বাংলাদেশের রংপুর শহরের অদূরে তাজহাটে অবস্থিত এ জমিদার বাড়িটি একটি ঐতিহাসিক প্রাসাদ। যা এখন জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এটি বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে মহারাজা কুমার গোপাল লাল রায় নির্মাণ করেন।সময় লেগেছিলো ১০ বছর।২১০ ফুটের মতো প্রশস্ত ও চার তলার সমান উঁচু।এর গঠণশৈলী মুঘল স্থাপত্য থেকে অণুপ্রাণিত ।মার্বেলের সিঁড়ি বেয়ে উঠলেই আছে বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী কক্ষ।ও হ্যাঁ, মোট ৩১টি সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হবে।এখানে দশম ও একাদশ শতাব্দীর টেরাকোটার শিল্পকর্ম ,আরবী ও সংস্কৃত ভাষায় লিখা কিছু প্রাচীন পান্ডুলিপি,মুঘল আমলের কোরআন শরীফ,মহাভারত ও রামায়ণ আছে।পেছনের ঘরে আছে বেশ কয়েকটি কালো পাথরের হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর প্রতিকৃতি ।
প্রাসাদ চত্বরে আছে বিশাল মাঠ,গাছের সারি,নান্দনিক ফুলের বাগান এবং দুটি পুকুর।
পর্যটকদের মন কাড়তে এ জমিদার বাড়ির জুড়ি নেই।
**যাদুঘরে ছবি তোলা নিষেধ।
গত জানুয়ারি মাসে আমি ভ্রমণে গিয়ে এই ছবিটি তুলেছিলাম।
আশা করছি,আপনারাও ঘুরে আসবেন।। ভালো লাগবে।।
১৯টি মন্তব্য
তৌহিদ
তাজহাট জমিদার বাড়িটি আসলেই অনেক সুন্দর। যতবার যাই ততবারই নতুন লাগে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্টের জন্য।
আরজু মুক্তা
আমি ও যতোবার গিয়েছি ততবার নতুন লাগছে।এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চোখে পরার মতো
শামীম চৌধুরী
রংপুরে যখন কাজ করতে যেতাম তখন এই তাজহাটে প্রতিবারই যেতাম। এমন সুন্দর কারুকার্য ও অলঙ্কৃত কাজে সমৃদ্ধ জামিদার বাড়ি অন্য কোথাও নেই। প্রচুর ছবি তোলা আছে এই তাজহাটের। আবারো পুরা তাজহাটটি চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে আপনার ভ্রমন কাহিনী পড়ে।
আরজু মুক্তা
স্মৃতি কে মাঝে মাঝে সজাগ করতে হয়।।সেটাই করলাম।।
শাহরিন
কখনো রংপুর গেলে যাব আপু 🙂
আরজু মুক্তা
অবশ্যই।।ঘুরে আসেন, ভালো লাগবে।।
ছাইরাছ হেলাল
এ ভাবে ফাঁকি দিয়ে ভ্রমণ পোস্ট লিখে পার পাবেন বলে মনে হয় না।
আরজু মুক্তা
আমি তো সব বিষয়ে লিখছি।।
ছাইরাছ হেলাল
আরও বিস্তারিত লিখে আমাদের জানাতে হবে,
যাতে আমরা যারা এখন ও যাইনি তাদের একটু সুবিধে হয়।
জিসান শা ইকরাম
তাজহাট জমিদার বাড়ি দেশের ঐতিহাসিক একটি নিদর্শন।
আমাদের দেশের পর্যটন মন্ত্রনালয় তেমন কাজের নয়। এমন কত জমিদার বাড়ি আছে যা সংরক্ষনের অভাবে ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে। এর তেমন কোন প্রচার নেই।
ফিলিপাইন ভ্রমনের সময়ে এমন একটি বাড়ির ধ্বংশস্তুপ দেখতে গিয়েছি, হাজার হাজার বিদেশী পর্যটক দেখে ওটা প্রতিদিন কেবল মাত্র প্রচারের কারনে।
পোস্ট আর একটু বিস্তারিত দিলে ভালো হতো।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
সেটা আমিও ভেবেছি,আর একটু বিস্তারিত হলে ভালো হতো।।ঘুরে আসুন ভালো লাগবে
নিতাই বাবু
জানা হলো অনেককিছু। যা এতো সব তথ্য আগে জানা ছিল না। আপনার লেখা আর পোস্ট থেকে তাজহাট জমিদার বাড়ির বিষয়- আষয় সুন্দরভাবে জানতে পেরেছি। ধন্যবাদ অজস্র।
আরজু মুক্তা
শুভকামনা!ঘুরে আসবেন নিশ্চয়
সাবিনা ইয়াসমিন
সুন্দর জায়গা। সময় সুযোগ পেলে ঘুরে আসবো একদিন।
শুভ কামনা 🌹🌹
আরজু মুক্তা
জি, ঘুরে আসবেন।।ভালো লাগবে।।
আসিফ ইকবাল
আহসান মঞ্জিলের সাথে মিল খুঁজে পাচ্ছি। চমৎকার স্থাপনা। যাবার ইচ্ছে আছে।
আরজু মুক্তা
অবশ্যই।।ঘুরে আসবেন।ভালো লাগবে।
আসিফ ইকবাল
আরজু মুক্তা, ধন্যবাদ 🙂
কামাল উদ্দিন
এটাতো কিছুটা আহসান মঞ্জিলের আদলে গড়া দেখা যাচ্ছে।