এ শহর আমার নয়
যে শহর থাকে অরক্ষিত অনিরাপদে,
দিনে রাতে মানুষের রক্ত নিয়ে খেলে হলি
শকুঁনেরা ঘুরে বেড়ায় দুর্ধান্ত দাপটে।
এ শহর আমার নয়
যে শহরে মেধাবীরা বেকার ঘুরে বেড়ায়,
অল্প বিদ্যায় অর্থ ক্ষমতার দাপটে
সহজেই তারা অর্থ-বিত্তে গরীবি হটায়।
এ শহর আমার নয়
যে শহরে ইটের দেয়ালে আটকা পরে,
নির্যাতীত শিশুর আর্তনাদ!
পাষন্ড চালক গাড়ীর চাকায় বার বার পিষে যায়।
এ শহর আমার নয়
যে শহরে স্বাধীনতাত্তোর আজও শুনি
রাজাকার আলবদরের নির্ভয়ে চলার ভয়ার্ত ধ্বনি
মুক্তিযোদ্ধা কাদে নীরবে অসহায়।
এ শহর আমার নয়
যে শহরে উচিত কথা বলতে মানা,
সহজ সরল সততায় থাকতে বাধা
রাতেরঁ অন্ধকারে একলা চলতে হয় যত ভয়।
এ শহর আমার নয়
যে শহরে সময়ের কাটায় চলে জীবনের ইতিহাস
নেই ফুসরত কাউকে দেবার একটু সময় যে তার,
ভালবাসা মানবতা কেবলি পালিয়ে বেড়ায়।
এ শহর এ দেশ আমার নয়
যে শহরে সর্বোত্র সিষ্টেমহীন,চলছে যেন উটের পিঠে,
ফুটপাত দখল হকারে,যানবাহন চলে যা ইচ্ছে তাই
প্রবল বর্ষণে অফিস করি নৌকায়।
এ শহর এ দেশ আমার নয়
যে শহরে ক্ষমতা লাভে অন্তরালে যেন দেশ উঠে নিলামে
ভোটের আগে বলে ভাই ভাই ভোট শেষে বলে চুদির ভাই
নমিনেসন পেতে দলে অর্থের পাহাড় দেয়।
এ শহর দেশ আমার নয়
যে শহরে আমি বলি তুমি মন্দ সে বলে আমি,
তোমার আমার ভাল মন্দে জাতি গোষ্টি যায় তলিয়ে
সবার আগে চাই সমতা;
দেশ এগিয়ে যাবে সকল দল মতের ঐক্যতায়।
৫টি মন্তব্য
মাহমুদ আল মেহেদী
অস্বাধারন ভাই …….
মোঃ মজিবর রহমান
বাস্তবতায় ভরপুর কবিতায়। অপূর্ব। লাগল। -{@
গালিবা ইয়াসমিন
অপূর্ব (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই আপনার লেখা শ্রেষ্ঠ কবিতা এটি।
হৃদয়ে গভীর দাগ কেটে গেলো।
অসাধারণ!
জিসান শা ইকরাম
ভালো লেগেছে। আসলেই এ শহর, দেশ অচেনা হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ।
‘ এ শহর আমার নয়
যে শহরে মেধাবীরা বেকার ঘুরে বেড়ায়,’ —- এই বাক্যে একটু দ্বিমত আছে। বেকারত্ব কমবে কি শুধু সরকারী চাকুরীতে? বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর কয়েক মিলিয়ন টাকা চলে যাচ্ছে ভারত শ্রীলঙ্কায়। এর প্রধান এবং একমাত্র কারন হচ্ছে, বাংলাদেশে এমন লোক খুঁজে পাওয়া যায় না, যারা বেসরকারী সংস্থায় কাজ করতে পারে। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন কোম্পানী ভারত লংকার জনবল নিয়োগ দিচ্ছে। আমাদের দেশের মেধাবীরা করেটা কি? সঠিক সাবজেক্ট নির্ধারন না করাটা মেধাবীর পরিচয় না। ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দিকে ৪র্থ নাম্বারে বাংলাদেশে থেকে রেমিটেন্সের আয়। আমাদের দেশে যোগ্য লোক থাকলে এই টাকার বেতন তো আমাদের ছেলেরাই পেতো।