
জীবনটা শুধু আল্লাহর ওয়াস্তে চলেনা, সাথে নিজেরও চেষ্টা থাকতে হয় জীবনকে এগিয়ে নেওয়ার, তাহলেই আল্লাহ সহায় হোন।
তেমনি এক বিশেষ কারণে নিজেকে সবকিছু থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছিলাম, এর জন্য সত্যি আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
প্রিয় ব্লগারবৃন্দ এবং পাঠকবৃন্দ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন?
আশা করি সবাই ভালো আছেন।
আসলেই জীবন জীবিকার তাগিদে গত কয়েক মাস আপনাদের থেকে দূরে থাকলেও, সত্যিকার অর্থে আপনাদের সবাইকে খুব মিস করেছি।
যাক এইসব কথা, আগে বলুন ভ্যাক্সিন কে কে নিয়েছেন?
এই প্যান্ডেমিক সিচুয়েশনে বিশ্বের প্রায় ২৫ কোটি মানুষ আক্রান্ত এবং বিশ লক্ষের কাছাকাছি মৃত্যু হয়েছে, এমতাবস্থায় আপনাদের কার কি অবস্থা হয়েছিলো, কিভাবে কাটালেন বা কাটাচ্ছেন এই দুঃসময়, আসুন শেয়ার করি আমাদের অভিজ্ঞতা আজকের এই আড্ডায়।
আমার কথা বলি, করোনার শুরুতেই আমি চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হই, যা কিছু জমানো টাকা ছিলো তা আগেই শেষ করেছি, আমার ছেলেই তার আয় থেকে পুরা সংসার চালিয়ে গেলেও লকডাউনে সবাই ঘরবন্দী হয়ে পড়ি, তখন আগেই কিনে রাখা জরুরী খাদ্য সামগ্রী দিয়েই চলতে হয়, দুই মাস পর ছেলে বাধ্য হয় ঘর থেকে বেরুতে, গত অক্টোবরে আমি নতুন চাকরিতে জয়েন করি।
এপ্রিলের শুরুতে আমার ছেলে করোনায় আক্রান্ত হয়, বাল্যবন্ধু ডাক্তার বলে সেই ফোনে চিকিৎসা দিলো, প্রায় পনেরো দিন লেগেছিলো পরিপূর্ণ সুস্থ হতে, ভাগ্য ভালো আমরা কেউ আর আক্রান্ত হইনি।
যদিও বন্ধু ডাক্তারই বলেছিলো টেস্ট করার দরকার নেই, পুরা সিন্টমই করোনার, তাই আর টেস্টও করিনি, করোনার চিকিৎসায় চালিয়ে গেছি নিজেদেরকে খুবই সতর্কতার মধ্যে রেখে।
আল্লাহর অশেষ রহমতে ছেলেও সুস্থ হয়ে উঠলো, আলহামদুলিল্লাহ।
করোনার মাঝে আমি আমার ঘনিষ্ট দুই বাল্যবন্ধু হারিয়েছি, যাদের অনুপস্থিতি আমাকে এখনো কুড়ে কুড়ে খায়, আল্লাহ তাদের আত্মাকে শান্তিতে রাখুক, তাদেরকে আল্লাহ কারিম জান্নাতবাসী করুন, আমীন।
এখন বলুন আপনাদের মিশ্র অভিজ্ঞতা, শুনতে চাই সবার কাছ থেকে।
ভালো থাকবেন সবাই, সাথে থাকুন, মন্তব্য করে জানান দিন।
সমাপ্ত।
২৮টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
প্রথম হলাম।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই
মোঃ মজিবর রহমান
আল্লাহপাক রজিকদাতা। তিনিই সর্বোত্তম।
এই করোনার নেই করুনা।
বাইশ মার্চ এক সপ্তাহের ছুটি দিল অফিস। এই এক্সপ্তাহ বলতেই চাকরী শেষ।
ইঞ্জা
হাঁ ভাই কঠিন সময় গেছে এবং চলছে।
পপি তালুকদার
ধন্যবাদ ফিরে আসার জন্য।আসলে করোনার মধ্যে প্রথম দিকে খুব থমথমে ভাব ছিল। বাসা থেকে বের হইনি বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তবে সময়ে প্রয়োজনে এখন অনেক পাল্টে গেছে।যদিও আমার স্কুল বন্ধ তারপর ও প্রায় প্রতিদিন বের হতে হয়। ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করেছি আশা করি ভালো ভাবে দিতে পারবো এবং কোনো সমস্যা হবে না দোয়া করবেন।
যাই হোক ভয় নয়, সচেতনতায় ই মুক্তি।।
ভালো থাকবেন।
ইঞ্জা
প্রথমেই জানাই স্বাগতম সোনেলার উঠোনে, দেরি হলেও আর দেরি নয়, তাই স্বাগতমটা গ্রহণ করুন।
সময়টা বেশ কঠিনই ছিলো আমাদের মতো মানুষদের জন্য, এরপরেও বলবো, “বেঁচে থাকাটা জরুরী”।
ভ্যাক্সিন রেজিস্ট্রেশন যখন করেছেন, অপেক্ষা না করে নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাক্সিন নিয়ে নিন, শুভকামনা রইলো।
মোঃ মজিবর রহমান
আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার এক কলিগের মাধ্যমে আল্লাহ নতুন খাবার খাওয়ার পথ দিলেন। মাঝএ দেনা বেড়েছে বন্ধুদের নিকট থেকে নিয়ে। এখন আল্লাহপাক সুজোগ দিচ্ছেন ধিরে ধিরে পরিশোধ করব ইনশাল্লাহ।
খুব সংক্ষেপেই বললাম। অনেক কাহীনি হয়েছে মাঝে। এখন কিন্তু শহর ভালো লাগেনা।
গ্রামে যেতেই ইচ্ছে করে। বউকে বলি ঘরে মনে হই আমার থাকা হবেনা তোমারাইই থাক। বউ রাগ করে।
কিন্তু কিছুই করার নাই। মেয়ে ও ছেলে তারপর বউ আছে তাদের আহার জোগাড় করার গুরুদায়িত্ব আল্লাহপাক আমার উপর বর্তায়। আল্লাহ সহায় খুব ভালো ভাইজান। আপনার সাথে দেখা হওয়ার সুজোগ আল্লাহপাক দিয়েছেন। ক্যালেন্ডার চাওয়ার অজুহাতে আপনার কাছে গেলাম। চা বিস্কুট খেলাম গল্প করে আসলাম।
সুন্দর একটি পোষ্ট আবার মিলিত হলাম। আপনার লেখার মাধ্যমে।
আল্লাহ সহায়।
ইঞ্জা
এ আল্লাহর পরীক্ষায় ছিলো, কখনো এমন বিপর্যয় দেখবো ভেবেছিলাম কি, তবুও বলবো বেঁচএ থাকাটা আনন্দের ভাই।
শুভকামনা জানবেন।
মোঃ মজিবর রহমান
আল্লাহু আকবর। তার রহমতেই বেচে আছি। তার রিজিকেই আহার করি।
ইঞ্জা
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমাদের সবসময় রক্ষা করুন, আমীন।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
করোনা আসলে অনেক কিছুই কেড়ে নিয়েছে
আবার শিক্ষাও দিয়েছে অনেক কিছু।
এই দুর্যোগের মাঝে ভালো থাকাটাও মহান আল্লাহ তায়ালার অপার মহিমা।
প্রথম দিন পাতায়। আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রেখে গেলাম অন্তহীণ।
সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন।
ইঞ্জা
স্বাগতম সুপ্রিয় ব্লগার, সময়টা বড়ই বিপদসংকুল ছিলো, তবুও আল্লাহর রহমতে বেঁচএ আছি এ অনেক বড় পাওয়া।
শুভকামনা জানবেন।
সাবিনা ইয়াসমিন
সালাম ভাইজান। প্রথমেই আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য দোয়া রইলো। দীর্ঘদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখে অনেক খুশি হয়েছি। এসেই সবার খোঁজ নিচ্ছেন দেখে আরো আনন্দিত হলাম।
জীবনের চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ক্রমাগত চলতে থাকার নামই জীবন। বহমান জীবন ধারাই আমাদের বাঁচিয়ে রাখে, বেঁচে থাকার গুরুত্ব উপলব্ধি করায়।
করোনা কারো জীবনের গতিপথ বদলে দিয়েছে, কাউকে পুরোপুরি স্তুব্ধ করে দিয়েছে। করোনা কিছু মানুষকে নিজেদের কাছ থেকে আলাদা করে দিয়েছে, আবার করোনার ভয়াবহতা মানুষকে নতুন করে অনেক কিছু শিক্ষা দিয়েছে। আপনার কথাটি অত্যন্ত মূল্যবান, ❝জীবনটা শুধু আল্লাহর ওয়াস্তে চলেনা, সাথে নিজেরও চেষ্টা থাকতে হয় জীবনকে এগিয়ে নেওয়ার, তাহলেই আল্লাহ সহায় হোন❞
নানা ব্যস্ততায় ব্লগে আসতে পারিনি, এইজন্য ক্ষমাপ্রার্থী আমিও।
ভ্যাক্সিন নিতে পারিনি। নিবন্ধনের শর্তের কারণে আপাতত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
লেখালেখি, কমেন্ট/রিপ্লাই সবই এলোমেলো হয়ে গেছে। আশা করছি ধিরে ধিরে ঠিক করে নিবো।
আড্ডা চলুক, সাথেই আছি 🙂
ইঞ্জা
আপু সত্যি প্রিয় ব্লগ এবং ব্লগারদেরকে মিস করেছি, আমাদের কয়েকজনার অনুপস্থিতিতে অনেক ক্ষতি ব্লগের হয়ে গেছে, এখন সময় এসেছে তা পূরণ করার।
এমন বিপর্যয় যে আমরা দেখবো তা কি কখনো ভেবেছি কি, আমরা অনেক কিছুই হারিয়েছি, এখন সময় এসেছে জীবনকে ঘুচিয়ে নেওয়ার।
এখন সময় হয়েছে সামনে এগুবার, আসুন সবাই এগিয়ে যায় নতুন জীবনের সন্ধানে।
শুভকামনা আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
সোনেলার সাথে ছিলাম বলেই আপন কিছু মানুষ পেয়েছি, যাদের সাথে কখনো সামনা-সামনি দেখা হয়নি, কথা হয়নি। তবুও অদৃশ্য এক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি সবাই। সোনেলা এগিয়ে যাবে বহুদূর এটাই কামনা করি। ভালো থাকুন ভাইজান, শুভ কামনা অবিরত 🌹🌹
ইঞ্জা
আপু সত্যিকার অর্থে এই ব্লগ আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে এবং দেবেও, আপনাদের মতো যেমন বোন পেয়েছি, তেমনি অনেক ভালো মানুষও পেয়েছি।
দোয়া রাখবেন আপু।
মনির হোসেন মমি
কেমন আছেন ভাইজান।করোনায় প্রায় সবার জীবনই উলোটপালট করে দিয়েছে।কারো কম কারো বেশী। আমিতো দিন আনি দিন দিন খাই মানে ছোট খাট একটা জব করতাম।বন্ধ ছিলো করোনাকাল সেই সাথে বেতন ভাতা সব বন্ধ।নিকটাত্মীয়দের সহযোগীতায় করোনা কাল পার করেছি।এখনো যে সমস্যা নেই তাও নয় সমস্যার মধ্যেই আছি নামে মাত্র চাকরী বাকরী নিয়ে।
অনেক পর আড্ডা পোষ্ট হল আশা করছি আবারো জমবে আড্ডা।
আড্ডা পোষ্ট স্টিকি না হলে অনেকের চোখে পড়ে না।সুতরাং পোষ্টটি স্টিকি করার আবেদন করছি।সেই সাথে মন্তব্যে উঠে আসুক করোা মহমারীর ভয়াল স্মৃতিগগুলো।
ইঞ্জা
আলহামদুলিল্লাহ ভাই ভালো আছি, সামনে এক দাওয়াত অপেক্ষা করছে, অপেক্ষা করুন, খবর পাওয়ার অপেক্ষায় থাকুন।
সময়টা বড়ই কঠিন হয়ে পড়েছে এই করোনাকালে, কিন্তু সময়ও হয়েছে এগিয়ে যাওয়ার, সব ভুলে সামনে বাড়তে হবে ভাই।
ভালোবাসা জানবেন।
মনির হোসেন মমি
আলহামদুলিল্লাহ।মনের আশা যেন পুরণ হয়।
ইঞ্জা
আমীন।
আরজু মুক্তা
আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। অনেকদিন পর এলেন। করোনা অনেক কিছুই এলোমেলো করেছে। তারপরে একটু একটু করে আবার উঠে দাঁড়াচ্ছি। আমার উনি এখনও টিকা নিতে পারেননি। ডায়াবেটিস উঠানামা করছে। বাচ্চাদের অবস্থা তো আরও খারাপ। ওদের সামাজিক মেলামেশা বন্ধ। অনলাইন ক্লাসের কারণে, চোখ মাথা ব্যথা প্রবলেম। ওদের এক্সট্রা সময় ও যত্ন নিতে হচ্ছে।
নিশ্চয় আল্লাহ সহায় হবেন সবার। আমরা প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠবো।
ইঞ্জা
আলহামদুলিল্লাহ, আপু করোনা অনেক সমস্যা নিয়ে এসেছে যেমন, তেমনি এক সময় এসব থাকবেনা, এখন আগে বাড়ার সময়, বেঁচে আছেন এই অনেক, শুকরিয়া আদায় করুন আল্লাহর কাছে।
ভালো থাকবেন আপু।
তৌহিদ
আড্ডা পোষ্ট কতদিন পরে পেলাম! দেরীতে আসার জন্য দুঃখিত দাদা। ভালো আছেন জেনে প্রীত হলাম। আমার কিঞ্চিত ব্যস্ততা যাচ্ছে তবে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
করোনা টিকা নিয়েছি, আশাকরি আপনারাও নিয়েছেন সকলে। এরপরেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আপনার লক্ষী সন্তানের কথা জেনে খুশি হলাম। তার মঙ্গল কামনা করি।
করোনায় কিছু প্রিয়জন এবং পরিচিত মানুষকে হারিয়েছি। আল্লাহ তাদের বেহেশত নসীব করুন।
ভালো থাকুন সবসময় এটাই প্রার্থণা।
ইঞ্জা
Better late then never ভাই, প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই আপনাকে আপনি আমাদের অনুপস্থিতিতে সোনেলাকে সামলিয়ে নিয়ে চলেছেন।
ধন্যবাদ ভাই, মেয়ের জন্য দোয়া রাখবেন।
প্রিয় কিছু মানুষকে অকালেই আমরা হারিয়ে ফেললাম, তবুও আমাদের এগুতে হবে ভাই, দোয়া রাখবেন ভাই, ভালো থাকবেন সবসময়।
তৌহিদ
অবশ্যই দোয়া রইলো ভাই।
ইঞ্জা
আমীন
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সবকিছু মিলিয়ে বলতে গেলে খুব খারাপ আছি, তবুও জীবন যাচ্ছে কেটেকুটে। করোনায় কিছু কাছের মানুষ চলে গেছে। টিকার নিবন্ধন এখনো করিনি। আপনি সুস্থ আছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ অনিঃশেষ আপু, আসলে সময়টা কারো জন্যই ভালো ছিলোনা, এখন ধীরেধীরে সব ঠিক হয়ে উঠছে, কিছু হারিয়েছি আমরা, আবার কিছু নতুন পেয়েছিও, এইতো জীবন আপু।
ভালো থাকবেন।