
❝মনটা যদি খোলা যেতো সিন্দুকেরই মতো দেখাইতে পারিতাম তোমায় ভালোবাসি কত ❞
অথবা
❝আমি তোমারই প্রেমো ভিখারি ভালোবেসে ঠাঁই দিও পরানে গো❞
এই গানগুলো কারো মন কেড়ে নেয়নি এমন মানুষ কমই আছে।
আরও আছে, আইলো দারুণ ফাগুনরে লাগলো মনে আগুনরে একা একা ভালো লাগে না…
খুনসুটি দিয়ে প্রবাসী প্রেমিককে বাড়িতে ফেরাতে এই গান অনেকেই এখনো গায়, ❝তিরিশ তিরিশ তিন তিরিশে মাস যে হবে তিন খানা এখন আমার দিন কাটে না একখানা ❞!
“সোহাগ চাঁদ বদনীধ্বনি নাচোতো দেখি” সোশ্যাল মিডিয়ায় নাচ-গানের কমেডি স্ট্যাটাসে এই গানটির যথেষ্ট সমাদর ইদানীং সময়ে দেখতে পাচ্ছি।
আরও আছে বনমালী তুমি, লীলাবালী লীলাবালী বরজবতীর গানের ভিন্ন উপস্থাপন।
বলছিলাম আশি শতকের অন্যতম ব্যবসা সফল বাংলা ছায়াছবি চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা ” ছবির শ্রুতিমধুর গানগুলোর কথা।
১৯৮৪ সালে মুক্তি প্রাপ্ত এই ছবিটি আমার জন্মের পরপরই সিনেমা হলে প্রদর্শিত হওয়ায় তখন আমি দেখতে যেতে পারিনি, আফসোস।
কারণ ঐ বয়সে এই সিনেমা দেখলেও কিছুই বুঝতাম না।
আমরা যারা সিনেমার গান শুনতে পছন্দ করি, পছন্দের গানের তালিকায় বাংলা গানকেই প্রাধান্য দেই তাদের কাছে চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা ছবির গানগুলো অবশ্যই ভালো লাগার।
গত লকডাউনের সময় ছবিটি আমি দেখেছিলাম। ছবিটি আমার কাছে বিশেষ ভালো লেগেছে। আমি চলচিত্র বোদ্ধা নই, তাই গভীরে না ঢুকে কেবল ভালোলাগা টুকুকে বুঝে নিই।
★ কাহিনি সংক্ষেপ- আরাকান রাজ্যের সুদর্শন হবু যুবরাজ অস্ত্র শিক্ষা সমাপ্ত করে নিজ রাজ্যে ফিরে আসার পরেই এই ছবির গল্প শুরু। সুন্দর চরিত্রবান পুরুষের দিকে খারাপ উদ্যেশ্য নিয়ে হাত বাড়ানোর লুচ্চা নারীর অভাব দুনিয়ায় নেই। দুনিয়ায় পরীরাও থাকে, আর পরীরাও লুচ্চামিতে কম যায় না এটা এই সিনেমায় প্রকটভাবে প্রমাণ করা হয়েছে।
মায়াপরী মোহিনীর প্রেম প্রত্যাখ্যান করার অপরাধে যুবরাজ নওশাদ তার দুইচোখ হারিয়ে চন্দন দ্বীপের বনে-বাদাড়ে ঘুরতে থাকে। রাজকন্যা দিলরুবা সেই বনে শিকার করতে এসে যুবরাজকে উদ্ধার করে নিজের প্রাসাদে নিয়ে রাজার (বাবার) সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। রাজা রাজকন্যার ভালোবাসাকে সমর্থন দিয়ে তাদের বিয়ের ব্যাপারে রাজী হয়। সেনাপ্রধান রাজকন্যাকে আগে থেকেই চাইতো, সে এটি মেনে নিতে পারেনি, শুরু হয় সংঘাত, কুটিল, জটিল চক্রান্ত।
অবশেষে পরাজিত হয় শত্রুর প্রতিহিংসা , ডাইনি বিদ্যার। জয়ী হয় পশু প্রেম। ( এই ছবিতে হাতী সহ আরও কিছু পশু পাখি অভিনয় করেছে)।★★
নোংরা পোশাক, অশ্লীলতার জন্যে যেখানে নব্বইয়ের পরবর্তী ছায়াছবি গুলো একেএকে মুখ থুবড়ে পড়ছিলো, সেখানে আশির দশক ছিলো বাংলা চলচিত্রের সুবর্ণ অধ্যায়। চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা ছবিতে চিত্র নায়িকা অঞ্জু ঘোষের পোশাক বর্তমান ছবির তথাকথিত নায়িকাদের লজ্জিত করবে। ব্যবসায়িক ছবিতে খোলামেলা হতে হয় কিন্তু কতটুকু খোলামেলা হয়ে নিজেকে আইকন হিসেবে উপস্থাপন করা যায় তার নমুনা ছিলো রাজকন্যা দিলরুবা চরিত্রে অঞ্জু ঘোষ।
চিত্র নায়ক ওয়াসিম তার সময়ে কেন এত জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন সেসব জানার জন্যও এই ছবিটি উত্তম।
আমরা বাংগালী, আমাদের দেশ বাংলাদেশ। আমাদের নিজস্ব লোকালয় আছে, নিজস্ব সাংস্কৃতিক মহল আছে। আছে উল্লেখ করার মতো ছায়াছবি, গান। আলোচনা করার মতো ছায়াছবি অনেক রয়েছে আমাদেরও। যে সিনেমার গল্পে মাটির কথা বলে,যেসব ছায়াছবির গান গুলো সাধারণ মানুষের মনে-মুখে যুগ যুগ ধরে বেঁচে আছে, আসুন আমরা সেইসব ছবি দেখি, দেখাই।
ছবি সম্পর্কিত তথ্য (নেট থেকে নেয়া)
ছায়াছবি- চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা
অভিনয়- ওয়াসিম, অঞ্জু ঘোষ, জাবেদ, সওকত আকবর, রাজ সহ আরও অনেকে
সংগীত- আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল
কণ্ঠ শিল্পী – সৈয়দ আবদুল হাদী, সাবিনা ইয়াসমিন, রুণা লায়লা, এন্ড্রু কিশোর
চিত্রনাট্য, সংলাপ, পরিচালক – ইবনে মিজান
প্রযোজনা ও পরিবেশনা – লীনা ফিল্মস।
২৪টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা” ছবিটি যেদিন মুক্তি পেয়েছিলো সেদিনই প্রথম শোটি দেখি মদনপুর রোডে সেই কেউডালায় গিয়ে নতুন একটি সিনেমা হল অভিলাস যার যাত্রা শুরু হয়েছিলো এই ছবিটি দিয়েই।আমার এলাকা হতে সেখানে বাসে যেতেই ঘন্টাখানেক সময় লাগে যদি জ্যাম না থাকে।
ছবিটি সত্যিই মনমুগ্ধকর তাছাড়া সেই সময়ে এতো বাঘ ভাল্লুক হাতি ঘোরা নিয়ে ছবি করাটা বাংলাদেশের জন্য টাফ ছিলো।তবে ইবনে মিজানের প্রায় সব ছবিই ছিলো অত্যান্ত রোমাঞ্চকর ব্যায় বহুল যার অধিকাংশ নায়িকা ছিলেন অঞ্জু ঘোষ।ওয়াসীমও ছিলেন।অঞ্জু ঘোষের ছবি “আবে হায়াত,সওদাগর গানগুলোও লোকের মুখে মুখে।
ইবনে মিজানের অন্যান্য ছবিগুলোও বেশ ভাল ছিলো- বসবাসে রূপবান (১৯৬৬), রাখাল বন্ধু (১৯৬৮), বাঁশের কেল্লা, নিশান (১৯৮৪), এক মুঠো ভাত (১৯৭৬), লায়লি মজনু (১৯৭৯)ডাকু মনসুর ইত্যাদি।
আপনার রিভিউ পড়ে ভুলে যাওয়া ছবির কাহিনী মনে পড়ে গেল।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রথমেই এত সুন্দর সুগঠিত মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ মমিভাই। ছবিটি নিয়ে আপনার বিস্তারিত আলোচনা লেখাটিকে পরিপূর্ণ করেছে।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা অনেক অনেক 🌹🌹
আরজু মুক্তা
দেখে ফেলবো সময় পেলেই।
আসলেই নাটক সিনেমা এগুলো দেশ জাতিকে রিপ্রেজেন্ট করে। এ ব্যাপারে সর্তক হওয়া উচিত।
শুভ কামনা। সুবর্ণসময় মনে দেওয়ার জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনাকেও অজস্র ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্টের জন্য।
শুভ কামনা 🌹🌹
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আহা এই সিনেমার গানগুলো সেইরাম , মুভির চেয়ে গানগুলোই আমাকে বেশি আকর্ষিত করেছে। আমাদের চলচ্চিত্র এর স্বর্ণালী সময়ের সিনেমা এটা এবং তখনকার সব সিনেমাই ভালো লাগতো আর গানগুলো আজো আবেগ আপ্লুত করে তোলে সুরে, কথায়, মেলোডিতে।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সেই স্বর্ণালী সময়টাকে তুলে আনার জন্য। আহা কি জীবন ছিল তখন, সিনেমাই ছিলো একমাত্র বিনোদনের সম্বল। সবাই মিলে একসাথে বসে সিনেমা দেখা এখন খুব খুব মিস করি। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন শুভকামনা নিরন্তর
সাবিনা ইয়াসমিন
এই ছবিটি দেখার আগ্রহ জন্মেছে গান গুলো শুনে শুনেই।
আপনার মন্তব্য পড়ে ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো। বুধবারে টিভিতে ছায়াছন্দ দেখতাম, আর প্রতি শুক্রবার বাড়ির সবাই মিলে একসাথে বসে সিনেমা। আর দেখতাম আলিফ লায়লা, টিপু সুলতান! যেদিন ঘুমের জন্য ছায়াছন্দ মিস করতাম, তার পরেরদিন মন খারাপ হতো। আর রাগ করতাম আমাকে ঘুম থেকে জাগানো হয়নি বলে। সেইসব দিন গুলো মিস করি। পরিবারের সবাই মিলে একসাথে বিনোদন উপভোগ করার সুন্দর মাধ্যম যেন হারিয়ে গেছে।
আপনিও অনেক ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
রোকসানা খন্দকার রুকু
দেখতে হবে অবশ্যই। আমাদের এখানে অন্জু ঘোষের সিনেমা দেখতে হল ভেঙ্গে পরে গিয়েছিল। এ সময় এক আধ বছর বয়স ছিল পরে আর দেখা হয়নি।
আপনি আশির দশকের মুভি রিভিউ ভালোই লিখলেন। আমি অবশ্য শ্রীদেবী কন্যার ‘গুন্জন সাকসেনা’ লিখে ফেলেছি। অসাধারণ এক মুভি।
আরও এমন মুভি চাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
এক দেড় বছর বয়সে এই ছবি দেখলে আমার মতো কিছুই মনে থাকতো আপনারও। বড় হয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর ইউটিউবের কল্যাণে সিনেমাটি দেখার সুযোগ হয়েছে।
পুরনো ছায়াছবির গান আমার পছন্দ। আর গান শুনে শুনেই সিনেমা গুলো দেখার আগ্রহ চলে আসে।
আপনার রিভিউ দিয়েন, ছবি দেখতে না পারলেও কাহিনীটা জানা থাকবে।
নিরাপদে থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
পপি তালুকদার
আফসোস জন্মের আগেই ছবিটি রিলিজ হয়েছে😆😆😆
কিন্তু গানগুলো অসংখ্য বার শোনা হয়েছে।এখনো গানগুলোর জনপ্রিয়তা কোনো অংশে কমে নাই।
ছবিটি সম্পর্কে তথ্য দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
ভালো থাকুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
গান গুলোর জন্যই ছবিটি দেখা। জন্মের সময় দেখতে পারিনি তো কি হয়েছে, এখন তো দেখেছি। আপনিও দেখে নিয়েন। খারাপ লাগবে না।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
প্রদীপ চক্রবর্তী
বুক রিভিউ এবং মুভি রিভিউ সবার দ্বারা হয়না।
সবাই পড়ে এবং দেখে কিন্তু কয়জন তা উপস্থাপনা করতে পারে।
তাই আপনি একজন তুখোড়।
যদিও এই মুভি সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই।
কিন্তু গান গুলা আমার বেশ প্রিয়।
ছোটবেলা দেখতাম আমার কাকু কোর্ট থেকে বাড়ি ফিরে এসে রেডিওতে ক্যাসেট ভরে এসব গান শুনতেন। এবং উনি নিজেও গান ধরতেন।
আহা কি ভালো লাগতো।
.
বর্তমান সময়ের যেসব সিনেমাতে আমরা ঝুঁকিয়ে পড়েছি তা কিন্তু স্বর্ণালী সময়ের সিনেমা গুলোর সাথে তুলনা করা যায়না। তখন সবাই একসাথে বসে দেখত এবং তা উপভোগ করত। কিন্তু আজকাল তা বেমানান!
অবশ্যই দেখব।
সাধুবাদ দিদি।
এমন রিভিউ আর আরও চাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
এই গানের ক্যাসেট আমাদের বাড়িতেও রোজ বাজতো। আমার আব্বা অফিস থেকে ফিরে বিশ্রাম নেবার অবসরে শুনতেন। সেই থেকে আমারও শোনা। বড়ো হতে হতে গানগুলোর অর্থ আর মাধুর্য আমাকে আগ্রহী করেছে পুরো ছবিটি দেখার। দেখেছি আর অবাক হয়েছি আগের দিনের সিনেমা গুলোতে কলাকুশলী আর নির্মাতারা কত শ্রম দিতেন!
সুন্দর মতামতের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ প্রদীপ।
ভালো থেকো, শুভ কামনা 🌹🌹
রেজওয়ানা কবির
বাংলা মুভি দেখি খুব বেশি তবে কলকাতা আর্ট ফিল্ম বেশি দেখি, চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা মুভিটি পড়ে মনে হল,মুভিটা সামনে দেখলাম, তাও আপনার কৃপায় এই মুভিটা পড়তে পারলাম, তবে গানটা আমার পছন্দের। শুভকামনা আপু অনেকদিনপর আপনার লেখা পড়লাম। সবসময় ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
আমি কোন রকম ছবি দেখারই সময় পাই না। কাজের সময়ে/অবসরে গান শুনি মাথা ঠান্ডা করার জন্য। এই ছবিটি গত বছরের লকডাউনের সময় দেখেছিলাম। হঠাৎ লিখতে ইচ্ছে হলো তাই লেখা।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ব্যস্ততা কমে এলে নতুন লেখা দিন। পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা 🌹🌹
তৌহিদুল ইসলাম
এই সিনেমা আমি অনেকদিন আগে ভি সি আর এ দেখেছিলাম। আপনার লেখা পড়ে আরো একবার দেখার ইচ্ছে জাগলো মনে। আপনি এত সুন্দর রিভিউ লিখতে পারেন এ লেখাটি না পড়লে জানতামই না। এরকম লেখা আরো চাই, পাঠকদের নিরাশ করা ঠিক নয় কিন্তু।
বাংলা সিনেমার কিছু কালজয়ী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আমরা করোনায় হারিয়ে ফেললাম। তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি। শুভকামনা জানবেন আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
আসলেই, অনেক প্রবীণ চলচিত্র শিল্পীরা চিরতরে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। তারা ফিরে আসবেন না, কিন্তু তাদের সেরা কাজগুলো দিয়ে কালজয়ী চলচিত্র গুলো রেখে গেছেন, যেগুলো দেখে আমরা তাদের স্বরণ করতে পারি। তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি।
আপনার মন্তব্য সব সময়েই অনুপ্রেরণাময়। লিখতে উৎসাহিত করে। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
আশরাফুল হক মহিন
সময় হলে দেখার ইচ্ছা আছে প্রিয় কবি।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
ছাইরাছ হেলাল
যে ভাবেই হোক, যেমন করেই হোক, আপনি মুভিতে নাক/চোখ রেখেছেন দেখে ভাল লাগল,
আমার প্রিয় বিষয়টি নিয়ে কেউ আলোচনা কছে দেখলে ভালো লাগে। যাক, ব্যাপার না, কচু গাছ সখ্যতা থেকেই তাল গাছের
আড়াই হাতের ট্রাই করা যেতেই পারে।
আপনি বরং তামিল ছবি নিয়ে লিখতে পারেন। সেখানে দেশি ফ্লেবার মারাত্মক ভাবে উপস্থিত। আমাদের বেদের মেয়ে নিয়েও ভাবতে পারেন।
ভাল কথা, সূর্য দীঘল বাড়ী নিয়ে লিখে ফেলুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
তামিল ছবি!!
ওদের ভাষাতো বুঝি না!
বাহুবলী ১ আর ২ দেখেছি হিন্দি ভার্সনের। ওটা চলবে মহারাজ? 😉
কচু গাছকে এত ছোট ভাবা ঠিক নয়, গলায় রশি বেধে ঝুলে পড়া যাবে না। কিন্তু শাক হিসেবে পুষ্টির সেরা। বোম্বাই মরিচ দিয়ে দুবেলা কচুশাক খেয়ে দেখুন, চোখ একদম এনার্জি বাত্তির মতো জ্বলবে।
জিসান শা ইকরাম
একটি সময়ে কলেজ জীবনে নিয়মিত বাংলাদেশের সিনেমা দেখতাম। হোস্টেল লাইফে ছুটির দিন পরপর তিন শো দেখতাম তিন হলে।
ইবনে মিজান এর বেশ ভক্তও হয়ে গিয়েছিলাম। তখন হল সমুহে প্রচুর দর্শক হতো। কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে ব্লাকে টিকিট কিনতাম।
এই সিনেমার গান গুলো অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল তখন।
‘ মনটা যদি খোলা যেত ….. গানটি তো মুখস্তই হয়ে গিয়েছিল।
ইবনে মিজান, ওয়াসিম , অঞ্জু ওই সময়ে দেশের সিনেমাকে জনপ্রিয়তার তুংগে নিয়ে গিয়েছিলেন।
এই সিনেমার রিভিউ পড়ে স্মৃতিকাতর হয়ে গেলাম।
অঞ্জুর পোষাক নিয়ে সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন।
প্রথম মুভি রিভিউ লিখলেন। পরিচালক সহ অন্যদের নাম রিভিউতে দিয়েছেন, যা একটি মুভি রিভিউর জন্য অত্যাবশ্যক।
এর সাথে যুক্ত করা যায়- সাউন্ড এফেক্ট কেমন, দৃশ্য গুলো কেমন ইত্যাদি।
মুভি রিভিউ জগতে স্বাগতম আপনাকে।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রথম মুভি রিভিউ, কি লিখবো, কিভাবে লিখবো ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। মাথায় এলো আর চট করে লিখে ফেললাম। আগামীতে লিখলে এই পরামর্শ গুলো মনে রাখবো।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা 🌹🌹
হালিমা আক্তার
মন টা যদি খোলা যেত সিন্দুকের মতো, দেখাইতে পারিতাম তারে ভালোবাসি কত । একসময়ের খুব জনপ্রিয় গান।ছবি দেখা হয়নি। মূভি রিভিউ পরে ছবির সুন্দর কাহিনী জানতে পারলাম। শুভকামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
গানটি আমার অনেক অনেক ভালোলাগার 🙂
ভালো থাকুন, শুভ কামনা আপনার জন্য 🌹🌹