ঈদ মানে নাকি খুশি। কিন্তু আসলে ঈদ কারো কারো জন্য গাঁজাখুরি চাপা মাইরা টুপাইস এদিক ওদিক করার উপলক্ষ। তেমনি একজনের কাছে আজ আমরা ঈদের দিনে আপনার সাজগোজ নিয়ে পরামর্শ চেয়েছি। ঈদের দিন কিভাবে আপনি খুব সহজেই নিজেকে “সবার থেকে আলেধা” বানাতে পারবেন সেই কথাই জানাচ্ছেন বিশিষ্ট দেশপ্রেমিকা, ব্যাম্বু স্পাইন যুক্ত মহিয়সী নারী ও শালীনতার অবতার ফারনাজ আলম।
ফারনাজ বলেন- ঈদের দিন সকালে অবশ্যই গোসল করবেন যাতে গত ঈদ থেকে এ পর্যন্ত যত মেকাপ আর গ্লিটার মেখেছেন তা দূর হয়ে নতুন মেকাপ লাগানোর জায়গা তৈরি হয়। তা না হলে আপনাকে মেকাপের পুরুত্বের কারনে মোটা লাগতে পারে।
ঈদের সকালে ব্যাস্ততার মাঝে ঝটপট গোসলের জন্য ফারনাজের টিপস হলো- চুল ধোয়ার পানিতে হরিতকির রস মুখ ধোয়ার পানিতে পটোলের রস, বগল ধোয়ার পানিতে তেজপাতার রস, হাত ধোয়ার পানিতে চালতার রস, পা ধোয়ার পানিতে কুমড়ার রস, নখ ধোয়ার পানিতে ঘোল এবং পশ্চাতদেশ ধোয়ার পানিতে বান্দরলাঠি ফুলের রস মিশিয়ে গোসল সেরে নিন।
সকালের সাজ হওয়া চাই খুবই স্নিগ্ধ। ফারনাজ বলেন একটি মারাত্মক স্নিগ্ধ সাজের টিপস দেয়ার কারনে গত ফেব্রুয়ারীতে একদল বাঙ্গালের বাচ্চা আমাকে হেভি পুন্দিয়েছিল। সেই সাজটি ই আপনি সকালের স্নিগ্ধ সাজ হিসেবে সাজতে পারেন। সাদা শাড়ির সাথে স্লিভলেস ব্লাউজ, চিরন্তন বাঙ্গালী ঘরোয়া ঘোমটার বদলে দিতে পারেন মাথায় কালো হ্যাট, ভারী গয়না এড়িয়ে গলায় লাগান ম্যাচিং কালো টাই, লিপস্টিক ঠোঁট থেকে টেনে গালে লেপ্টে দিয়ে সকালের স্নিগ্ধতায় নতুন মাত্রা যোগ করতে পারেন। সাথে হাতে/ পিঠে/ কাঁধে আঁকুন উপলক্ষের সাথে মানানসই ডিজাইনের উল্কি। এক্ষেত্রে আমার প্রথম পছন্দ চান- তারা।
ঈদের দিন দুপুরের সাজের বিষয়ে ফারনাজ বলেন- এবার ঈদ হচ্ছে গরমের মধ্যে। সবার বাসায় আমার বড়লুক শশুরের মত ঘরে ঘরে এসির ব্যাবস্থা নাও থাকতে পারে। তাই ঈদের দুপুরে কাপড় যত কম পড়া যায় ততই ভাল। এ ব্যাপারে আমার পরামর্শ হল টুট টুট টুট… (সেন্সরড)
ঈদের বিকেলে বেড়াতে যাবার জন্য হাল ফ্যাশনের যেকোনও ড্রেস যেমন পাখি ড্রেস, ঘোড়া ড্রেস, কলাগাছ ড্রেস, কাঁঠাল পাতার ড্রেস ইত্যাদি পড়তে পারেন। আপনি হাল ফ্যাশনের ড্রেস কিনতে না পারলে প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে গলায় ফাঁসির দড়ি পড়ে ঘুরে বেড়াতে পারেন।
ঈদের রাতে আপনার সাজ হতে হবে যমকালো (জমকালো নয়), শাড়ী এখানে সেরা অপশন। গত ঈদে শর্ট শাড়ির ফ্যাশন চলছিল। এবার আপনি শর্ট শাড়ি পড়লে আপনাকে ব্যাকডেটেড দেখাবে। তাই এবার হাফ শাড়ি পড়ূন। হাফ শাড়ী কিভাবে পড়বেন তা দেখিয়েছে বিশ্ববিখ্যাত পুরানা কাপড়ের আড়ত- আড়ং।
এক পায়ে শাড়ী আর আরেক পায়ে চোষ পায়জামা পড়া আপনাকে আরো মোহনীয় করে তুলবে খোপায় গুজে দেয়া একটি লাউয়ের বিচির মালা।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।
২৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
প্রথম ছবিটা একুশে ফেব্রুয়ারীর ড্রেশ এর জন্য পোজ দিয়েছিল না এক ছাগী ?
এখন পড়ি লেখাটা 🙂
সিনথিয়া খোন্দকার
জ্বী ভাই। উনি ই আমাদের গর্ব, রাজাকারপুত্রের স্ত্রী, মুক্তমনা ও স্বল্পবসনা নন্দিনী- ফারনাজ আলম।
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা হা হা , আপনি শিওর আমাদের মেরে ফেলবেন এবার ।
আমরা আপনার কি ক্ষতি করেছি ? হাসাইয়া মাইর্যা ফেলানোর প্লান নিছেন বুইঝ্যা গেছি।
একপায়ে ছেলোয়ার পড়বে কেমনে ? হা হা হা হা
আপনার ভাবীরে দেখাইছি এইটা – বলে আর একটা বিয়া কইর্যা হেরে পড়াও
বনলতা সেন
বান্দরলাঠি ফুল কিন্তু সত্যি আছে । অভিনব আপনার সাজ উপকরণ এবং উপস্থাপনা ।
ছবি সংগ্রহ ও দারুণ । তবে পুরানা কাপড়ের আড়ত যে আড়ং ,এ কথা শত শত ভাগ সত্য ।
সিনথিয়া খোন্দকার
হ্যা বান্দরলাঠির আরেক নাম সোনালু। তবে বান্দরলাঠি ই সুন্দর। :p
ছাইরাছ হেলাল
ছবি দেখলেই তো ভয় লাগে , তারপর আবার রূপসজ্জা ! তা এসব স্বর্গীয় দ্রব্যাদি সরবরাহের ব্যবস্থা
জানিয়ে দিলে ভাল হয় । তাও কী ঐ ছবিওয়ালির কাছে যেতে হবে ?
লেখা আপনাকে দিয়েই হবে ।
সিনথিয়া খোন্দকার
দেখুন, পরামর্শ দেয়া তিনাদের কাজ। দ্রব্যাদি কিভাবে জোগাড় করিবেন তা আপনাদের বেপার। তা না হইলে জুবানের আগায় যা আসে তাই বলিয়া তিনারা পার পাইবেন কি করিয়া?
লীলাবতী
আপু নিচের শাড়িটা আমার লাগবেই লাগবে। একেবারেই আন কমন :p জিসান ভাইয়া ঠিকই বলেছেন। আপনি আমাদের মেরে ফেলার একটা মিশন নিয়ে এসেছেন :D) :D) ঈদের শুভেচ্ছা আপনাকে এবং বডি গার্ডকে । দুজনের জন্য দুটো ফুল 🙂 -{@ -{@
সিনথিয়া খোন্দকার
নিচের শাড়িটা হুবুহু না হইলেও এটা ময়লা রংচটা একটা কপি আড়ং এ পাইলেও পাইতে পারেন।
ঈদের শুভেচ্ছা আপনাকেও। -{@
আগুন রঙের শিমুল
বডিগার্ড কইছো আবারো :@
লীলাবতী
তাহলে কি বলবো 🙁 ^:^
আগুন রঙের শিমুল
সুইট কৈরা ভাইয়া আ আ আ আ কৈলেইতো হয় 😀
আগুন রঙের শিমুল
:Happy-Grin: :Happy-Grin: :Happy-Grin:
সিরাম
সিনথিয়া খোন্দকার
:p
ব্লগার সজীব
আপু লেখা পড়ে হাহাপগে :D)
ছবির মডেল দুইখান যা হইছে , নীচের মডেল তো টুট টুট টুট 😀
সিনথিয়া খোন্দকার
হাফ শাড়ি ও শর্ট শাড়ি তো গেল, আগামিতে কি চমক আসে তার অপেক্ষায় আছি ভাই।
প্রজন্ম ৭১
এপিক পোষ্ট আপু । নিচের শাড়ি ওয়ালি কি যুদ্ধে যাইতাছে ? বাপ্রে ভয় পাইছি । ঈদ মোবারক -{@
সিনথিয়া খোন্দকার
ঈদ মোবারক। -{@
ওয়ালিনা চৌধুরী অভি
আপনার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে ফ্যান হয়ে গেলাম আপনার (y) :D)
সিনথিয়া খোন্দকার
-{@
শুন্য শুন্যালয়
কি আর কইমু, কিছু কইমু না… টুট টুট টুট… 😀
সিনথিয়া খোন্দকার
আমিও জবাব দিলাম টুট টুট… :p
যাযাবর
গতকাল পড়েছি আপনার পোষ্ট । জটিল হয়েছে আপু।
সিনথিয়া খোন্দকার
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
ব্লগার সজীব
:D) :D) :D) আপু এই লেখার ব্যকগ্রাউন্ডে এই গানটা দেয়া যায় ? তু চিজ ভারি হায় মাস্ত মাস্ত 🙂
সিনথিয়া খোন্দকার
কারোরই নাই গো হোশ হোশ
তার উপ্রে যুগের জোশ জোশ
ফারনাজের নাই কোনো দোষ দোষ
গিনিপিগ আমরা জাস্ত জাস্ত। :p