গল্প নয় একেবারে বাস্তব
প্রায় পাঁচ মাস পর বাড়ি যাচ্ছি । আব্দুল্লাপুর থেকে লেগুনা টাইপের একটা গাড়িতে নবীনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি ।
মাঝ পথে একজন সুদর্শনা ও তার বোন গাড়িতে উঠল । সুদর্শনা আমার সামনা সামনি বসেছে । মানে দু জন সামনে তাঁকালে একে অপরের মুখোমুখি । আমি সামনে তাঁকিয়ে আছি কিন্তু সে ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাঁকিয়ে আছে । এভাবে তাঁকিয়ে থাকলে ঘাড়ে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
সুদর্শনার ছোট বোন অনেক সেজেছে কিন্তু তাঁকে সুন্দর লাগছে না । সুন্দর লাগছে সুদর্শনা কে । সে মনে হয় এই মাত্র গোসল করছে ভেজা চুল সামনে মেলে রাখা ।
এই মাত্র একজন প্রেগনেন্ট আঙ্কেল বাসে উঠলেন তিনি আমার আর সুদর্শনার মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন। । এখন মাঝে মাঝে ভুড়ির পাশ দিয়ে সুদর্শনা কে দেখা যাচ্ছে । সে এখন সামনে তাঁকিয়ে আছে মনে হয় । পিছনে তাঁকিয়ে থাকতে থাকতে ঘাড় ব্যাথা হয়ে গেছে হয়ত ।
আরও একটা কারণ হতে পারে সে হয়ত আমার দিকে তাঁকাতে চাইছিল না ।কিন্তু এই প্রেগনেন্ট আঙ্কেলের ভুড়ি এত দেখার কি আছে বুঝলাম না ।
বাস থামল প্রেগনেন্ট আঙ্কেল আর সুদর্শনা নেমে গেল ।
আমার অল্প ভাল লাগা আর সুদর্শনার সাথে লুকোচুরি খেলা এখানেই শেষ ।
৮টি মন্তব্য
স্বপ্ন নীলা
হুমমম — এইরকমই হয় — সুদর্শনারা চলে যায় — ভাল লাগা থাকে মন জুড়ে — কিছুই করার থাকে না
খুবই কাব্যিকভাবে তুলে ধরেছেন — ভাল লাগলো
সঞ্জয় কুমার
ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।
সঞ্জয় কুমার
আমি এটাকে সাময়িক ভাললাগা হিসাবেই দেখি । এর বেশী কিছু নয়
শুন্য শুন্যালয়
গল্প হলে নির্ঘাত পিছু নিতেন 🙂
সঞ্জয় কুমার
হুম কাহিনী র জন্য নিতে হত ।
অলিভার
আহ! সুদর্শনা জানলো না, বাস্তবের রাজপুত্রেরা লাগুনাতেও চড়ে :p
সঞ্জয় কুমার
রাজকন্যা লেগুনাতে চড়লে রাজপুত্র তো তার পিছু নিবেই । মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
জিসান শা ইকরাম
আহারে —