বন্ধুবর সজীবের দেয়া “1961 Ferrari 250 GT SWB California Spyder” নিয়ে যখন বের হলাম বাসা থেকে গাড়িতে গান বাজতে শুরু করল তোমার জন্য অরণ্য। বাসার গলি, মিরপুর রোডের জ্যাম, নিউমার্কেটের ঈদের জ্যাম পেরিয়ে যখন ঢাকা ভার্সিটিতে ঢুকছি তখনই আমার পাশের বন্ধু বলে উঠল “দোস্ত! লাগা এবার গানটা।” একটা গান ছিলই ঠিক করা এমন গাড়িতে রাইড করার জন্য – এ দিল দিওয়ানা… ।দূরত্ব বেশি নয় বলে ইচ্ছে করেই এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করলাম গানের ভলিউম বাড়িয়ে। এফ রহমান হল ক্রস করে ফুলার রোড হয়ে টিএসসি মাড়ালাম জগন্নাথ হলের পাশ দিয়ে। ডাস ঘুরে ফের উল্টো দিকে চললাম। পাশে পড়ে রইল আমার শামসুন্নাহার হলের সড়কদ্বীপ, আমার চেনা ফুটপাত – এ দিল দিওয়ানা… দিওয়ানা আ আ এ দিল… । শহীদ মিনারকে ডানে রেখে বামে মোড় নিলাম; বামে দাঁড়িয়ে আমার সাইন্স লাইব্রেরি – আহারে স্মৃতি! দোয়েল চত্বর ঘুরে ঢুকে গেলাম আমার বাড়ির আঙ্গিনায় – আমার লাল প্রেম, আমার কার্জন হল।
কথা ছিল ‘উল্লাস’ হবে। তা হয়নি শেষ পর্যন্ত। হয়েছে আড্ডা, গান – কিছু পিছন ফেরা। অনেক বছর পর গাইলাম “যত দূরে দূরে দূরে যাবে বন্ধু…”। শব্দগুলো এতটাই ভিতরে গাঁথা হয়ে আছে যে কোন ভুল ছাড়াই গাইলাম পুরোটা! বন্ধুদের সেই হাততালি সাথে “সাবাস!”। আমার কিছু করার নেই টের পেলাম। মনে পড়েই গেল আমার কতকিছু! আমার সেই অনুভব – সেই মুখ!। সাথে সাথেই যেন বেরিয়ে এল এমনিতেই “কেউ নেই করিডোরে ক্লাসরুমগুলো ফাঁকা…”। এই আমরা, এই আমাদের জীবন।
_________________________________________________________
তোমাকে আমার মনে পড়বেই
আমি না চাইলেও স্মৃতিতে আমি হারাবোই
আমার কিছু করার নেই যে!
তোমাকে মনে পড়বে সুমনের “তোমাকে চাই”-এ
তোমাকে মনে পড়বেই
আমিও হারাবো মূহুর্তেই
“গোছানোর কথা ছিল এমনই সময়
সব অগোছালো কথা জমা নীরবতায়”!
তোমাকে মনে পড়বে আমার শহীদুল্লাহ হলে
আমার ৮০৫ এর জীবনে
তোমাকে মনে পড়বে ডীন অফিসের লাল বিল্ডিং দেখে
দাঁড়িয়ে আছে কোন এক তরুণ
তুমি ভর্তি হতে আসবে এই অপেক্ষায়
কিন্তু তুমি আসনি।
তোমাকে মনে পড়বে ঢাকা-রাজশাহীর বাসে
তোমাকে মনে পড়বে এসআর পরিবহনে
নাইট কোচে হুট করে বেজে উঠবে চিত্রা সিং
“বাঁকা চোখে বলোনা“।
তোমাকে মনে পড়বে আমার যদিতে
মনে পড়বে নচিকেতায়
“হয়তো কারোর বুকে মাথা রেখে”
মনে পড়বে অঞ্জন দত্তে
“আমি বৃষ্টি দেখেছি“।
তোমাকে মনে পড়বে আমার
ঘোর লাগা সুগন্ধে, হাসনাহেনার।
মনে পড়বে তোমায় কাঠমল্লিকায়
পড়বে মনে গোলাপ চাষে
টেপ কলমের জ্ঞান দিতে গেলেই
মনে তোমায় পড়বেই।
মনে পড়বে তোমায় মধ্যদুপুরের গরম বালিতে
কোন শুকনো নদীতে কিংবা সাগরপাড়ে।
মনে পড়বে তোমায় জগজিৎ সিং-এ
“বেশি কিছু আশা করা ভুল”
“ম্যায় নাশে মে হুঁ” তে।
কোন এক বন্ধু ইউটিউব থেকে বাজিয়ে শোনাবে
ব্রুনো মারস; “জাস্ট দ্যা ওয়ে ইউ আর“।
তখন তোমায় মনে পড়বে।
শ্যালে থেকে উঠতে গিয়ে
হুট করে চোখে পড়বে স্ক্রিনে; চলছে “চিয়ারলিডার”।
আমি বলব “আরেকটু”।
গান শেষে বিড়বিড় করে একাই বলতে থাকব
“আই ওয়ান্ট মাই চিয়ারলিডার ব্যাক”।
তখন হয়তো তোমাকেই মনে পড়বে আমার।
তোমাকে আমার মনে পড়বে
আমার কোন এক পারিবারিক আড্ডায়
হয়তো কেউ তোমার নাম ধরেই জিজ্ঞাস করবে
তুমি কেমন আছ?
হয়তো তুমি হবে আমার দীর্ঘশ্বাস
তোমাকে মনে পড়বেই আমার।
মনে হয় আরেকবার তোমায় মনে পড়বেই
ওপারে গেলে
সাধারণ জিজ্ঞাসাবাদের পর
কোন একজন জিজ্ঞেস করে বসতে পারে
“কি রে খোকা প্রেম ছিল না ওপারে?”
আমি একটু হাসবো মাত্র – আমার মুচকি হাসি
হয়তো তোমাকেই ভেবে।
______________________________________________________
পোস্টটি ভালো লাগলে জিসান ভাই এবং সজীবকে ধন্যবাদ দিতে পারেন। আমি যেন না লিখে পারলামই না!
১০৬টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
তোমাকে মনে পড়বে ঢাকা-রাজশাহীর বাসে
তোমাকে মনে পড়বে এসআর পরিবহনে
নাইট কোচে হুট করে বেজে উঠবে চিত্রা সিং
“বাঁকা চোখে বলোনা“।
লাইনগুলো যে আমার জীবন কবিতার সাথে মিলে গেল। কোন এক অজানা মায়ায় হারিয়ে গিয়েছিলাম, কিছু একটা হয়েছিল হৃদয় মন্দিরে।
তোমাকে আমার মনে পড়বেই, সত্যিই তাই।
অরণ্য
ধন্যবাদ আনিছ ভাই।
সত্যি বলতে কি আমি মাঝে মাঝে এভাবেই তাকে পাই। তাকে মনে পড়বেই।
আপনার মন্তব্যটি খুব ভাল লাগলো। 🙂
আবু খায়ের আনিছ
ধন্যবাদ 🙂
অরণ্য
আপনার ‘ল্যাম্পপোস্টের নিচে’ লেখাটির রেশ এখনও কাটেনি ভিতরে। আমার পছন্দের একটা গান শেয়ার করতে ইচ্ছে করছে আপনাকে। নচিকেতার “আমি আসছি অনির্বান…”।
https://www.youtube.com/watch?v=P5D2L8pH-LQ
আবু খায়ের আনিছ
গানটা আগেও শুনেছি,তবে আজকে অন্যরকম ভালো লাগল। নচিকেতার অনেকগুলো জীবনমুখী গান আছে যা সত্যিই অনেক ভালো লাগে।
অরণ্য
আমার মনে হলো আপনার ভাল লাগবে। ভাল থাকবেন। 🙂 লিখুন। (y)
আবু খায়ের আনিছ
ধন্যবাদ।
আবু খায়ের আনিছ
ভাইয়া, অনুমতি না নিয়েই আমার ফেইজবুক ওয়ালে শেয়ার দিলাম।
অরণ্য
নো ওরি ভাইয়া। ভালোলাগা শেয়ারে আমার কোন আপত্তি নেই। ঘৃণা শেয়ারটা আমরা একটু এড়িয়ে চলব হয়তো। 🙂
আপনার ভাল লেগেছে, আপনাকে নাড়িয়েছে সে আমার অনেক পাওয়া ভাইয়া।
ভাল থাকবেন।
শুভ কামনা। (y)
আবু খায়ের আনিছ
অডিওটা পাওয়ার পর যে কয়বার শুনেছি তার কোন শেষ নেই। নিজে শুনি অন্যদেরকেও শুনাই। প্রতিদিন কম করে হলেও বিশ বার করে শুনছি তারপরেও ভালো লাগছে। অসাধারণ ভাইয়া। (3 -{@
অরণ্য
আনিছ ভাই, কি বলব ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। তবে অডিওটার পরে আমি বুঝলাম এ লেখাটি অনেকেই পেয়েছে তাদের মত করে। আমি আগে ভাবতাম এ আমার ক্লান্ত সময়ের এক বিড়বিড়ানি; কিন্তু এখন আর তা মনে হয় না। আপনার ভাললাগা ও তার প্রকাশ আমাকে তা ভাবতে শেখালো ব্যাপারটাকে অন্যভাবে।
ভাল থাকবেন আনিছ ভাই।
আবু খায়ের আনিছ
শুভেচ্ছা নিবেন, সেই সাথে প্রত্যাশার পাল্লাটা আপনার কাছে আরো ভারী হল ভাই। আপনার মঙ্গল কামনা করি। (3 (3 (3 -{@ -{@ -{@
অরণ্য
আপনার মন্তব্য পেয়ে একটা পোস্ট দিতে ইচ্ছে করছে। দেখি দিয়েই দেব ভাবছি। মঙ্গল কামনা নিয়ে ভাবনাটি। -{@
আবু খায়ের আনিছ
অপেক্ষায় থাকলাম। (y)
অরুনি মায়া
সজিবের দেওয়া গাড়ি ঘুরে ঢাকা শহর পাড়ি দেয়ে দিলেন 🙂 ।
আমি এখনো চড়তেই পারলাম না। একজন বিশ্বস্ত ড্রাইভার লাগবে 🙂
অরণ্য
সজীব পাঠিয়েছে গাড়ি, তাও আবার বাসার সামনে রেখে গিয়েছে; আমি না চড়ে কি পারি! বহুদিন পর গলা ফাটিয়ে গাইলাম “এ দিল দিওয়ানা…”। 🙂
নিজে ড্রাইভিং শিখে নেন তাড়াতাড়ি। ফাঁকে একটা বিজ্ঞাপন দিয়ে দিন ড্রাইভারের জন্য। আমি যতটুকু জানি বেড়িবাধের ওপারে বছিলা ব্রীজের রাস্তাটা ড্রাইভিং-এর জন্য দারুন। আমি গিয়েছি কয়েকবার – এক্সিলেন্ট! আগে ড্রাইভার নিন, দেখবেন ও ঠিক বিশ্বস্ত হয়ে উঠেছে আপনার। 🙂
অরুনি মায়া
ওওওও এতো আমার বাড়ির কাছে। ঠিক আছে গাড়ি চালানো শিখে নিব 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
অরুনি আপু ড্রাইভিং জেনেও কাজ হয়না মাঝে-মধ্যে। 🙁
অরুনি মায়া
হা হা হা আপু আমার দ্বারা ঠেলা গাড়ি চালানো ও সম্ভব নয়
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু আরে ঠেলা গাড়ীতে চড়েছো কখনো? দারুণ কিন্তু। 😀
অরণ্য
আপনার বাড়ী ওদিকেই হবে তা আপনি বলেছেন আপনার ছেলেবেলার স্মৃতিতে, তাই বললাম।
অরুনি মায়া
বাহ আপনি তো মেলা বুদ্ধিমান 🙂
অরণ্য
ধরা খাইতে খাইতে জীবন শেষ, আর আপনি বলছেন বুদ্ধিমান! 🙂
ইমন
জিশান ভাই এবং সজীব ভাই কে ধন্যবাদ 🙂
আর আপনাকে শুভেচ্ছা এই এফোর্ট দেয়ার জন্য 🙂
অরণ্য
অনেক ধন্যবাদ ইমন ভাই। 🙂
ভাল থাকবেন।
নুসরাত মৌরিন
বাহ!! দারুন তো!!
আপনাকে, সজীব ভাই এবং জিসান ভাইকে ধন্যবাদ।
অরণ্য
আমি আগেই বলেছি ভাল লাগলে ধন্যবাদ প্রাপ্তি হবে জিসান ভাই আর সজীবের। ক্রেডিট তাদেরই – আমি কেবল লিখেছি মাত্র।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
লীলাবতী
সজীব আমাকে কোন গাড়ি দেইনি,কোন গানও দেয়নি।আপনাদের সবাইকে কত সুন্দর সুন্দর গাড়ি দিয়েছে 🙁 আমার সাথে এমন যে করেছে,তার নাম আপনি প্রথম লিখতে পারলেন? 🙁
অরণ্য
লীলাবতী, ওর নাম লিখতেই যে হবে; আমাকে সবচেয়ে দামি গাড়িটি দিয়েছে। আবার বাসার সামনে রেখেও গেছে! আপনাদের জন্য আরও স্পেশাল কিছু রেখেছে ও। একটু ধ্যর্য তো ধরতেই হয়, তাই না? “আগে গেলে বাঘে খায়, পিছে গেলে সোনা পায়”। 🙂
ব্লগার সজীব
লীলাপুর কি হয়েছে ভাইয়া? কোন বোন তার ছোট ভাইর নামে প্রকাশ্যে অভিযোগ করে এই প্রথম দেখলাম 🙁 এমন বোন দিয়ে কি লাভ হবে আমার? 🙁
অরণ্য
লীলাবতীর অভিমান হয়েছে। লীলাবতীর আলাদা গাড়ি চাই – শেয়ারড গাড়ি পছন্দ হয়নি মনে হয়। ;?
ব্লগার সজীব
লীলাপুকে একটি বিমান দেবো,এবার নিশ্চয়ই খুশী হবেন 🙂
অরণ্য
এটা ভাল আইডিয়া। 🙂
লীলাবতী
আমার বিমান টি কবে পাবো জানতে পারি মিঃ সজীব? 🙂
মেহেরী তাজ
পারদেশ মুভির গান। আহহা সে কি গান।
ভাইয়া আপনি তো শিষ্যের দেওয়া গাড়ি করে ঘুরে এলেন। আমিও যাবো। তার আগে আপনার পোষ্ট টা পড়ে নিলাম।
ধন্যবাদ দাদা এবং শিষ্য। 🙂
অরণ্য
হ্যাঁ রে! গানটার মধ্যে কি যেন আছে, অনেকদিন ধরে একই রকম পেয়ে আসছি।
আর হ্যাঁ, তোদেরকেও তো দিয়েছি একটা। আমি দেখেছি দারুন। (y) একটা প্রবলেম হতে পারে তোদের তিনজনের ভাগাভাগিতে। স্পেশাল প্রয়োজনে আমারটা নিয়ে যাস। আমি দিয়ে দেব, চারজনে ধুমায় মজা করতে পারবি। চারজন বলছি এই কারণে যে নতুন কেউ তোদের টিমে যোগ হতেই পারে। 🙂
রাতের ঢাকা দেখতে গাড়িগুলো খুব কাজের হবে, স্পীডও পাবি। 🙂
ভাল থাকিস।
মেহেরী তাজ
ভাইয়া আপনার টা যে চার সিটের সেটা দেখে খুশি হলাম। কারন আমি লীলা আপু বা সেই এক জন কে ছাড়তে চাই না। আর শিষ্য তো আমায় ছেড়ে কোথাও যাবে না। অতএব আপনার টাই লাগবে। চাইলে আপনি আমারটা নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। 🙂
অরণ্য
ঠিক আছে, তুই চিন্তা করিস না। আমার স্পেশাল ড্রাইভে শুধু আমারটা দিস। বৃহস্পতিবারটা আমারটা আমাকে দিস। আর বাকি দিনগুলোতে তোর যা ভাল লাগে। তবে যাই করিস, ভাবনাটা একবার লীলা আপুর সাথে একটু আলাপ করে নিস। একটা ভাল মেন্টর পাওয়া কিন্তু কপালের ব্যাপারও বটে, মনে রাখিস। অল দ্যা বেস্ট! 🙂
মেহেরী তাজ
ঠিক আছেবৃহস্পতিবারটা বাদ রেখেই নেবো। থাংকু ভাইয়া। 🙂
কিন্তু লীলা আপুকে তো খুজেই পাচ্ছি না। 🙁
অরণ্য
লীলা আপু ঠিক হাজির হয়ে যাবে, তুই ভাবিস না।
একটু পড়াশোনাও করিস ফাঁকে। বেশি ভাইয়াগিরি ফলালাম না তো? ;?
ভাল থাকিস। 🙂
মেহেরী তাজ
না না আমার ফ্রেন্ডস রাও তো বলে তাজ সারাদিন ঘুরাঘুরি বাদ দিয়ে একটু পড়। হা হা হা হা।
এটাকে ভাইয়াগিরি বলে না….. 🙂
আপনিও ভালো থাকুন সব সময়।
অরণ্য
🙂
জিসান শা ইকরাম
প্রতিটি গান শুনলাম
যে কারনে মন্তব্য করতে বিলম্ব হল।
এই পোষ্টে আপনি আপনাকে প্রকাশ করলেন
গানগুলোর বিন্যাস খুবই ভালো হয়েছে।
ইচ্ছে করলেই কাউকে ভুলে যাওয়া যায় না
যেভাবেই হোক মনের মাঝে চলে আসবে।
তাগাদা না দিলে, এমন অসাধারন পোষ্ট আসতো আমাদের মাঝে?
শুভ কামনা -{@
অরণ্য
জিসান ভাই, আপনাকে যে কি লিখি বুঝতে পারছি না। আপনাকে আগের রাতে আমি প্রমিজ করেছিলাম, তারই একটা রেজাল্ট এ পোস্ট। আপনি আমার লেখা গভীরভাবে পড়েন, আমি টের পাই। আর কি বলি? অনেক ধন্যবাদ আর শুভ কামনা আপনার জন্য। আমি আপনার বটতলায় একদিন বসতে চাই – চিৎকার করে গাইতে চাই। হ্যাঁ, সত্যি চাই। আমি গান গাইলে অনেক হালকা হই। মাঝে মাঝে সুমনের গানের একটা লাইনের সাথে আমি মাথা নাড়াই এবং গাই… “আমিও ভন্ড অনেকের মত, গান দিয়ে ঢাকি জীবনের ক্ষত”। আপনাকে লিখতে গিয়ে কোথায় যেন একটু আবেগী হয়ে গেছি। স্যরি। 🙂
জিসান শা ইকরাম
অন্য কারো কথা জানিনা আমি,তবে আপনি আমার বট গাছ তলায় আসবেন এটি আমি দেখতে পাচ্ছি। একটা গোপন কথা বলি যা অনেকেই জানে না, আমি একটা সঙ্গীত গোষ্টির পৃষ্ঠপোষক। যন্ত্রের অভাব হবেনা।আপনি আসবেন, বেতার আর টেলিভিশনের মিউজিশিয়ানরা আসবেন। যতক্ষণ ইচ্ছে গান বাজনা চলবে।
আপনার সাথে যোগাযোগ করবো আমি কবে আপনার সময় হবে। আমি চাচ্ছি শীতের পরে বসন্ত কালে হোক এই আসর। নক করবো যথা সময়ে।
আবেগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে 🙂
শুভ কামনা।
অরণ্য
জিসান ভাই, শুনে ভাল লাগছে। হ্যাঁ, আমি সত্যি যেতে চাই আপনার বটতলায়। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
ও নানা এ তুমি কি শোনালে!!! ;( ;(
আমি কিভাবে আসবো? 🙁 🙁
জিসান শা ইকরাম
তুমি অনুষ্ঠানের সাথে থাকবা ওয়েব ক্যামে।
পুরো অনুষ্ঠান দেখবা নাতনী 🙂
অরণ্য
আমিও কিন্তু এমনটিই ভাবছিলাম। 🙂
\|/
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা তাহলে তো আমার যে উইকএন্ড অফ থাকে সেদিন করতে হবে অনুষ্ঠান।
অরণ্য
এ প্রস্তাবনায় আমার সহমত। নীলা আপুর যে উইকএন্ড অফ থাকে সেদিনেই যেন হয় সেই আড্ডা।
জিসান ভাই এবং সবাই, তাই যেন হয়। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
সবুজ অরণ্য তাহলে রিহার্সেল কবে থেকে শুরু? গান নির্বাচন! 😀
আনন্দে জানো আমি নাচছি? \|/ \|/
অরণ্য
নীলা আপু, তোমার সম্মানে একটা নীলা সিরিজও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু ব্যাপারটা পুরো ঠিক হচ্ছে না। আমাদের টিমে কিন্তু আরো মানুষ আছে – অনেকটাই তোমার-আমার মত। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
হাহাহাহা। সিরিজ লাগবে না। একটা অংশ হয়ে থাকলেই চলবে।
ঠিক-বেঠিক আমাদের তৈরী, তো খাংখে নাই(জাপানিজ ভাষায় ডোন্ট কেয়ার) 😀
মজা হলো কেউ বোঝেনা। আমার রাগ উঠলে নিজেকেই শোনাই খাংখে নাই :D) :D)
অরণ্য
… তো খাংখে নাই 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
কি লিখবো? পুরোনো প্রেম যে একেবারে সামনে চলে এলো! আপনার নয়, আমি আমার কথা বলছি। তবে লেখাটি পড়ে ইচ্ছে করছে আবার প্রেম করতে। এত্তো প্রেম লেখাটিতে যে এখুনি ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে পড়তে ইচ্ছে করছে। একটা প্রেমের লেখাও চলে আসছে। লিখে ফেলবো এখানেই?
আমাকে ভুলে থাকার তো কথাই নেই
মনে রাখবে বলেই তো ভালোবেসেছিলে
যখনই তোমায় নিঃসঙ্গ ক্লান্তি জড়াবে একাকীত্ত্বে,
মনে তো করতেই হবে আমাকে তোমার।
কোথায় যাবে, পুরোনো স্মৃতিতে? ওখানে তো সম্পূর্ণ আমি!
ব্যস্ততম দিনের শুরুতে বাসের ভেতর কোনো প্রেমিক-যুগল দেখে
আমাদের সেই সময়কেই তুলে নিয়ে আসতে হবে।
আমাকে মনে রাখতেই হবে তোমাকে—
কোথায় যাবে?
টি.এস.সি, কার্জন হল, আনাচে-কানাচে যেখানেই যাও
ওখানে যে আমরাই ছিলাম।
গান গাও, যতোই সুর তোলো গীটারে
ভাবছো এ সুরে তোমার বর্তমান?
বোকা,
ওটাই আমি!
তোমার সুর, গান, রাত্রি-নির্জন এবং স্মৃতি।
মাথা-মুন্ডু যা মনে এলো লিখে ফেললাম। আপাতত ধার-দেনা শোধ করলাম। এখন বলি, গান শুনবো কবে? পোষ্ট দিন না গানের। তারপর ডায়েরীও লেখার কথা ছিলো, সেসব কবে আসবে? ঠিক না এতো অহঙ্কার। রাগ তুলবো মাথায় :@
বেশী প্রশংসা করে যদি কিছু না পাই, নিন্দে করা শুরু করবো কিন্তু। 😀
অরণ্য
নীলা আপু, কি লিখলেন! ওয়াও! আমি মুগ্ধ আর আমার এ লেখা ধন্য এ মন্তব্য। সব মন্তব্যই আমার কাছে খুব ভাললাগার। একেক মন্তব্য আমি একেকভাবে পাই। এটি একটু আলাদাই। শেষেরটুকু তো একদম গেঁথে গেল আপু!
“গান গাও, যতোই সুর তোলো গীটারে
ভাবছো এ সুরে তোমার বর্তমান?
বোকা,
ওটাই আমি!
তোমার সুর, গান, রাত্রি-নির্জন এবং স্মৃতি।” (y) (y) (y)
ধার-দেনা শোধ করলেন – সে আবার কি? গান শোনাব – কথা দিলাম; আপনাদের ভাল না লাগলেও। 🙂 ডায়েরীটা নিয়ে একটু দ্বিধায় আছি। তারপরেও দেখি, ডায়েরীটা এখনও হাতে নিয়ে আসিনি বোনের বাসা থেকে। আমার অহংবোধ আর তেমন নেই আপু। হয়তো কিছুটা ছিল, এখন আর নেই। আমি খুবই সাধারণ মানুষ একজন।
আমার নিন্দা করেন, আমি খুব খুশি হব। 🙂
আজ আমাকে ফুল দেননি কেন? 😀
লেখার ফ্রেমটা কি নীলাঞ্জনা নীলা আপুর সাথে মেলে কিছুটা? :p
অনেক শুভ কামনা নীলা আপু। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ইস সেই ভাগ্য আমার? যাকে আমি ভালোবেসেছিলাম, সে তো আমার নামে কতো কথাই যে বললো। তাকে মনে করা তো দূর, মনেও পড়েনা। তাই মেলেনা। আসলে এভাবে লিখেছেন আমার মনে চলে এলো লাইনগুলো।
ধার-দেনা বলতে ওই যে একটা কবিতা লিখেছিলেন আমার লেখায়, ওটার কথাই বলছি। :p
গানের পোষ্ট চাই-ই-চাই। আর শুধু নানা নয় আমিও চেয়েছি। পুরোনো লেখায় গিয়ে দেখুন। :@
ফুল দেইনি, ওহ রাগ ওঠায় ভুলে গিয়েছিলাম। -{@ (3
অরণ্য
নীলা আপু আমি মন্তব্যে ধন্যবাদ জানিয়েছি আপনার নাম ধরে। রাগ আর আপনার নেই তা আমি জানি।
ভাল থাকবেন। আর যদি ঢাকায় থেকে হৈ চৈ করি কার্জন হলে গিয়ে তবে গানের পোস্ট দিয়ে দেব, সে যাই হোক। এক বন্ধুকে রেকর্ড করতে বলব। খুশি এবার?
নীলাঞ্জনা নীলা
কি জ্বালা! এতো বোঝেন কি করে আমায় আপনারা? উফ রাগের স্থায়ীত্ত্ব বাড়ানো শিখতে হবে। যেভাবেই হোক। :@
ইস কার্জন হল। ঢাবিতে পড়িনি, কিন্তু অনেক মজা করেছি বন্ধুরা মিলে। ভাববেন না ডেট করেছি :p ও আমি কখনোই করিনি। জীবনের অনেক সুন্দর আনন্দময় স্মৃতি আমার বন্ধুদের সাথে। শুনুন কার্জন হলে যখন গান গাইবেন, এই গানটা অবশ্যই গাইবেন…… -{@
https://www.youtube.com/watch?v=poDph5MXllY
অরণ্য
গানটা শুনছি। আমার পছন্দেরও বটে। কার্জন হলে হয়তো গাওয়া হবে কোন একদিন। কাল রাতে কার্জন হলে গিয়ে ছিলাম। মেইন কার্জন হলের বারান্দায় হাঁটলাম। নিজের গানের প্রতিধ্বনি শুনলাম। আমার খুব পছন্দের।
অরণ্য
কিছু হৈ চৈ বা ক্লান্ত স্বর আপনাকে পাঠাব। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
ক্লান্ত স্বর মনে হয়না আপনার। ক্লান্তিতে ছেয়ে গেছে আমার শ্বাস। সুরের আসরে যখন নিজেকেই নিয়ে থাকি, তখন বুঝি নি:শ্বাসের অনেক বয়স হয়েছে।
পরের জন্মে বিশ্বাস করিনা, কিন্তু যদি থেকে থাকে ছেলে হয়ে জন্ম নেবো। অন্ধকারের ঘ্রাণ নিতে। হিংসে হয় আপনাদের ছেলেদের। ^:^
অরণ্য
নীলা আপু আপনাকে কিছু শেয়ার করব। কিছু আমার পচা মোবাইলে রেখেছি আপনার জন্য। কেবলটা পেলেই দেখি আপনাকে শেয়ার দেব।
🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
পঁচাই চাই। এখন গান হচ্ছে গাইছি আমি আর আমার বান্ধবী “তুমি আমার প্রথম সকাল।” নিন ধরুন একসাথে। \|/ -{@
অরণ্য
নীলা আপু, ধরলাম আপনাদের সাথে। সাথে ধরার অবশ্য একটা সুবিধা আছে। 🙂
https://sonelablog.com/wp-content/uploads/2015/09/Tumi-Amar-Prothom-Sokal.mp3
জিসান ভাইয়ের বটতলায় সত্যি সত্যিই একসাথে গাওয়া যেতে পারে।
ভাল থাকবেন।
ব্লগার সজীব
অরণ্য ভাইয়া গান শুনছি আপনার কন্ঠে।খুব আবেগ দিয়ে গেয়েছেন।জিসান ভাইয়ার বটগাছ তলায় আড্ডা হলে আমাকে জানাবেন অবশ্যই।আমি গীটার বাজাবো আপনার গানের সাথে, ভয় নেই গীটারের শব্দে পালাবেন না কেউ -{@
শুন্য শুন্যালয়
অরণ্য বেশ কন্ঠ আপনার। এভাবে চুপি চুপি না দিয়ে পোস্ট করে দিলে সবাই শুনতে পেতো। এরপর পোস্ট চাই গানের।
গায়কের সাথে সাথে গিটারিস্টও আছে দেখছি। আমি তবলা বাজাবো, চলবেনা?
জিসান শা ইকরাম
অরণ্য ভাই,আপনার গান শুনলাম। ভাল্লাগছে আপনার গাওয়া গান। আশেপাশের শব্দ বাদ দিয়ে কিভাবে রেকর্ড করলেন এটি?
চেষ্টা করছি আপনার গানে মিউজিক এড করার
সফল হলে এই পোষ্টেই আপলোড করে দেবো 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
এটা কিন্তু ঠিক না। আমি আলাদাভাবে পোষ্ট চেয়েছি। এভাবে ফাঁকি দিলেন আপনি?
কি চান আগ্নেয়গিরি জীবন্ত হয়ে উঠুক? :@ :@
শহর-নগর সব পুড়ে ছারখার হবার আগে গানের পোষ্ট চাই। এতো অহঙ্কার ভালো না কিন্তু। :@ :@
তবে অরণ্যর সবুজ কন্ঠের গান শুনে আমি মুগ্ধ, গাইলাম আমিও আপনার সাথেই। -{@
অরণ্য
সজীব, গুড টু নো। 🙂 আপনাকে পাচ্ছি সাথে।
শুন্যালয়, তবলা আপনি বাজালে চলবে; যদিও জিসান ভাই প্রফেশনাল মিউজিশিয়ানও নিয়ে আসবেন। তার তাতে কি! আমরা আমরাদের মজা একটু আলাদাই হবে।
জিসান ভাই, আপনি ট্রাই করতে পারেন; কতটুকু সফল হবেন জানিনা। কার্জন হলের বারান্দায় হাঁটতে হাঁটতে গাওয়া। আপনার ইচ্ছা শুনে বেশ এক্সাইটিংও লাগছে।
অনেক ধন্যবাদ সবাই কে।
ক’দিন খুব আওলা আছি। মাঝে মাঝে এমন আমি হই, অনেকটা তরঙ্গের মত।
ভাল থাকবেন সবাই।
অরণ্য
হে প্রিয় লেখিকা আমার
নীলাঞ্জলা নীলা।
সেদিনে গেয়েছি তোমারই সাথে
মাথাও নেড়েছি ঠিক সে মতে
তুমি ছিলে সেই বেলা।
হে প্রিয় লেখিকা আমার
নীলাঞ্জনা নীলা।
আজ থেকে তোমায় লিখব তুমি
আপনি মোটে নয়।
জানান দিয়েই করছি এ কাজ
পাছে, ধাকটি যেন সয়।
…
ছি! ছি! নীলা আপু, তুমি এতো দেরিতে দেখলে এ পোস্ট!
তবে আড্ডায় তোমাকে চাই। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
ইস কবিতা দিয়ে মন ভোলানো? উহু সে তো হবেনা। গানের জন্যে গানই চাই। আর অনেক ভালো লাগছে “তুমি”তে প্রমোশন পেয়ে। খুব খুশী 😀 :D) \|/ -{@
আড্ডায় কোন গান? রিহার্সেল দিতে হবে, আমার বাসায় চলে এসো :p
অরণ্য
নীলা আপু, তোমার শেয়ার করা গানটাই…
“একটুকু ছোঁয়া লাগে
একটুকু কথা শুনি
তাই দিয়ে মনে মনে
রচি মম ফাল্গুনী…” 🙂
এ গানটা নিয়েই একটা পোস্ট হতে পারে। গাইব কার্জন হলের বারান্দায়। আজ দিন শুরুই হয়েছে এ গান দিয়ে। চলছে এখনও। (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
ইস! শুনতে চাই। তা ওই বারান্দায় কি এখনও আছো? আসবো নাকি?
তারপর গাইবো,
“কিছু পলাশের নেশা
কিছু বা চাঁপায় মেশা
তাই দিয়ে সুরে সুরে রঙে রসে জাল বুনি।।” 😀 -{@
অরণ্য
নীলা আপু, আমি ঠিক বুঝতে পারছি তুমি কার্জন হলে এ গান গাইবেই। আমি পাশে থাকলে আমিও গাইব এমনিতেই। অদ্ভুত ব্যাপার সোনেলার তোমাদের অনেককেই মনে হয় অনেকটাই আমার মত। বটতলা, কার্জনের বারান্দা অপেক্ষায় থাকল। ব্যাটা বটগাছটা কিন্তু দিন গুনছে – ব্যাপারটা কিন্তু বেশ! 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
গান আমায় টানে আর আবৃত্তি। গতকাল অনেক আবৃত্তি করলাম। আসলে আবৃত্তি না, নিজেকেই শোনানো।
হুম বিশ্বাস করি মানুষের সদিচ্ছা পূর্ণ হয়ই হয়। এ জীবনে দেখেছি সেসব।
তো হবে কার্জন হল। বটগাছটা জানিনা। কিন্তু ইচ্ছে ষোলো আনা। -{@ 😀
অরণ্য
আমার কাছে বটগাছ, কার্জন হল – দুটোই। বাকিটা উনার ইচ্ছা। 🙂
Alladi
এই প্রথম মন্তব্য লিখছি …………।।
একটা কবিতার কথা মনে পরে গেল কেউ একজন আমাকে বলেছিল জানিনা কার লেখা ………”অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক জোছনায় পাক”…………।
best of luck……………
অরণ্য
”অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক জোছনায় পাক” – দারুন তো!
আপনাকে আরেকদিন বোধহয় দেখেছি তানজির ভাইয়ের লেখা রিপোস্ট হিসাবে উনি যেটি দিয়েছিলেন “এ সূর্য আমার” শিরোনামে; সেখানে। স্যরি, কিছু মনে করবেন না। আমার কাছে সোনেলা একটি পরিবারের মতই লাগে। সোনেলায় আপনাকে স্বাগতম। -{@
একটা পোস্ট দিয়ে ফেলুন না সময় করে?
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আল্লাদি
আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি ভুলের জন্য তবে বলে রাখছি যে ক্ষমা চাওয়া তে আমার জুরি নেই। সারাজীবন বেশির ভাগ সময় পার হয়ে গেছে ক্ষমা চাইতে চাইতে। যেমন ক্ষমা চেয়েছি আবার ক্ষমা করেওছি। যাইহোক প্রসঙ্গ পাল্টে যাচ্ছে । তার জন্য আবারও ক্ষমা চাইলাম……..।। সোনেলা একটি পরিবার তাতে কোন সন্ধেহ নাই আর খুব ভালো লাগছে এর সাথে নিজেকে একটু সম্পৃক্ত করতে পেরে। সবই আপনার জন্য সম্ভব হোল। আর নতুন লেখার কথা বলছেন এখনও কিছু মাথায় আসছে না।
আজ যাই, ভালো থাকবেন সবসময়…… 🙂
অরণ্য
এতো স্যরি বলতে হয় না; যদিও এটা আমার ব্যক্তিগত বোধ। 🙂
ভাল থাকবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতার পংক্তি এটি।
কিছুটা তো চাই
হোক ভুল
হোক মিথ্যে প্রবোধ
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক
জ্যোৎস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই।
কিছুটা তো চাই
কিছুটা তো চাই।
মনে পড়ে গেলো। ভুলও হতে পারে লাইনগুলো। অনেক বছর পর কিনা!
আল্লাদি
অনেক ভালো লাগলো শেষ পর্যন্ত কবিতাটা find out করা গেল। অনেক ধন্যবাদ নীলা আপনাকে। -{@
লীলাবতী
আল্লাদি নামটি তো দারুণ সুন্দর -{@ কিছু লিখছেন না যে! নামের মতই সুন্দর একটি লেখা দিন আল্লাদি আপু 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
-{@ আহ্লাদি আপনি আহ্লাদী আহ্লাদী লেখা কবে দেবেন?
আল্লাদি
নির্মম সত্যি কথা কি জানো আপু আল্লাদির কথা সবাই আল্লাদি ই ভেবে আল্লাদ করে কেউ মূল্যায়ন করে না ………।।কেউ না
নীলাঞ্জনা নীলা
মূল্যায়নের কথা ভাবছেন কেন? কে কি ভাবলো, না ভাবলো। আপনি নিজেকে কি ভাবছেন? ভালো নাকি মন্দ? আমি কি করি জানেন? শুধু দেখি আমায় দিয়ে কারো ক্ষতি কি হচ্ছে? কোনো কিছু বলে/করে মনে মনে ভেবে দেখি এটি ঠিক হয়নি। নিজেকে তখন একটু একটু করে নিজের সামনে রাখি।
বিশ্বাস করুন আমি সেসব আর ধরিনা আমায় কে, কি বললো। কারো কাছে নিজের মূল্যায়ন নির্ভর করেনা। একজন মানুষ আপনাকে যতোটুকু চেনে সে দু’ ভাগে রাখে আপনাকে। আপনার শুধু ভালোটুকুই নেয়। আপনি নিজে কিন্তু ভালো-খারাপ দুটো নিয়েই আছেন। তাই শুধু আপনি নিজেই পারেন নিজের মূল্যায়ন করতে। এটি আমার মত। ভালো থাকুন। আর লিখে চলুন আহ্লাদি। -{@ 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আপনি ভালো লেখেন পুরনো কথা, গান পাগলা সেটাও পুরনো, উপস্থাপন সেও নতুন কিছুনা।
কিন্তু এটা কি সব ছাড়িয়ে গেলো!! স্মৃতিতে আটকে থাকি আমরা, চাইলেও সে সরবার নয়। আমার এক বন্ধু একটা মজার স্ট্যাটাস লিখেছিল একবার স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে, ছোটবেলার গোলাপী পরী, সেই গোলাপী স্মৃতির সাথে দেখা হয়ে গেলো, গোলাপী পরী এখন কএক সন্তানের জননী, মটকু মধ্য বয়সী নারী, হায়রে আমার সেই গোলাপী!!… মজা করলাম।
সত্যিই মুগ্ধ আপনার স্মৃতির সাথে এভাবে গান জুড়ে দেয়া পোস্ট পেয়ে। ধন্যবাদের সবটুকু দুজনকেই দিলেন? আমরা সেই কবে থেকে আপনাকে গুতোচ্ছি 🙁 দামী গাড়ি পেলে সবাই সবকিছু ভুলে যায়।
অরণ্য
সব ছাড়িয়ে গেল কিনা জানিনা। তবে এই আমি। আমার কিচ্ছু করার নেই। “আমার কিচ্ছু করার নেই” লেখার সাথে একটা গান মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে গেল। সুমনের “গানওয়ালা”। শেয়ার করছি…
https://www.youtube.com/watch?v=LdqwEB_7u-k
মজাটাতে আমিও মজা পেলাম। আর ধন্যবাদ আপনাদের অনেকেরই পাপ্তি আছে। নাম বলা বা না বলায় কি খুব বেশি আসে যায়? তারপরেও আপনাকে, নীলা আপুকে, আরো কয়েকজনকে আমার স্পেশাল ধন্যবাদ জানানো উচিৎ। তবে দামী গাড়ি আর নগদ রিমাইন্ডিং এর একটা ব্যাপার অবশ্য থাকেই; আমি তো মানুষ, তাই না? 🙂
শুন্য শুন্যালয়
স্পেশাল ধন্যবাদ কিন্তু চেয়ে চেয়ে পেয়েই গেলাম, তাহলে নগদে আর যাওয়া কেন? 🙂
অরণ্য
এ ক’দিনে আপনাদের জায়গাটাই যদি টের না পান, সে আমার ব্যর্থতা। 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
অরণ্যহীন সোনেলায় সবুজপ্রান পাবে আর কোথায়?চমৎকার বলার ভঙ্গীর সাথে চিনতে পারলাম গায়ক অরণ্যকেও -{@
সজীব ভাইকে অভিনন্দন -{@
অরণ্য
মনির ভাই, অনেক ভাল লাগল আপনার মন্তব্য পেয়ে। ‘সবুজপ্রাণ’ খুব ভাল লাগল। 🙂
অনেক ধন্যবাদ আর শুভ কামনা। -{@
ভাল থাকবেন। (y)
ব্লগার সজীব
অরণ্য ভাইয়া।সমস্ত লেখাটি দুবার পড়লাম। আর ‘ তোমাকে আমার মনে পড়বেই ‘ কবিতা বা একান্ত অনুভুতি অনেক বার পড়েছি সকাল থেকে।এই অংশটুকু মাথার মাঝে রয়ে যাবে।এটি আমার চিন্তায় নুতন একদম।এমন করে ভাবিইনি কোনদিন।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ নুতন একটি ভাবনার বাড়ি চিনিয়ে দেয়ার জন্য।
আপনি দেখি আমাকে লজ্জা দিয়ে মেরে ফেলবেন 🙂 এমন পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপনারই প্রাপ্য -{@ -{@
অরণ্য
ভাল মানুষগুলো খারাপ হয়ে গেলে তারপরে তারা আবার ভাল হতে গেলে সমস্যা একটু আছে। ইদানিং হুদাই একটু ভাল হবার চেষ্টা করছি। অপ্রয়োজনীয় অনেক ব্যস্ততায় যাচ্ছে দিনকাল। সোনেলায় আসা বা এসে কিছু লেখা এ সময়েও ভাটা পড়ে যাচ্ছিল। মাঝখানে আপনি এমন পোস্ট দিলেন যেন ছুটি নিয়ে নিচ্ছেন। আপনি যখন ফের ফিরলেন অবকাশযাপনের পর আমার মনে কোথায় যেন একটা হাসি বয়ে গেল। দিলেন আবার দামী গাড়ি! চললাম “উল্লাস” করতে। উল্লাস না করে গেলাম কার্জন হলে। মাঝখানে জিসান ভাইও রিমাইন্ড করিয়ে দিল অনেক দিন লিখছি না। আরও অনেকেও বলেছে দু’একবার। শেষে লিখেই ফেললাম জীবনের অনুভূতি – আমার না পারা। সবকিছু চাইলেও ভোলা যায় না। টের পেলাম তাহাকে আমার মনে পড়ছেই এবং পড়বেই।
লেখাটি থেকে একটা ‘টেক হোম’ আপনি নিয়েছেন জেনে ভাল লাগছে। আশা করব তা পজিটিভই হবে।
আর এতো লজ্জা কেন পাচ্ছেন? বরং ভাল কিছু হয়ে থাকলে ক্রেডিট নিন। 🙂
ভাল থাকবেন। (y)
ব্লগার সজীব
ধন্যবাদ অরণ্য ভাইয়া।ব্যাক্তিগত একটি সমস্যায় অবকাশে গিয়েছিলাম।আমি বেশ ফান করি।সমস্যার কারনে ব্লগে আমার ফান করতে সমস্যা হচ্ছিল।মন ভালো হতেই চলে এসেছি।
আপনার তোমাকে কে রাখুন এভাবেই সাথে,এসব আসলো ভুলে থাকা যায়না।অনেকেই অবশ্য ভুলে যেতে পারেন,তবে কেউ কেউ পারেন না। নিরন্তর শুভকামনা -{@
অরণ্য
থ্যাঙ্কস সজীব। ভাল থাকবেন।
লীলাবতী
ভালো এবং মন্দ স্মৃতি কোন কিছুই আসলে ভুলে যাওয়া যায়না।সময়ে সময়ে বিভিন্ন কারনে তা মনে পরবেই।কিছু করার নেই।কিছুই ভোলা যায়না,সবকিছুই থেকে যায় মনের গহীনে।যে কোন স্পর্শে আবার জেগে ওঠে।
আপনার প্রকাশিত লেখার মাঝে, এটিকেই আমি সেরা বলবো।শুভেচ্ছা আপনাকে -{@
অরণ্য
আমিও খেয়াল করলাম অনেকেই লেখাটিকে ভাল বলছে। মজার ব্যাপার হলো আমি পরেরটুকু লেখার জন্য সেদিন বসিনি। আমি বসেছিলাম আমার কথা রাখার জন্য। ভেবেছিলাম একটা ফান টাইপের পোস্ট দেব। তারপরে লিখতে গিয়ে হুট করে রেশটা পালটে গেল। আমি শুধু লিখে গেলাম তার সাথে কথা বলতে বলতে। 🙂
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
আজ সোনেলা দিন। -{@
লীলাবতী
তার সাথে কথা বলতে বলতে রোজ লিখুন,এমন লেখা পড়তে চাই রোজ রোজ 🙂 -{@
অরণ্য
এমনিতেই মাঝারি গোছের পাগল আছি। পুরোটা আর হতে বলেন না। 🙂
সময়… সময় বড় পিকিউলিয়ার চিজ! 😀
ভাল থাকবেন। আবার কোনদিন খুব করে পেয়ে বসলে লিখব। 🙂
ব্লগার সজীব
ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক! -{@ ঈদের দিনের আনন্দ থাকুক আপনার মাঝে বছরের প্রতিটি দিন।
অরণ্য
ঈদ মুবারক। এই ঈদে আমাকে ভাবালো আমি কি সেক্রিফাইস করলাম, শুধুই কি একটি ছাগল নাকি আরও কিছু করার আছে আমার? ;?
ভাল থাকবেন।
স্বপ্ন
ভাইয়া লেখাটিতে (শেষের কবিতায়)আমার মনের কথাই যেন বলে দিয়েছেন।মন কোন যন্ত্র নয় যে ব্যাটারী খুলে ফেলে একে থামিয়ে দেয়া যায়।মন কোন মেমোরী কার্ডও নয় যে ইচ্ছে করলেই ফরমেট দিয়ে সব ডিলেট করে দেই।মনে পড়বেই বিভিন্ন ঘটনায়।
আমি তো আপনার অনুসারী হয়ে গেলাম।
অরণ্য
ভাইয়া, ভাল লাগল এমন মন্তব্য। এখানে ডিলেট কাজ করেনা।
আপনার ‘অনুসারী’ শব্দ দেখে একটা দৃশ্য মনে পড়ল।
সকালের ধানমন্ডি লেক। ছেলে-বুড়োদের হাঁটাহাঁটি নানা ভঙ্গিতে এবং নানা রিদমে। তিনটি মাঝবয়সী ভদ্রলোক ডিঙ্গি পার হয়ে যাচ্ছে একটু হৈ হৈ ঝৈ ঝৈ রিদম নিয়ে। সবাই সাদা টি শার্ট পরা। তিনজনের বুকের বামপাশে ভিন্ন ভিন্ন লেখা – “I wish I could quit”, I’m avoiding” ও “Please don’t offer me”। টি শার্টের পিছনে সবার এক। বড় করে লেখা “DON’T FOLLOW ME. FOLLOW YOUR HEART.”
অনেক শুভ কামনা।