুমি অচেনা ঘুম পরীদের ভীড়ে,
রাজপথে নয়,অলিগলিতে নয়,থাকবে সবার হৃদয়ের ফেস্টুনে।গ্রীষ্ম, বর্ষা,শরৎ, হেমন্ত,শীত ও বসন্তের সব পার্বণের যাত্রায়,
ধর্মীয় বিশেষে খুঁজে নিব তোমায় যার যার প্রার্থনায়।
সকলের জীবন দিবসের সূর্য টা একদিন অস্তাচলে অস্ত যাবে,
কেউ আগে,কেউ পরের টিকিট পাওয়ায় অবসান হবে।
২২টি মন্তব্য
বোরহানুল ইসলাম লিটন
অনন্য শ্রদ্ধাঞ্জলী।
সবাইকে চলে যেতে হবে, দু’দিন আগে কিংবা পরে
কিন্তু ভালো মানুষগুলো যেন আগেই চলে যায়
আর চিরকাল জেগে থাকে শুভাকাঙ্খিদের হৃদয়ে এমনি করে।
আন্তরিক শুভ কামনা জানবেন সতত।
উর্বশী
বোরহানুল ইসলাম লিটন ভাই,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। সহমত পোষণ করছি। একদিন সবাইকেই চলে যেতে হবে এটি চিরন্তন সত্যি।
ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন শুভ কামনা রইলো।
আলমগীর সরকার লিটন
অনেক শ্রদ্ধা জানাই
উর্বশী
আলমগীর সরকার লিটন ভাই,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
তিনি যেন ওপাড়ে ভাল থাকেন,মহান আল্লাহ পাক তাকে যেন জান্নাত বাসি করেন—- আমীন।
ভাল ও সুস্থ থাকুন শুভ কামনা রইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
খুব ইচ্ছে ছিলো এই শরৎ-এ সোনেলা থেকে একটি শরতীয় পত্রিকা বাহির করব এবং এব্যপারে আরজু আপুকে বলেছিলাম কিন্তু এই দুখভারাক্লান্ত হৃদয় এখন সেও বলেছিলো চেষ্টা করব। কিন্তু মহান স্রষ্টা সেই ইচ্ছে পুরণ করার ইচ্ছে দিলো না। আল্লাহ পাক তাঁর আত্বার শান্তি দিক। আমিন।
সে একজন ভালো উদ্যক্তা ছিলো। তাঁর অভাব সোনেলায় থেকেই যাবে। হইতো ভালো পাব কিন্তু তাঁর অবস্থানে কেউ আসবে না।
উর্বশী
মোঃ মজিবর রহমান ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
পৃথিবীতে একজনের আসন হয়তো পূর্ণ হয়,কিন্তু সেই ব্যাক্তির শূন্যতা পূরণ হবার নয়। সেটা চিরন্তন সত্যি। ইচ্ছে পূরণ করে তার অমরত্ব ধরে রাখুন। মাননীয় ব্লগ সঞ্চালকের সাথে আলাপ করুন।
আমার তো মনে হয় সোনেলা কর্তৃপক্ষের থেকেই এই উদ্যোগ নেয়া উচিৎ শতভাগ।
অন্যান্য ব্লগারগন ও সাথে থাকবেন যাদের ইচ্ছে হবে।
কাউকে চাপিয়ে দেয়া নয়।আমার মনে হয় এটি একটি মহৎ
কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।সোনেলার ধারায় নতুন একটি সংযোজন হবে।চিন্তা করে দেখুন।
শুভ কামনা সব সময়।
সোনেলার এই উঠোনে ভরপুর গুনীজন।
আমি সকলের কাছে থেকে শিখছি মাত্র।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ। চেষ্টা করছি আপনার কথা মাথায় রেখেই। ইনশা আল্লাহ পারব।
উর্বশী
মোঃ মজিবর রহমান ভাইয়া,
শুকরিয়া।
শুভকামনা রইলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো আপুর প্রতি। যেখানেই থাকুন শান্তি বর্ষিত হোক। আপনার জন্য ও শুভকামনা রইলো। সাবধানে থাকবেন
উর্বশী
সুপর্না ফাল্গুনী আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
মহান আল্লাহ পাক যেন তাকে জান্নাত বাসি করেন— আমীন।
রোকসানা খন্দকার রুকু
কতো প্লান ছিলো তার আমরা খুব ঘুরবো, খাবো। মানুষটা এভাবে আমাদের ফেলে যাবে মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তবুও নিয়তি। দোয়া করি তিনি ভালো থাকুন!!
উর্বশী
রোকসানা খন্দকার রুকু আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। হঠাৎ চলে যাওয়াই সারাজীবন এক বোবা কান্নার ঝর্না। যেখানেই থাকবেন ভাল থাকুক, মহান আল্লাহ পাক যেন তাকে জান্নাত বাসি করেন —- আমীন।
সাবিনা ইয়াসমিন
মানুষ হারিয়ে যায় রেখে যায় মায়া।
মায়ার বন্ধন কাটানো যায়না বলেই মানুষ অন্যান্য সকল প্রাণীর চেয়ে আলাদা। কেউ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও সে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকে এই মায়ার কারনেই।
আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আমিন।
উর্বশী
সাবিনা ইয়াসমিন আপু,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আপনার সাথে একমত পোষণ করছি। মহান আল্লাহ পাক যেন তাকে জান্নাত বাসি করেন — আমীন।
হালিমা আক্তার
বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো আরজু আপার প্রতি।
উর্বশী
হালিমা আক্তার আপা,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
মহান আল্লাহ পাক তাকে যেন জান্নাত বাসি করেন— আমীন।
সুস্থ ও ভাল থাকুন শুভ কামনা সব সময়।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
অনবদ্য শ্রদ্ধাঞ্জলী — “রাজপথে নয়,অলিগলিতে নয়,থাকবে সবার হৃদয়ের ফেস্টুনে।গ্রীষ্ম, বর্ষা,শরৎ, হেমন্ত,শীত ও বসন্তের সব পার্বণের যাত্রায়,
ধর্মীয় বিশেষে খুঁজে নিব তোমায় যার যার প্রার্থনায়।
সকলের জীবন দিবসের সূর্য টা একদিন অস্তাচলে অস্ত যাবে,
কেউ আগে,কেউ পরের টিকিট পাওয়ায় অবসান হবে”।
উর্বশী
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এটাই চিরন্তন সত্যি ভাইয়া।আমরা সবাই একদিন চলে যাব,কেউ আগে, কেউ পরে।যিনি চলে গিয়েছেন, তিনি যেন জান্নাত বাসি হন,মহান আল্লাহ পাক যেন তার সহায় হন!
আমীন।ভাল ও সুস্থ থাকুন শুভ কামনা সব সময়।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
হ্যাঁ আপু আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন। আমীন। শুভ কামনা রইলো।
উর্বশী
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী ভাইয়া,
আমীন।সুম্মা আমীন।
শুকরিয়া ভাইয়া। ভাল থাকুন শুভ কামনা সব সময়
জিসান শা ইকরাম
আমাদের সবাইকেই একদিন চলে যেতে হবে, কেউ আগে কেউ পিছে।
আরজুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
উর্বশী
জিসান শা ইকরাম ভাইয়া,
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
চিরন্তন সত্যি একমত পোষণ করছি।মহান আল্লাহ পাক আরজু মুক্তা আপুকে জান্নাত বাসি করেন— আমীন।