
করোনা ভাইরাসের শুরু ২০১৯ ডিসেম্বরে। তখন ভাইরাস টি শুধু চীনে আছে ভেবে, সত্যি কথা ততটা মাথা ঘামাইনি।ধীরে ধীরে এর প্রভাব ব্যাপক আকারে বিস্তার লাভ করলে একটু একটু চিন্তা করতে শুরু করি।বিদ্যালয়ে সাধারন স্বাস্থ্যবিধি কথা বলা শুরু করি তখন অবশ্য এই বিষয়ে কোনো কথা, সাধারন নির্দেশনা পাই নি। তবু ও আমি শিক্ষার্থীদের সাধারন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে বলতাম। সময় খারাপের দিকে ধাবিত হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেল। শুরু হল বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বপ্রথম লক ডাউন। চারদিকে থমথম পরিবেশ উপনীত হল।পাড়া প্রতিবেশি এমনকি আত্নীয় স্বজনদের সাথে যোগাযোগ টা মোবাইলের মাধ্যমে হতে শুরু হলো ব্যাপক ভাবে।দেশের বাহিরে থাকা স্বজনদের নিয়ে উদ্বিগ্ন যেন দিন দিন বেড়ে চলছিল। সবাই সবাই কে সান্ত্বনা আর আল্লাহর উপর ভরসা রাখা ছাড়া আর কিছু ই যেন বলতে অপারগ ছিল।লক ডাউনের জন্য ঘর বন্দী হল মানুষ। কিন্তু সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের জন্য ছিল, না বলা কষ্টদায়ক যন্ত্রণা। দিন দিন চারদিকে হতাশা যেন বেড়ে যাচ্ছে এর থেকে পরিত্রানের যেন কোনো উপায় ছিল না।অনেক মানুষ অসহায় হয়ে পড়লো। এই পরিস্থিতি জন্য না ছিল কারো প্রত্যাশা না ছিল প্রস্তুতি।তারপর প্রতিদিন শুধু মৃত্যু আর মৃত্যু! এ যেন মৃত্যুপুরীতে পরিনত হল সুন্দর পৃথিবীটা।
কারো কারো মধ্যে মানসিকতার ও আসলো পরিবর্তন।
ধর্মীয় চেতনা বৃদ্ধি পেতে শুরু হল যেটা খুব ভালো দিক।
এই বুঝি সব কিছু স্বাভাবিক হতে যাচ্ছে! মৃত্যুের সংখ্যা ও কমতে শুরু করল। আবিষ্কার হলো করোনা ভ্যাক্সিন।মানুষ আশার আলো দেখতে শুরু করল।
এভাবে নানা আশংকায় কেটে গেল একটি বছর।
বর্তমানে মানুষ করোনাকে যেন স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিয়েছে।পথে মানুষের উপস্থিতি সব কিছু স্বাভাবিক চলছে মনে করিয়ে দেয়।প্রথম দিকের কঠোর ভাবে মানা স্বাস্থ্যবিধি এখন কেউ তোয়াক্কাই করছেনা। অধিক সংখ্যক মানুষ পড়ছেনা মাস্ক মানছেনা সামাজিক দুরত্ব।
মানুষের ভীর আগের চেয়ে বেড়ে গেছে বহুগুনে।
মানুষের এ-ই ধরনের হেয়ালি আচারন কারন কি? তা সত্যি অজানা।
তারা কি ভাবছে করোনা তাদের ধরবেনা! নাকি করোনা বিদায় নিয়েছে!
সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি আমাদের মেনে নিতে হয়। কিন্তু উদাসিনতা আমাদের আরো ক্ষতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
সবার সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি গুলো মেনে চলা উচিত।
জীবন থেমে থাকেনা, তাকে এগিয়ে নিতে হয় কিন্তু সময় কে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা রেখে।
আমরা এখন যা করছি তা উদাসিনতা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না।
সরকারের এত এত তৎপরতা তা আমাদের জন্য তাই আমাদের সচেতন হতে হবে। মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি গুলো।
অন্ধকার শেষ হবে নতুন সূর্যের আলো ফুটিবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে তার উজ্জ্বল জ্যোতি…..….
১০টি মন্তব্য
তৌহিদ
স্বাভাবিক হতে থাকা করোনার বর্তমান প্রেক্ষাপটের জন্য আমদের অজ্ঞতা, স্বাস্থ্যবিধি না মানা সহ আরও অনেক কারন বিদ্যমান যা আপনার লেখাতেই আপনি উল্লেখ করেছেন। অবস্থা চাক্ষুষ অবস্থার চেয়েও ভয়াবহ দিকে যাচ্ছি। সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগে আছি বলেই গত অভিজ্ঞতা থেকে অনুভব করতে পারি কি অবস্থা হতে যাচ্ছে আগামীতে।
এ নিয়ে লিখবো দুই একদিনের মধ্যে। সুন্দর লিখেছেন আপু। শুভকামনা জানবেন।
পপি তালুকদার
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিক বলেছেন। পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে কিন্তু মানুষ আগের মতো সজাগ নেই এখন।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
রোকসানা খন্দকার রুকু
কি যে হবে সামনে বলা যায় না। আল্লাহ একমাত্র ভরসা।
ভালো থাকবেন আপু।
পপি তালুকদার
আল্লাহ ভরসা আপু।
ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে করোনা আমাদের কোথায় নিয়ে ফেলবে আমরা এখন ও জানি না,
আমরা তো দেখছি হাতের পুতুল মাত্র।
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করবেন এ আশা টুকুই করি।
পপি তালুকদার
ইনশাআল্লাহ।তাই যেন হয়।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভালো থাকুন,, নিরাপদে থাকুন।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
আত্ম সচেতনতা ছাড়া কোন উপায় নেই
অবহেলায় নিতে পারে তা মহামারীর রূপ।
সময়ের সাবলিল উচ্চারণ।
মুগ্ধতায় শুভ কামনা রেখে গেলাম নিরন্তর।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কি যে হচ্ছে জানিনা। সাধারণ মানুষের এই খামখেয়ালিপনার কারণ কি? মৃত্যু আসলে কেউ ঠেকাতে পারবে না তাই বলে এভাবে চলতে পারে না। এদেশের মানুষকে সবসময় নিয়মের উল্টোপথেই হাঁটতে দেখছি, নিয়মকে তারা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়। কাজে বের হয়, ঘুরতে যায়, বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করে নিয়ম মেনে মাস্ক টা পড়লে সমস্যা কি?? মাস্ক তো হাতের মুঠোয় , পানির দামের চেয়েও কম দামে পাওয়া যায়। করোনা কে নিয়ে এভাবেই নিয়ম মেনে চলতে হবে।সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি হোক, শুভ বুদ্ধির উদয় হোক
শামীনুল হক হীরা
একদম দারুণ।।বেশ দারুণ।।
কোন কথা হবেনা এ লেখা নিয়ে।
শুভেচ্ছা অনুপম।শুভকামনা রইল সম্মানিত।
আরজু মুক্তা
মানুষের উদাসীনতাই ভাবায় বেশি। নিশ্চয় দ্বিতীয় ঢেউ থেকে সবাই শিক্ষা নেবে। প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।