অষ্টপ্রহর পৃথিবীর পায়ে সালাম ঠোকা নারী আমার মা
আমাদের মতোই আদরে লালন করত একটি গাভী।
সে আমাদের একটি পাখি এনে দেবে,
সোনার পেয়ালায় পেয়াবে অনন্ত অমরত্ব।
মায়ের শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া রক্তে
আমরা স্নান সারতাম।
আগুনে আমাদের পা পুড়ে যাবে বলে–
তিনি নিজে পোড়াতেন নিজেরই হাত।
দুঃখ নামে আমাদের একটা নদী ছিল।
প্লাবনশেষে রোদ এলে —-
আমরা ওম নিতাম মাতৃহাসের পাখার ভেতর।
তখন চিক্ চিক্ করে উঠত খড়ের চাল-মাটির দেয়াল,
বাবার চোখেমুখে তিনশ পয়ষট্টিটি সূর্য।
উঠোনে বেড়ে ওঠা লতাগুল্মগুলো বটবৃক্ষ হলে
উধাও হয়ে গেল আলো।
অমাবস্যায় মুমূর্ষু গাভিটি একদিন মায়ের চোখ থেকে উধাও!
তার পর থেকে মা আর গাভী পালন করে না,
আমিই সূর্য লালন করি। সে এনে দেয় অনন্ত ঈশ্বর।
৮টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
পড়তে পড়েতে কথায় হারিয়ে গিয়েছিলাম কবি দা
বেশ উপলব্ধিকর! ভাল থাকবেন——
হালিম নজরুল
ধন্যবাদ ভাই।
রোকসানা খন্দকার রুকু
মায়েদের গায়ে কেন যে গাভী রঙের জোসনা হাত বুলিয়ে দেয়। মাদের অমরত্ব দরকার ছিল, যদিও হয় না।
অশেষ শুভকামনা ও কৃতজ্ঞতা 🌹
হালিম নজরুল
ধন্যবাদ ও শুভকামনা আপু।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
অতুলণীয় অনুভুতির ছোঁয়া!
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম!
অসাধারণ!
হালিম নজরুল
মনোযোগ দিয়ে পাঠ করার জন্য ধন্যবাদ।
ফারজানা তৈয়ূব
অসাধারণ
হালিম নজরুল
ধন্যবাদ আপু।