আলো উপচানো, চোখ জ্বালা করা রোদ,
নিরবিচ্ছিন্ন কোলাহল
দীর্ঘ সোজা রাস্তা,
তোমার দুয়ার বরাবর
এ আমার দক্ষিণের বারান্দা।
গা ঘেঁষে গাছপালার নিবিড় ভালবাসা
আকাশমনি গাছের বেড়ে ওঠা
দীর্ঘ বেণি ঝুলিয়ে জড়িয়ে থাকা রহস্যময় পরগাছা
অফুরন্ত নির্মল হাওয়া
সুপারি ফুলের মাদকতা
সোনালু লতার ঢলাঢলি
পাখিদের কলকাকলি
ভালবাসার উদাত্ত আহ্বান
এ আমার পূবের বারান্দা।
নীরব, স্নীগ্ধ, আধো-আলো
মৃদু সুরে রাই এর পংক্তি
দৃষ্টির জালে আটকে পড়া শুভ্র কাশবন
শরতের বৃষ্টিচপল উৎসব
এ আমার পশ্চিমের বারান্দা।
,,,,রিতু,,,, কুড়িগ্রাম।
১৯.৯.১৮.
১৬টি মন্তব্য
মাহমুদ আল মেহেদী
অনেক ভাল লাগলো । এই সকাল বেলা এত সুন্দর একটা কবিতা পড়ে , সারাটা দিন ভাল যাবে ।
রিতু জাহান
অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন সব সময়।
মায়াবতী
রিতু রিতু রিতু …. তুমি তো তুরি মেরে কবিতা লিখে ফেলো গো সোনা ! (3
রিতু জাহান
ভালবাসা নিও আপু। ভালো থেকো আপু। ভালবাসায় রেখো।
মায়াবতী
(3
মোঃ মজিবর রহমান
কেমন করে যে লেখ বুজান। মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
রিতু জাহান
অনেক ধন্যবাদ মজিবর ভাই। ভালো থাকুন সব সময়।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল আছি আপু।
রিতু জাহান
🙂 (y)
জিসান শা ইকরাম
বারান্দা তিনটা পছন্দ হইছে খুব।
ভালো লিখেছ।
রিতু জাহান
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকুন সব সময়।
তৌহিদ ইসলাম
বারান্দা নিয়ে এত সুন্দর কবিতা হয়!! বাহ দারুন লিখলেন আপু
রিতু জাহান
ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন সব সময়।
ছাইরাছ হেলাল
দক্ষিণ আর পশ্চিমের হাওয়ার দেখা পেলাম
বৃষ্টি-উৎপলতায়,
অন্য কোনগুলো খুঁজে পেতে হয়রান হতে হচ্ছে।
রিতু জাহান
কেনো কেনো গুরুজি! পূবের বারান্দায় ঢুকে দেখুন। নেই শুধু আমার উত্তরের বারান্দা।
এটাকে খুঁজি আমি আজও।
তা কতোদিন পরে এলেন, অংকের খাতা দিব নাকি ক্যালকুলেটর?
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার দক্ষিণের জানালা দিয়ে রোজ রোদ আসে,
বিছানার সাদা চাদরে আঁকিবুকি কাটে
আর কখনো বৃষ্টি নামলে ভিঁজে যায়
শুক্লপক্ষের জানালাটা কেমন যে এক আবেশ জড়ানো থাকে!
পর্দার বাইরে থৈ থৈ জ্যোৎস্না
আর ঘরের ভেতর সাঁতার কাটে আবেগী মন
অবশেষে একছুটে বারান্দায়,
যেখানে পূর্ব আর পশ্চিমের সেতুবন্ধন উত্তর-দক্ষিণের হাত ধরে। —–আপু দারুণ লিখেছো। ফেসবুকে পড়েছিলাম।
আমার একটাই বারান্দা আপু। মাত্র তিন-চারমাস ব্যবহার করতে পারি। বাসাটা ভাড়া নিয়েছিলাম এই বারান্দার কারণেই। ভাড়াও তাই বেশি।