কতদিন খোয়াবে দেখছি তাইরে ! বেইন্যাবেলা শরমে চোখ তুইল্লা চাইতে পারতাম না। একলা বইয়া খালি ভাবতাম, জীবনের জোনাক রাইত গিলান বেক খরচ অইয়া যাইতাসে মগা জুয়ারির নোডের লাইন। পুবের বেড়ার ফাঁক দিয়া ঘরে ঢোহে দিনের পয়লা চিন। তাইর মুখটা হেসুম দেকতে বড় সাধ অয়। ছুডবালাত্তে আত্তাডা ছটফট করে তাইর নামডা হুনলেই। তাই ইশকুলে যাইত খুউব সোন্দর কইরা হাইজ্জা-গুইজ্জা। জিমুন সোন্দর কইরা বিলের মইদ্দে শাপলা ফুইট্টা থাহে- মরা শ্যাওলা, পচাপাতা, কালাপানি কিছুই হের শইল্লে লাগে না। বালা একটা কিছু দেকলেই খালি তাইর কতা মনে অয়। চহের সামনে মুখটা যহন দেহি মনে জাগে খ্যাত ভরা আগুনি ধানের সুখ। এতো বছরেও কইতে পারলাম না হের লাইগ্যা কেমুন করে বুকটা ! যে মায়ায় দহিন দুয়ারি ঘরে খেলে নিশাখোর বাতাস ! জারের দিন যে মায়ায় বইত্তাশাকের সবুজ পাতাত ওশ পইড়া চিকমিক করে ! যে মায়ায় হউরার মাডে অইলদা জোয়ার নামে ! তোমার লাইগ্যা বুহের আন্দরবাড়িত হেই মায়া খেলে গো। আমি তোমারে খুব মায়া করি।
৩টি মন্তব্য
রিমি রুম্মান
গ্রাম বাংলার ভাষা … পুরনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়।
শুন্য শুন্যালয়
দারুন ভাইয়া।। এটা বরিশালের ভাষা না?
আমাদের দেশের সব ভাষাগুলো একত্র করতে পারলা ভালো লাগতো।।
খসড়া
ভাষা বুঝতে কষ্ট তাই লেখাও দুর্বোধ্য।