মা’য়ের মৃত্যুর পর আমাদের সেই বাড়ীটিতে যাই, যেখানে একদা সুখী একটি পরিবার ছিল। সময় গড়িয়েছে। এখন সেটি একটি গল্প বই আর কিছু না ! মা’য়ের আলমিরা খুলি। সেখানে থরে থরে সৌখিন শাড়িগুলো সহ অন্যসব সাজানো। মা’য়ের নিজ হাতে গুছানো জিনিষপত্র তখনো নড়চড় হয়নি। স্মৃতিস্বরূপ সেখান থেকে একটি সাদা নকশীকাঁথা নেই, যা তিনি নিজের ব্যাবহারের জন্যে বানিয়েছিলেন। এটি বুকে চেপে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেই, যেন মরুভূমির বুকে তৃষ্ণিত পথিকের কাছে তৃষ্ণার জলের মতন।
এরই মাঝে একটি শীতকাল পেরিয়ে আরেকটি শীতকাল এসেছে। রোজ রাতে সেই কাঁথাটি জড়িয়ে থাকি। মা’য়ের ছোঁয়া খুঁজি। উষ্ণ হই। ভেতরটায় রক্তক্ষরন হয়। হৃদয়ের ক্ষরিত রক্ত এতো উষ্ণ আগে কখনো বুঝিনি ! চক্ষু যুগলও অশ্রুজলের উষ্ণতায় পোড়ে। বলি___ দিয়েই গেলে তবে সবটুকু উষ্ণতা ঢেলে … ছয়ফুট মাটির গভীরে, নিজে শীতল হয়ে !
২০টি মন্তব্য
মামুন
“ভেতরটায় রক্তক্ষরন হয়। হৃদয়ের ক্ষরিত রক্ত এতো উষ্ণ আগে কখনো বুঝিনি ! চক্ষু যুগলও অশ্রুজলের উষ্ণতায় পোড়ে “- ব্যথিত হলাম।
আপনার মাকে আল্লাহপাক শান্তিতে রাখুন।
রিমি রুম্মান
শুভকামনা আপনার জন্যে… ভাল থাকুন সবসময়।
সঞ্জয় কুমার
ফেলে আসা দিন গুলিতে আবারও ফিরে যেতে ইচ্ছা করে । আবারও সেই চিরচেনা নষ্টালজিয়া ।
রিমি রুম্মান
ফেরা কি আর হয় কভু !
মোঃ মজিবর রহমান
এক দারুন মায়ের সৃতিচারণ।
মা মা মা
মা’য়ের ছোঁয়া খুঁজি। উষ্ণ হই। ভেতরটায় রক্তক্ষরন হয়। হৃদয়ের ক্ষরিত রক্ত এতো উষ্ণ আগে কখনো বুঝিনি
রিমি রুম্মান
মাকে নিয়ে ভাল থাকুন…
মরুভূমির জলদস্যু
এমন কিছু স্মৃতি সবারই থাকে।
রিমি রুম্মান
ঠিক বলেছেন। ভাল থাকুন স্মৃতিটুকু নিয়ে।
শিশির কনা
মা কে নিয়ে এমন লেখায় চোখে পানি আসে আপু।
রিমি রুম্মান
মাকে নিয়ে লিখতে মন চায় অনেক লেখা।
ছাইরাছ হেলাল
মা, মা ই। স্মৃতিতেও সমান উজ্জ্বল।
রিমি রুম্মান
মায়ের বিকল্প নেই পৃথিবীতে।
নুসরাত মৌরিন
মা একদিকে আর পুরো পৃথিবী অন্যদিকে…।মায়ের মত আর কিছুই হয় না।
রিমি রুম্মান
সব মাকে ভালোবাসা ।
জিসান শা ইকরাম
মা এর আচলের তলায় লূকাই এখনো —
আবেগকে আপনি প্রকাশ করতে পারেন
এমন লেখা লিখুন আরো।
রিমি রুম্মান
মাকে নিয়ে লিখলে ফুরাবে না … একজনমে
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সোনেলায় হয়তো শুনেছেন এই তো সে দিন মাকে নিয়ে হাসপাতাল দৌড়ালাম কেমন করে যে এত দ্রুত চলে গেলেন বুঝতেই পারলাম না।মায়ের যে কি অভাব জীবনে পড়ে তা কেবল মা হারারাই বুঝে।দোয়া করি এই শোক যেন বইতে পারেন।
রিমি রুম্মান
আপনি বুঝবেন আমার হাহাকার। কেননা আপনারও মা নেই আমার মতন। সবাই ভাল থাকুন। মাকে ভালবাসুন। আর আপনার মায়ের জন্যে দোয়া রইল। ওপারে ভাল থাকুক উনি।
অরণ্য
ভাল লাগলো আপনার লিখা। সাথে মনে পড়ল আমার মাকেও। আমার মা’র দেয়া একটা বেড কভার আছে আমার কাছে। যখন আমার খুব একা লাগে, মনে হয় অনেক সাহস চাই, মা’র দোয়া চাই, তখন আমি কিচুক্ষণ ঐ বে্ড কভার মুড়িয়ে থাকি। আমার মা অবশ্য বেঁচে আছে – থাকেন গ্রামের বাড়িতে।
রিমি রুম্মান
আপনার মা’য়ের জন্য দোয়া রইলো। যতোটা সম্ভব কাছে থাকুন। সম্ভব না হলে যোগাযোগ রাখুন বেশী বেশী। কথা বলুন প্রতিদিন।