সকালের রোদে সেই তাপ কই!
যে তাপ আমি ভুমিষ্ঠ হওয়ার
সময় পেয়েছিলাম!
আমার মায়ের নেতানো উঠোন
আর শোষে না!
স্যাঁতে স্যাঁতে উঠোন আমার!
আমার বুকে গড়িয়ে পড়া চোখের নোনা জলে!
আমার দেহ!আমার বুকে! আর চোষে না!
রাত-বেরাত গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে!
সারা শরীরে জুড়ে দগ-দগে ঘাঁ!
নোনা জলে আরও ঘাঁ বাড়ে!
শুক্নো চোখে অশ্রু নিয়ে মাছির কি উৎপাত! নিকেলের প্রলেপন তাই দিনরাত!
আমার নানির দুই পায়ে শুয়ে,
মালশা ভর্তি আগুনে যে উত্তাপ!
আমার সুপ্ত বীজকে জাগিয়ে তোলে!
সেই উত্তাপ আজ আর কই!
আলতো শীতের চাদরে
বন্ধ্যা পৃথিবী খোঁজে ভুমির বুকে,
রাতে খোঁজে উষ্নতা!
কালপুরুষের আলোয় সেই উষ্নতায়,
ভোর-রাতে সদ্যজাত শিশু খোঁজে
ধ্রুবতাঁরার দিকে একপলক চেয়ে,
মায়ের বুকের বিষ মেশানো নগ্নস্তন দুগ্ধে!
@ বাড়ি
তারিখ-০৫/১১/১২
সময়-১২ঃ২৯ রাত
৭টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
বরাবরই আপনার কবিতা বেশ ভালো হয়।
এটিও অনেক ভালো ।
শুভ কামনা ।
এই মেঘ এই রোদ্দুর
অনেক সুন্দর……..
ছাইরাছ হেলাল
ভাল লাগল ।
লীলাবতী
জীবনমুখি কবিতা। দৃশ্যগুলো দর্শন দিয়ে গেল কবিতার শব্দে
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতার শব্দ চয়ন এবং প্রয়োগ সুন্দর ।
জবরুল আলম সুমন
আরোও একটা সুন্দর কবিতা পড়লাম। নান্দনিক শব্দ জোড়া লাগিয়ে কবিতা গঠনে আপনি সব সময়ই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, আগামীতেও দেবেন নিশ্চয়। শুভ কামনা রইলো।
যাযাবর
বাহ , খুব ভালো লেগেছে ।