ইতমধ্যে এক মহাগুনীর খবর ঝাতি প্রায় জেনে গিয়েছেন।
আসলে প্রতিভা কখনো চাপা থাকেনা। এটি প্রকাশিত হবেই। আর মহাপুরুষ প্রতিবছর জন্ম নেয় না। শতাব্দী বা যুগে একজন আসতে পারেন এই বিশ্বে, আবার নাও আসতে পারেন।
ব্লগার সজীবকে যে বিশেষ গুনের জন্য এয়রিষ্টেটল, প্ল্যাটো , নিউটন, কাল মার্কস , লেলিন , মাওসেতুং থেকে আলাদা করে দিয়েছে তা হচ্ছে ডিম ভাজা। কেউ কি কোন লিংক বা প্রমাণ দিতে পারবেন যে এনারা ডিম ভাজতে পারতেন ? তাঁরা যা পারেননি ব্লগার সজীব আজকে তা পেরেছে। আশাকরি ঝাতি এবার অবশ্যই উপলব্ধি করতে পারবেন, তাঁদের দেশে এক মহাজ্ঞানীর আবির্ভাব হয়েছে, যাকে নিয়ে এই ঝাতি গর্বে ছিনা টান টান করে চলাফেরা করতে পারবেন।
যেহেতু ঝাতির কাছে গচ্ছিত সমস্ত ঢোল ফেটে গিয়েছে, তাই নিজের কাছে গচ্ছিত একমাত্র ঢোল বাজিয়ে ঝাতিকে জানাতে হলো। ইহাকে নিজের ঢোল নিজে পেটানোর সাথে তুলনা করবেন না কেউ।
ভবিষ্যতে যে ইতিহাসটি রচিত হতে যাচ্ছে ‘ ২০১৪ খৃষ্টাব্দের ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য ব্লগার সজীব তাঁর গ্রামের বাড়িতে গমন করেন। ৩১ জুলাই ভোরেই বাড়ির অন্যান্য সদস্য গন এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে চলে যান। ব্লগার সজীব একা বাড়িতে দুপুরে খাবার জন্য একটি ডিম ভাজি করেন। খাওয়া দাওয়ার পরে তিনি বাড়ির পাশেই একটি তালগাছের নীচে বসে সিগ্রেট ফুকছিলেন। হঠাৎ ধফ করে এক তাল তাঁর প্রায় পায়ের কাছে পড়ে। এই তাল পড়াতেই ব্লগার সজীবের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন এসে জড়ো হয়। নিউটনের মাথায় যদি আপেলের পরিবর্তে তাল পড়তো , তবে মধ্যাকর্ষন তত্ব আর নিউটনের চিন্তার বিষয় বস্তু হতোনা। কবরে গিয়েতো আর কেউ চিন্তা করতে পারেনা। আচ্ছা নিউটনকি ডিম ভাঁজতে পারতেন ? এয়রিষ্টেটল, প্ল্যাটো , কাল মার্কস , লেলিন , মাও সেতুং এনারা কি পারতেন ? এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন ডকুমেন্ট নেই। সুতরাং এইসব মহাপুরুষ যা পারতেননা, ব্লগার সজীব তা পেরেছেন, এটি ভেবে তাঁর মুখ উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো । ‘
এই সেই ঐতিহাসিক ডিম ভাঁজা। কেমন লোভনীয় এবং ফুলে ওঠা ডিম ভাঁজা 🙂
খেতে বড়ই সুস্বাদু ।
আপনাদের ভক্ষণের জন্য এটি এখন প্লেটে পরিবেশন করা হলো। ডিম খান এবং পড়ুন নীচের লিংকে ক্লিক করে।
আমার চোখে সোনেলার সেরা ব্লগার হচ্ছেন ইনি । এই ব্লগারের প্রতিটি লেখা অসাধারন।
আমার চোখে সোনেলার সেরা লেখা হচ্ছে এই পোস্ট । ব্লগার তার লেখার মাঝে এক অন্ধকার এবং বর্বর সমাজকে তুলে এনেছেন ।
সোনেলার সেরা গিয়ানি পোস্ট হচ্ছে এটি। ব্লগার এখানে একটি দার্শনিক দার্শনিক ভাব এনেছেন । এই লেখায় ব্লগারের দার্শনিক সত্ত্বাকে উপলব্ধি করা যায় ।
সোনেলার সেরা ফান পোস্ট পড়তে এই পোস্টটি পড়ুন । মজা না পেলে পয়সা ফেরত 🙂
সোনেলার যে পোস্টটি দেখে সবচেয়ে অবাক হয়েছি । টিনের চালে কাক , আমিতো অবাক টাইপের ।
বিনামুল্যে উপদেশ: ডিম খান সুস্থ্য থাকুন। নকল ডিম থেকে সাবধান।
২৬টি মন্তব্য
আগুন রঙের শিমুল
:D) :D)
আগে হাইসা নিলাম এলায় লিংকে ক্লিকাই
ব্লগার সজীব
ধন্য হবার সুযোগ নেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক বলেছেন এহেন গুণী রোজ রোজ জন্ম নেয় না ।
কুটি বছরে এক-আধটি পাওয়া যায় ।
ঝাতি আজ ধন্য ।
চমৎকার লাগল ।
ব্লগার সজীব
আহহহহ, প্রানটি জুড়িয়ে গেলো আপনার মন্তব্য পড়ে। আসলেই কুটি বছরে এক-আধটি পাওয়া যায় । আপনার মত সবাই যদি এটি বুঝতো !
অলিভার
ঝাতি যদি এই গুনির কদর বুঝিতে পারিত তাহলে উনাকে কষ্ট করিয়া আর ডিম খানা ভাজিয়া লইতে হইতো না, তাহা তার হয়ে অন্য কেউ করার জন্যে আগাইয়া আসিত। আফসোস ঝাতি তাহা করতে পারলো না :D) :p
ব্লগার সজীব
আপনিই বুঝতে পারলেন ভাই, সবাই বুঝলোনা।
জিসান শা ইকরাম
আপনার গুনের খবর আমরাই প্রথম পেয়েছি।
ইতিহাসের সাথে এটাও লেখা থাকবে ‘ তিনি সোনেলার ব্লগার ছিলেন ‘ এতে আমরা অত্যন্ত খুশী আনন্দিত।
এত্ত বড় একজন গুনী মানুষের সাথে আমরা ব্লগিং করে নিজেদের ধৈন্য মনে করছি।
এই ঝাতি একদিন অবশ্যই বুঝবে যে আপনি একখান চিজ 🙂
ব্লগার সজীব
আপনারাও ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন 🙂
বনলতা সেন
হায় অবুঝ ঝাতি , আর কত কাল অবুঝ থেকে যাবে?
ব্লগার সজীব
ধীরে ধীরে সবাই বুদ্ধিমান হয়ে যাবে 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আমি অলরেডি ছিনা টানটান করে চলাফেরা শুরু করেছি ভাই। নিজের পোস্ট গুলা মাঝে মাঝে উকি মেরে দেখছি আপনার মন্তব্যগুলা বহাল আছে কিনা, অইগুলাই তো সম্বল ভাই অটোগ্রাফ তো নেয়ার উপায় নাই।
এই অভাগা জাতিকে উদ্ধারের জন্য আপনাকে আস্ত একটা শূন্য এ্যাওয়ার্ড দেয়ার চিন্তাভাবনা করতেছি। 😀
ব্লগার সজীব
এখনো কেউ এ্যাওয়ার্ড দেননি, আপনি দিয়ে প্রথম হবার সুযোগটা নিন আপু 🙂
লীলাবতী
ভাইয়া তাল থেকে সাবধান। তাল যদি আপনার মাথায় পরে, কি হবে এই অভাগা ঝাতির ;(
ব্লগার সজীব
আমার মাথায় তাল পরলে সে তালের ভাগ্য বলে বিবেচিত হবে। আমি তাকে আমার মাথায় পরতে দিয়েছি, বুঝতে হপে 🙂
সিনথিয়া খোন্দকার
দেখছোনি কেমন বেশরম। নিজেরে সবচে ভাল লেখক কয়।
আমি ত ক্লিক করার আগে তিনবার বিসমিল্লা পড়ছি যেন আমার প্রোফাইল খুলে 🙁
ব্লগার সজীব
আপু, সবুরে মেওয়া ফলে। অপেক্ষা করেন, ক্লিকে আপনার নাম চলে আসবে যে কোনোদিন। আপনিও যে ট্যালেন্ট তা জেনে গিয়েছি 🙂
প্রজন্ম ৭১
আপনি তো ছোটবেলা থেকেই ট্যালেন্ট। এখন প্রমান করে দিলেন আপনি কি চীজ। ” সোনেলার যে পোস্টটি দেখে সবচেয়ে অবাক হয়েছি ” এটিতে ক্লিক করে শুধু ঘুরতেই আছি ঘুরতেই আছি। পোষ্টের তো দেখা পেলামনা ভাইয়া 🙁
ব্লগার সজীব
ধৈর্য হারাবেননা প্লিজ। ক্লিক করতেই থাকুন, করতেই থাকুন 🙂
অজানা এক পথে চলা
ভাইয়া আপনি এত বড় একজন গুনি মানুষ, আর আমি তা জানতামই না ! কি সৌভাগ্য আমার :p
ব্লগার সজীব
বুঝলো না কেউ বুঝলো না 🙁 গান হবে এখানে, কষ্টের গান ।
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
আমার যে কত্তবড় ভাগ্য যে আপনার মত এত্ত বড় একজন গুনীর সাথে ব্লগাচ্ছি :D) :D)
ব্লগার সজীব
এখন বুঝুন, সোনেলায় না লিখলে আপনি কত্তবড় একটা ভুল করতেন :p
মেঘাচ্ছন্ন মেঘকুমারী
ভাইয়া আপনি তো ফেমাস মানুষ, আমাকে আবার ভুলে যাবেননা -{@
ব্লগার সজীব
না না আপু ভুলবো না মোটেই, তবে মাঝে মাঝে নক করতে ভুলবেন না 🙂
মিথুন
আপনি এত বড় গুনী ? আমি ধন্য আপনার পোষ্টে মন্তব্য দিয়ে। হাসছি খুব । গুণী ভাইয়ার নতুন লেখা চাই।
ব্লগার সজীব
জি, আমি অনেক গুনী 🙂 পোষ্ট দিয়ে দেবো যে কোনোদিন ।