একটি কোলাজ
যাত্রা ২
আমার নাভিমূলে ফোটা রক্তজবা
তোর জরায়ুর জায়নামাজে সন্ধ্যা পূজার প্রদীপ হয়ে জ্বলে। বাম পাঁজরে স্তনাগ্রের ছোঁয়ায় সেরে ওঠে আমার নিদারুণ আসারতার অসুখ ।
তুই,
আমি,
আর পৃথিবীর,
বহুকৌণিক ত্রিকোণমিতির মানচিত্রে জেগে উঠুক পৃথিবীর সর্বকালের যুগলদের স্বভূমি।
পৃথিবীর শেষ রক্তজবা টি রুটি হয়ে ফুটক
নবায়নযোগ্য ইশতিহারে পেটের ক্ষুধাই তো
আরাধ্য ভগবান
হে নবজাতক।
একটা রুটির ব্যাসার্ধের আনুভূমিক রেখায় কেন্দ্রগামী নীলপদ্ম ।
উপসংহারের বিভাজন রেখা গলে যাচ্ছে আষাঢ়ে তুলোট রোদে। আনুভূমিক রেখা বরাবর তুই হাঁটছিস পৃথিবীর নাভিগোলকে ঝুলে থাকা কেন্দ্র।
মৃগনাভির সৌরভ যেন বোধের মেঘে স্থির বিদ্যুৎরেখা
এ স্বভূমিকে স্বাদ খাওয়াতে তুই বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পর
হে নবযৌবন
চুল বেয়ে পালঙ্কে উঠে আসুক
নীল গোখরো। মহাকালের পঞ্চ চাষী লাঙ্গল চালিয়ে দূরত্ব মেপে নিক
তোর,
আমার,
বর্ধিত ব্যাসার্ধ। সারারাত পাশাখেলে আমাকে ধরে ফেলুক মনসার স্পর্ধা। দংশনে আর বিষ ওঠে কই ?
যতটা বোধ দখলে নেয় নিউরন ।
বুকের ঠিক মাঝখানে গজিয়ে উঠুক হাসনাহেনা, বকুলের বেওয়ারিশ ডালপালা।
অক্ষয়ার ধাতুপ্রকৃতির আলপথে হাঁটে
বেহুলার ব্রত অথবা অনুমেয় দিগন্ত রেখা ।
আমরা পার হয়ে যাচ্ছি পৃথিবীর প্রথম নিশ্বাসের ওজন নিয়ে
ক্ষুধিত চিন্তক দের ভাতের থালার দিকে।
৭টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
ছবিটা বীভৎস। শিশুদের নিয়ে যারা এমন ছবি তৈরী করে তারা নিঃসন্দেহে বিকৃত মানসিকতা বহন করে।
নাজমুল হোসেন নয়ন
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা। এখানে ছবির শিশুর ছবি গুলো সমসাময়িক নিদান কালের বর্ননার প্রত্যয়। আপনার শিশুদের প্রতি যে সংবেদশীলতা আছে শিল্পী সেইটাই দৃশ্যত রূপায়ন করেছেন।আর এই সময়কে ধারন করার জন্য এই শিশুর অবয়োব মেটাফরিক বয়ান তৈরি করে যা আপনাকেও ছুঁয়ে গেছে।যদিও তা তিক্ত রোস বোধ নিয়ে আপনার সামনে হাজির।
সাবিনা ইয়াসমিন
হ্যা, আপনি ঠিকই ধরেছেন। ছবিটিকে যে কারনেই উপস্থাপন করা হোক, এর প্রভাব আমার উপর পড়েছে এবং তিক্ত। শিশুদের নিয়ে এমন উপস্থাপন মেনে নেয়া যায় না।
আমি আপনার লেখাটি পড়তে চেয়েছিলাম, কিন্তু যতবারই আমি এই পোস্টে আসছি এই ছবিটি বাধা দিচ্ছে, কারণ আমার মনোযোগ চলে যাচ্ছে ফিচারে।
অসঙ্গতি নিয়ে লেখা আর তাকে প্রকটভাবে প্রকাশ করা দক্ষতার পরিচয় বহন করে। সবার পক্ষে বাস্তবতার বীভৎস রুপ সহ্য করা সম্ভব না। আমি মনে করি শিল্প হবে সুন্দরের তরে। দৈন্যতা, নিপীড়নের বিরুদ্ধে আহ্বান করার জন্য সুন্দরতম কিছু উপস্থাপনা দিয়ে।
ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹
আশরাফুল হক মহিন
সুন্দর উপস্থাপনা করলেন
শুভকামনা
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনি অন্যের লেখা পড়েন না , মন্তব্য ও করেন না। এটা কি ঠিক?? একটু সময় দিন আমাদের জন্য ও, কেমন লিখি আমরা সেটা একটু দেখেন। কবিতায় আপনি বরাবরই কঠিন বাস্তবতা তুলে আনেন। প্রশংসা পাবার যোগ্য আপনি। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা নিরন্তর
রোকসানা খন্দকার রুকু
বাস্তবমূখী কবিতা। আমি আবার কবিতা কমই বুঝি। তবুও ভালো লাগে ।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
বাস্তব এবং জীবনমুখী লেখা বরাবরি হৃদয়কে নাড়া দেয়।
শুভ কামনা