জীবন থেকে নেওয়া

মোহাম্মদ দিদার ২১ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ১০:০৩:৪০অপরাহ্ন গল্প ৩ মন্তব্য

চার আনার বাসন কিনে
লাখ টাকার কুত্তা চেনা যায়”

কথার জনক কে আমি সঠিক জানিনা।তবে আমি শুনেছি আমার গর্ভধারিনির মুখে। আর জখন শুনেছি তখন এর সঠিক মর্মার্থ আমার উপলব্দি ক্ষমতার বাহিরে, বেশ ছোটো ছিলাম তাই।

বেশ অবুঝ বয়সে ছিলাম বলেই একদিন বায়না ধরেছিলাম মা যেনো তার কথার সঠিক মানেটা আমায় বুঝিয়ে দেয়।

মা অল্পভাষী মানবী, প্রয়োজন বীহিন কথা তাকে খুব একটা বলতে শুনিনি, আমি তো নাছোর বান্দা! বুঝিয়ে বলতেই হবে।যখন খুব বেশী মাত্রায় বিরক্ত করতে লাগলাম, তখন সে বললো আরো দুটি কথা..

সময়ের পূর্বে বুঝা, বুঝতে চাওয়া পাকনামির শামিল”

ধৈর্য মনে চলো,
সময় বুঝিয়ে দিবে সকল কথার মানে”

আমি রিতীমত হতবম্ব হয়ে ছিলাম ঠিকি তবে
প্রথম কথার মানে বোঝার বাসনা জিইয়ে রেখেছিলাম মনের গহীনে, সেখানে আরো দুটি কথা রাখতে ও ভূলিনি(এটা২০০৭)

২০১২ তখন
আমি মোটামুটি ভালোই বুঝি। যে কেউ কোনো কথা বললে তার জবাবটা ঠিকমতোই দেই।

যেমনঃ একদিন আমার চাচা চাচীকে বলছিলো নিজের নাকটা কেটে হলেও ওর যাত্রা ভঙ্গ করে তবেই ছারবো।

ওর” কথাটা কাকে উদ্দেশ্য করে বলছিলো তা আমার বোঝার বাকী ছিলোনা।

তিন ভাইয়ের মধ্য আমার বাবা ছিলো মেঝো, আমার দাদী, আর বাবার ফুপুরা বরো আর ছোটো চাচাকে জমি লিখে দিয়েছিলো, বাবার অংশে জমি তাদের থেকে অনেক কম, তা সত্বেও বাবা অনেক খেটেখুটে আমাদের সংসার খুব ভালো ভাবেই চালাচ্ছিলো, খেটে খেটে যখন ক্লান্তি তাকে জাপটে ধরেছিলো, তখন মায়ের সাথে আলাপ করে সিদ্বান্ত নিলো, বাজারে একটা দেকান কিনে ছোটো হলেও একটা ব্যাবসা করবে, এতে খাটাখাটনি কিছুটা হলেও রেহাই হবে, আর না হোক রোদে পুরা আর বৃষ্টিতে বেজা তো মাপ হবে!

এটাই হলো কাল,বাবার এ সুখ চাচাদের চোখের কাটা হলো,তারা অনেক ফন্দি ফিকির করলো বাবাকে ফাদে ফেলার জন্য।

প্রথম ফাঁদ টা ছিলো ঃ বরো চাচা একদিন বাবাকে ডেকে নিয়ে বল্লো, তুই দোকান কিনবি ভালো কথা, আমাদের জানাতে পারতি তো! আমরা কি তোর পর? আমরা পারলে তোকে সাহায্য করতাম! বাবা তখন অপরাধীর মতো মাথা নিচু করে বলছিলো,

ভাই আমার ভুল হইছে আমার জানানো উচিৎ ছিলো, এখন আপনাদের মতামত বলুন।।

বরো চাচা , তুই জখন দেকান নিতে চাস পাশের দোকানটাও তো বিক্রি করবে, তাহলে আমরা তিনভাই মিলেই কিনে নেই! তিন ভাইয়ের তিনটা দোকান তাও আবার পাশাপাশি এর চেয়ে ভালো আর কি হয়!!

মা তখন ভেতরের ঘরে বসে আমার মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বলছিলো।

দুস্ট লোকের মিষ্টি কথা””

আমার বাবাতো ভাইদের সমত পেয়ে খুব খুশি , আনন্দে আহ্লাদে আটখানা,দোকান কেনার সব টাকা বরো ভাইয়ের হাতে দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে।

কিছু দিন পর,

মা বাবাকে বললো,
আচ্ছা দোকান কেনার খোজ খবর কি, কবে দলীলপত্র হবে কিছু জানলো দাদাভাই (বাবার বরোভাই)?

এবার বাবার টনক নরলো।

চাচার কাছে জানতে চাইলে বললো,
যার দোকান সে খুব ঝামেলায় আছে তো কটাদিন দেরী করতে হবে, আর এতো অধৈর্য্য হবার কি আছে,যেদিন যাবো তোকে নিয়েই যাবো, মায়ের পেটের ভাইদের ও বিশ্বাস হয়না নাকী!!

আবারো বাবা চুপ হয়ে রাইলো।

কিছুদিন পর বাবা আমাকে নিয়ে বাজারে যাচ্ছিলো,দেখা হলো তার সাথে, যার দোকান বাবা কিনতে চাইছিলো। কুশল বিনীময়ের শেষে লোকটি এমন কথা বললো যেটা শোনার জন্য বাবার মানষিক প্রস্তুুতি ছিলো শূন্যের খাতায়।

তুমি মিয়া দোহানডা কিনবার চাইয়াও কিনলানা! তেমার দুই ভাইতো ঠিহি কিনলো, এইতো কদিন আগে দলিল করাইয়া লইলো””

আমার বুজ বয়সে প্রথম সেদিন বাবাকে চোখের জল মুছতে দেখলাম, বাবা আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলো কিছুক্ষন,তার পর আবার মাঝপথ থেকেই বাসায় ফিরলো।

আমিও কিছুটা ব্যথাতুর মনে বসেবসে মায়ের বলা সেই কথাটা স্মরন করলাম।
দুষ্টলোকের মিস্টিকথা”

তার পর যখন বাবা দোকান ফিরে পাবার চেষ্টা করতে লাগলো,তখন ই চাচা বলছিলো,

নিজের নাক কেটে হলেও….

এই কথার মানে এই যে, প্রয়োজনে সব টাকা অন্য লোককে খাওয়াবে। তভুও আমাদের কে সে দোকান টা নিতে দিবেনা।

এটা আমার বুঝার বাকী রইলো না যে, কথাটা আর কাউকে নয় আমার বাবাকে উদ্দেশ্যে করেই বলা হয়েছে।

আর এতটুকু জখন বুঝলাম, তখনি মনে পরলো গর্ভধারিনীর মুখ নিসৃত আরেকটি অমেঘ বানী।

ধৈর্য মনে চলো,
সময় বুঝিয়ে দিবে সকল কথার মানে”

আসলেই ধৈর্য ধরে এতটা সময় পার করেছি,এখন আমি বুঝতে পারছি, কোন কথা কেনো, বা কাকে ইঙ্গিত করে বলা হয়, বা কি বুঝাতে বলা হয়।

চাচার বিকৃত মানষিকতার ফলশ্রুতিতে বলা কথাটির মানে সময় আমাকে ঠিকি বুঝিয়ে দিয়েছে।

আর এ বুঝার তারনাই আমাকে কথার জবাব দিতে সাহস জুগিয়েছে। তার কথার জবাব আমি সাথে সাথেই দিলাম।

আপনাদের ভন্ডমিতে কাল কাটবেনা( সময় দিবেনা)। বাবা জমি ফিরত আনার সব ব্যাবস্তা ই করতেছে।মাঝখানে থেকে পুলিশের মাইর খাইবেন ফাও।

আমার কথা শুনেই ছেট চাচা চমকে গিয়েছিলো,সে তখন কিছু না বললেও, বরো চাচার কানে সব ফুস মন্তর দিতে একটুও ভূুল করেনি ।

বাবা জমি ফেরত আনার সব রাস্তা ক্লিয়ার করছে। আমার মুখে এমন সব কথা শুনে তাদের মাথায় ও আগুন, নতুন সব ফন্দি আটলো তারা।

স্কুল ছুটির পর আমি সেদিন বাড়ি ফিরলাম, সামনের দরজাটা খোলাই ছিলো। আমি ভেতরে পা রাখবো এমন সময় কানে ভেসে আসলো বাবার অক্ষেপ জরানো কন্ঠে আমার পাকনামির বর্নণা।

তোমার ছেলের কি দরকার ছিলো সবকথা বলে দেওয়ার, ওরা এখন অন্য ব্যবস্তা করবে যাতে জমিটা আর ফেরত না পাই।

আমি বই রেখে, নিশ্বব্দ পায়ে বাসাথেকে বেরিয়ে পরলুম।

আমার মন খারাপের সময়, বাড়ির ফেছনের দিকে পুকুর পারে একটি মস্ত বরো মহগনির গোরা, আমার সবচেয়ে ভালো সময় কাটানের দারাুন একটা জায়গা। মাথাটা হেট করে সেখানে গিয়ে বসলুম। খুব লজ্জা হচ্ছিলো তখন, নিজেকে ঘৃণাও হচ্ছিলো খুব, কেনো করতে গেলাম এমন পাকনামি। এমন সব প্রশ্নে জর্জরিত হচ্ছিলো মনটা। ভাবতে ভাবতে মনের অজান্তেই মনে পরলো ময়ের বলা আরেকটি কথা।

সময়ের পূর্বে বুঝা, বুঝতে চাওয়া পাকনামির শামিল”

আসলেই এতটা বুঝা আমার ঠিক হয়নি, আমার বেশী বুঝতে চাওয়াটাই হয়তো বাবার জমি ফেরত আনা আরো বেশী কষ্ট সাধ্য হবে।

যাই হোক,
এভাবে জখন অল্প, বেশী মোটামুটি বুঝতে শিখলাম। তখন খুব বেশী পীড়া দিচ্ছিলো, মায়ের বলা প্রথম কথাটি, কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। যত টুকুও বুঝি, তাও হয় উল্টো।

যেমনঃ
চার আনার বাসন কিনে
লাখটাকার কুত্তা চেনা যায়।

আমি যেটা বুঝি সেটা হলোঃ চার আনাই হোক আর দু আনাই হোক, আমি কেনো খরচ করতে যাবো,কেনোই বা আমি কুত্তা চিনতে যাবো।
আমি তো মানুষ কুত্তা চেনা তো আমার অপ্রয়োজনীয়।

আর আমি যেটা ভাবছি আমার তো ঠিকি মনে হচ্ছে। তাহলে মা এমন ভূল কথা কেন বললো!

আবার ভাবছি, না মা ভূল বলনি । মা ভূল বলতে পারেনা, কারণ ইতোপূর্বে মায়ের সব কথাই যথেষ্ট সত্য এবং সঠিক প্রমানিত।

এসব ভাবনা আমার ভেতরটাকে উথাল পাতাল করে তুললো, কার কাছে যাবো, কি করবো, কিভাবে কথাটার সঠিক মানে বুঝবো। এসব চিন্তা আমাকে আমার কর্ম থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছিলো,আমি ঠিকঠাক কিছুই করতে পারছিলাম না। না খেতে না ঘুমুতে। এমন উতলা সময়েই স্মরন হলো আমার দেখা সেই মহামানবীর কথা, আমি উপলব্দি করলাম তাকে ছাড়া এ কথার মানে বুঝানোর মতো দ্বিতীয় কেউ নেই। কর্মস্তল ছেড়ে বাড়ি আসলাম সেই মানবীর মুখথেকে বিশ্লেষণ নেওয়ার আসে।

তখন দুপুরের খাবার শেষ করে সবাই সবার মতো বিশ্রম নিচ্ছে, আমার ধান্দা একটাই মার কাছ থেকে কিভাবে কথা বের করা যায়।
দেখলাম মা’ র মনটাও বেশ ভালো, এটাই সঠিক সময়, আমি মায়ের পাশে বসলাম, অনেক কথা বলতে বলতে, জানতে চাইলাম।

মা,

চার আনার…..কুত্তা চেনা যায়।

কথাটা আমি আজো বুঝতে পারিনি।
মা তখন দু পা সমনের দিকে ছড়িয়ে বসেছিলো, আমি মায়ের কোলে মাথা রেখে ছিলাম। মা আমার চুল মুঠোকরে ধরে টেনে তুলে বললো। ওরে বাবা, তাইতো বলি, ছেলে আমার এতো আহ্লাদ করে কেনো??

আমি ঃ বলোনা না প্লিজ
মা!
সময়ের পূর্বে বুঝা, বুঝতে চাওয়া পাকনামির শামিল”

ধৈর্য মনে চলো,
সময় বুঝিয়ে দিবে সকল কথার মানে”

কথা দুটি মনে করিয়ে দিয়ে বলেলো।

সময় হলে তুমি নিজথেকেই বুঝবে।

বুঝতে চাওয়ার প্রবল তৃষ্ণা আর না বুঝতে পারার ক্ষীন মানষিকতা আামার ভেতরে বাসা বাধলো।।

এটা ২০১৯ সাল,।
আমি এখন অনেক বরো (দেখতে ততটা বড়ো হইনি) আমার কাধে এখন অনেক দায়িত্ব। মা বাবা, ভাই বোন সবার দিকেই খেয়াল রাখতে হয়, সংসারটা আমার উপরই নির্ভর করে। আমি দু টাকা রোজগার করতে পরলে একটু ভালো চলবে এই আারকি।

তবে সময়টা বেশ জটিল।কোথাও একটা চাকরি পাওয়া খুব কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। মামা খালু ছাড়া জেটেনা চাকরি। মামা খালু টাইফের কেউ নেই যদিও, তভুও চাকরি পাবোনা নিশ্চিত জেনেও। এদিক ওদিক মোটামুটি টাইফের কাজ করার পাশাপাশি একটা সোনার হরীণ খুজে পেতে হন্যে হয়ে রইলাম।

সেদিন শুক্রবার বিকেল বেলা। মোরের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ কেউ একজন আমার পিঠে হাত রেখে বলে উঠলো
কি ছোটো ভাই কেমন আছো।
আমি রীতিমতো অবাক হয়েই বললাম, ভালো।
আপনি কেমন আছেন।

সে আমার অনেক ছিনিয়র বড়োভাই।যখন সে এলাকায় থেকে পরালেখা করতো তখন খুব ভালোবাসতো আমায়, আমিও সম্মান করতাম খুব। লেখা পরা শেষ করে চাকরি নেওয়ার পর আর তাকে কখোনো এলাকায় দেখিনি, ছয় সাত বছর একেবারে উধাও!

আজ অনেক দিন পর দেখা তার সাথে, আনন্দ টা খুব বেশীই লাগছিলো। তার পরের কথা গুলো শুনেতো আমার আকাশে উরার উপক্রম।

তো এখন কি করছো?জব নিছো?

না ভাই, বাড়িতে থেকেই এটা সেটা করে চলছে দিন।

কি বলো, এভাবে চলা যায়?? একটা জব নিলে ই হয়!!

একটু লজ্জা মেশানো ভাঙ্গিতে, জব কিভাবে নেবো ভাই, সেরকম কেউ তো নেই, যে জব দিবে।

দূর বোকা, আমি আছি কি করতে!! আমাকে জানাবানা!!

একটু অপরাধী ভঙ্গিতেই, জানাতে পারিনি ভাই, কোনো যোগাযোগ ছিলোনা তাই।

আচ্ছা, আমার খোজে একটা জব আছে, তোমার জন্য পারফেক্ট, ঔষধ কম্পানিতে। চাইলে নিতে পারো।

আমি তো পুরাই পাংখা।
নিতে পারি মানেটা কি! কবে কিভাবে নেওয়া জায় সেটা বলেন ।

এতো উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই, কাল সকালে দেখা করবা৷ আমি কথা বলে রাখবো।

পরেরদিন,

ভাইয়ের বাসায় গেলাম, চায়ের পর্ব শেষে।
চাকরিটা তেমার কনফার্ম , কোনো চিন্তা নেই, শুধু ঈদের পর জয়েন্ট করে দিবো।

তবে সেখানে একটা কন্ডিসন আছে।

বলুন!

তেমন কিছুনা, আসলে অনেক বরো কম্পানিতো,তাই কিছু রুলস আছে, সেখানে তোমাকে কিছু জামানত দিতে হবে।

কতো??

সবার থেকে তো অনেক বেশি নেয়, আমি যেহুতু আছি, তো তোমার অত বেশী দিতে হবেনা।

আচ্ছা বুঝলাম কতো দিতে হবে সেটা বলেন।
খুব বেশী না পঞ্চাশ হাজার হলেই হবে।
আমি কিছুটা দ্বিধায় পরলাম। এতোটাকা পাবো কোথায়। বাবার কাছে টাকা চাওয়ার মতো সাহস আমার নেই কারণ আমি জানি তার কাছেও টাকা নেই। কিন্তু চাকরিটা না হলেই নয়। চাকরিটা হাতছাড়া করা যাবেনা।
বাড়ীতে এসে খুব মনমরা লাগছিলো, কি করবো ভেবে কূল পাচ্ছিলাম না। এতটাই মনমরা ভাবে চলছিলাম, যে সবার চোখে পরল।
একদিন মা আমার মন খারাপের কারন জানতে চাইলো,আমি বলতে না চাইলেও বললাম। মা কিছুক্ষন চুপ থেকে আমাকে বললো চিন্তা করিস না আমি একটা ব্যবস্তা করবো।

দু তিন দিন পর মা আমাকে টাকা দিলো। আমি তো খুশিতে আত্নহারা। চাকরিটা পাবো এই আনন্দে ভুলেই গেলাম মা টাকাটা কোথায় থেকে দিলো সে কথা।

আমিও ভাইএর সাথে কথা বলে তাকে টাকাটা দিলাম। সে আমাকে কনফর্ম করলো চাকরির ব্যপারে। সে আমাকে পরের মাসের এক তারিখে জয়েন্ট করার কথা বললো। আমার জীবনে মনে হয় সেদিন ঈদের দিন আসছিলো।।

কয়েকদিন কেটে গেলো তার কোনো দেখা নেই, একদিন তার বাসায় গেলাম বললো সে ঢাকায় চলে গেছে। আমি ভাবলমা এক তারিখ এখোনো অনেক দেরী, সে নিশ্চই আসবে। অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে লাগলো তবে অপেক্ষার ফল কেবলই মাকালফল হলো।

একতারিখ পেরিয়ে পরের মাস, মাস পেরিয়ে আজ এক বছর পূর্ণ হলো। তার মাধ্যমে আমার চাকরি হলোনা,উপরন্তু আমার টাকা ফেরৎ পেতে আরো অনেক রকমের কুত্তা চেনার সুজোগ হলো।

বরো চাচা টাকা হাতে পেয়ে পল্টিমারা।
পারার বরো ভাই ও একি কাজ করলো।

আজ আমি পূর্ণ রুপেই বুঝলাম মায়ের বলা কথার প্রকৃত মানে।

চার আনার বাসন কিনে
লাখ টাকার কুত্তা চেনা যায়।

 

৬৯২জন ৬৫২জন
0 Shares

৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ