(ডায়রীর পাতা থেকে)
১লা জানুয়ারী ১৯৯১ ইংরেজী, মঙ্গলবার।
নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানায় সেজ মামার কাছে বেড়াতে এসেছি। মামা এই থানার ওসি। আমি এসেছি তিন দিন আগে।
সকালে বাসায় গরম ভাত খেয়ে গোসল করলাম। তারপর মামির আয়রণ মেশিন নিয়ে আমার দুটি সার্ট স্ত্রী করলাম।
অতঃপর বের হয়ে সরকারি মুজিব কলেজ গিয়ে ক্যাম্পাসে কিছুক্ষণ হেটে থানা কোয়ার্টারের বাসায় এসে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলাম।
দুপুরে ভাত খেয়ে থানা মসজিদে জুহুরের নামায পড়ে উপজেলা স্টাফ কোয়ার্টারে কিছুক্ষণ হাঁটলাম। তারপর পশ্চিম মুখি একটি চলন্ত কোস্টারে উঠে পড়লাম। নয় কিলোমিটার পরে কবির হাটে গিয়ে নামলাম। কবির হাট মাইজদী থানার অন্তর্ভূক্ত। ওখানের স্কুল, কলেজ এবং বাজারে কিছুক্ষণ হেটে আবার ফিরতি কোস্টারে উঠে তিনটায় বসুরহাট নেমেছি।
নামায পড়ে ফরহাদ কনফেকশনারিতে এক সিনিয়র বন্ধুর সাথে দেখা করেছি। বন্ধুটি লেখাপড়ার কারণে চট্টগ্রামের খাজা রোড সাবান ঘাটা এলাকায় থাকেন। এখন দেশের বাড়িতে আছেন। আমিও তখন সাবান ঘাটার একটি বাড়িতে লজিং থাকতাম।
আমি বাইরে নাস্তা করে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরি। এশার নামাজ পড়ে আবার ফরহাদ কনফেকশনারীতে গিয়ে ঐ বন্ধুটির সাথে আড্ডা দিয়েছি।
রাতে বাসায় টিভিতে নাটক দেখেছি। আজ চট্টগ্রাম কারাগারে বিদ্রোহ হয়েছে। গতকাল ঢাকার কারাগারে বিদ্রোহ হয়েছিলো।
(ডাপা=ডায়রীর পাতা)
২২টি মন্তব্য
তৌহিদ
ডায়েরীর পাতার স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আচ্ছা কারাগারে কি নিয়ে বিদ্রোহ হিয়েছিলো?
চাটিগাঁ থেকে বাহার
কারা বিদ্রোহের কারণটা সঠিক মনে নেই। সেদিনের পত্রিকা দেখলে হয়তো জানা যাবে।
আপনাকে পড়ে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
সঞ্জয় মালাকার
বেশ ভালো লাগলো দাদা পড়ে,
দাদা ডায়েরীর পাতা আমাদের শেয়ারকরা রজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
শুভ কামনা!
সঞ্জয় মালাকার
শুভেচ্ছা দাদ
সুরাইয়া পারভিন
স্মৃতিরা জ্বল জ্বল করে রয়ে যায় ডায়রীর পাতায়।
ভালো লাগলো স্মৃতি বিজড়িত ভ্রমণ কাহিনী
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ডায়রীর পাতা খুললে আবেগায়িত হয়ে পড়ি। স্মৃতিরা কাঁটার মতো বিঁধতে থাকে অন্তরে।
শুভ কামনা!
জিসান শা ইকরাম
পড়লাম আপনার ডায়েরীর একদিনের কথা।
কারাগার বিদ্রোহের কথা ভুলে গিয়েছি অনেক আগের ঘটনা তাই।
কি কারণে হয়েছিল তাও মনে নেই। মনে আছে সুধু কিছু কারাবন্ধি কারাগারের অভ্যন্তরে ভবনের ছাদে উঠে দাঁড়িয়ে আছে এমন ছবি।
শুভ কামনা।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আমার স্মৃতিতে আপনার মতই। শুধু মাত্র ডায়রীতে লিখা আছে বলে লিখতে পারলাম। না হলে মনেই ছিলো না।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
লিখুন মাঝে মাঝে ডায়েরির পাতা থেকে।
স্মৃতি ক্রান্ত হওয়া যায় এতে।
ভালো থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
ডায়েরি মানে অন্ধকার থেকে হঠাৎ জ্বলে ওঠা একটি তারাবাতি।
এটি একটি অমূল্য সম্পদ।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ডায়রী পড়ে ভাবনার অতল গহ্বরে হারিয়ে যাই…।
পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভ কামনা!
গালিবা ইয়াসমিন
আমি এভাবে আমার সৃতি গুলো লিখতে চাই কিন্তু লিখতে পারি না 🙁 । আপনি লিখছেন তাই ধন্যবাদ 🙂
চাটিগাঁ থেকে বাহার
এখন থেকে নিয়মিত লিখে রাখুন। শেষ বয়সে নাতিপুতিদের সাথে নিয়ে পড়তে পারবেন।
মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
অভিজ্ঞতাই সর্বোত্তম জ্ঞান।দারুন স্মৃতিচারণ।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা!
আরজু মুক্তা
তখন স্কুলে পড়ি। বিদ্রোহের কারণ কি ছিলো?
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ডায়রীর পাতায় শুধু বিদ্রোহের কথা লিখা আছে। কারণটা সঠিক মনে নেই।
পড়ে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
শামীম চৌধুরী
দাদা ভাই.
আরো পড়তে চাই।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
জ্বী আরো দিবো ইনশাআল্লাহ!
আমার ‘চলার পথে’ সিরিজটিতে অতীতকে টেনে আনা হবে।
সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা।
শাহরিন
স্মৃতি জানতে ভালোলাগে আমার খুব। আপনার পুরনো একটি দিনের সংগী হলাম। আরো পড়তে চাই।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
জ্বী আরো দিবো ইনশাআল্লাহ!
আমার ‘চলার পথে’ সিরিজটিতে অতীতকে টেনে আনা হবে।
সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা।