ট্রেনে ঢাকা থেকে কলকাতার ভ্রমণটা কেমন হয় তা জানার জন্য ভিসাতে বাই ট্রেন লাগিয়ে নিলাম। কিন্তু ভ্রমণের সময় মনে হল আসলে সিদ্ধান্তটা ভুল হয়ে গেছে। অনেক খুঁজে আমার ভ্রমণ সঙ্গী যাদের পেলাম তাদের তাদের সবারই বাই বাস অর এয়ার। অগত্যা ওরা বাসে রওয়ানা হলো আর আমি একাই ট্রেনে। দেখা হবে ইডেনের মাঠের আইপিএলে।
ঢাকা কলকাতা ট্রেন সার্ভিসটা ভালো হলেও আমার কাছে দুটি যায়গায় সমস্যা মনে হলো। প্রথমতঃ আমরা যারা নিত্য ভ্রমণ করি তাদের একটা অলিখিত নিয়ম হলো রাতে ভ্রমণ করা ও দিনের বেলায় ঘুরে দেখা। আর দ্বিতীয়টি হলো এই ট্রেন শিয়ালদহ না গিয়ে চিৎপুরে যায়, ওখান থেকে শিয়ালদহ বা নিউ মার্কেট কিংবা হাওড়ার দিকে যেতে যথেষ্ট জক্কি ও খরচের ব্যাপার আছে। তো এসব নিয়ে আমার মূল পোষ্ট না, আমি এসি ট্রেনের গ্লাসের ভেতর থেকে পুরো পথেই অনেক ছবি তুলেছিলাম। সেই সেই ছবি থেকে কিছু ছবি নিয়েই মূলত আমার আজকের পোষ্ট। ট্রেনের গ্লাস কিছুটা গোলাটে থাকায় প্রায় ছবিগুলোই স্বচ্ছ ভাবে আসেনি বলে দুঃখিত আমি।
(২) ট্রেনের ভেতরের ছবিটা এমন, কিছু গ্লাস ঘোলা থাকায় বাইরের ছবিগুলো ভালো তুলতে পারিনি।
(৩) চলা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসি টঙ্গী স্টেশনে।
(৪) একটা সবুজ গ্রাম।
(৫) খালি ক্লিকবাজী করে গেছি, কোন ছবি কোথাকার কিছুই জানিনা।
(৬) গাঁয়ের মেঠো পথ, পাশে পাকা মসজিদ।
(৭/৮) এমন ছবি দেখেই হয়তো কোন কবি বলেছিলেন “নদীর ধারেই পথ, পথ ফুরালেই গাঁ। গ্রামের পর গ্রাম, তবু সবুজ ফুরায় না।”
(৯) বঙ্গবন্ধু সেতুর আগের এই স্টেশনটির নামটা জানা নাই আমার।
(১০) অপেক্ষমান দু’জন যাত্রী, মনে হচ্ছে ওনারা লালন ভক্ত।
(১১) বঙ্গবন্ধু সেতুর আগে একটা ডামি ট্রাঙ্কের পাশ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে একজন সেনা সদস্য।
(১২) যমুনা নদীর তীরে একটা নৌকা।
(১৩) যমুনার চড়ে মাছ ধরছে দু’জন লোক।
(১৪) এক সময় চলে এলাম ইশ্বরদী জংশনে।
(১৫) অচেনা একটা সিগন্যাল পয়েন্ট।
(১৬) হার্ডিঞ্জ ব্রীজ যখন পার হচ্ছিলাম।
(১৭) এক সময় আমরা ভারতে প্রবেশ করলাম গেদে সীমান্ত দিয়ে।
(১৮) ক্যামেরা নিয়ে গেদে স্টেশনে নেমে দুইটার বেশী ছবি তুলতে পারিনি পুলিশের বাধার কারণে।
(১৯) এগুলো ভারতীয় সবুজ, মানে আমি বলতে চাচ্ছি এটা ভারতের ভেতরে।
(২০) এই স্টেশনের নাম রানাঘাট। রানাঘাটের পর আর ছবি তোলা হয়নি, ক্রমান্বয়ে সন্ধার অন্ধকার নেমে আসার কারণে।
২২টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
চট্টগ্রাম ছেড়ে কলকাতায়
থাকব মোরা নতুন ছবির আশায়।
শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
এখানে মজা হলো হাটার কষ্ট টা করতে হলো না। এসি গাড়িতে চিৎ হয়ে শুয়ে দোল খেতে খেতে চলে গেলাম চিৎপুর………শুভ সকাল।
ইসিয়াক
অসাধারণ। শুভকামনা রইলো।
কামাল উদ্দিন
আপনার জন্যও শুভ কামনা সব সময়।
ছাইরাছ হেলাল
৭,৮
সবুজের এই প্রকৃতি চোখ কেড়ে নেয়, মন- ও।
কামাল উদ্দিন
সবুজ সব সময়ই আমারও মন কাড়ে……শুভ কামনা জানবেন বড় ভাই।
ত্রিস্তান
গ্রামের পরে গ্রাম তবু সবুজ ফুরায় না। আসলেই সবুজ রং আমাদের দৃষ্টিশক্তি বান্ধব। যে কারণে সৃষ্টিকর্তা আমাদের চারপাশটা সবুজে ঢেকে দিয়েছেন। অথচ নির্বোধ মানুষগুলো সেটা ধ্বংস করে দিচ্ছে।
কামাল উদ্দিন
সবুজ ধ্বংস করে আমরা খুবই তৃপ্তি পাই, অথচ ওরাই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে।
সুরাইয়া পারভীন
আহ্! সবুজ আর সবুজের সমারোহ
মনকে করে আন্দোলিত
৬,৭,৮,১১ চমৎকার ছবি গুলো
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ আপু, সবুজ আমারও খুবই প্রিয়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সবুজের সমারোহ দেখে মনটা সত্যিই ভালো হয়ে গেল। চিৎ হয়ে চিৎপুর যাওয়াটা খুব ভালো লাগলো । ভ্রমণ শুভ হোক। শুভ সকাল
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকুন, সব সময়।
নিতাই বাবু
আপনার আগে করা আরও একটা পোস্টে মন্তব্য করা হয়নি, দাদা। তবে করবো! এখন এই পোস্টে চিৎপুর নামটায় আমার খটকা লেগে গেল! সত্যি এর আগে চিৎপুর নাম শুনিনি। যাহোক, পোস্ট আর ছবিতে আপনার ভ্রমণ পোস্ট কিন্তু সবসময়ই একাকার। ভালো লেগেছে দাদা।
কামাল উদ্দিন
চিৎপুর কলকাতারই একটা এড়িয়া। তবে মজার ব্যাপার হলো কলকাতার প্রধান দুটি স্টেশনের নাম হলো হাওড়া ও শিয়ালদহ কিন্তু চিৎপুরের স্টেশনটার নাম হলো “কলিকাতা স্টেশন”। আমার ভ্রমণ পোষ্টগুলোকে আসলে ছবি পোষ্ট নাম দেওয়াই মনে হয় যথাযথ হতো, কিন্তু ভ্রমণ শব্দটা আমায় তা হতে দেয় না দাদা। সব সময় ভালো থাকুন।
আরজু মুক্তা
প্রকৃতি, সবুজ আপনি, ভ্রমণ সব মিলেমিশে একাকার।
কামাল উদ্দিন
হুমম, তবে কোনটা কোথাকার ছবি তা বলা মুশকিল…..শুভেচ্ছা জানবেন আপু।
ফয়জুল মহী
দারুণ , শুভেচ্ছা সতত ।
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ মহী ভাই, ভালো থাকুন সব সময়।
জিসান শা ইকরাম
ষ্টেশনের নাম চিৎপুর! সবকিছু কি ওখানে চিৎ হয়ে থাকে?
বর্ডার পাশ হবার সময় ইমিগ্রেশনে ঝামেলা কেমন, কতটা সময় লাগে দুই দেশের ইমিগ্রেশনে, ভাড়া কত? – এটুকু এডিট করে পোষ্টে দিয়ে দেন। আমি জানিনা, এসব অনেকেরই জানার আগ্রহ থাকে।
ছবি ব্লগ ভালো হয়েছে।
১৩, মাছ ধরার ছবিটা ভাল লেগেছে বেশী
কামাল উদ্দিন
বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনটা তুলনা মূলক ভাবে ভালো হলেও ওখানকার কাউন্টার গুলোতে ওপেন ১০০ টাকা করে নেয়। গেদেতে ভারতের ইগ্রেশনটা ভয়াবহ ছিল, লাগেজ নিয়া অনেক দূর নিচে নেমে যেতে হয়। ঠাসাঠাসি অবস্থায় এসি নেই গরমে ত্রাহি অবস্থা। তবে শুনেছি এখন নাকি বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন ঢাকা এবং ভারতের ইমিগ্রেশন চিৎপুরেই (কলকাতা স্টেশন) হয়। এখন ভয়াবহতা যাদি নাও কমে দুই দেশের মাঝ পথের বর্ডারে লাগেজ নিয়ে দৌড়াদৌড়ির ঝক্কিটা হতে বাঁচা গেল। ঢাকা কলকাতা ট্রেনের ভাড়ার কথাটা আমার ঠিক মনে নেই আপ ডাউন টিকেট নিয়েছিলাম সম্ভবত ৩২০০ বা ৩৪০০ টাকায়। পরে পোষ্টে এডিট দিতে চেষ্টা করবো ভাই।
সঞ্জয় মালাকার
দাদা ছবি ও লেখা পড়ে ভালো লাগলো খুব।
কামাল উদ্দিন
শুভেচ্ছা জানবেন দাদা।