চন্দ্রাহত জোছনা

খেয়ালী মেয়ে ২৮ নভেম্বর ২০১৪, শুক্রবার, ১০:৫২:৫০অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি, বিবিধ ৪০ মন্তব্য

মিটিমিটি তারাদের মিটমিট হাসি—
রাতজাগা জোনাকীদের ছুটোছুটি—

রজনীর সাথে হবে  বরেণ্য প্রীতি–যেখানে পাহাড় ঘুমোবে জোছনার আলো মেখে–নিঃশব্দে কথা হবে মায়াবী চাঁদ, নক্ষত্রের সাথে–এমনি চন্দ্রাহত জোছনায় ভাবনাগুলো আরো বেশী করে নেওয়া যায় এলোমেলো, স্বপ্নগুলোকে আরো বেশী রঙ দিয়ে রাঙিয়ে নেওয়া যায় এমনি চন্দ্রাহত জোছনায়–নক্ষত্রখোচিত উজ্জ্বল আকাশ অথবা মেঘে ঢাকা জোছনায় প্লাবিত আলোর বন্যায় ভেসে যাওয়া অদ্ভুদ রাত্রি–কল্পনার সাগরে হাবুডুবু খেতে আর কি চাই–একটি চন্দ্রাহত জোছনায় ইচ্ছের ডানা মেলে মেঘের ভেলায় ভাসিয়ে নেয়ার জন্য যথেষ্ট 🙂

“চন্দ্রাহত” শব্দটির সাথে কমবেশি আমরা সবাই পরিচিত–ইংরেজী লুনাটিক শব্দটির আক্ষরিক অর্থ চন্দ্রাহত..যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় পাগল/উন্মাদ/বুদ্ধিহীন/নির্বোধ…..চন্দ্র+আহত=চন্দ্রাহত….কারো কারো মতে,চাঁদনী রাতে পাগলামি করাটাই হচ্ছে চন্দ্রাহত—তার মানে কি চন্দ্রাহত শব্দটির সাথে শুধু চাঁদেরই গভীর কোন সম্পর্ক রয়েছে?..হয়তো না—অর্থের দিকে তাকালে ‘চন্দ্রাহত’ সেটাতো আমরা যেকোন সময় যেকোন জিনিসের জন্যেই হতে পারি—কখন যে কার কোন সৌন্দর্য ভাল লাগে, কোন জিনিসটার জন্য যে মন কখন উতলা হয়ে উঠে তা আমরা কেউই আগে থেকে বলতে পারি না—তাই হয়তো চন্দ্রাহত যেকোন সময় যেকোন কিছুর উপরই হওয়া যায় 🙂
তবে আকাশে যখন একটা চাঁদ থাকে, ভরা জোছনায় মনটা তখন খুব বেশী আবেগী হয়ে উঠে—অদ্ভূত এক ভাললাগা মনটাকে খুব বেশী চন্দ্রাহত করে তুলে—স্বপ্নগুলো ভাবনাগুলো এক হয়ে খুব দ্রুত সাতরঙা রঙে রাঙিয়ে দেয় মনটাকে—আনমনে একটা চাঁদের দিকে তাকিয়ে কত কিছুই না ভেবে যাই, কতই না রঙিন স্বপ্নের জাল বুনি, অদৃশ্য কাউকে ভেবে কতোই না এলোমেলো ভাবনা শব্দজটে বাঁধার চেষ্টা করি, মাঝেমাঝে তো আমি আমার ভাবনার জগতের সেই অদৃশ্য ছায়ার মুখশ্রীও খুঁজে যাই এমন চন্দ্রাহত জোছনায়—একটা চাঁদকে ঘিরে কতোই না পাগলামী করে যাই, আরো কতো যে পাগলামী করবো কে জানে 🙂

জানো কি, ওহে চাঁদ—
ভালবাসার মুহুর্ত রচনা করার জন্য, তুমি এক মধুরতম ফাঁদ—

স্বপ্নে দেখি মেঘের নায়ে দিচ্ছি আকাশ পাড়ি—
চাঁদের বুড়ি হাত ইশারায় ডাকছে চাঁদের বাড়ি—

রূপালি চাঁদটা বড্ড নিঠুর থাকে অচিন গাঁয়—
আমার মাথার উপর দিয়েই পরের বাড়ি যায়—

ঐ চাঁদ আমার না বলা হাজার কথামালার সাক্ষী—
সেই তো জানে কিভাবে আছি আমি, সাথে নিয়ে নদী ময়ূরাক্ষী–

জোছনার একরাতে দেখেছিলাম ঐ দূর নীলিমায়—
ভেসে উঠেছিল তোমার মুখখানি দূর আকাশের অজানা চূড়ায়—

(আমি আঁকতে পারি না,তাতে কি হয়েছে?..চেষ্টা করতে তো দোষ নেই—এই ছবিটা তেমনি একটা চেষ্টার ফল)

জোনাক জ্বলে লক্ষ কোঠি-
রাতের কাছে চাঁদের চিঠি-
নীল জোছনায় তুমি কোথায়?..•♫

সুপার মুনের সেই রাতে’ ধর্মসাগর পাড়ে’ অনেকের ভীড়ে’ কোন এক চন্দ্রাহত জোছনার কথা ভেবে’ আমিও হাতে ক্যামেরা তুলে নিয়েছিলাম, কিন্তু______

চাঁদ কেনো আসে না আমার ঘরে—রাঘবের গানটা যত শুনি ততই ভাল লাগে—জানি না এ কেমন মায়ায় গানটা আমায় বাঁধলো..•♫♪

খুব ইচ্ছে করে আমার ভাবনার জগতের অদৃশ্য সে ছায়ার হাতে হাত রেখে, একটা ভরা পূর্ণিমার রাত কাটিয়ে দিতে খোলা আকাশের নিচে 🙂

(বি:দ্র: এই লেখাটা এক চন্দ্রাহতপ্রেমীর লেখা 🙂  কি লিখেছে তা সে নিজেও জানে না 🙁  কিভাবে শেষ করতে হবে সেটাও বুঝে উঠতে পারছিলাম না ;?  চন্দ্রাহতের মানে তো সবারই জানা আছে তাই না—আর চন্দ্রাহত জোছনা প্রেমে আমি এতোটাই মগ্ন যে, নিজেকেও চন্দ্রাহত বালিকা ছাড়া অন্যকিছু ভাবতে পারছি না—তাই কেউ লেখাটা পড়ে বিরক্ত হয়ে বকা দিবেন না প্লীজ 🙂 )

(খেয়ালী মেয়ের চন্দ্রাহত প্রেম)

৪৩১৬জন ৪৩১১জন
0 Shares

৪০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ