
একসময় মুভি দেখা ও রিভিউ লেখা নেশার মতো ছিল। সম্প্রতি ফেসবুকময় ” জওয়ান” মুভির রিভিউ ঘুরছে। সবাই কাহিনি মোটামুটি জেনে ফেলেছেন। আমার কাছে কাহিনী সামান্য মিসিং লাগছে আরকি! তাই লিখতে বসা 😜
” বেটে কো হাত লাগানেছে পেহলে, বাপছে বাতকার” — অসাধারণ ডায়ালগ! এ পর্যন্ত ভারতের রেকর্ড ভাঙতে চলছে এই মুভি ডায়ালগের কারনে।
রিভিউ— খান সাহেব চুপিসারে বিয়ে করলেন। বেশ জম্পেশ তার মতোই দেখতে ছেলেও হলো। সব ঠিকঠাকের মাঝে পুরুষের বা**ল গজালে যা হয় আরকি!
খান সাহেব চুপিসারে আর এক কলিগকেও বিয়ে করে ফেললেন। ‘ জওয়ান ‘ বলে কথা, করতেই পারেন। তা জানতে পেরে বড়রাণী সংবাদ সম্মেলন করে বিয়ের খবর জানিয়ে দিলেন। খান সাহেবের এতে ভীষণ গোস্সা হলো। তিনি বড়রানীকে বাইন তালাক করে দিলেন।
কিছুদিন পর আবার বড়রাণীর ছেলের জন্মদিনে যোগদানও করলেন। ছোটরাণী এটি সইতে না পেরে ফেসবুকে ইয়াবড় ইলিশ মাছ পেট ফুলিয়ে ছবি দিলেন। আবার খান সাহেবের গোস্বা হলো। তিনি ছোটরাণীকেও বাইন তালাক করে দিলেন।
জাস্টিন ট্রুডোও আবার তার বিবিকে তালাক দিয়ে পরদিন থেকেই অবকাশে বিবি ও ছেলে-মেয়েদের নিয়ে। তো খান সাহেবের আর সমস্যা কি? তিনি বড়রাণীকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন। সেটা সেরে ছোটরাণীর ছেলেকেও ভর্তি করাতে স্কুলে নিয়ে গেলেন। দুইরাণীকে নিয়ে খান সাহেবের দিন বেশ সুখেই কাটছে।
ফিরে যাই ডায়ালোগ বাস্তবতায়। খান সাহেবের দুই ছেলেই বড় হয়েছে। তারাও বাবার পথ অনুসরণ করে বিয়ে- থা করছে। লোকে ছেলেদের উপর খেপে উঠলো।
খান সাহেব ফুঁসে উঠলেন –” বেটে কো হাত লাগানেছে পেহলে, বাপছে বাতকার” 😛🤓🤭😜।
আসলেই তো, বাপ কি বাইন করার পরও রাণীদের দায়িত্বে অবহেলা করেছে যে ছেলেরা করবে???
মুভি দেখে মন ভরপুর,টাকা উসুল। আপনারাও দেখুন।
৪টি মন্তব্য
নার্গিস রশিদ
কাল দেখতে যাবো ।
নার্গিস রশিদ
খুব বেশি মারামারি ,রক্তারক্তি আমার ভালো লাগেনা। দুইয়ের ঘরের তরুণদের জন্য ঠিক আছে। গল্পের চেয়ে মারামারি বেশি। আমার মাথা ধরে গিয়েছিল।
হালিমা আক্তার
মুভি দেখার নেশা নাই। তাই দেখা হবে না। রিভিউ পরে কাহিনী জেনে নেব। হলে যেয়ে মুভি দেখা হাতে গোনা। ইউটিউবে পুরাতন বাংলা ছবি দেখি। হিন্দি বুঝি না।
মনির হোসেন মমি
রিভিউ ভাল হয়েছে ।সর্টখাটে সিনেমাটির দেখা হয়ে গেল।